চতুর্থ অধ্যায়
নিউটনিয়ান বলবিদ্যা
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
[পূর্বপ্রকাশের পর]
২০। বলের ঘাত বা ঘাত কী?
উত্তর : বল এবং বলের ক্রিয়াকালের গুণফলকে বলের ঘাত বা ঘাত বলে।
২১। মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর : কোনো গুরুভার বস্তু আশপাশে যে এলাকাজুড়ে এই মহাকর্ষ বলের প্রভাব বিস্তার করে, তাকে মহাকর্ষ ক্ষেত্র বলে।
২২। মহাকর্ষীয় প্রাবল্য কাকে বলে?
উত্তর : মহাকর্ষ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একটি একক ভর স্থাপন করলে এটি যে পরিমাণ মহাকর্ষ বল অনুভব করে, তাকে ওই ক্ষেত্রের উক্ত বিন্দুর মহাকর্ষীয় প্রাবল্য বলে।
২৩। রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণশীলতার নীতি বা নিত্যতার নীতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : একাধিক বস্তুর মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল ছাড়া অন্য কোনো বল ক্রিয়া না করলে, কোনো নির্দিষ্ট দিকে ওই বস্তুগুলোর রৈখিক ভরবেগের সমষ্টি ধ্রুব থাকে।
২৪। রকেট ইঞ্জিনের ধাক্কা বল কাকে বলে?
উত্তর : গ্যাস নির্গমনের ফলে গ্যাসের গতির বিপরীত দিকে রকেটের ওপর যে বল প্রযুক্ত হয় তাকে রকেট ইঞ্জিনের ধাক্কা বলে।
২৫। রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণশীলতা বা নিত্যতার নীতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যখন কোনো ব্যবস্থার ওপর প্রযুক্ত বাহ্যিক বল শূন্য হয়, তখন ব্যবস্থাটির মোট রৈখিক ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে।
২৬। জড়তার ভ্রামক কী?
উত্তর : কোনো অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত দৃঢ় বস্তুর কণাগুলোর ভর ও ঘূর্ণন অক্ষ হতে এদের দূরত্বের বর্গের গুণফলের সমষ্টিকে ওই অক্ষের সাপেক্ষে বস্তুর জড়তার ভ্রামক বলে।
২৭। জড়তার ভ্রামকের ভৌতিক তাৎপর্য লিখ।
উত্তর : রৈখিক গতিতে ভর যে ভূমিকা অবলম্বন করে, ঘূর্ণন গতিতে জড়তার ভ্রামক সেই ভূমিকা অনুসরণ করে।
এই কারণে জড়তার ভ্রামককে ঘূর্ণন ভর বা ঘূর্ণন জড়তা বলে।
২৮। চক্রগতির ব্যাসার্ধ কী?
উত্তর : ঘূর্ণন অক্ষ হতে যে দূরত্বে কোনো বিন্দুতে বস্তুর ভর কেন্দ্রীভূত রয়েছে বিবেচনা করলে ওই অক্ষের সাপেক্ষে কেন্দ্রীভূত বিন্দু বস্তুর জড়তার ভ্রামক এবং ওই অক্ষের সাপেক্ষে সমগ্র বস্তুর জড়তার ভ্রামক একই হয়, তাকে চক্রগতির ব্যাসার্ধ বলে।
২৯। লম্ব অক্ষীয় উপপাদ্য লেখো।
উত্তর : কোনো পাতের তলস্থিত পরস্পরের সঙ্গে লম্ব দুটি অক্ষের সাপেক্ষে পাতের জড়তার ভ্রামকের সমষ্টি, ওই অক্ষদ্বয়ের ছেদ বিন্দুগামী এবং পাতের তলের ওপর লম্ব অক্ষের সাপেক্ষে পাতের জড়তার ভ্রামকের সমান।
৩০। সমান্তরাল অক্ষীয় উপপাদ্য লেখো।
উত্তর : কোনো অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত বস্তুর জড়তার ভ্রামক হলো বস্তুর ভারকেন্দ্রগামী এবং ওই অক্ষের সমান্তরাল অক্ষের সাপেক্ষে জড়তার ভ্রামক এবং বস্তুর ভর ও অক্ষদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের গুণফলের সমষ্টির সমান।
৩১। কৌণিক ভরবেগ কাকে বলে?
উত্তর : ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তুকণার অবস্থান (ব্যাসার্ধ) ভেক্টর এবং রৈখিক ভরবেগের ভেক্টর (ক্রস) গুণফলকে কৌণিক ভরবেগ বলে।
৩২। টর্ক কী?
উত্তর : ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তুকণার অবস্থান (ব্যাসার্ধ) ভেক্টর এবং বস্তুকণার ওপর প্রযুক্ত বলের ভেক্টর (ক্রস) গুণফলকে টর্ক বলে।
৩৩। দ্বন্দ্ব কী?
উত্তর : দুটি সমান, সমান্তরাল ও বিপরীতমুখী বলকে দ্বন্দ্ব বলে।
৩৪। কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণশীলতা বা নিত্যতার নীতি লেখো।
উত্তর : কোনো ব্যবস্থার ওপর ক্রিয়াশীল বাহ্যিক টর্ক শূন্য হলে ওই ব্যবস্থার কৌণিক ভরবেগ অপরিবর্তিত থাকে বা সংরক্ষিত থাকে।
৩৫। কেন্দ্রমুুখী বল কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত কোনো বস্তুকণার ওপর যে বল ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের দিকে ক্রিয়া করে বস্তুকণাকে বৃত্তাকার পথে চলতে বাধ্য করে, তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে।
৩৬। কেন্দ্রবিমুখী বা অপকেন্দ্র বল কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার ওপর যে বল ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের বিপরীত দিকে ক্রিয়া করে বস্তুকণাকে বৃত্তাকার পথ হতে বিচ্যুত করতে চায়, তাকে কেন্দ্রবিমুখী বা অপকেন্দ্র বল বলে।
৩৭। ব্যাংকিং কোণ কী?
উত্তর : অনুভূমিক রাস্তা বা রেললাইনে মোড় বা বাঁক নিতে হলে বাঁকের স্থলে রাস্তার বাঁকের ভেতরের দিকে নিচু এবং বাইরের দিকে উঁচু করে রাস্তা ঢালু করা থাকে। একে রাস্তার ব্যাংকিং বলে। বাঁকের ভেতরের দিকে রাস্তা যে কোণে ঢালু থাকে তাকে ব্যাংকিং কোণ বলে।