ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

পাবলো পিকাসো

  • অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে তোমরা শিল্পী পাবলো পিকাসো সম্পর্কে জেনেছ। কিউবিজম ধারার জনক এই শিল্পী বিষয়ে আরো যা জানতে পারো—
শেয়ার
পাবলো পিকাসো
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো।ছবি : সংগৃহীত

আমরা আজকে এমন একজন বিখ্যাত শিল্পীর বিষয়ে আলোচনা করব, যিনি শিশুদের মতো করে ছবি এঁকে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। জীবনের পরিণত বয়সে এসে কেন তিনি শিশুদের মতো ছবি আঁকা শুরু করলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, গুরু রাফায়েলের মতো ছবি আঁকতে তাঁর সময় লেগেছিল চার বছর। কিন্তু শিশুদের মতো ছবি আঁকতে তাঁর লেগে যাচ্ছে সারা জীবন। তিনি শিল্পী পাবলো পিকাসো।

১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

পাবলো পিকাসো ছিলেন একজন বিপ্লবী শিল্পী। তিনি চিত্রাঙ্কনের শৈল্পিক রীতিগুলোকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। তিনি কখনো একটি একক শৈলী বা শৈল্পিক আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি।

দীর্ঘ কর্মজীবনজুড়ে তিনি পেইন্টিং, ভাস্কর্য, সিরামিক, প্রিন্টমেকিংসহ শৈল্পিক অভিব্যক্তির একাধিক ফর্ম আয়ত্ত করেছেন এবং উদ্ভাবন করেছেন।

শিল্পী পিকাসোর সবচেয়ে বিখ্যাত অবদান ছিল কিউবিজম, যা তিনি বিশ শতকের প্রথম দিকে জর্জেস ব্র্যাকের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই র‌্যাডিক্যাল পদ্ধতিটি বস্তুকে জ্যামিতিক আকারে বিনির্মাণ করে, একই কম্পোজিশনের মধ্যে একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। তাঁর পেইন্টিং ‘Les Demoiselles d’Avignon’ (১৯০৭) কিউবিজমের একটি উত্কৃষ্ট উদাহরণ।

কিউবিজমের বাইরে পিকাসো ক্রমাগত নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। তাঁর ব্লু পিরিয়ড (১৯০১-১৯০৪) ও  রোজ পিরিয়ড (১৯০৪-১৯০৬)-এর কাজগুলো সার্কাসজীবনের উষ্ণ রং ও থিম প্রবর্তন করেছিল। পরবর্তীকালে তাঁর চিত্রকর্মে পরাবাস্তববাদের প্রভাব দেখা যায়। তাঁর একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম গুয়ের্নিকা (১৯৩৭)। স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের সময় একটি স্প্যানিশ শহরে বোমা হামলার প্রতিক্রিয়ায় গুয়ের্নিকা ছবিটি আঁকা হয়।

এই চিত্রকর্ম ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিরোধী চিত্রগুলোর মধ্যে একটি।

পিকাসোর চিত্রকর্মের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক তাঁর নির্ভীক পরীক্ষা। তিনি একজন সাংস্কৃতিক আইকন ছিলেন। তাঁর চিত্রকর্মে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় স্পষ্ট। কিউবিজম, পরাবাস্তববাদ বা তাঁর পরবর্তী কাজের মাধ্যমেই হোক না কেন, পিকাসোর শিল্পগুলো বিশ্বকে এমনভাবে দেখতে শিখিয়েছে, যা তাঁর আগে কেউ পারেনি। তাঁর কাজ সৃজনশীলতা বিভিন্ন শাখায় অগণিত শিল্পীকে অনুপ্রাণিত করেছে।

তাঁর প্রতিভা কেবল কারিগরি দক্ষতার মধ্যেই ছিল না, বরং শৈল্পিক উপস্থাপনার প্রকৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও পুনর্নির্মাণ করার আবেদন ছিল। শিল্পে তাঁর ক্রমাগত উদ্ভাবন ও সীমানা ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করে যে তাঁর কাজ আজ পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং প্রভাবশালী। ১৯৭৩ সালের ৮ এপ্রিল ছবির এই জাদুকর মারা যান।

অঞ্জয় কুমার

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এইচএসসি স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার

অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

অষ্টম অধ্যায় : রাসায়নিক বিক্রিয়া

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        রাসায়নিক বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু নতুন এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

২।        সংযোজন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক মৌল বা যৌগ মিলে নতুন এক বা একাধিক যৌগ গঠন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।

৩।        তুঁতের সংকেত কী?

  উত্তর : তুঁতের সংকেত CuSO4.5H2O।

 

 

৪।        পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসের নাম কী?

  উত্তর : পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসটি হলো অক্সিজেন।

৫।        প্রশমন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

৬।        তুঁতে কী?

  উত্তর : পাঁচ অণু পানিযুক্ত কপার সালফেট লবণকে তুঁতে বলে।

৭।        দহন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগ অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে, তা-ই দহন বিক্রিয়া।

৮।        বিযোজন কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ ভেঙে একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি হয়, সেই বিক্রিয়াকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।

৯।

       হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত কোনটি?

    উত্তর : হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত HN3।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। নারী নির্যাতন দমনে কত সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন দমনে ২০১২ সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।

২।        যৌতুক কী?

  উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে বা পরে বরপক্ষ অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছ থেকে যে অর্থসম্পদ আদায় করে নেয় তাকে যৌতুক বলে।

৩।        তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিরক্ত করছে। তুমি কী করবে?

  উত্তর : আমি নির্যাতন বন্ধের জন্য আশপাশের মানুষের সাহায্য নেব।

৪।

       ন্যায্য মজুরির দাবিতে কোথায় নারী শ্রমিকরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে?

  উত্তর : ন্যায্য মজুরির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানায় নারীরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে।

৫।        মায়েরা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুদের কী সমস্যা হতে পারে?

  উত্তর : যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয়, সেই পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

৬।

       কিসের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর?

  উত্তর : সমাজের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর।

৭।        কত সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন?

  উত্তর : ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।

৮।        নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৯।        স্কুলে নারী দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য কী?

  উত্তর : এই দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে নারী-পুরুষ সমতা।

১০। কে নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান?

  উত্তর : ক্লারা জেটকিন নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

১১।       ৮ মার্চ সারা বিশ্বে একটি দিবস পালিত হয়। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?

  উত্তর : এখানে নারী দিবসের কথা বলা হয়েছে।

১২।       রাশেদা বেগমের মতে, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয়, বরং সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁর মনোভাবের সঙ্গে কোন মহীয়সী নারীর মিল আছে?

  উত্তর : তাঁর মনোভাবের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার মিল আছে।

১৩।       নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী বলেছেন?

  উত্তর : নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কাব্যিক ভাষায় বলেছেন, ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

 

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায় :  জীবের প্রজনন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

  উদ্দীপকের আলোকে ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২০।  নিষেকের ফলে চিত্র X অংশটি কিসে পরিণত হয়?

  ক. শস্যকলায় খ. বীজে
গ. গর্ভপত্রে   ঘ. ভ্রূণে

২১।  চিত্রে  Y অংশটি যা সৃষ্টি করে তা হলো

  i. শস্যকলা   ii. ৩হ নিউক্লিয়াস
iii. বীজপত্র

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. ii I iii

  উদ্দীপকের আলোকে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২২।  নিচের  P অংশটি নিষেকের পর পরিণত হয়

  ক. জাইগোটে খ. শস্যকোষে
গ. ডিম্বকে    ঘ. ভ্রুণে

২৩।

  চিত্র  XY-এর ক্ষেত্রে

  i. MN মিলিত হয়ে শস্যকোষ তৈরি করে

  ii. MP-এর সঙ্গে ঘ-এর মিলনে দ্বিনিষেক ঘটে

  iii. PN মিলিত হলে চারাগাছ হতে পারে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

  উদ্দীপকের আলোকে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২৪।  নিষেকের পর ‘P’ হতে তৈরি হয়

  i. জাইগোট    ii. ভ্রূণ   iii. শস্যকলা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

 

  উত্তর : ২০. ঘ ২১. ক ২২. ক ২৩. ঘ ২৪. ক। 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ