<p>চোখের অক্ষিগোলকের সামনের লেন্সের ওপরে অবস্থিত রঙিন পর্দাকে আইরিশ বলে। চোখের মাঝে গাঢ় গোল অংশটির নাম পিউপিল বা চোখের মণি। এর চারপাশেই আইরিশের অবস্থান। এটি পিউপিলের ছোট বা বড় হওয়ার আকার নিয়ন্ত্রণ করে। চোখের আইরিশ যখন প্রসারিত হয়, তখন পিউপিল ছোট হয়ে যায়। আবার আইরিশ সংকুচিত হলে পিউপিল বড় হয়। আইরিশ দেখতে অনেকটা আংটির মতো। এটি বাদামি, সবুজ, নীল—বিভিন্ন রঙের হয় এবং আলোর তীব্রতার ওপর নির্ভর করে সংকুচিত বা প্রসারিত হয়। এতে পিউপিলের আকার পরিবর্তনসহ লেন্স ও রেটিনায় আপতিত আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়।</p> <p>আমরা আমাদের চোখের রং যেমন—কালো, বাদামি, নীল দেখি; এটা মূলত আইরিশের রং। আইরিশ কালো হলে আমরা আমাদের চোখ কালো দেখি; ঠিক তেমন বাদামি হলে চোখ বাদামি দেখি।</p> <p>আইরিশে মেলানিনের পরিমাণ, প্রোটিনের ঘনত্ব এবং অস্বচ্ছ অংশে আলো কতটা বিচ্ছুরিত হচ্ছে ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে এর রং নির্ধারিত হয়। মেলানিনের রঞ্জকের পরিমাণ আবার নির্ধারিত হয় ইওমেলানিন ও ফিওমেলানিনের অনুপাতের ওপর।</p> <p>বর্তমানে পরিচিতি শনাক্ত করার জন্য আঙুলের ছাপের পাশাপাশি চোখের আইরিশও ব্যবহার করা হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মুখমণ্ডল ও কণ্ঠস্বরের চেয়েও বেশি নির্ভরযোগ্য চোখের আইরিশের ছাপ। বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারে আঙুলের ছাপের পাশাপাশি চোখের আইরিশও স্ক্যান করে রাখা হচ্ছে।</p> <p>আইরিশ আর চোখের মণিকে কর্নিয়া নামের একটি স্বচ্ছ অংশ ঢেকে রাখে। কর্নিয়া লেন্সের সঙ্গে সঙ্গে আলোকে প্রতিসারিত করে, যাতে সেটা রেটিনায় ঠিকমতো গিয়ে ধরা পড়ে।</p>