<p><strong>[নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের চতুর্দশ অধ্যায়ে ‘আলট্রাসনোগ্রাফি’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]</strong></p> <p>আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, মাংসপেশি ইত্যাদির ছবি তোলা হয়। এটি করার জন্য খুব উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ ব্যবহার করে তার প্রতিধ্বনিকে শনাক্ত করা হয়। শব্দের কম্পাঙ্ক ১-১০ মেগাহার্টজ হয়ে থাকে বলে একে আলট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়।</p> <p>আলট্রাসনোগ্রাফি নিচের কাজগুলো করার জন্য ব্যবহার করা হয়-</p> <p>১. আলট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞানে। এর সাহায্যে ভ্রূণের আকার, গঠন, স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান ইত্যাদি জানা যায়। এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।</p> <p> </p> <p>২. আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যায়।</p> <p>৩. পিত্তপাথর, হৃদ্যন্ত্রের ত্রুটি ও টিউমার বের করার জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। হৃিপণ্ড পরীক্ষা করার জন্য যখন আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয়, তখন এই পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে।</p> <p>ট্রান্সডিউসারটি যেন কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সময়ের জন্য একটানা বিম না পাঠাই সে জন্য আলট্রাসাউন্ড করার সময় ট্রান্সডিউসারটিকে ক্রমাগত নড়াচড়া করাতে হবে।</p>