<p style="text-align: center;"><strong>জ্ঞানমূলক প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>পঞ্চম অধ্যায়</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>সমন্বয় ও নিঃসরণ</strong></p> <p>১। হরমোন কী?</p> <p>    উত্তর : যে রাসায়নিক বস্তুটি কোষে উৎপন্ন হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে তাকে হরমোন বলে।</p> <p>২। ফাইটোহরমোন কী?</p> <p>    উত্তর : উদ্ভিদদেহে উৎপন্ন যেসব জৈব রাসায়নিক পদার্থ অতি অল্প ঘনত্বে বিদ্যমান থেকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাদের ফাইটোহরমোন বলে।</p> <p>৩। ইথিলিন কী?</p> <p>    উত্তর : এটি একটি গ্যাসীয় হরমোন। এটি ফল পাকাতে সাহায্য করে। এর প্রভাবে চারাগাছে বিকৃত বৃদ্ধি লক্ষ করা যায়</p> <p>৪। বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন কোনগুলো?</p> <p>    উত্তর : অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন ইত্যাদি।</p> <p>৫। অক্সিন কী?</p> <p>    উত্তর : অক্সিন হচ্ছে একটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন। এর প্রয়োগে শাখা কলমে মূল গজায়, ফলের অকালে ঝরে পড়া রোধ করে।</p> <p>৬।  মূত্রের উপাদান কী?</p> <p>    উত্তর : ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ইউরোক্রোম রঞ্জক পদার্থ ও পানি।</p> <p>৭। অ্যাবসিসিক এসিড কী?</p> <p>    উত্তর : অ্যাবসিসিক এসিড উদ্ভিদের এক প্রকার বৃদ্ধি রোধক রাসায়নিক পদার্থ।</p> <p>৮। কোন কোন হরমোন বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে?</p> <p>    উত্তর : অ্যাবসাইটিক এসিড ও ইথিলিন হরমোন বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে।</p> <p>৯। ফ্লোরিজেন কী?</p> <p>    উত্তর : ফ্লোরিজেন এক ধরনের হরমোন, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। এ হরমোন পত্রে উৎপন্ন হয় এবং তা পত্রমূলে স্থানান্তরিত হয়ে পত্রমুকুলকে পুষ্পমুকুলে পরিণত করে।</p> <p>১০।     মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কেন?</p> <p>    উত্তর : উন্নত মস্তিষ্কের কারণে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।</p> <p>১১।     নিউরন কী?</p> <p>    উত্তর : দেহের গঠন ও কার্যকরী এককের নাম নিউরন।</p> <p>১২। নিউরন কয়টি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত?</p> <p>    উত্তর : নিউরন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা : কোষদেহ ও প্রলম্বিত অংশ।</p> <p>১৩। প্রলম্বিত অংশ কী?</p> <p>    উত্তর : নিউরনের কোষদেহ থেকে উৎপন্ন শাখা-প্রশাখাকে প্রলম্বিত অংশ বলে।</p> <p>১৪। মানবদেহে অ্যামাইনো এসিড কিসে পরিণত হয়?</p> <p>    উত্তর : মানবদেহে যকৃত কর্তৃক অ্যামাইনো ভেঙে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড ও অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয়।</p> <p>১৫। মূত্র কী?</p> <p>    উত্তর : নেফ্রনের রেনাল টিউবুলের বিভিন্ন অংশ পুনঃশোষণের পর সামান্য হলুদ রঙের, বিশেষ ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত, সামান্য অম্লধর্মী পানিসহ যে প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ মূত্রনালি পথে দেহমুক্ত হয়, তাকে মূত্র বলে।</p> <p>১৬। মূত্রপথ কী?</p> <p>    উত্তর : মলদ্বারের মতো মূত্রথলির দ্বারে যে সংকোচন ও প্রসারণ পেশি থাকে তাকে মূত্রপথ বলে।</p> <p>১৭। মেনিনজেস কী?</p> <p>    উত্তর : মস্তিষ্কের আবরণ সৃষ্টিকারী পর্দাকে মেনিনজেস বলে।</p> <p>১৮। পনস কী?</p> <p>    উত্তর : লঘু মস্তিষ্কের সামনে ও নিচে অবস্থিত বিশেষ যোজককে পনস বলে।</p> <p>১৯। মেরুরজ্জু কী?</p> <p>    উত্তর : মেরুদণ্ডের মধ্যে যে শ্বেত পদার্থের ভেতর দিয়ে আজ্ঞাবাহী ও অনুভূতিবাহী স্নায়ুতন্ত্র যাতায়াত করে তাকে মেরুরজ্জু বলে।</p> <p>২০।     প্রতিবর্ত ক্রিয়া কী?</p> <p>    উত্তর : তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের তড়িৎ ক্রিয়ার নাম প্রতিবর্ত ক্রিয়া।</p> <p>২১।     স্নায়ু তাড়না কী?</p> <p>    উত্তর : স্নায়ুর ভেতর দিয়ে যে সংবাদ বা অনুভূতি প্রবাহিত হয় তাকে স্নায়ু তাড়না বলে।</p> <p>২২।     রেচনতন্ত্র কাকে বলে?</p> <p>    উত্তর : যে তন্ত্রের মাধ্যমে দেহের বর্জ্য পদার্থ দেহের বাইরে নিষ্কাশিত হয় তাকে রেচনতন্ত্র বলে।</p>