ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

নবম ও দশম শ্রেণি : অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন বাংলা প্রথম পত্র

  • আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিল, ঢাকা
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন বাংলা প্রথম পত্র
অঙ্কন : মাসুম

গদ্য

অভাগীর স্বর্গ

শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১। কাঙালীর মায়ের নাম অভাগী রাখা হয়েছিল কেন?

উত্তর : জন্মের সময় মা মরে যাওয়ায় কাঙালীর মায়ের নাম অভাগী রাখা হয়েছিল।   

অভাগীর স্বর্গ গল্পে দেখা যায় যে অভাগীর বাবা অভাগীর এই নাম রেখেছিলেন। অভাগীর যখন জন্ম হয়, তখন তার মা মারা যায়।

ফলে বাবা রাগ করে মা-মরা মেয়ের নাম রাখেন অভাগী। মূলত মা মরা মেয়ে হওয়ার কারণেই তার নাম অভাগী রাখা হয়েছিল।

২। মরণকালে স্ত্রীকে পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে রসিক কেঁদে ফেলল কেন?  

উত্তর : অভাগীকে পায়ের ধুলা দিতে গিয়ে তার প্রতি নিজের অবহেলার অনুশোচনায় রসিক দুলে কেঁদে ফেলল।

রসিক দুলে অভাগীকে ফেলে আরেকটা বিয়ে করে অন্য গ্রামে চলে গিয়েছিল। কিন্তু অভাগী ছেলেকে বুকে জড়িয়ে একাই গ্রামে থেকে যায়। মৃত্যুকালে সে সেই স্বামীর পায়ের ধুলা নিতেই ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কিন্তু যে স্ত্রীকে রসিক দুলে ভাত-কাপড় দেয়নি; কখনো যার খোঁজখবর নেয়নি; তার এই পতিভক্তি রসিক দুলেকে অনুশোচনায় পোড়ায়।

এ জন্য পায়ের ধুলা দিতে গিয়ে সে গভীর কষ্টে কেঁদে ফেলে।

 

৩। দারোয়ান রসিক দুলেকে চড় মারল কেন?   

উত্তর : রসিক দুলে অনুমতি ছাড়া বেলগাছ কাটতে যাওয়ায় দারোয়ান তাকে চড় মারল।

অভাগী মৃত্যুর সময় কাঙালীর হাতের আগুন পাওয়ার অভিলাষ ব্যক্ত করে গেছে। তার সৎকারের জন্য কাঠ প্রয়োজন ছিল।

রসিক দুলে স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য বাড়ির উঠানের বেলগাছটা তাই কাটতে গিয়েছিল। কিন্তু সামন্তবাদী নিয়মে জমিদারের অনুমতি ছাড়া সে গাছ কাটতে পারবে না। এমনকি নিজ বাড়ির আঙিনায় নিজ হাতে পোঁতা হলেও নয়। এ জন্য বেলগাছটি কাটতে গেলে দারোয়ান তাকে চড় মেরে বসে।

 

৪। অভাগী একটু দূরে থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখল কেন?

উত্তর : অভাগী ছোট জাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় একটু দূরে থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখল।

অভাগী ছিল দুলে সম্প্রদায়ের নারী। তাদেরকে সমাজে ছোট জাত মনে করা হয়। সমাজের সৃষ্ট এই কুসংস্কারের কারণে ছোট জাতের লোকেরা কখনো উঁচু জাতের মানুষের কাছে আসতে সাহস করে না। গল্পের অভাগী ছিল নীচু জাতের আর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হচ্ছিল উঁচু জাতের মানুষের। তাই অভাগী একটু দূরে দাঁড়িয়ে থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখল।

 

৫। কাঙালী তার মাকে আগুন দিতে পারল না কেন?   

উত্তর : সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার নিষ্ঠুরতার কারণে কাঙালী তার মাকে আগুন দিতে পারল না।    কাঙালীর মায়ের শখ ছিল মৃত্যুর পর মুখুয্যে বাড়ির গিন্নির মতো ছেলের হাতের আগুন পাওয়ার। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ছেলে কাঙালী মায়ের সেই আশা পূরণ করতে পারে না। কাঙালীরা নীচু জাতের মানুষ হওয়ায় সামন্তবাদী সমাজে মৃতদেহ সৎকারে আগুন দেওয়ার নিয়ম নেই। তবু কাঙালী তার মৃত্যু মাকে আগুন দেওয়ার জন্য কাঠ সংগ্রহের চেষ্টা করলে সকলেই তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। জমিদারের গোমস্তা ঘুষ চায়, যা কাঙালীর সামর্থ্য নেই। অবশেষে বাধ্য হয়ে কাঙালী অভাগীকে নদীর চড়ায় পুঁতে ফেলে।

 

৬। সে যেন একটা উৎসব বাধিয়া গেল।’—লেখক এ কথা বলেছেন কেন?

উত্তর : ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর মৃত্যুতে বাড়িতে স্বজনদের উপস্থিতিতে সৃষ্ট অবস্থা বর্ণনায় লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

অভাগীর স্বর্গ গল্পে ঠাকুরদাস মুখুয্যে একজন পয়সাওয়ালা লোক। তার স্ত্রীর মৃত্যুতে বাড়িতে অনেক লোকজন উপস্থিত হয়েছে। ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতি, এলাকার মানুষ সবাই বর্ষীবয়সী গিন্নির লাশ দেখতে এসেছে। আর এত মানুষের উপস্থিতিতে বাড়ি গমগম করছিল। তাই লেখক বলেছেন, সে যেন একটা উৎসব বাধিয়া গেল।  

 

৭। দুলের মড়ার কাঠ কী হবে শুনি?’—অধর রায় এ কথা কেন বললেন? 

উত্তর : সামন্তবাদী চেতনার ধারক হওয়ায় অধর রায় প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

অভাগীর স্বর্গ গল্পে সামন্তবাদী সমাজবাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে কাঙালী মায়ের মৃতদেহ সৎকারের জন্য কাঠ পাওয়ার আশায় বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দেয়। কিন্তু সবাই তাকে নিরাশ করে। কারণ কাঙালীরা দুলে। আর দুলেরা নীচু জাত হওয়ায় সমাজপতিদের মতে তাদের মড়া পোড়ানোর প্রয়োজন নেই। এমন বর্ণবাদী চেতনা পোষণ করার কারণেই অধর রায় কাঙালীকে উদ্দেশ করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।

 

৮। বামুন ঠাকরুণের শ্মশান সৎকারের শেষটুকু দেখা অভাগীর ভাগ্যে আর ঘটল না কেন?

উত্তর : কাঙালীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসায় বামুন ঠাকরুণের শ্মশান সৎকারের শেষটুকু দেখা অভাগীর ভাগ্যে আর ঘটল না।

অভাগী ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দূর থেকে দেখছিল। সে ছোট জাতের হওয়ায় নিজেরও অমন করে স্বর্গে যাওয়ার বাসনা নিয়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখছিল। কিন্তু শেষবেলা কাঙালী এসে তাকে ডাকায় এবং ক্ষুধার কথা বলায় তাকে তখনই বাড়িতে ফিরতে হয়। তাই শ্মশান সৎকারের শেষটুকু তার আর দেখা হয় না। 

 

৯। তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’—উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’— মা গভীর ধর্মবিশ্বাস থেকে কাঙালীকে এ উক্তিটি করেছিল।

মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্য দেখে অভাগীর ভেতরে একধরনের ভাবানুভূতির সৃষ্টি হয়। মৃতের শবযাত্রার আড়ম্বরতা ও সৎকারের ব্যাপকতা দেখে অভাগী বিস্মিত হয়। সে ভাবে, তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধূলি নিয়ে মৃত্যুর পর পুত্র কাঙালী মুখাগ্নি করলে সেও স্বর্গে যাবে। তাই অভাগী তার সেই শেষ ইচ্ছার কথাই সন্তানের কাছে বলে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

    ফারজানা ইয়াসমিন, প্রভাষক, ছাগলনাইয়া মহিলা কলেজ, ছাগলনাইয়া, ফেনী
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

পরিমিতি

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। একটি ঘনকের কতটি তল?

  ক. ৪টি   খ. ২টি

  গ. ৩টি   ঘ. ৬টি

২।        সমবৃত্তভূমিক বেলনের বৃত্তাকার অংশের মোট ক্ষেত্রফল কত?

  ক. πr2      খ. 2πr2   
গ. 2πrh          ঘ. 2πr (r+h)

      ৩। সমবৃত্তভূমিক বেলনের আয়তন কত?

  ক. 2πr   খ. πr2  
গ.
πr2h   ঘ. 2πr2h

  নিচের তথ্যের আলোকে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  ABCD একটি বর্গক্ষেত্রের দুটি কর্ণ ACBD

কর্ণ দুটির ছেদবিন্দু ঙ। বর্গক্ষেত্রটির এক বাহুর দৈর্ঘ্য 4 একক।

৪।        বর্গক্ষেত্রটির কর্ণের দৈর্ঘ্য কত?

  ক. 2√2  খ. 4

  গ. 2√4          ঘ. 4√2

৫।

ΔOAB এর ক্ষেত্রফল কত 

  ক. 4 একক  খ. 6 একক

  গ. 8 একক  ঘ. 2 একক

৬।        একটি সমবাহু ত্রিভুজের কোন ৩টির পরিমাপ
ক. 900, 450, 450       L. 900, 300, 400

  গ. 600, 600, 600       N. 700, 600, 500

৭।        একটি ঘনক আকৃতির পাথরের এক বাহুর দৈর্ঘ্য

৫ সেন্টিমিটার হলে এর সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল কত হবে?

  ক. 100 বর্গ সেন্টিমিটার
খ.
150 বর্গ সেন্টিমিটার

  গ. 200 বর্গ সেন্টিমিটার

  ঘ. 250 বর্গ সেন্টিমিটার

 

    উত্তর : ১. ঘ ২. খ ৩. গ
৪. ঘ ৫. ক ৬. গ ৭. খ।

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

কবিতা

নতুন দেশ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        নতুন দেশ কবিতার উদ্দেশ্য কী?

  ক. ইচ্ছা জাগ্রত করা
খ. পাঠে মনোযোগ বাড়ানো

  গ. শিশুদের মনোবল বাড়ানো        
ঘ. সৃজনশীলতা জাগ্রত করা

২।        রবীন্দ্রনাথের শিশুতোষ গ্রন্থ কোনটি?

  ক. খাপছাড়া খ. খেলনা

  গ. মানসী             ঘ. হ-য-ব-র-ল  

৩।        বাংলা সাহিত্যের কোন শাখা রবীন্দ্রনাথের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?

  ক. কবিতা             খ. নাটক

  গ. ছোটগল্প           ঘ. উপন্যাস

৪।

       নাইতে যখন যাই, দেখি সে-এর পরের চরণ কী?

  ক. ডুবতে পারলে দেখি কে        
খ. থাকে কেমন বেশে

  গ. জলের ঢেউয়ে নাচে             
ঘ. দাঁড়িয়ে নদীর তীরে

৫।        নতুন দেশ কবিতায় যে বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে

i. প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের আকাঙ্ক্ষা

  ii. শিশুর অভিমান

  iii. অপার বিস্ময়   

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

৬।        রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী অভিধায় অভিহিত?

  ক. পল্লীকবি   খ. বিশ্বকবি

  গ. জাতীয় কবি    ঘ. বিদ্রোহী কবি  

৭।        শিশুটি প্রথম দিন কোথায় নৌকা দেখেছিল?

  ক. মাঝ নদীতে    খ. ঘাটের কাছে

  গ. খালের পাশে   ঘ. সমুদ্রে

৮।

       জলের ধারে কী দাঁড়িয়ে আছে?

  ক. শহর         খ. পাহাড়

  গ. বাঘের ছানা         ঘ. নারিকেল বন

৯।        নৌকা চলে কিসের টানে?

  ক. দাঁড়ের বলে    খ. ভাটার টানে

  গ. মাঝির শক্তিতে       ঘ. পালের টানে

১০। ভাটার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে

  i. সূর্য    ii. চন্দ্র

  iii. পৃথিবী

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগত্টাকে

১১।       উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে তোমার পঠিত কবিতা কোনটি?

  ক. সবার আমি ছাত্র  খ. কুলি-মজুর

  গ. নতুন দেশ      ঘ. আমার বাড়ি

১২।

       কবিতাংশে ফুটে উঠেছে

  i. শিশুসুলভ আচরণ

  ii. শিশুর মনের সাধ

  iii. নতুনকে জানার ইচ্ছা  

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

১৩।       সোনার তরী’—কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?

  ক. কাজী নজরুল ইসলাম      
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  গ. জসীমউদ্দীন     ঘ. মহাদেব সাহা

১৪।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

  ক. ১৯১১             খ. ১৯১২

  গ. ১৯১৩        ঘ. ১৯১৪

১৫।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

  ক. বনফুল        খ. গীতাঞ্জলি

  গ. নতুন দেশ          ঘ. খাপছাড়া

১৬।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?

  ক. ১৮৯৯        খ. ১৯২০ 

  গ. ১৯৪৩        ঘ. ১৯৪১

১৭।

       রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থ থেকে নতুন দেশ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে?

  ক. বলাকা    খ. ক্ষণিকা

  গ. সহজ পাঠ      ঘ. তৃণাঙ্কুর

১৮।       ভাটা শব্দের অর্থ কী?

  ক. জলের আগমন  
খ. ভাটার গান

  গ. বর্ধিত জল কমে যাওয়া   
ঘ. জলের পতন

১৯।       নাইতে যখন যাই, দেখি সে/জলের টেউয়ে নাচে’—এখানে কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?

  ক. চেতনা   খ. সৌন্দর্য চেতনা

  গ. দৃষ্টিভঙ্গি            ঘ. শিল্পবোধ

২০।       জলের ঢেউয়ে কী নাচে?

  ক. নৌকা    খ. মাঠ

  গ. শস্য          ঘ. মাছ

 

  উত্তর : ১. ঘ ২. ক ৩. গ ৪. গ ৫. খ
৬. খ ৭. খ ৮. ঘ ৯. খ ১০. ঘ ১১. গ
১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ঘ
১৭. গ ১৮. গ ১৯. খ  ২০. ক।

 

 

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

    বিশ্বজিৎ দাস, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ

  তোমাদের অনেকের কাছে পদার্থবিজ্ঞান অনেক কঠিন লাগে। ভয়ের কিছুই নেই। এ বিষয়ে রয়েছে দুটি অংশ। ২৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের সিকিউ।

এমসিকিউ ২৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ভুল হলে কোনো নম্বর কাটা যাবে না। উত্তর দিতে হবে ২৫ মিনিটে। সময় নির্দিষ্ট, তাই অপেক্ষাকৃত সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে দেওয়া ভালো।
অনেক সময় জটিল অঙ্কের এমসিকিউ দেওয়া থাকে। শর্টকাট পদ্ধতি জানা না থাকলে সেই সব অঙ্কের সমাধান দ্রুত বের করা কঠিন। তাই সহজ ও জানা উত্তরগুলো আগে দেওয়া জরুরি।
এমসিকিউ অংশে সাধারণত বিভিন্ন রাশির মান, একক ও মাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে।
গ্রাফ সম্পর্কিত একটি বা দুটি এমসিকিউ থাকে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সাধারণত সংজ্ঞা থেকে কুইজ টাইপ প্রশ্ন করা হয়। এসব তথ্য পদার্থবিজ্ঞানের মূল বইগুলোতেই পাবে। বিভিন্ন বোর্ডে আসা বিগত পাঁচ বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে এমসিকিউ অংশে ভালো করতে পারবে।

  পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রে ভৌত জগত ও পরিমাপ, ভেক্টর, নিউটনিয়ান বলবিদ্যা, মহাকর্ষ, কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, পদার্থের গাঠনিক ধর্ম (আংশিক), পর্যায়বৃত্ত গতি এবং আদর্শ গ্যাস ও গ্যাসের গতিতত্ত্বএই আটটি অধ্যায় রয়েছে।

প্রথম পত্রের সিকিউ অংশে আটটি করে প্রশ্ন থাকবে। পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি সিকিউতে চারটি অংশ থাকবে। জ্ঞানমূলক-১, অনুধাবনমূলক-২, প্রয়োগমূলক-৩ এবং উচ্চতর দক্ষতামূলক-৪, মোট ১০ নম্বর। একই প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকভাবে লেখা ভালো। 

  পদার্থবিজ্ঞানের একটা সুবিধা হলোপ্রতিটি অধ্যায় থেকে সাধারণত একটি করে সিকিউয়ের উত্তর দিতে হয়। যেহেতু তোমাকে আটটি মধ্যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু তুমি অল্প কয়েকটি অধ্যায় ভালোমতো পড়লেই সিকিউয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারবে। 

  স্পষ্টভাবে উত্তর লিখবে। কাটাকাটি এড়িয়ে চলবে। গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে একক লিখবে। উচ্চতর দক্ষতাভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে সাধারণত তোমার কাছে একটি সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সেটি লিখতে ভুলবে না। খাতা জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই রিভিশন দেবে।

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ। ছবি : সংগৃহীত

এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমপিএ)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোক প্রশাসন বিভাগে সামার-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারীদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ বৃত্তি ও সেমিস্টারসেরাদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।

 

কোর্স

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেশন অ্যান্ড চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক পলিসি অ্যানালিসিস।

 

যোগ্যতা

আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হতে হবে।

ব্যাচেলর পরীক্ষায় সর্বনিম্ন সিজিপিএ ২.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) এবং এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ (৫.০০ এর মধ্যে) থাকতে হবে।

 

আবেদন

এরই মধ্যে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ১১ তলার লোক প্রশাসন বিভাগের কার্যালয় থেকে আবেদন ফরম উত্তোলন করা যাবে। আবেদনের শেষ সময় ১৭ জুলাই।

ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জুলাই।

 

যোগাযোগ

সামাজিক বিজ্ঞান ভবন (১১ তলা)

লোক প্রশাসন বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মোবাইল : ০১৭১১৯৮৫১৮৬, ০১৪০০৯৮৫১৮৬

 

ওয়েবসাইট
www.dupublicad.com

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ