<p>[ নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম অধ্যায়ে ‘আয়না বা দর্পণ’ সম্পর্কে আলোচনা আছে ]</p> <p>আয়নায় নিয়মিত প্রতিফলনের কারণে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। আয়না তৈরি করার জন্য কাচের পেছনে প্রতিফলনের উপযোগী রুপা বা অ্যালুমিনিয়ামের প্রলেপ দেওয়া হয়। কাচের সামনের পৃষ্ঠ থেকে 4% এবং পেছনের পৃষ্ঠ থেকে 96% আলো প্রতিফলিত হয়ে মূল প্রতিবিম্বটি তৈরি করে। আয়না দুই প্রকার। যথা- সমতল বা সাধারণ আয়না এবং গোলীয় আয়না। দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ আয়নার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। সাধারণ আয়নায় ডান ও বাঁ দিক বদলে যায়; কিন্তু গোলীয় আয়নায় দিক অপরিবর্তিত থাকে। গোলীয় আয়না আবার দুই প্রকার। যথা- উত্তল আয়না ও অবতল আয়না। উত্তল আয়নায় সোজা এবং ছোট প্রতিবিম্ব তৈরি করা যায়, তাই বড় কোনো দৃশ্যকে ছোট জায়গায় দেখতে হলে উত্তল আয়না ব্যবহার করা হয়। আবার কোনো কিছু বড় করে দেখতে হলে অবতল আয়না ব্যবহার করা হয়। ডাক্তার কিংবা ডেন্টিস্টরা তাই কিছু দেখার জন্য অবতল আয়না ব্যবহার করেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সূক্ষ্ম টেলিস্কোপে অবতল আয়না ব্যবহৃত হয়েছে।</p>