ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭
বাংলা দ্বিতীয় পত্র

নবম ও দশম শ্রেণি : সারমর্ম

  • আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : সারমর্ম

[পূর্ব প্রকাশের পর]

৭।         দৈন্য যদি আসে, আসুক, লজ্জা কিবা তাহে,

            মাথা উঁচু রাখিস।

            সুখের সাথী মুখের পানে যদি নাহি চাহে,

            ধৈর্য ধরে থাকিস।

            রুদ্র রূপে তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে

            বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস,

            আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় পড়ে ভেঙে

            ঊর্ধ্বে দু’হাত বাড়াস।

            সারমর্ম : জীবনের দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্যে কোনো লজ্জা নেই, বরং কারো মুখাপেক্ষী হওয়ার মধ্যেই লজ্জা। বিপদে ধৈর্য ধারণ করে দুঃখ-দারিদ্র্যকে সাহস ও মনোবল দিয়ে প্রতিহত করতে পারলে জীবনে সফল হওয়া যায়।

৮।         পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি

            এ জীবন মন সকলি দাও;

            তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?

            আপনার কথা ভুলিয়া যাও,

            পরের কারণে মরণেও সুখ

            সুখ সুখ করি কেঁদো না আর,

            যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,

            ততই বাড়িবে হৃদয়ভার।

            আপনার লয়ে বিব্রত রহিতে

            আসে নাই কেহ অবনী পরে,

            সকলের তরে সকলে আমরা

            প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।

            সারমর্ম : আপন ভোগ-বিলাসে মগ্ন থাকার জন্যই মানুষের জন্ম হয়নি। পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মধ্যেই মানবজীবনের প্রকৃত সুখ নিহিত। অতএব, প্রকৃত সুখ পেতে হলে নিজেকে পরের কল্যাণে বিলিয়ে দিতে হবে।

৯।         বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে

            বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে

            দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,

            দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।

            দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,

            ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

            একটি ধানের শীষের উপরে

            একটি শিশির বিন্দু।

            সারমর্ম : মানুষ বহু অর্থ ও সময় ব্যয় করে দূর-দূরান্তে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য যায়। কিন্তু ঘরের কাছের অনির্বচনীয় সৌন্দর্যটুকু দেখা হয় না বলে সে দেখা পূর্ণতা পায় না।

১০। বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা—

            বিপদে আমি না যেন করি ভয়।

            দুঃখতাপে ব্যথিত চিত্তে নাই বা দিলে সান্ত্বনা

            দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।

            সহায় মোর না যদি জুটে,

            নিজের বল না যেন টুটে।

            সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা,

            নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।

            আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা        

            তরিতে পারি শকতি যেন রয়।

            আমার ভার লাঘব করি নাইবা দিলে সান্ত্বনা

            বহিতে পারি এমনি যেন হয়।

            সারমর্ম : সুদৃঢ় মনোবল ও আত্মশক্তি বলিষ্ঠ প্রয়োগের মাধ্যমেই জাগতিক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করে সাফল্য ছিনিয়ে আনা সম্ভব। নিজের ভার অপরের লাঘব করলে নিজের কোনো কৃতিত্ব থাকে না। বিধাতার কাছে তাই আত্মশক্তিই আমাদের প্রার্থনা।

১১।       বৈরাগ্যসাধনে মুক্তি, সে আমার নয়—

            অসংখ্য বন্ধন-মাঝে মহানন্দময়

            লভিব মুক্তির স্বাদ। এই বসুধার

            মৃত্তিকার পাত্রখানি ভরি বারংবার

            তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত

            নানা বর্ণগন্ধময়। প্রদীপের মতো

            সমস্ত সংসার মোরে লক্ষ বর্তিকায়

            জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়

            তোমারি মন্দির মাঝে।

            সারমর্ম : সংসারের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে আত্মার মুক্তি অর্জন করা সম্ভব নয়। মানুষকে পবিত্র আনন্দে বেঁধে রাখার জন্যই বিধাতা এই জগৎ সৃষ্টি করেছেন। এই জগেক ভালোবাসলেই তাঁকে ভালোবাসা হয়; তাতেই মুক্তি।

১২।       শৈশবে সদুপদেশ যাহার না রোচে, জীবনে তাহার কভু মূর্খতা না ঘোচে।

            চৈত্র মাসে চাষ দিয়া না বোনে বৈশাখে,

            কবে সেই হৈমন্তিক ধান্য পেয়ে থাকে?

            সময় ছাড়িয়া দিয়া করে পণ্ডশ্রম,

            ফল কহে সেও অতি নির্বোধ অধম।

            খেয়াতরী চলে গেলে বসে থাকে তীরে,

            কিসে পার হবে তারা না আসিলে ফিরে।

            সারমর্ম : শৈশবে সৎকাজ করতে না শিখলে পরে আর সে অভ্যাস গড়ে ওঠে না। তাই জীবনে সার্থকতা অর্জনের জন্য শৈশব থেকেই নৈতিক সততার শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। ক্ষণস্থায়ী জীবনে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করলে পরবর্তী সময়ে সে কাজ করার সুযোগ আর না-ও আসতে পারে।

১৩।       সন্ধ্যা যদি নামে পথে, চন্দ্র যদি পূর্বাচল কোণে

            নাই হয় উদয়,

            তারকারপুঞ্জ যদি নিভে যায় প্রলয় জলদে,

            না করিব ভয়।

            হিংস্র ঊর্মি ফণা তুলি, বিভীষিকা মূর্তি ধরি যদি

            গ্রাসিবারে আসে,

            সে মৃত্যু লঙ্ঘিয়া যাব সিন্ধু পারে নবজীবনের

            নবীন আশ্বাসে।

            সারমর্ম : জীবনে যদি শত আঘাত, বাধা-বিপত্তি, ভয় এবং দুঃখের অমানিশাও ঘনিয়ে আসে তাতে ভেঙে পড়লে চলবে না। নতুন জীবনের ডাকে সাড়া দিয়ে সেসব উপেক্ষা করে প্রগতির দিকে ধাবিত হতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৩০।        আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ

  ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার     খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

  গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা

  উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

৩১।        বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?

  ক. ১৮৫৭    খ. ১৯০৮

  গ. ১৯৭৭     ঘ. ১৯৩৭

  উত্তর : গ. ১৯৭৭

৩২।        নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?

  ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক

  গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম

  উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান
সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। অঙ্কন : প্রসূন হালদার

চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। শ্বসনিক বস্তু কী?

  উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমনশর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।

২।

অবাত শ্বসন কী?

  উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।

৩। ফার্মেন্টেশন কী?

  উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।

৪।

ফটোলাইসিস কী?

  উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।

৫।        C3 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।

এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে  C3 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C3 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলে।

৬। জীবনীশক্তি কী?

  উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।

৭।

ফটোফসফোরাইলেশন কী?

  উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP  ও অজৈব ফসফেট (Pi)  এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP  তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।

৮। NADPH  শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।

  উত্তর :  NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।

৯।        সালোক সংশ্লেষণ কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।

১০।  ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?

  উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP  তৈরি হয়। ATP

শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।

১১।       C4 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।

১২।       শ্বসন কী?

  উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।

 

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলোএলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।

 

যোগ্যতা

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।

বিজ্ঞান শাখায় উক্ত পরীক্ষাগুলোর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থীরাও উপরের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন গেটওয়ে অথবা পে-স্লিপ ডাউনলোড করে এই ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে ৩১ জুলাই রাত ১২টার মধ্যে। অনলাইন থেকে আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি ৭ আগস্টের মধ্যে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকবে।


ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।

সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।


ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।

 

ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions

 

 

মন্তব্য

মজার গণিত

শেয়ার
মজার গণিত

  ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯

  গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক

 

৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।

  উদাহরণ

  ৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯

  ৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯

  ৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯

  ৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯

 

যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।

  উদাহরণ

  ৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪

  মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,

  ৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩

  বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,

  ৫ + ১ + ৩ = ৯

 

৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে। 

  যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।

৩ দশকের ঘরে বসাও। এর পর ভাঁজ করা আঙুলের পরে গুনে দেখো কয়টি আঙুল আছে? অবশ্যই ছয়টি আঙুল। ৬ এককের ঘরে বসাও। তাহলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৩৬।

  এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।

সৈয়দা জুয়েলী আকতার

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ