<p>একাদশ অধ্যায়</p> <p>আবহাওয়া ও জলবায়ু</p> <p>সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন</p> <p>১।         আবহাওয়া কী?</p> <p>            উত্তর : আবহাওয়া হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা।</p> <p>২।         জলবায়ু কী?</p> <p>            উত্তর : জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের (৩০-৪০) আবহাওয়ার গড় অবস্থা।</p> <p>৩।         বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী বর্ষা কখন শুরু ও শেষ হয়?</p> <p>            উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী বর্ষা শুরু হয় জুনের মাঝামাঝি (আষাঢ়ের শুরু) এবং শেষ হয় আগস্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) মাসে।</p> <p>৪।         বায়ুচাপ কী?</p> <p>            উত্তর : বায়ু তার ওজনের কারণে ভূপৃষ্ঠের ওপর যে চাপ প্রয়োগ করে তাই বায়ুচাপ।</p> <p>৫।         বায়ু কিভাবে প্রবাহিত হয়?</p> <p>            উত্তর : বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।</p> <p>৬।         কখন স্থলভাগ জলভাগ থেকে উষ্ণ থাকে?</p> <p>            উত্তর : দিনে স্থলভাগ জলভাগ থেকে উষ্ণ থাকে।</p> <p>৭।         কিভাবে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়?</p> <p>            উত্তর : দিনে স্থলভাগ জলভাগ থেকে উষ্ণ থাকে। উষ্ণ স্থলভাগ তার ওপরে থাকা বাতাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। বায়ু উষ্ণ হলে তা হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায়। ফলে ওই স্থান ফাঁকা হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়।</p> <p>৮।         বাংলাদেশে বর্ষাকালে ও শীতকালে কেমন বায়ু প্রবাহিত হয়?</p> <p>            উত্তর : বাংলাদেশে বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।</p> <p> </p> <p>৯।         বাংলাদেশের স্থলভাগ কখন বঙ্গোপসাগরের চেয়ে উষ্ণ থাকে?</p> <p>            উত্তর : বর্ষাকালে অর্থাৎ জুন থেকে আগস্ট মাসে বাংলাদেশের স্থলভাগ বঙ্গোপসাগরের চেয়ে উষ্ণ থাকে।</p> <p>১০। বাংলাদেশের স্থলভাগ কখন বঙ্গোপসাগরের চেয়ে শীতল থাকে?</p> <p>            উত্তর : শীতকালে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের স্থলভাগ বঙ্গোপসাগরের চেয়ে শীতল থাকে।</p> <p>১১। বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ কিভাবে সৃষ্টি হয়?</p> <p>            উত্তর : স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার বিপরীত অবস্থাই বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ সৃষ্টি করে।</p> <p>১২। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলো লেখো।</p> <p>            উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলো হলো—তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টিপাত, বায়ুচাপ ইত্যাদি।</p> <p>১৩।       আর্দ্রতা কী?</p> <p>            উত্তর : আর্দ্রতা হলো বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ।</p> <p>১৪। কোন সময় বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে?</p> <p>            উত্তর : বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে।</p> <p>১৫। কোন সময় বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু উত্তর দিক থেকে শুষ্ক শীতল বাতাস বয়ে আনে?</p> <p>            উত্তর : শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু উত্তর দিক থেকে শুষ্ক শীতল বাতাস বয়ে আনে।</p> <p>১৬।       তাপদাহ কী?</p> <p>            উত্তর : অতি গরম আবহাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী অবস্থাই হলো তাপদাহ।</p> <p>১৭। তাপদাহের দুটি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে লেখো।</p> <p>            উত্তর : তাপদাহের দুটি ক্ষতিকর দিক হলো—</p> <p>            ক) তাপদাহের ফলে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।</p> <p>            খ) তাপদাহের কারণে কখনো কখনো মানুষসহ হাজার হাজার জীবের মৃত্যু হয়।</p> <p>১৮। শৈত্যপ্রবাহ কী?</p> <p>            উত্তর : উত্তরের শুষ্ক ও শীতল বায়ু আমাদের দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহের ফলে শীতকালে তাপমাত্রা কখনো কখনো অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। এ অবস্থাই হলো শৈত্যপ্রবাহ।</p> <p>১৯।       বর্ষাকালে অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের কত অংশ পানিতে তলিয়ে যায়?</p> <p>            উত্তর : বর্ষাকালে অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের এক-পঞ্চমাংশ পানিতে তলিয়ে যায়।</p> <p>২০। বাংলাদেশে অতিরিক্ত খরার কারণ কী?</p> <p>            উত্তর : অস্বাভাবিক কম বৃষ্টিপাত ও উচ্চ তাপমাত্রাই হলো বাংলাদেশে খরার অন্যতম প্রধান কারণ।</p> <p>২১। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে খরার প্রবণতা বেশি?</p> <p>            উত্তর : বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে খরার প্রবণতা বেশি।</p>