<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামুদ্রিক শৈবাল</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথম অধ্যায়</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জীববৈচিত্র্য</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জীববৈচিত্র্য কী  এবং এর উদ্ভব</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানুষসহ এই পৃথিবীতে নানা বৈশিষ্ট্যের কোটি কোটি জীব আছে। সেগুলোর আকার, আকৃতি, রং, বাসস্থান, খাদ্য সব কিছুতেই রয়েছে জীববৈচিত্র্য। বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাক্ষেত্র হচ্ছে জীবের এই বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জীববৈচিত্র্য বা বায়োডাইভারসিটি বলতে উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীবসহ সব জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে বোঝায়। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে ৮০ থেকে ১৪০ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১২ লাখ প্রজাতি শনাক্ত এবং বর্ণনা করা হয়েছে, যার অধিকাংশই পোকামাকড়। কোটি কোটি অন্যান্য জীব এখনো আমাদের কাছে রহস্যময়, অজানা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি জীব তার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যেসব কৌশল ও পদ্ধতি অনুসরণ করে, তাকে বলা হয় অভিযোজন বা অ্যাডাপটেশন। অপরদিকে নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই জীবের এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে যাওয়ার সময় কিছু পরিবর্তন ঘটে। যে কারণে আমরা দেখতে হুবহু আমাদের মা-বাবার মতো না হয়ে একটু হলেও আলাদা হই! লাখ লাখ বছর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো ঘটতে ঘটতে এক পর্যায়ে এমন বৈশিষ্ট্যের নতুন জীব দেখা দেয়, যা সেগুলোর আদি পূর্বপুরুষ থেকে অনেক আলাদা। এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে জীবের মধ্যে পরিবর্তন ঘটার যে প্রক্রিয়া, তাকে বলা হয় বিবর্তন। বিবর্তন এবং অভিযোজন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যই জীবজগতের সদস্যদের একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা করে তুলেছে। যেকোনো প্রাণী তার জীবদ্দশায় নিজের প্রতিরূপ সৃষ্টির মাধ্যমে তার প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখে। যা আমরা প্রজনন হিসেবে জানি। যে জীবগুলো সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত ও অভিযোজিত হয়ে হয়ে একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা হয়ে গেছে যে সেগুলো আর একে অপরের সঙ্গে প্রজননে অংশ নিতে পারে না, সেগুলোকে আলাদা প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেসব জীব একে অপরের সাথে প্রজনন করতে পারে, সেগুলোকে সাধারণত একই প্রজাতির ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।</span></span></span></span></p>