<p>বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে কোনো কিছু খুঁজে পেতে হলে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো সার্চ ইঞ্জিন। প্রয়োজনীয় তথ্যকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মনিটর বা মোবাইল স্ক্রিনে হাজির করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের কোনো কিছু জানার থাকলে আমরা সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সহজেই উত্তর পেয়ে যাই।</p> <p>বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগলকে বেছে নিই। কারণ এটি সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন।</p> <p>সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি সফটওয়্যার  প্রগ্রাম, যা তথ্য জমা করে এবং প্রয়োজনের সময় সেটা প্রদান করে। এটিকে আমরা মাকড়সার সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যা পুরো নেট দুনিয়ায় জালের মতো ছড়িয়ে থাকে নিজের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য।</p> <p>আমরা যখন ইন্টারনেটে কোনো তথ্য সার্চ করি তখন সার্চ ইঞ্জিন নিজের কাছে জমিয়ে রাখা কোটি কোটি ওয়েব পেজ থেকে বাছাই করে আপনার তথ্যটি খুঁজে  দেয়। যেমন—কেউ যদি সার্চ ইঞ্জিনে বাংলায় (ইউনিকোডে) ‘বাংলাদেশ’ কিংবা ইংরেজিতে Bangladesh লিখে সার্চ দেয়, তাহলে বাংলাদেশ-সংশ্লিষ্ট অসংখ্য তথ্য মুহূর্তেই চলে আসবে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের টাস্কবারের সার্চ টুলে কোনো কিছু লিখে সার্চ দিয়ে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে থাকা তথ্যের পাশাপাশি ইন্টারনেটেও তথ্য খোঁজা যায়।</p> <p>১৯৪৫ সালে ‘দি আটলান্টিক মান্থলি’ ম্যাগাজিনে হাইপার টেক্সট ও মেমোরি নিয়ে লেখা Vannevar Bush-এর ‘অ্যাজ উই মে থিংক’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পরই সার্চ ইঞ্জিনের ধারণাটি প্রথম মাথায় আসে অনেকের।</p> <p>Vannevar Bush-এর ধারণাটিকে কাজে লাগিয়ে হিউলেট প্যাকার্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১৯৮৬ সালে প্রথম সার্চ ইঞ্জিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হলেও সেটি পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।</p> <p>১৯৯০ সালে প্রথম কার্যকর সার্চ ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন Gerard Salton নামের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক। তাঁকেই সার্চ ইঞ্জিনের জনক বলা হয়। তবে সার্চ ইঞ্জিন আবিষ্কারের পূর্ণাঙ্গ সুফল তিনি দেখে যেতে পারেননি। কারণ আবিষ্কার চার বছর পর ১৯৯৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।</p> <p>বর্তমানে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন তালিকার শীর্ষে আছে গুগল, বিং, ইয়াহু, আস্ক, বাইদু, এওএল প্রভৃতি। এ ছাড়া আমাদের দেশে প্রচলিত নিজস্ব তিনটি সার্চ ইঞ্জিন হলো পিপীলিকা, চরকি ও খুঁজুন.কম।</p> <p><strong>ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</strong></p>