ষষ্ঠ অধ্যায় : পরমাণুর গঠন
চিত্র থেকে ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

১। চিত্রের পরমাণুটি—
i. ইলেকট্রন গ্রহণ করতে সক্ষম
ii. সালফারের সঙ্গে যৌগ গঠন করতে পারবে
iii. অ্যানায়নে পরিণত হতে পারবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii খ) i ও iii
গ) ii ও iii ঘ) i, ii ও iii
চিত্র থেকে ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

২। চিত্রের Aমৌলটির প্রোটন সংখ্যা কত?
ক) ১৮ খ) ১৭
গ) ১২ ঘ) ১১
৩।
ভরের একক কী?
উত্তর : ভরের একক হলো কিলোগ্রাম বা কেজি (Kg).
৬। ওজন কী?
উত্তর : কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, তাকে বস্তুর ওজন বলে।
৭। অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর : অতিকর্ষ বলের প্রভাবে বস্তুর যে ত্বরণ হয়, তাকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১। মহাকর্ষ ও অভিকর্ষের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর : নিচে মহাকর্ষ ও অভিকর্ষের মধ্যে দুটি পার্থক্য দেওয়া হলো—
মহাকর্ষ : ১. এ বিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ, তাকে মহাকর্ষ বলে।
২. মহাকর্ষ বল g-এর মানের ওপর নির্ভর করে না।
অভিকর্ষ : ১. পৃথিবী এবং অন্য যেকোনো বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ, তাকে অভিকর্ষ বলে।
২. অভিকর্ষ বল g-এর মানের ওপর নির্ভর করে।
২। বিশ্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলতে কী বোঝো?
উত্তর : ১ কেজি ভরের দুটি বস্তু পরস্পর থেকে ১ মিটার দূরে থেকে যে বলে আকর্ষণ করে, তা-ই মহাকর্ষীয় ধ্রুবক। একে G দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর মান ৬.৬৭৩x১০-১১ Nm2kg-2। এই মান মহাবিশ্বের যেকোনো বস্তু এবং যেকোনো স্থানের জন্য সর্বদা ধ্রুবক থাকে। এ কারণে একে বিশ্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবকও বলা হয়।
৩। গাছ থেকে কমলা মাটিতে পড়ে কেন?
উত্তর : কোনো বস্তুর ওপর পৃথিবীর আকর্ষণ বলই হলো অভিকর্ষ বল। এই অভিকর্ষ বলের দিক হলো পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে। তাই কোনো বস্তুকে ওপর থেকে ছেড়ে দিলে তা অভিকর্ষ বলের কারণে মাটিতে পড়ে।
৪। অভিকর্ষজ ত্বরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। একে ম দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক হলো মিটার/সেকেন্ড২।
৫। অভিকর্ষজ ত্বরণের মান ৯.৮৩ মিটার/সেকেন্ড২ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। ভূপৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান ৯.৮৩ মিটার/সেকেন্ত২। এর অর্থ হচ্ছে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড বৃদ্ধি পায়।
৬। ভর ও ওজনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর : নিচে ভর ও ওজনের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো—
ভর : ১. ভর হলো কোনো বস্তুতে পদার্থের পরিমাণ
২. অবস্থানভেদে বস্তুর ভর পরিবর্তিত হয় না
৩. সাধারণত নিক্তির সাহায্যে ভর পরিমাপ করা হয়
৪. ভরের আন্তর্জাতিক একক হলো কিলোগ্রাম (kg)|
ওজন : ১. কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, তাকে বস্তুর ওজন বলে
২. বিভিন্ন অবস্থানে বস্তুর ওজন বিভিন্ন হতে পারে
৩. সাধারণত স্প্রিং নিক্তির সাহায্যে কোনো বস্তুর ওজন পরিমাপ করা হয়
৪. ওজনের আন্তর্জাতিক একক হলো নিউটন (N)|
৭। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বস্তুর ওজন ভিন্ন হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : পৃথিবীর আকৃতি ও আহ্নিকগতির জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বস্তুর ওজন ভিন্ন হয়। বস্তুর ওজন মূলত অভিকর্ষজ ত্বরণ (g)-এর ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবী সুষম গোলক না হওয়ায় পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের সব স্থান সমান দূরে নয়। এর ফলে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে g-এর মানের পরিবর্তন হয়। আর g-এর মানের পরিবর্তনের কারণে বায়ুর ওজনও পরিবর্তন হয়। যেমন—বিষুবীয় অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সবচেয়ে বেশি হওয়ায় g-এর মান সবচেয়ে কম। তাই বিষুবীয় অঞ্চলে কোন বস্তুর ওজন সবচেয়ে কম। আহ্নিকগতির জন্য অভিকর্ষজ ত্বরণ বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বস্তুর ওজনও বৃদ্ধি পায়।
৮। ওজনহীনতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোনো বস্তুর ওপর প্রতিক্রিয়া বল শূন্য হওয়ার কারণে বস্তুর ওজন শূন্য অনুভব হওয়ার ঘটনাই ওজনহীনতা।
আমরা যখন স্থির লিফটে দাঁড়াই, তখন লিফটের মেঝের ওপর আমাদের ওজনের সমান বল প্রয়োগ করি এবং লিফটের মেঝেও তার সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করে। তাই আমরা ওজন অনুভব করি। কিন্তু লিফট যদি মুক্তভাবে নিচে পড়তে থাকে, তখন আমাদের ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া বল না থাকায় আমরা ওজনহীনতা অনুভব করি।