পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের কথা না শুনলেই নির্যাতন নেমে আসে এলাকার সাধারণ মানুষ এমনকি দলীয় নেতাকর্মীদের ওপরও। প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকির মুখে এলাকা ছাড়তে হয়। মামলা নেয় না পুলিশ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী এবং ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের রয়েছে নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী।
এমপি জাহাঙ্গীর মুখ-হাত এক সঙ্গে চালান
এমরান হাসান সোহেল পটুয়াখালী

গলাচিপার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাশিনাথ দত্ত জানান, গত বছর ১৫ আগস্ট পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিনের আমন্ত্রণে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় যোগ দেওয়ায় তাঁকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেন এমপি জাহাঙ্গীর। একই সঙ্গে তাঁকে মারধর করার জন্য এমপি নিজের পেটোয়া বাহিনীকে হুকুম দিলে সে যাত্রায় দৌড়ে রক্ষা পান কাশিনাথ।
অভিযোগ রয়েছে, সাংবাদিকদের কাছে এমপি জাহাঙ্গীরের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতার বর্ণনা দেওয়ায় গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান মিয়াকে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অপহরণের চেষ্টা করা হয়। তাতে ব্যর্থ হয়ে মতিউরকে একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এ ছাড়া এমপি জাহাঙ্গীর ও তাঁর ভাই খালেদুর রহমান স্বপনের নিয়মবহির্ভূত নানা কর্মকাণ্ড সমর্থন না করায় গজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রবকে নির্যাতন করা হয় বলে তিনি জানান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কয়েক মাস পরই রবকে মারধর করে এমপির লোকজন। এরপর দীর্ঘদিন তাঁকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হয়। ২০১৪ সালে এমপি হওয়ার পর জাহাঙ্গীর মারধর করেন দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আবুবকরকে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভুক্তভোগী ১৫ জন নেতাকর্মী এ ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে জানান, তাঁরা থানায় মামলা করতে চাইলে তাঁদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়াসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায় জাহাঙ্গীরের ‘পেটোয়া বাহিনী’।
গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদি মাসুদ জুয়েল বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে এখন আওয়ামী লীগ করছি। আমার মতো আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতারা এমপির কারণে কেউ সুখে নেই। এমপি সাহেব নিজেকে সৎ ব্যক্তি দাবি করেন। অথচ জীবনে কোনো দিন চাকরিও করেননি, ব্যবসাও করেননি, আবার জমিদার পরিবারের সন্তানও নন; তাহলে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক কিভাবে হলেন এ প্রশ্ন এলাকার সবার। যাকে-তাকে পিটিয়ে কিংবা গালিগালাজ করে সব দমিয়ে রাখতে চান। দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে পাগলা কুকুরের মতো আচরণ করেন।’
কাশিনাথ দত্ত, মতিউর রহমান, মেহেদি মাসুদ জুয়েল ও দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আমির হোসেন আলাদাভাবে এমপি জাহাঙ্গীর কিংবা তাঁর বাহিনীর নির্যাতন বা হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ করেছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বরাবর। ওই অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন তাঁরা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গলাচিপা থানার সামনে যানজটে আটকা পড়ে এমপি জাহাঙ্গীরের গাড়ি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এমপি গাড়ি থেকে নেমে যানজট সৃষ্টির অজুহাতে মো. রিয়াজ নামের এক রিকশাচালককে মারধর করেন।
২০১৬ সালের ২৬ মার্চ গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউপি কার্যালয়ে ধরে নিয়ে বেধড়ক পিটুনির পর এক গৃহবধূ এবং তাঁর স্বামীর ভাতিজার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছিলেন এমপি জাহাঙ্গীরের ভাই স্বপন। ওই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। এরপর পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু স্বপনের হুমকির মুখে তখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই দুই পরিবার। একপর্যায়ে বাড়ি ফিরলে স্বপনের ভয়ভীতির মুখে তারা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাকি? অভিযোগ সত্য না মিথ্যা আমার দলের নেতাকর্মীদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, তারা ভালো বলতে পারবে। জুয়েল নামের যে ছেলে অভিযোগ করেছে সে বিএনপি করত। তাকে দলে নিয়ে পদ দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে পারেনি বলে সে অভিযোগ করেছে। যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য।’ অন্য নেতাদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বাড়াতে চাই না। আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না, কারণ আমাকে কোনো কপি দেওয়া হয়নি।’
সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ‘অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।
মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।’
গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।’

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল
বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।
অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।
সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বরগুনা প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।