<p><strong>[একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বইয়ের ‘ভুলের মূল’ প্রবন্ধে জাতীয় অধ্যাপকের কথা উল্লেখ রয়েছে]</strong></p> <p>বাংলাদেশের একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘জাতীয় অধ্যাপক’। সরকার শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্য দেশের বিশিষ্ট পণ্ডিত, চিন্তাবিদ এবং শিক্ষকদের এ সম্মাননা দিয়ে থাকে। সর্বপ্রথম এই সম্মাননা প্রদান করা হয় ১৯৭৫ সালে। তখন তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিক্ষাবিদ আবদুর রাজ্জাক এবং পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন। সুফিয়া আহমেদ প্রথম নারী ১৯৯৪ সালে যিনি জাতীয় অধ্যাপক হন। বর্তমানে দায়িত্বরত তিনজন জাতীয় অধ্যাপক হলেন ড. আনিসুজ্জামান, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং ড. রফিকুল ইসলাম। জাতীয় অধ্যাপকের মেয়াদকাল সাধারণত পাঁচ বছর। তবে ক্ষেত্র বিশেষে মেয়াদ আরো দীর্ঘ হতে পারে। রয়েছে পুনর্নিয়োগেরও ব্যবস্থা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক মন্ত্রী এবং সাবেক জাতীয় অধ্যাপকদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় অধ্যাপক নির্ধারণ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি জাতীয় অধ্যাপকের নিয়োগ দিয়ে থাকে। শিক্ষামন্ত্রী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটির সিদ্ধান্ত ও মনোনয়ন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ সম্পন্ন করেন। যারা জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে মাসিক হারে ভাতা পেয়ে থাকেন। জাতীয় অধ্যাপকরা সরকারের অনুমতি নিয়ে বিদেশে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করতে পারেন। তবে জাতীয় অধ্যাপক পদে থাকাকালীন তারা অন্য কোনো বেতনভুক্ত চাকরি করতে পারেন না।</p> <p style="text-align: right;"><strong>►আব্দুর রাজ্জাক</strong></p>