<p style="text-align: center;">[অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে দ্বাদশ অধ্যায়ে ‘কৃত্রিম উপগ্রহ’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]</p> <p>মানুষের পাঠানো যেসব বস্তু বা মহাকাশযান পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে তাদের বলা হয় কৃত্রিম উপগ্রহ। রকেটের সাহায্যে এদের উৎক্ষেপণ করা হয়। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টানের প্রভাবে চাঁদের মতো এরা এদের কক্ষপথে ঘুরে। কৃত্রিম উপগ্রহ চাঁদের তুলনায় অনেক ছোট এবং ছোট কক্ষপথ নিয়ে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে।</p> <p>কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস খুব একটা পুরনো নয়। মহাকাশ যাত্রার প্রথম পদক্ষেপটির সূচনা হয়েছিল ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর। এই যাত্রার সূচনা করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। তারা স্পুটনিক-১ নামক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে। স্পুটনিক শব্দের অর্থ হলো ভ্রমণসঙ্গী। একই বছরের ২ নভেম্বর স্পুটনিক-২ নামক আরেকটি কৃত্রিম উপগ্রহ তারা মহাকাশে পাঠায়। বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এই উপগ্রহ ২০১৮ সালের ১১ মে মহাকাশে পাঠানো হয়।</p> <p>বর্তমান বিশ্বে কয়েক শ কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করা হচ্ছে এবং হাজার হাজার অব্যবহৃত কৃত্রিম উপগ্রহ বা তাদের অংশবিশেষ মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ হিসেবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।</p>