ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭
বাংলা দ্বিতীয় পত্র

নবম ও দশম শ্রেণি : রচনা

  • আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : রচনা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ভূমিকা : ‘চেতনার পথে দ্বিধাহীন অভিযাত্রী

 নানামুখী হাজার লোকের একত্র অস্তিত্ব একুশে ফেব্রুয়ারি।’

—কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ

একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে স্বাধীনতার দাবিদার, বাঙালির চাওয়া বাংলা ভাষার অধিকার। তাই বাংলা ভাষার ইতিহাসে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতিসত্তা ও জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম মাইলফলক। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি যুগপত্ভাবে বেদনার অশ্রু আর প্রেরণার আনন্দে ভাস্বর।

একুশ আমাদের জাতীয় অহংকার। এই দিবসটি এখন শুধু আমাদের ভাষাশহীদ দিবসই নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও বটে। নিজের মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পৃথিবীতে কোনো দেশের মানুষকে বাঙালির মতো বুকের রক্ত দিতে হয়নি। তাইতো বাঙালির শোকের, ব্যথার এই একুশে ফেব্রুয়ারিকে সম্মানের সঙ্গে ইউনেসকো স্বীকৃতি দিয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে।
ফলে এ দিবসের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে।

 

মাতৃভাষার গুরুত্ব : আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে এ ভাষার ব্যবহার চলে আসছে। এ ভাষায় আমরা সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করি।

কবি নিধিগুপ্তের ভাষায়—

‘নানান দেশের নানান ভাষা

বিনে স্বদেশী ভাষা

মিটে কি আশা?’

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এ ব্যাপারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ভাষায় কাব্যসাহিত্য রচনা করে ১৯১৩ সালে পেয়েছেন সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ। কাজেই বাংলা আমাদের গর্বের ভাষা।

 

ভাষা আন্দোলনের মূল ঘটনা/পটভূমি : পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকালে পূর্ববঙ্গের জনসংখ্যা ছিল গোটা দেশের জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ। স্বাভাবিক কারণে বাঙালিরা আশা করেছিল, পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা।

বাংলা ও উর্দু এই দুই ভাষায়ই কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম চলবে, শিক্ষার মাধ্যম হবে পূর্ববঙ্গে বাংলা এবং পশ্চিম পাকিস্তানে উর্দু অথবা ওই অঞ্চলের প্রাদেশিক ভাষা। কিন্তু পূর্ব বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ হয়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কতিপয় সিদ্ধান্তে। পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহও প্রধানমন্ত্রী নাজিমুদ্দীনের মতো একই ঘোষণা দিয়েছিলেন—‘Urdu and only urdu, shall be the state language of Pakistan.’ অর্থাৎ ‘উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে দামাল ছেলেরা তা মেনে নেয়নি। কারণ তাদের চেতনা কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘মাগো ওরা বলে’ কবিতার খোকার মতো ছিল—

‘মাগো ওরা বলে,

সবার কথা কেড়ে নেবে

তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না।

বলো মা, তাই কি হয়?’

আর তাইতো তাদের বিরুদ্ধে বাঙালিরা প্রতিবাদ করেছে, মিছিল করেছে, সভা-সমাবেশ করেছে। আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে ১৯৫২ সালে গঠন করেছে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’। পাকিস্তানিরা ভয় পেয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে জারি করেছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমেছে। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করেছে। তারপর গুলি চালাতে শুরু করেছে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকে। আহত হয়েছেন অনেকে। সারা দেশের মানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে বাধ্য হয়েছে।

 

শহীদ মিনার : ছাত্ররা বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। তাঁরা আবাসিক হলের গেট দিয়ে প্রাদেশিক পরিষদ ভবনের দিকে অগ্রসর হলে আকস্মিকভাবে তাঁদের ওপর অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। এতে বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেক ছাত্র-যুবক মর্মন্তুদভাবে শহীদ হন। শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতারাতি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে অনানুষ্ঠানিকভাবে শহীদ শফিউর রহমানের বাবা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। ২৬ তারিখ বিকেলে পুলিশ শহীদ মিনারটি ধ্বংস করে দেয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও রাতে আবার শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।

 

একুশের আন্তর্জাতিক মর্যাদার প্রথম দাবি : একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণ করা বাঙালির কাছে যেন খুব পরিচিত কোনো এক উৎসব। একুশ তাই এ দেশের মানুষের চেতনার গভীরে গ্রোথিত। তবে আত্মগত অনুভবে নিজ ভূখণ্ডের সীমাকে ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও এর মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে চিন্তা-ভাবনা করেছেন। একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানায় প্রথম ‘গফরগাঁও থিয়েটার’ নামের এক সংগঠন। তারা ১৯৯৯ সালে ‘অর্ঘ্য’ নামের সংকলনের প্রচ্ছদে লেখে—

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস চাই

২১শের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই।’

একই বছরে গফরগাঁওয়ের নাট্যকর্মীরা একুশের বিশ্ব মর্যাদা দাবি করে শোভাযাত্রা করে। শহরের দেয়ালে পোস্টার লাগায় এবং বাসে ও ট্রেনে স্টিকার লাগায়। ৩০ নভেম্বর ১৯৯৯ তারিখে ‘The Daily Bangladesh Observer’ পত্রিকা চুয়াডাঙ্গা থেকে ইনামুল হকের একটি চিঠি প্রকাশ করে। চিঠিতে ইনামুল হক দাবি করেন—১৯৯৮ সালের ২৫ মার্চ তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দানের আহ্বান জানিয়ে প্রথমে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রধানভাবে ফল বয়ে এনেছিল কানাডার বহুভাষিক ও বহুজাতিক মাতৃভাষা প্রেমিক গ্রুপের উদ্যোগেই। তাই পাক্ষিক সাহিত্য পত্রিকা ‘শৈলী’ ১৯৯৯ সালে পঞ্চম বর্ষ ১৯ সংখ্যায় (১৬-২৯ ফেব্রুয়ারি) সম্পাদকীয়তে লিখেছে—‘১৯৫২ সালের সংগ্রাম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই সংগ্রামে জয়ী হয়ে বাঙালি পৃথিবীর সকল জাতির সেরা জাতি হিসেবে মর্যাদাবান হয়েছে।’

 

[বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়]

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৩০।        আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ

  ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার     খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

  গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা

  উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

৩১।        বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?

  ক. ১৮৫৭    খ. ১৯০৮

  গ. ১৯৭৭     ঘ. ১৯৩৭

  উত্তর : গ. ১৯৭৭

৩২।        নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?

  ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক

  গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম

  উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান
সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। অঙ্কন : প্রসূন হালদার

চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। শ্বসনিক বস্তু কী?

  উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমনশর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।

২।

অবাত শ্বসন কী?

  উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।

৩। ফার্মেন্টেশন কী?

  উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।

৪।

ফটোলাইসিস কী?

  উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।

৫।        C3 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।

এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে  C3 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C3 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলে।

৬। জীবনীশক্তি কী?

  উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।

৭।

ফটোফসফোরাইলেশন কী?

  উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP  ও অজৈব ফসফেট (Pi)  এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP  তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।

৮। NADPH  শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।

  উত্তর :  NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।

৯।        সালোক সংশ্লেষণ কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।

১০।  ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?

  উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP  তৈরি হয়। ATP

শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।

১১।       C4 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।

১২।       শ্বসন কী?

  উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।

 

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলোএলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।

 

যোগ্যতা

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।

বিজ্ঞান শাখায় উক্ত পরীক্ষাগুলোর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থীরাও উপরের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন গেটওয়ে অথবা পে-স্লিপ ডাউনলোড করে এই ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে ৩১ জুলাই রাত ১২টার মধ্যে। অনলাইন থেকে আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি ৭ আগস্টের মধ্যে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকবে।


ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।

সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।


ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।

 

ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions

 

 

মন্তব্য

মজার গণিত

শেয়ার
মজার গণিত

  ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯

  গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক

 

৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।

  উদাহরণ

  ৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯

  ৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯

  ৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯

  ৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯

 

যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।

  উদাহরণ

  ৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪

  মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,

  ৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩

  বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,

  ৫ + ১ + ৩ = ৯

 

৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে। 

  যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।

৩ দশকের ঘরে বসাও। এর পর ভাঁজ করা আঙুলের পরে গুনে দেখো কয়টি আঙুল আছে? অবশ্যই ছয়টি আঙুল। ৬ এককের ঘরে বসাও। তাহলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৩৬।

  এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।

সৈয়দা জুয়েলী আকতার

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ