ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

স্যাটেলাইট

  • অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা স্যাটেলাইট সম্পর্কে জেনেছ। বিজ্ঞানের অন্যতম আবিষ্কার এই মহাকাশযান—
শেয়ার
স্যাটেলাইট
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। ছবি : সংগৃহীত

বিভিন্ন কাজের জন্য যে মহাকাশযান আমাদের পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, তাকে স্যাটেলাইট বলা হয়। পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ। যন্ত্রগুলো চাঁদের মতোই পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। স্যাটেলাইটকে বাংলায় বলা হয় কৃত্রিম উপগ্রহ।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত হয় রকেট। কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছানোর পর রকেট থেকে স্যাটেলাইট আলাদা হয়ে যায়। তখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবেই সেটি কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। জরুরি প্রয়োজনে অল্পবিস্তর নাড়ানোর প্রয়োজন হলে স্যাটেলাইটের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র আকৃতির বুস্টার ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।

তবে সব স্যাটেলাইটে এটি থাকে না। 

টেলিযোগাযোগ, টেলিভিশন ও অন্যান্য সিগন্যাল সম্প্রচার, আবহাওয়ার গতিবিধির ওপর নজর রাখা, ক্যামেরার মাধ্যমে পৃথিবীর ছবি তোলা ও অবস্থান নির্ণয় থেকে শুরু করে টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্ব গবেষণার কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট। এগুলো ছোটখাটো জুতার বাক্স থেকে শুরু করে বড়সড় গাড়ির আকৃতিরও হয়ে থাকে। স্যাটেলাইটের কাজের ধরন এবং এতে ব্যবহৃত প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে এর ওজন এবং আকৃতি।

বেশির ভাগ স্যাটেলাইটের মধ্যে থাকে সোলার প্যানেল। যার মাধ্যমে সরাসরি সূর্যের আলো থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয় মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তি। ভূপৃষ্ঠে থাকা ট্রান্সিভার ডিভাইস ব্যবহার করে সরাসরি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।

বিশ্বের প্রথম সফল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপিত হয়েছিল ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, তৈরি করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।

এর নাম স্পুটনিক ১, রুশ ভাষায় যার অর্থ ‘ছোট্ট চাঁদ’। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৯ হাজার ৯০০টিরও বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত সংখ্যাটি জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। এর মধ্যে টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইটের সংখ্যা বেশি। এরপর পর্যায়ক্রমে আছে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ, নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা এবং অবস্থান নির্ণয়ের জন্য তৈরি স্যাটেলাইট।

আমাদেরও নিজস্ব একটি স্যাটেলাইট আছে, নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। টেলিযোগাযোগের জন্য তৈরি স্যাটেলাইটটি ২০১৮ সালের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। উৎক্ষেপণের জন্য স্পেসএক্সের তৈরি ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এখন স্যাটেলাইটটির মাধ্যমে বিভিন্ন টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলের সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

♦ এস এম তাহমিদ

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এইচএসসি স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার

অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

অষ্টম অধ্যায় : রাসায়নিক বিক্রিয়া

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        রাসায়নিক বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু নতুন এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

২।        সংযোজন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক মৌল বা যৌগ মিলে নতুন এক বা একাধিক যৌগ গঠন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।

৩।        তুঁতের সংকেত কী?

  উত্তর : তুঁতের সংকেত CuSO4.5H2O।

 

 

৪।        পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসের নাম কী?

  উত্তর : পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসটি হলো অক্সিজেন।

৫।        প্রশমন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

৬।        তুঁতে কী?

  উত্তর : পাঁচ অণু পানিযুক্ত কপার সালফেট লবণকে তুঁতে বলে।

৭।        দহন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগ অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে, তা-ই দহন বিক্রিয়া।

৮।        বিযোজন কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ ভেঙে একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি হয়, সেই বিক্রিয়াকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।

৯।

       হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত কোনটি?

    উত্তর : হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত HN3।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। নারী নির্যাতন দমনে কত সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন দমনে ২০১২ সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।

২।        যৌতুক কী?

  উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে বা পরে বরপক্ষ অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছ থেকে যে অর্থসম্পদ আদায় করে নেয় তাকে যৌতুক বলে।

৩।        তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিরক্ত করছে। তুমি কী করবে?

  উত্তর : আমি নির্যাতন বন্ধের জন্য আশপাশের মানুষের সাহায্য নেব।

৪।

       ন্যায্য মজুরির দাবিতে কোথায় নারী শ্রমিকরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে?

  উত্তর : ন্যায্য মজুরির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানায় নারীরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে।

৫।        মায়েরা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুদের কী সমস্যা হতে পারে?

  উত্তর : যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয়, সেই পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

৬।

       কিসের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর?

  উত্তর : সমাজের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর।

৭।        কত সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন?

  উত্তর : ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।

৮।        নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৯।        স্কুলে নারী দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য কী?

  উত্তর : এই দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে নারী-পুরুষ সমতা।

১০। কে নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান?

  উত্তর : ক্লারা জেটকিন নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

১১।       ৮ মার্চ সারা বিশ্বে একটি দিবস পালিত হয়। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?

  উত্তর : এখানে নারী দিবসের কথা বলা হয়েছে।

১২।       রাশেদা বেগমের মতে, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয়, বরং সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁর মনোভাবের সঙ্গে কোন মহীয়সী নারীর মিল আছে?

  উত্তর : তাঁর মনোভাবের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার মিল আছে।

১৩।       নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী বলেছেন?

  উত্তর : নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কাব্যিক ভাষায় বলেছেন, ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

 

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায় :  জীবের প্রজনন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

  উদ্দীপকের আলোকে ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২০।  নিষেকের ফলে চিত্র X অংশটি কিসে পরিণত হয়?

  ক. শস্যকলায় খ. বীজে
গ. গর্ভপত্রে   ঘ. ভ্রূণে

২১।  চিত্রে  Y অংশটি যা সৃষ্টি করে তা হলো

  i. শস্যকলা   ii. ৩হ নিউক্লিয়াস
iii. বীজপত্র

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. ii I iii

  উদ্দীপকের আলোকে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২২।  নিচের  P অংশটি নিষেকের পর পরিণত হয়

  ক. জাইগোটে খ. শস্যকোষে
গ. ডিম্বকে    ঘ. ভ্রুণে

২৩।

  চিত্র  XY-এর ক্ষেত্রে

  i. MN মিলিত হয়ে শস্যকোষ তৈরি করে

  ii. MP-এর সঙ্গে ঘ-এর মিলনে দ্বিনিষেক ঘটে

  iii. PN মিলিত হলে চারাগাছ হতে পারে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

  উদ্দীপকের আলোকে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২৪।  নিষেকের পর ‘P’ হতে তৈরি হয়

  i. জাইগোট    ii. ভ্রূণ   iii. শস্যকলা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

 

  উত্তর : ২০. ঘ ২১. ক ২২. ক ২৩. ঘ ২৪. ক। 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ