শুক্রবার । ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯। ২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ৮ রবিউস সানি ১৪৪১
১। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে টেবিলের ওপর কয়েক আস্তর কাপড় রেখে কাপড়ের দুই পাশ থেকে পার্শ্বচাপ দিয়ে একটি পর্বত সৃষ্টির নমুনা দেখিয়ে বললেন, ওই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পৃথিবীর উঁচু পর্বতগুলো গঠিত হয়েছে।
ক) ভঙ্গিল পর্বত কাকে বলে?
খ) কিভাবে আগ্নেয় পর্বত গঠিত হয়?
গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত নমুনা চিত্র অংকন করে পর্বতটির গঠন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত পর্বতের সঙ্গে ল্যাকোলিথ পর্বতের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেখাও।
উত্তর : ক) কোমল পাললিক শিলায় ভাঁজ পড়ে যে পর্বত গঠিত হয়েছে তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে।
খ) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে যে পর্বতের সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। ভূ-ত্বকের ফাটল বা ছিদ্র পথে ভূ-অভ্যন্তরের গলিত লাভা, ধূম্র, ভস্ম প্রবল বেগে ভূ-পৃষ্ঠে এসে উপনীত হয় এবং ফাটলের চারদিকে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বত গঠিত হয়। যেমন : জাপানের ফুজিয়ামা।
গ) উদ্দীপকে শিক্ষক ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির নমুনা দেখান।
নিচে ভঙ্গিল পর্বতের চিত্র অঙ্কন করা হলো—
সমুদ্র তলদেশের অবনমিত স্থানে দীর্ঘকাল ধরে বিপুল পরিমাণ পলি এসে জমা হয়। এর চাপে অবনমিত স্থান আরো নিচে নেমে যায়। পরবর্তী পর্যায়ে ভূ-আলোড়ন বা ভূমিকম্পের ফলে পার্শ্বচাপের কারণে ঊর্ধ্ব ও নিম্ন ভাঁজের সৃষ্টি হয়। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এসব ভাঁজসংবলিত ভূমিরূপ মিলেই ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়।
ঘ) পৃথিবীর অভ্যন্তরে গলিত শিলা ও ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠের ঊর্ধ্বচাপের সৃষ্টি করলে ল্যাকোলিথ পর্বত গঠিত হয়। রকি হিমালয় ভঙ্গিল পর্বতের এবং যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি ল্যাকোলিথ পর্বতের উদাহরণ।
নিচে ভঙ্গিল ও ল্যাকোলিথ পর্বতের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য তৈরি করা হলো।
পাললিক শিলাস্তরে ভূ-আলোড়ন ও ভূমিকম্পের ফলে এবং পার্শ্ববর্তী সুদৃঢ় ভূমিখণ্ডের প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে ঊর্ধ্ব ভাঁজ ও নিম্ন ভাঁজের সৃষ্টি হয়। এসব ঊর্ধ্ব ও নিম্নচাপসংবলিত ভূমিরূপ মিলে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়। অন্যদিকে ভূ-অভ্যন্তরের ম্যাগমা কোনো কারণে বেরিয়ে আসতে না পারলে ম্যাগমা জমে গম্বুজ আকার ধারণ করে ল্যাকোলিথ পর্বত গঠিত হয়। ভঙ্গিল পর্বতের শৃঙ্গ থাকে ল্যাকোলিথ পর্বতের থাকে না।
মন্তব্য