<p>শর্ট মেসেজ সার্ভিসকে (Short Message Service) সংক্ষেপে এসএমএস (SMS) বলা হয়। বাংলায় একে খুদে বার্তা সেবা বলে। সাধারণত ১৬০ অক্ষরের (letters, numbers or symbols in the Latin alphabet) মধ্যে থাকা একটি টেক্স মেসেজকে SMS বলে গণ্য করা হয়। এটি তথ্য আদান-প্রদানের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। সব মোবাইল ফোন কম্পানি ও বেসরকারি ল্যান্ডফোন কম্পানি এসএমএসের সুবিধা দিয়ে থাকে। কি-প্যাডের মাধ্যমে শব্দ বা বাক্য লিখে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে  বিশ্বব্যাপী বার্তা পাঠানো যায়। এর মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রাপকের কাছে সহজেই বার্তা পাঠানো সম্ভব।</p> <p>মোবাইল এসএমএসের জনক হচ্ছেন ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তি জগতের অন্যতম ধারক ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামক বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সালে ম্যাক্কোনেন ও তাঁর দুজন সহকর্মী একটি টেলিকমিউনিকেশন কনফারেন্সে প্রথম এসএমএসের ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং সে সময় এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা করেন।</p> <p>আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ইডিএন নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইটি সংস্থা ‘সেমা গ্রুপ’-এর একজন তরুণ আইটি কর্মী নেইল পাপওয়ার্থ বিশ্বের প্রথম এসএমএস পাঠান বন্ধু রিচার্ড জারভিসের মোবাইল ফোনে। তবে এই মেসেজ পাঠানোর জন্য কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি নেইল। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর কম্পিউটার থেকে তিনি মোবাইলে বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠান। ভোডাফোন মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নেইলের মেসেজটি পৌঁছে যায় তাঁর বন্ধুর কাছে।</p> <p>এসএমএসে লেখা ছিল ‘মেরি ক্রিসমাস’ অর্থাৎ শুভ বড়দিন। </p> <p>পরবর্তী সময়ে ম্যাক্কোনেনের সাবেক কর্মস্থল নকিয়ার মাধ্যমে এ সার্ভিস জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৯৪ সালে নকিয়া তাদের ‘২০১০’ মডেলের মোবাইল বাজারে ছাড়লে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এসএমএস সার্ভিস। কারণ সেই ফোনে এসএমএস সার্ভিসটি অনেক সহজভাবে সংযোজন করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে এসএমএস সার্ভিস নিয়ে কাজে বিশেষ অবদানের জন্য কম্পিউটিং অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ক্যাটাগরিতে ‘ইকোনমিস্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন ম্যাটি ম্যাক্কোনেন।</p>