দ্বিতীয় অধ্যায়
জীবকোষ ও টিস্যু
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। কোষ কী?
উত্তর : জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে।
২। আদিকোষ কাকে বলে?
উত্তর : যে কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে আদিকোষ বলে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
জীবকোষ ও টিস্যু
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। কোষ কী?
উত্তর : জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে।
২। আদিকোষ কাকে বলে?
উত্তর : যে কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে আদিকোষ বলে।
৩। প্রকৃত কোষ কাকে বলে?
উত্তর : যে কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত থাকে তাকে প্রকৃত কোষ বলে।
৪। জাইগোট কী?
উত্তর : পুং ও স্ত্রী জননকোষের মিলনের ফলে সৃষ্ট প্রথম কোষটিকে জাইগোট বলে।
৫। কূপ কী?
উত্তর : গৌণ প্রাচীরে মাঝে মাঝে ছিদ্র থাকে, যাকে কূপ বলে।
৬। প্লাজমোডেজমাটা কী?
উত্তর : পাশের কোষের সাথে প্লাজমোডেজমাটা সৃষ্টির মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং পানি ও খনিজ লবণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
৭। প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে?
উত্তর : কোষের ভেতরে যে অর্ধস্বচ্ছ, থকথকে জেলির মতো বস্তু থাকে তাকে প্রোটোপ্লাজম বলে।
৮। কোষঝিল্লি/প্লাজমালেমা কী?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজমের বাইরে দুই স্তরের যে স্থিতিস্থাপক পর্দা থাকে তাকে কোষঝিল্লি/প্লাজমালেমা বলে।
৯।
১০। সাইটোপ্লাজম কী?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াস সরিয়ে নিলে যে জেলির মতো বস্তু থেকে যায় তাকে সাইটোপ্লাজম বলে।
১১। অক্সিজোম কী?
উত্তর : মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্রিস্টির গায়ে বৃন্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে এদেরকে অক্সিজোম বলে।
১২। লাইসোজোম কী?
উত্তর : সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত যে অঙ্গাণু জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে তাকে লাইসোজোম বলে।
১৩। কোষকঙ্কাল কী?
উত্তর : লম্বা এবং মোটা-চিকন মিলিয়ে অসংখ্য দড়ির মতো বস্তু যা কোষের চারদিকে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে। কোষকঙ্কাল ভেতর থেকে কোষটিকে ধরে রাখে।
১৪। মাইক্রোটিউবিউল কী?
উত্তর : কোষকঙ্কালের প্রোটিন নির্মিত অশাখ, লম্বা ও নলাকার তন্তুকে মাইক্রোটিউবিউল বলে।
১৫। মাইক্রোফিলামেন্ট কী?
উত্তর : কোষকঙ্কালের প্রোটিন নির্মিত অতিসূক্ষ্ম সংকোচনশীল তন্তু কোষের চলনে অংশগ্রহণ করে, তাদের মাইক্রোফিলামেন্ট বলে।
১৬। সেন্ট্রোজোম কী?
উত্তর : প্রাণিকোষের নিউক্লিয়াসের কাছে দুটি ফাঁকা নলাকার বা দণ্ডাকার অঙ্গাণু দেখা যায়, তাদের সেন্ট্রিওল বলে। সেন্ট্রিওলের চারপাশে অবস্থিত গাঢ় তরলকে সেন্ট্রোস্ফিয়ার বলে। সেন্ট্রোস্ফিয়ারসহ সেন্ট্রিওলকে সেন্ট্রোজোম বলে।
১৭। ক্লোরেনকাইমা কী?
উত্তর : প্যারেনকাইমা কোষে যখন ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, তখন তাকে ক্লোরেনকাইমা বলে।
১৮। অ্যারেনকাইমা কী?
উত্তর : জলজ উদ্ভিদের বড় বড় বায়ুকুঠুরিযুক্ত প্যারেনকাইমাকে অ্যারেনকাইমা বলে।
১৯। স্ক্লেরাইড কী?
উত্তর : স্ক্লেরাইডকে স্টোন সেল বলে। এরা খাটো, সমব্যসীয়, কখনো লম্বাটে, আবার কখনো তারকাকার হতে পারে। এদের গৌণ প্রাচীর খুবই শক্ত ও লিগনিনযুক্ত।
২০। জটিল টিস্যু কী?
উত্তর : বিভিন্ন ধরনের কোষের সমন্বয়ে যে স্থায়ী টিস্যু তৈরি হয় তাকে জটিল টিস্যু বলে।
২১। উডফাইবার কী?
উত্তর : জাইলেমে অবস্থিত স্ক্লেরেনকাইমা কোষকে উড ফাইবার বলে।
২২। সিভপ্লেট কী?
উত্তর : সিভনলের চালুনির মতো রন্ধ্রগুলোকে সিভপ্লেট বলে।
২৩। কোমলাস্থি কী?
উত্তর : কোমলাস্থি এক ধরনের নমনীয় স্কেলিটাল যোজক টিস্যু।
২৪। রক্ত কী?
উত্তর : রক্ত এক ধরনের ক্ষারীয়, ঈষৎ লবণাক্ত এবং লাল বর্ণের তরল যোজক টিস্যু।
২৫। লসিকা কাকে বলে?
উত্তর : মানবদেহে বিভিন্ন টিস্যুর মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে যে জলীয় পদার্থ জমা হয় তাকে লসিকা বলে।
২৬। পেশি টিস্যু কী?
উত্তর : ভ্রূণের মেসোডার্ম থেকে তৈরি সংকোচন ও প্রসারণক্ষম বিশেষ ধরনের টিস্যুকে পেশি টিস্যু বলে।
২৭। ঐচ্ছিক পেশি কী?
উত্তর : যে পেশির টিস্যুর সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন হয় তাকে ঐচ্ছিক পেশি বলে।
২৮। ত্বক বা চামড়া কী?
উত্তর : দেহের বাইরের দিকে যে আচ্ছাদনকারী আবরণ থাকে, তাকে ত্বক বা চামড়া বলে।
২৯। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি কী?
উত্তর : নালিবিহীন গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।
৩০। স্টোইন কী?
উত্তর : স্টোইন হলো বর্ণযুক্ত জৈবযৌগ, যা ল্যাবরেটরিতে অণুজীবসমূহের দৃশ্যমান করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
[পূর্বপ্রকাশের পর]
৩০। আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ—
ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা
গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা
উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা
৩১। বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?
ক. ১৮৫৭ খ. ১৯০৮
গ. ১৯৭৭ ঘ. ১৯৩৭
উত্তর : গ. ১৯৭৭
৩২। নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?
ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক
গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম
উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
।
চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। শ্বসনিক বস্তু কী?
উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমন—শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।
২।
উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।
৩। ফার্মেন্টেশন কী?
উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।
৪।
উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।
৫। C3 উদ্ভিদ কী?
উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।
৬। জীবনীশক্তি কী?
উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।
৭।
উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP ও অজৈব ফসফেট (Pi) এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।
৮। NADPH শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।
উত্তর : NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।
৯। সালোক সংশ্লেষণ কী?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।
১০। ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?
উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP তৈরি হয়। ATP
শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।
১১। C4 উদ্ভিদ কী?
উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।
১২। শ্বসন কী?
উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলো—এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।
যোগ্যতা
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।
আবেদন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।
ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।
সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।
ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।
ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions
ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯
গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক—
► ৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।
উদাহরণ
৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯
৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯
৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯
৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯
► যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।
উদাহরণ
৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪
মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,
৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩
বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫ + ১ + ৩ = ৯
► ৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে।
যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।
এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।
সৈয়দা জুয়েলী আকতার