সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
চতুর্থ অধ্যায়
আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প
১। বাংলাদেশ কোন ধরনের দেশ?
উত্তর : বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ।
২। বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা কত ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত?
উত্তর : বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত?
৩. বাংলাদেশকে উর্বর বদ্বীপ বলা হয় কেন?
উত্তর : চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশের মাটি খুব উপযোগী, তাই এ দেশকে উর্বর বদ্বীপ বলা হয়।
৪. জাতীয় অর্থনীতির কত ভাগ কৃষি থেকে আসে?
উত্তর : জাতীয় অর্থনীতির শতকরা প্রায় ২০ ভাগ কৃষি থেকে আসে।
৫. বাংলাদেশের প্রধান তিনটি খাদ্যশস্যের নাম লেখো।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান তিনটি খাদ্যশস্যের নাম হলো—ধান, গম ও ডাল।
৬. বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য কী?
উত্তর : ভাত বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য।
৭. বাংলাদেশের প্রধান ফসল কোনটি?
উত্তর : ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল।
৮. বাংলাদেশে প্রধানত কয় ধরনের ধান আছে এবং কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশে প্রধানত তিন ধরনের ধান আছে। যেমন—আউশ, আমন ও বোরো।
৯. বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে গম উৎপাদন বেশি হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে গম উৎপাদন বেশি হয়।
১০. কোন সময়ে গমের চাষ করা হয়?
উত্তর : শীতকালে গমের চাষ করা হয়?
১১. বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে ডালের চাষ বেশি হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে ডালের উৎপাদন বেশি হয়।
১২. আলু চষের জন্য কোন কোন মাটি উপযোগী?
উত্তর : উর্বর দোআঁশ ও বেলে মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী?
১৩. খাবারকে সুস্বাদু করতে খাবারে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : খাবারকে সুস্বাদু করতে খাবারে বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয়।
১৪. অর্থকরী ফসল কাকে বলে?
উত্তর : যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয়, সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলে।
১৫. বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কোনটি?
উত্তর : পাট হলো বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।
১৬. পাটকে ‘সোনালি আঁশ’ বলা হয় কেন?
উত্তর : পাট রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, তাই পাটকে ‘সোনালি আঁশ’ বলা হয়।
১৭. বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে চা বেশি উৎপন্ন হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে চা বেশি উৎপন্ন হয়।
১৮. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে তামাক চাষ বেশি হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের রংপুর জেলায় তামাকের চাষ বেশি হয়।
১৯. তামাক চাষকে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে কেন?
উত্তর : তামাক মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাই তামাক চাষকে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে।
২০. বাংলাদেশের কয়েকটি অর্থকরী ফসলের নাম লেখো।
উত্তর : বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অর্থকরী ফসলের নাম হলো—তুলা, রেশম, সুপারি ও রাবার।
২১. বাংলাদেশের মোট কৃষিজ আয়ের শতকরা কত ভাগ মাছ থেকে আসে?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট কৃষিজ আয়ের শতকরা ২৩ ভাগ মাছ থেকে আসে।
২২. বাংলাদেশে তৈরি কোন কাপড়টি একসময় জগদ্বিখ্যাত ছিল?
উত্তর : বাংলাদেশে তৈরি মসলিন কাপড় একসময় জগদ্বিখ্যাত ছিল।
২৩. বাংলাদেশের বেশির ভাগ বস্ত্রকলগুলো কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের বেশির ভাগ বস্ত্রকলগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
২৪. বাংলাদেশের মোট রপ্তানির বেশির ভাগ কোন খাত থেকে আসে?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট রপ্তানির বেশির ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি করার মাধ্যমে।
২৫. চামড়া দিয়ে তৈরি কয়েকটি দ্রব্যের নাম লেখো।
উত্তর : চামড়া দিয়ে তৈরি কয়েকটি দ্রব্যের নাম হলো—জুতা, বেল্ট, ব্যাগ ইত্যাদি।
২৬. বাংলাদেশের বেশির ভাগ পাটকলগুলো কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের বেশির ভাগ পাটকলগুলো নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও খুলনা জেলায় অবস্থিত।
২৭. পাটকলগুলো নদীতীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : পরিবহন সুবিধার জন্য পাটকলগুলো নদীতীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হয়।
২৮. পাটের তৈরি কয়েকটি পণ্যের নাম লেখো।
উত্তর : পাটের তৈরি কয়েকটি পণ্যের নাম হলো—ব্যাগ, কার্পেট ও বস্ত্র।
২৯. কাগজ তৈরিতে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : কাগজ তৈরিতে গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করা হয়?
৩০. বাংলাদেশে কয়টি সরকারি কাগজ কল রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশে তিনটি সরকারি কাগজ কল রয়েছে।
৩১. সরকারি কাগজ কলগুলো কোন কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর : চন্দ্রঘোনা, খুলনা ও পাকশিতে সরকারি কাগজ কল অবস্থিত?
৩২. কুটির শিল্প কাকে বলে?
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয়, তখন তাকে কুটির শিল্প বলে।
৩৩. বাংলাদেশের কোন কোন বনাঞ্চলে কাঠ পাওয়া যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের সুন্দরবন, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের বনাঞ্চলে কাঠ পাওয়া যায়।
৩৪. বাংলাদেশের কোন কোন জেলা কাঁসাশিল্পের জন্য বিখ্যাত?
উত্তর : বাংলাদেশের জামালপুর জেলার ইসলামপুর, টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি এবং ঢাকা জেলার ধামরাই কাঁসাশিল্পের জন্য বিখ্যাত।