<p>[ডান পাশে উল্লিখিত সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক]</p> <p><strong>নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর  ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :</strong></p> <p>যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা। আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস, যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসনকোসন, পেয়ালা, সুরাহি, মটকা, জালা, পিঠা তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী! মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা বলি মাটির শিল্প বা মৃিশল্প। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। মাটি হলেই যে তা দিয়ে শিল্পের কাজ করা যাবে তা-ও নয়। এ জন্য অনেক যত্ন আর শ্রম দরকার। দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। কুমারদের কাছে এসব খুব সহজ। কারণ তাঁরা বংশপরম্পরায় এ কাজ করে আসছেন।</p> <p>১। নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো (যেকোনো ৫টি) :   ১×৫=৫</p> <p>মৃিশল্প, বংশ, নৈপুণ্য, সম্প্রদায়, কুমার, টেপা পুতুল, নকশা।</p> <p>২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।</p> <p>ক) শিল্পকলা বলতে কী বোঝো?     ২</p> <p>খ) শিল্পের কাজের জন্য কী কী প্রয়োজন, চারটি বাক্যে লেখো।     ৪</p> <p>গ) কেন কুমারদের কাছে এসব কাজ সহজ, চারটি বাক্যে লেখো।    ৪</p> <p><strong>নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :</strong></p> <p>কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে প্রস্তুত খাদি বা খদ্দরের কদর শুধু গ্রামজীবনেই নয়, শহরের আধুনিক সমাজেও যথেষ্ট রয়েছে। খাদি কাপড়ের বিশেষত্ব হচ্ছে এর সবটাই হাতে প্রস্তুত। তুলা থেকে হাতে সুতা কাটা হয়। গ্রামবাসী অবসর সময়ে সুতা কাটে। এদের বলা হয় কাটুনি। গ্রামে বাড়ির আশপাশে তুলাগাছ লাগনোর রীতি আছে। সেই গাছের তুলা দিয়ে সুতা কাটা ও হাতে চালিত তাঁতে এসব সুতায় যে কাপড় প্রস্তুত করা হয়, সেই কাপড়ই প্রকৃত খাদি বা খদ্দর। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি অংশ ছিল স্বদেশি আন্দোলন, যা ১৯০৫ সালে শুরু হয়ে ১৯১১ সাল পর্যন্ত চলেছিল। স্বদেশি আন্দোলনের যুগে বিদেশি কাপড় বর্জন করে দেশি কাপড় ব্যবহারের যে আদর্শ প্রবর্তিত হয়েছিল তারই সাফল্যের স্বাক্ষর এই খাদি। </p> <p>৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো। ১×৫=৫</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/11 November/14-11-2019/kalerkantho-1a--2019-11-14-12.jpg" style="height:250px; width:345px" /></p> <p>ক) স্কুল শিক্ষক হামিদ স্যার আমার ...।</p> <p>খ) ... সময়ে মা নকশি কাঁথায় ফুল আঁকেন।</p> <p>গ) মামাবাড়িতে খুব ... পাওয়া যায়।</p> <p>ঘ) সমাজের ... প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।</p> <p>ঙ) মসলিনের ... কেউ অস্বীকার করতে পারে না।</p> <p>৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।</p> <p>ক) খাদি কাপড়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? খাদি কাপড় কিভাবে তৈরি করা হয় চারটি বাক্যে লেখো। ১+৪=৫</p> <p>খ) স্বদেশি আন্দোলন কখন এবং কেন হয়েছিল? পাঁচটি বাক্যে লেখো।  ৫</p> <p>গ) বিদেশি কাপড় বর্জন ও দেশি কাপড় ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা পাঁচটি বাক্যে তুলে ধরো।    ১×৫=৫   </p> <p>৫। নিচের ভবিষ্যৎ কালবাচক ক্রিয়াপদগুলোর বর্তমান কালবাচক ক্রিয়াপদে রূপান্তর করে লেখো (যেকোনো ৫টি)  ১×৫=৫</p> <p>পড়ব, খেলব, চড়ব, নামব, ধরব, হাসব, উঠবে</p> <p>৬। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে কে, কী, কোথায়, কিভাবে, কেন, কখন শব্দগুলোর যেকোনো পাঁচটি একবার ব্যবহার করে পাঁচটি প্রশ্নবোধক বাক্য তৈরি করো :</p> <p>সাথী পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে প্রতিদিন সকালে স্কুলে যায়। সে মেধাবী শিক্ষার্থী। পড়ার ক্ষতি হবে বলে অযথা আড্ডা দেয় না। সে প্রায়ই হেঁটে স্কুলে যায়। অবসর সময়ে গল্পের বই পড়ে।</p> <p>৭। নিচের যেকোনো পাঁচটি যুক্তবর্ণ ভেঙে লেখো এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি শব্দ দ্বারা একটি করে বাক্য রচনা করো।</p> <p>     ২×৫=১০</p> <p>জ্ঞ, ঞ্জ, ক্ষ, ন্ন, ন্দ, ষ্ট, চ্ছ</p> <p>৮। নিচের অনুচ্ছেদটির যথাস্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে উত্তরপত্রে লেখো।    ৫</p> <p>গ্রামের নাম আনন্দপুর মামার বাড়ি কথায় আছে মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি আসলেই তাই</p> <p>৯। নিচের যেকোনো পাঁচটি বাক্য এককথায় প্রকাশ করে উত্তরপত্রে লেখো।    </p> <p>     ১×৫=৫</p> <p>যা কষ্টে লাভ করা যায়, যার শত্রু জন্মায়নি, বরণ করার যোগ্য, মেধা আছে এমন যে জন, দেশ চালায় যে, রক্ত দিয়ে লাল করা হয়েছে যা, একের সঙ্গে অন্যের।</p> <p>১০। নিচের যেকোনো ৫টি শব্দের বিপরীত শব্দ লেখো। ১×৫=৫</p> <p>পরাধীন, বিষাদ, যশ, নকল, সুখ, দুরন্ত, অসীম</p> <p>১১। নিচের কবিতাংশটুকু পড়ে ক, খ ও গ ক্রমিকের প্রশ্নের উত্তর লেখো।</p> <p>আমরা ঘাসের ছোট ছোট ফুল</p> <p>হাওয়াতে দোলাই মাথা,</p> <p>তুলো না মোদের দলো না পায়ে</p> <p>ছিঁড় না নরম পাতা।</p> <p>শুধু দেখ আর খুশি হও মনে</p> <p>সূর্যের সাথে হাসির কিরণে</p> <p>কেমনে আমরা হেসে উঠি আর</p> <p>দুলে দুলে নাড়ি মাথা।</p> <p>ক) ঘাসফুল আমাদের উদ্দেশে কী বলছে? দুটি বাক্যে লেখো।  ২</p> <p>খ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো। ৫</p> <p>গ) বিদ্যালয়ের ফুলের বাগান এবং বৃক্ষ সংরক্ষণে তোমার তিনটি করণীয় লেখো।</p> <p>     ৩</p> <p><strong>উত্তরমালা</strong></p> <p>১। মৃিশল্প—মাটির শিল্প, বংশ—কুল, নৈপুণ্য—নিপুণ/পটু, সম্প্রদায়—জাতি, কুমার—যারা মাটির জিনিসপত্র তৈরি করেন, টেপা পুতুল—টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়, নকশা—রেখা দিয়ে আঁকা ছবি</p> <p>২। ক) যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা।</p> <p>খ) শিল্পের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণের সঙ্গে দরকার অনেক যত্ন ও শ্রম। এ ছাড়া দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান।</p> <p>গ) এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস, যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসনকোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, পিঠা তৈরির নানা ছাঁচ। তারা বহুকাল থেকে বংশপরম্পরায় এসব কাজ করে আসছে। তাই তাদের কাছে এসব কাজ সহজ।</p> <p>৩। ক) আদর্শ, খ) অবসর, গ) সমাদর, ঘ) রীতির, ঙ) বিশেষত্ব</p> <p>৪। ক) খাদি কাপড়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—এটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি।</p> <p>খাদি কাপড় কিভাবে তৈরি করা হয় তার চারটি বাক্য হলো—</p> <p>খাদি কাপড় মূলত তুলা থেকে তৈরি করা হয়। গ্রামবাসীরা অবসর সময়ে তুলা থেকে সুতা কাটে। সেই সুতা হাতে চালিত তাঁতের মাধ্যমে কাপড়ে পরিণত করে। আর এই কাপড়ই হলো খাদি বা খদ্দর কাপড়।</p> <p>খ) স্বদেশি আন্দোলন ১৯০৫ সালে শুরু হয়ে ১৯১১ সাল পর্যন্ত চলেছিল।</p> <p>স্বদেশি আন্দোলন ছিল মূলত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেরই একটি অংশ। ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের অবসান করাই ছিল এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। কারণ ইংরেজরা এ অঞ্চলের মানুষের ওপর শোষণ ও নির্যাতন চালিয়েছিল। তাই তাদের পণ্য বর্জন ও দেশীয় শিল্পের উন্নতি সাধনের মাধ্যমে স্বদেশি আন্দোলন শুরু হয়।</p> <p>গ) বিদেশি কাপড় বর্জন ও দেশি কাপড় ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে তুলে ধরা হলো।</p> <p>বিদেশি কাপড় ব্যবহারে দেশের টাকা বিদেশে চলে যায় বিধায় এ কাপড় বর্জন করা প্রয়োজন। তা ছাড়া বিদেশি কাপড় বর্জন না করলে তাঁতিরা দেশি কাপড় উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। দেশি কাপড় ব্যবহার করলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হবে। বিদেশি কাপড়ের চেয়ে দেশি কাপড়ের মান ভালো। দেশি কাপড়ের ব্যবহার বাড়ালে বিদেশিরা দেশের বাজার দখল করতে পারবে না।</p> <p>৫। পড়ব-পড়ছি, খেলব-খেলি, চড়ব-চড়ি, নামব-নামি, ধরব-ধরি, হাসব-হাসি, উঠব- উঠি</p> <p>৬। ক) কে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী?</p> <p>খ) সে প্রতিদিন কোথায় যায়?</p> <p>গ) কেন সে অযথা আড্ডা দেয় না?</p> <p>ঘ) সে প্রায়ই কিভাবে স্কুলে যায়?</p> <p>ঙ) সে অবসর সময়ে কী পড়ে?</p> <p>৭। জ্ঞ= জ+ ঞ- বিজ্ঞান—বিজ্ঞান আমার প্রিয় বিষয়।</p> <p>ঞ্জ= ঞ+ জ- মুন্সীগঞ্জ—আমি মুন্সীগঞ্জে বাস করি।</p> <p>ক্ষ= ক্+ ষ- শিক্ষা—শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।</p> <p>ন্ন= ন+ ন- রান্না—আমি রান্না করতে পারি।</p> <p>ন্দ= ন+ দ- আনন্দ—আমরা ঈদের দিন খুব আনন্দ করি।</p> <p>ষ্ট= ষ+ ট- নষ্ট—সময় নষ্ট করা উচিত নয়।</p> <p>চ্ছ= চ+ ছ- ইচ্ছা—ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।</p> <p>৮। গ্রামের নাম আনন্দপুর। মামার বড়ি। কথায় আছে, মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি। আসলেই তাই।</p> <p>৯। দুর্লভ; অজাতশত্রু; বরেণ্য; মেধাবী; সরকার; রক্তরঞ্জিত; পরস্পর।</p> <p>১০। পরাধীন-স্বাধীন, বিষাদ-হর্ষ, যশ-অপযশ, নকল-আসল, সুখ-দুঃখ, দুরন্ত-শান্ত, অসীম-সসীম</p> <p>১১। ক) ঘাসফুল আমাদের উদ্দেশে বলেছে যে—</p> <p>১. আমরা যেন তাদের পায়ে দলে মেরে না ফেলি।</p> <p>২. তাদের নরম পাতাগুলো না ছিঁড়ি।</p> <p>খ) ঘাসফুল যে কী আনন্দে বেঁচে আছে সে কথাই এখানে বলা হয়েছে। আমরা যেন তাদের ফুল ছিঁড়ে পায়ের নিচে পিষে না ফেলি সেই মিনতি তারা করেছে। গাছে ফুল ফুটলে তা দেখে মনে আনন্দ পাওয়া যায়। ফুল ছেঁড়ার অর্থ ফুলকে মেরে ফেলা।</p> <p>গ) বিদ্যালয়ে ফুলের বাগান ও বৃক্ষ সংরক্ষণে আমাদের যা যা করণীয়—</p> <p>১. বাগানের গাছে নিয়মিত পানি দেব।</p> <p>২. নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করব।</p> <p>গরু-ছাগলের হাত থেকে বাগানকে রক্ষা করব।</p> <p> </p>