মডেল টেস্ট (পূর্ণমান-১০০)
১। (ক) উদাহরণসহ ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখো। ৫
অথবা, (খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো :
প্রায়শ্চিত্ত, উপস্থিত, দরখাস্ত, পরীক্ষিত, বিজ্ঞ, গণতন্ত্র, স্বল্প, ক্ষুদ্র।
২।
মডেল টেস্ট (পূর্ণমান-১০০)
১। (ক) উদাহরণসহ ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখো। ৫
অথবা, (খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো :
প্রায়শ্চিত্ত, উপস্থিত, দরখাস্ত, পরীক্ষিত, বিজ্ঞ, গণতন্ত্র, স্বল্প, ক্ষুদ্র।
২।
অথবা, (খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ বানান লেখো :
বিভিষিকা, কালীদাস, শিরচ্ছেদ, মনিষী, আইনজীবি, মন্ত্রীসভা, কথপোকথোন, ষ্টেডিয়াম।
৩। (ক) উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
অথবা, (খ) অনুচ্ছেদ থেকে যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো।
কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে। হঠাৎ টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হলো। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল।
৪। (ক) ‘উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’—উদাহরণসহ বিশ্লেষণ করো। ৫
অথবা, (খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো (যেকোনো পাঁচটি) :
সপ্তডিঙা, নীলকণ্ঠ, কালান্তর, অনাশ্রিত, আমরণ, গৃহস্থ, প্রবচন, দেবদত্ত।
৫।
অথবা, (খ) নির্দেশানুসারে বাক্যের রূপান্তর করো (যেকোনো পাঁচটি) :
১. মাতৃভূমিকে সবাই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)
২. উদারতা কৃপণদের ধর্ম নয়। (অস্তিবাচক)
৩. লোকটি গরিব হলেও সৎ। (জটিল)
৪. যারা পরিশ্রম করে, তারা সুখী হয়। (সরল)
৫. মরতে তো একদিন হবেই। (প্রশ্নবাচক)
৬. বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাবাচক)
৭. তিনি আর নেই। (যৌগিক)
৮. ঘটনাটি অত্যন্ত ভয়ংকর। (বিস্ময়সূচক)
৬। (ক) যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখো : ৫
১. আমি এই ঘটনা চাক্ষুস প্রত্যক্ষ করেছি।
২. বঙ্কিমচন্দ্রের ভয়ংকর প্রতিভা ছিল।
৩. সব পাখিরা নীড় বাঁধে না।
৪. যারে দেখতে নারী তার হাঁটা বাঁকা।
৫. কেবলমাত্র টাকার জোরেই সব কিছু হয় না।
৬. তার বৈমাত্রেয় সহোদর ডাক্তার।
৭. অন্যান্য বিষয়গুলোর আলোচনা পরে হবে।
৮. অন্যায়ের প্রতিফল দুর্নিবার্য।
অথবা, (খ) অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করে লেখো :
দারিদ্রতা আজ আর বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা নয়। আমাদের দেশ এখন উন্নতশীল দেশ। কেবলমাত্র দুর্নীতিই আমাদের পেছনে টানে। এ থেকে মুক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন প্রয়োজন। প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সখ্যতাও।
৭। (ক) যেকোনো ১০টি শব্দের বাংলা পারিভাষিক রূপ লেখো :
১০
Annexation, Dynamic, public-work, Manuscript, Eye-wash, Forecast, Green-room, Impeachment, Cartoon, Revenue, Up-to-date, Walk-out, Bidder, Pay-order, Year-book.
অথবা, (খ) বাংলায় অনুবাদ করো :
Bangladesh is now a free country. She suffered much during the last twenty five years. But for her, the days of suffering are over. She is going to enter into an age of great prosperity. The golden land of Bangladesh will again be flowing with milk and honey.
৮। (ক) একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরিতে শহীদ মিনারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো। ১০
অথবা, (খ) ‘যানজট ভয়াবহ সমস্যা’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
৯। (ক) ধূমপানের কুফল জানিয়ে তা থেকে বিরত থাকার জন্য ছোট ভাইকে একটি ই-মেইল করো। ১০
অথবা, (খ) তোমার কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে একটি আমন্ত্রণপত্র রচনা করো।
১০। (ক) সারমর্ম লেখো : ১০
ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তোমার আদেশে। যেন রসনায় মম
সত্যবাক্য জ্বলি ওঠে খরখড়গ সম
তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান
তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।
অথবা, (খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো :
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
১১। (ক) দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে দুই সহপাঠীর সংলাপ রচনা করো। ১০
অথবা, (খ) ‘স্বনির্ভরতার জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি’ এই শিরোনামে একটি খুদে গল্প রচনা করো।
১২। যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো : ২০
(ক) জাতীয় উন্নয়নে তথ্য ও প্রযুক্তি
(খ) বাংলাদেশের পোশাকশিল্প
(গ) জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা
(ঘ) পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার
(ঙ) বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মুক্তি।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
মডেল টেস্টের (১-৭) উত্তর
১। (ক) ১. শব্দের আদিতে যদি ‘অ’ থাকে এবং তারপরে ই-কার কিংবা উ-কার থাকে, তবে সে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—অতি (ওতি), অভিযান (ওভিজান) ইত্যাদি।
২. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে অ-এর উচ্চারণ প্রায়ই ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—অদ্য (ওদদো), অন্য (ওননো) ইত্যাদি।
৩. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পর ‘ক্ষ’, ‘জ্ঞ’ থাকলে সে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—অক্ষ (ওকখো), দক্ষ (দোকখো) ইত্যাদি।
৪. শব্দের প্রথমে যদি ‘অ’ থাকে এবং তারপরে ঋ-কার যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—মসৃণ (মোসসৃণ), যকৃৎ (জোককৃত) ইত্যাদি।
৫. শব্দের প্রথমে ‘অ’-যুক্ত র-ফলা থাকলে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—ক্রম (ক্রোমো), গ্রহ (গ্রোহো) ইত্যাদি।
অথবা, (খ) প্রায়শ্চিত্ত—প্রায়োশচিততো
উপস্থিত—উপোসথিত
দরখাস্ত—দরখাসতো
পরীক্ষিত—পোরিকখিতো
বিজ্ঞ—বিগগোঁ
গণতন্ত্র—গনোতনত্রো
স্বল্প—শলপো
ক্ষুদ্র—খুদদ্রো
২। (ক) ১. বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দের বানান অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন—চন্দ্র, সূর্য, ধর্ম ইত্যাদি।
২. রেফের পরে ব্যঞ্জন বর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন—কার্য, কর্ম ইত্যাদি।
৩. হস চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে । যেমন—কলকল, ঝরঝর ইত্যাদি।
৪. শব্দের শেষে বিসর্গ বর্জিত হবে। যেমন—মূলত, কার্যত, প্রধানত ইত্যাদি।
৫. আনো প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষে ‘ ো’-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন—করানো, পাঠানো ইত্যাদি।
অথবা, (খ) বিভিষিকা—বিভীষিকা
কালীদাস—কালিদাস
শিরচ্ছেদ—শিরশ্ছেদ
মনিষী—মনীষী
আইনজীবি—আইনজীবী
মন্ত্রীসভা—মন্ত্রিসভা
কথপোকথোন—কথোপকথন
ষ্টেডিয়াম—স্টেডিয়াম
৩। (ক) সর্বনাম পদ : যে পদ সব নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন—সে, তুমি, আমি, ইহা, উহা ইত্যাদি।
সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ :
১. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ কোনো ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, তাকে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—আমি, তুমি, সে ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক সর্বনাম : কর্তা নিজেই কোনো কাজ করেছে এমন বোঝালে, তাকে আত্মবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—নিজে, আপনি ইত্যাদি।
৩. নির্দেশক সর্বনাম : এ ধরনের সর্বনাম বক্তার কাছে কোনো কিছুর নৈকট্য, দূরত্ব ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন—এ, এরা, উনি ইত্যাদি।
৪. অনির্দিষ্ট সর্বনাম : অনির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝাতে এ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়। যেমন—কেউ, কারো ইত্যাদি।
৫. প্রশ্নবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ দ্বারা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা বোঝায়, তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—কে, কাকে, কার ইত্যাদি।
৬. সংযোগবাচক সর্বনাম : এ ধরনের সর্বনাম দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায়। যেমন—যে, কি ইত্যাদি।
৭. সাপেক্ষ সর্বনাম : যে সর্বনাম পরস্পর নির্ভরশীল দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটায় তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন—যত-তত।
৮. ব্যতিহার সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ পারস্পরিক নির্ভরতা বোঝায়, তাকে ব্যতিহার সর্বনাম বলে। যেমন—নিজেরা নিজেরা, আপনা-আপনি ইত্যাদি।
৯. সকলবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি বোঝায় তাকে সকলবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—সকল, সব, সবাই ইত্যাদি।
১০. অন্যবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তাকে অন্যবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—অন্যে, পরের ইত্যাদি।
অথবা, (খ) কালো, ভাঙা, বেখেয়ালি, হালকা, মৃদু।
৪। (ক) উপসর্গ হলো স্বাধীন অব্যয়বাচক শব্দ, যাদের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; কিন্তু কোনো শব্দের আগে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন—প্র, পরা, পরি ইত্যাদি।
উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে : অর্থবাচকতা হলো নিজস্ব অর্থ, যা উপসর্গের নেই। আর অর্থদ্যোতকতা হলো অর্থ সৃষ্টির ক্ষমতা, যা উপসর্গের আছে। যেহেতু উপসর্গ স্বাধীন অব্যয়বাচক শব্দ, সেহেতু এদের অনির্দিষ্ট কোনো অর্থ নেই। কিন্তু এরা কোনো শব্দের আগে বসে নতুন নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন—প্র, পরি, উপ, বি, আ ইত্যাদি উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; এগুলো ‘হার’ শব্দের আগে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে পারে।
যেমন—প্র + হার = প্রহার মানে মারা
পরি + হার = পরিহার মানে ত্যাগ করা
উপ + হার = উপহার মানে উপঢৌকন
বি + হার = বিহার মানে ভ্রমণ
আ + হার = আহার মানে খাওয়া ইত্যাদি।
আগে উপসর্গগুলোর অর্থ না থাকলেও ‘হার’ শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই আমরা বলতে পারি, উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই; কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।
অথবা, (খ) সপ্তডিঙা : সপ্তডিঙার সমাহার—দ্বিগু
নীলকণ্ঠ : নীল কণ্ঠ যার—বহুব্রীহি
কালান্তর : অন্য কাল-নিত্য
অনাশ্রিত : নেই আশ্রয় যার—নঞ বহুব্রীহি
আমরণ : মরণ পর্যন্ত—অব্যয়ীভাব
গৃহস্থ : গৃহে থাকে যে উপপদ তত্পুরুষ
প্রবচন : প্র (প্রকৃষ্ট) বচন-প্রাদি
দেবদত্ত : দেবকে দত্ত—চতুর্থী তত্পুরুষ।
৫। (ক) বাক্য—যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে। যেমন—পাখি আকাশে ওড়ে।
গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ : গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা—
১. সরল বাক্য
২. জটিল বাক্য
৩. যৌগিক বাক্য
১. সরল বাক্য : যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা এবং একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন—বালকেরা নদীতে সাঁতার কাটে।
২. জটিল বাক্য : যে বাক্যে একটি স্বাধীন বাক্যের সঙ্গে এক বা একাধিক নির্ভরশীল বাক্য থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন—যদি তুমি আসো, তবে আমি যাব।
৩. যৌগিক বাক্য : দুই বা ততোধিক সরল বাক্য ও, এবং, কিন্তু, অথবা ইত্যাদি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন—ছেলেটি দরিদ্র; কিন্তু মেধাবী।
অথবা, (খ) ১. মাতৃভূমিকে কেউ ঘৃণা করে না।
২. উদারতা কৃপণদের অধর্ম।
৩. যদিও লোকটি গরিব, তবু সে সৎ।
৪. পরিশ্রমীরাই সুখী হয়।
৫. মরতে কী একদিন হবে না?
৬. বিপদে অধীর হইও না।
৭. তিনি ছিলেন, কিন্তু আর নেই।
৮. ঘটনাটি কী ভয়ংকর!
৬। (ক) ১. আমি এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি।
২. বঙ্কিমচন্দ্রের অসাধারণ প্রতিভা ছিল।
৩. সব পাখি নীড় বাঁধে না।
৪. যারে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা।
৫. কেবল টাকার জোরেই সব কিছু হয় না।
৬. তার সহোদর ডাক্তার।
৭. অন্যান্য বিষয়ের আলোচনা পরে হবে।
৮. অন্যায়ের প্রতিফল অনিবার্য।
অথবা, (খ) দরিদ্র আজ আর বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা নয়। আমাদের দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। শুধু দুর্নীতিই আমাদের পেছনে টানে। এ থেকে মুক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রসাধন প্রয়োজন। প্রয়োজন দল-মত-নির্বিশেষে সখ্যও।
৭। (ক) Annexation সংযোজন
Dynamic গতিশীল
Public-work গণপূর্ত
Manuscript পাণ্ডুলিপি
Eye-wash ধোঁকা
Forecast পূর্বাভাষ
Green-room সাজঘর
Impeachment অভিসংশন
Cartoon ব্যঙ্গচিত্র
Revenue রাজস্ব
Up-to-date আধুনিক
Walk-out সভা-বর্জন
Bidder নিলাম ডাকিয়ে
Pay-order পরিশোধ আদেশ
Year-book বর্ষপঞ্জি
অথবা, (খ) বাংলাদেশ এখন স্বাধীন দেশ। গত ২৫ বছর সে খুব দুর্ভোগের মধ্যে ছিল।
কিন্তু তার সে দুর্ভোগ এখন আর নেই। সে এখন অত্যন্ত উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সোনার বাংলাদেশ আবার ধন-সম্পদে ভরে উঠবে।
সম্পর্কিত খবর
পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি লেখো।
উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ।
২।
উত্তর : বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো তিন স্তরবিশিষ্ট।
৩। বাংলাদেশ সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।
৪।
উত্তর : রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
৫। বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কখন?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
১৬।
উত্তর : বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের সংখ্যা ৪৯৫টি।
৭। গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম কী?
উত্তর : গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।
৮। বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।
৯। রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান কয়টি?
উত্তর : রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান চারটি। যথা—
i. জনসমষ্টি, ii. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড,
iii. সরকার ও iv. সার্বভৌমত্ব।
১০। বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়।
১১। রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কী?
উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি সরকার।
১২। বর্তমানে দেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে?
উত্তর : বর্তমানে দেশে ৪,৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে।
১৩। রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?
উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
১৪। এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে?
উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তাকে এককেন্দ্রিক সরকার বলে।
১৫। বিচার বিভাগ কী?
উত্তর : সরকারের যে অঙ্গ বা বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকে তা-ই বিচার বিভাগ।
১৬। সংবিধান কী?
উত্তর : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল।
১৭। সমাজতন্ত্র কী?
উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় উৎপাদনের সকল উপাদান (ভূমি, শ্রম, মূলধন ও ব্যবস্থাপনা) রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে, তা-ই সমাজতন্ত্র।
১৮। স্থানীয় সরকার কাকে বলে?
উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা।
১৯। বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ আছে?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
২০। রাজতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা লাভ করেন তাকে রাজতন্ত্র বলে।
২১। গণতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে রাষ্ট্র বা সরকারব্যবস্থা সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস তাকে গণতন্ত্র বলে।
২২। সুশাসন কী?
উত্তর : যে সরকার দেশ পরিচালনায় সাংবিধানিক এবং আইনগত বিধিমালার অধীনে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় ও জনকল্যাণে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দেয়, তা-ই সুশাসন।
২৩। রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো কী?
উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো সংবিধান।
২৪। কতজন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত?
উত্তর : ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত।
২৫। একনায়কতন্ত্রে কার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়?
উত্তর : একনায়কতন্ত্রে একনায়ক বা এক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
২৬। বাংলাদেশে কয়টি মহানগর রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশে ১২টি মহানগর রয়েছে।
২৭। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কয়টি?
উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চারটি। যথা—জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
২৮। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা কয়টি?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা একটি।
২৯। কত শতাংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়?
উত্তর : দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়।
৩০। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কী?
উত্তর : গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।
৩১। রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি?
উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকার।
৩২। রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ কার মাধ্যমে সাধিত হয়?
উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ সরকারের মাধ্যমে সাধিত হয়।
শখের মৃৎশিল্প
► অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম। অবাক হলাম, পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ। পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই। তেমনি সাদা আঁশ, লাল ঠোঁট।
১। সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ :
i. অনুচ্ছেদটিতে কী সম্পর্কে বলা হয়েছে?
ক. বাংলাদেশের প্রকৃতি
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
গ. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন
ঘ. মৃৎশিল্প
ii. টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়, তাকে কী বলে?
ক. শখের হাঁড়ি খ. টেপা পুতুল
গ. রুপালি ইলিশ ঘ. মৃৎশিল্প
iii. মাটি দিয়ে যেসকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সেগুলোকে কী বলে?
ক. মাটির শিল্প খ. বেতের শিল্প
গ. চামড়াশিল্প ঘ. কাসাশিল্প
iv. নিচের কোনটি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প?
ক. বাঁশশিল্প খ. মাটির শিল্প
গ. বেতের শিল্প ঘ. চামড়াশিল্প
v. আমাদের দেশে কারা এই মাটির জিনিসপত্র যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে?
ক. জেলে সম্প্রদায় খ. বেদে সম্প্রদায়
গ. কুমার সম্প্রদায়
ঘ. তাঁতি সম্প্রদায়
উত্তর : i. ঘ. মৃৎশিল্প
ii. খ. টেপা পুতুল
iii. ক. মাটির শিল্প
iv. খ. মাটির শিল্প
v. গ. কুমার সম্প্রদায়
২।
কিনিলাম, বলিলেন, দেখিলাম, যাইব, আসিয়াছে
উত্তর
সাধু রূপ চলিত রূপ
কিনিলাম কিনলাম
বলিলেন বললেন
দেখিলাম দেখলাম
যাইব যাব
আসিয়াছে আসছে
৩। নিচের শব্দের অর্থগুলো লেখ :
শখ, টেপা পুতুল, মাটির শিল্প, প্রাচীন, কুমার।
উত্তর
প্রদত্ত শব্দ অর্থ
শখ মনের ইচ্ছা।
মাটির শিল্প মাটির তৈরি শিল্পকর্ম বা মৃৎশিল্প।
টেপা পুতুল টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়।
প্রাচীন পুরাতন।
কুমার যারা মাটি দিয়ে নানা জিনিসপত্র তৈরি করেন।
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
ক. শখের হাঁড়ি কাকে বলে?
উত্তর : মাটির তৈরি একটি শিল্পকর্ম হলো শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস যে সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়, তাকে শখের হাঁড়ি বলে।
খ. টেপা পুতুল কাকে বলে?
উত্তর : মাটির তৈরি এক ধরনের পুতুল হলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয় তাকে টেপা পুতুল বলে।
গ. বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি? এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্মের নাম মৃৎশিল্প। আমাদের দেশের প্রাচীন শিল্পগুলোর মধ্যে মাটির শিল্প অন্যতম। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে এসব মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!
‘পাখি’, ‘পিতৃপুরুষের গল্প’, ‘ছবির রং’, ‘সেই ছেলেটি’ ও ‘বহু জাতিসত্তার দেশ—বাংলাদেশ’ গদ্যাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো—
১। ‘পাখি’ গল্পটি কার লেখা?
উত্তর : পাখি গল্পটি লীলা মজুমদারের লেখা।
২। গল্পের কুমু অসুস্থ হলে কারা চিন্তায় পড়ে?
উত্তর : কুমু অসুস্থ হলে তার পরিবার চিন্তায় পড়ে।
৩। ‘হলদে পাখির পালক’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : হলদে পাখির পালক গ্রন্থটি লীলা মজুমদারের লেখা।
৪। ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ হলো অনেক চেষ্টা করে।
৫। পাখি গল্প পাঠের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : পাখি গল্পের পাঠের উদ্দেশ্য হলো প্রাণীদের প্রতি শিক্ষার্থীদের মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।
৬। সোনাঝুরিতে কত মাস থাকবে কুমু?
উত্তর : সোনাঝুরিতে তিন মাস থাকবে কুমু।
৭। দিদিমার বাড়িটি কেমন?
উত্তর : দিদিমার বাড়ি দোতলা।
৮। বিলের জল কেমন?
উত্তর : বিলের জল সাদা চকচকে।
৯।
উত্তর : লাটুর মতে শিকারিদের অনেক মজা, তারা বুনোহাঁস শিকার করতে পারে।
১০। বিদেশি পাখি কখন বাংলাদেশে আসে?
উত্তর : বিদেশি পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে।
১১। অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতর কেমন করতে থাকে?
উত্তর : অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতরে টনটন করতে থাকে।
১২। ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কে বলেছিল?
উত্তর : ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কথাটি বলেছিল দিম্মা।
১৩। হাঁসেরা কোথায় গিয়ে নামল?
উত্তর : হাঁসেরা বিলের জলে গিয়ে নামল।
১৪। ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পটিতে অন্তুর মামার নাম কী?
উত্তর : অন্তুর মামার নাম কাজল।
১৫। ঢাকা শহরের আগের নাম কী?
উত্তর : ঢাকা শহরের আগের নাম জাহাঙ্গীরনগর।
১৬। কাজল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?
উত্তর : কাজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।
১৭। ‘ছবির রং’ লেখাটি কার?
উত্তর : ছবির রং লেখাটি হাশেম খানের।
১৮। মৌলিক রং কোনগুলো?
উত্তর : লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটিই হলো মৌলিক রং।
১৯। কদম ফুল কোন ঋতুতে ফোটে?
উত্তর : কদম ফুল বর্ষাকালে ফোটে।
২০। সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে কখন?
উত্তর : কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে।
২১। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা কেমন?
উত্তর : বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা অনেক মুক্ত, সহজ ও সাহসী।
২২। বাহার শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বাহার শব্দের অর্থ হলো সৌন্দর্য বা শোভা।
২৩। চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে?
উত্তর : অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে।
২৪। ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা?
উত্তর : সেই ছেলেটি একটি নাটিকা।
২৫। নাটিকাটিতে দৃশ্য কয়টি?
উত্তর : নাটিকাটিতে মাত্র তিনটি দৃশ্য।
২৬। প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি হবিগঞ্জ।
মডেল প্রশ্ন
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। নিচের কোন হিসাবটি চলতি সম্পদ?
ক. পুঞ্জীভূত অবচয় খ. নগদান হিসাব
গ. ১০% বিনিয়োগ ঘ. কলকবজা
২। মেশিন সংস্থাপনের জন্য ৫,০০০ টাকা মজুরি প্রদত্ত হলে ডেবিট হবে—
ক. মেরামত হিসাব খ. মজুরি হিসাব
গ. রক্ষণাবেক্ষণ হিসাব
ঘ. যন্ত্রপাতি হিসাব
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির অবচয়যোগ্য মূল্য ১,৮০,০০০ টাকা এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ২০,০০০ টাকা। অবচয়ের হার ১০%।
৩। পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির ক্রয়মূল্য কত?
ক. ১,৬০,০০০ টাকা খ. ১,৮০,০০০ টাকা
গ. ২,০০,০০০ টাকা ঘ. ২,২০,০০০ টাকা
৪। পদ্মা কম্পানি কোন পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করে?
ক. সরলরৈখিক পদ্ধতি
খ. ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি
গ. উৎপাদন একক পদ্ধতি
ঘ. বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি
৫।
ক. অগ্রিম খরচ খ. প্রদত্ত খরচ
গ. প্রদেয় খরচ ঘ. প্রাপ্য আয়
৬। মাহিম ট্রেডার্সের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ঋণের পরিমাণ ৭০,০০০ টাকা, যার ২০,০০০ টাকা পরবর্তী বছরে পরিশোধ করতে হবে। মাহিম ট্রেডার্সের দীর্ঘমেয়াদি দায়ের পরিমাণ কত?
ক. ২০,০০০ টাকা খ. ৫০,০০০ টাকা
গ. ৭০,০০০ টাকা ঘ. ৯০,০০০ টাকা
৭। ২০,০০০ টাকা বিজ্ঞাপন খরচের ৩৫ অংশ অবলোপন করা হলে বিলম্বিত বিজ্ঞাপন ব্যয় কত হবে?
ক. ৪,০০০ টাকা খ. ৮,০০০ টাকা
গ. ১২,০০০ টাকা ঘ. ১৬,০০০ টাকা
৮।
ক. ডেবিট এবং ক্রেডিট
খ. দ্বৈত সত্তা গ. উদ্বৃত্তপত্র
ঘ. হিসাব সমীকরণ
৯। হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কী?
ক. চালান খ. ক্যাশ মেমো
গ. লেনদেন ঘ. ভাউচার
১০। অবচয় একটি—
ক. দৃশ্যমান ব্যয় খ. অদৃশ্যমান ব্যয়
গ. কাল্পনিক ব্যয় ঘ. নগদ ব্যয়
১১। আকিবের নিকট নগদে মাল বিক্রয় ২৫,০০০ টাকা। এ লেনদেনটির জন্য ব্যবহূত প্রামাণ্য দলিল—
i. ক্যাশ মেমো ii. ক্রেডিট নোট
iii. ক্রেডিট ভাউচার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও iii খ. i ও ii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১২।
ক. উত্তোলন ও নগদ কমে যাওয়া
খ. উত্তোলন ও খরচ বেড়ে যাওয়া
গ. খরচ ও দায় কমে যাওয়া
ঘ. খরচ ও দায় বেড়ে যাওয়া
১৩। ক্রয় জাবেদায় কোন ধরনের লেনদেন লেখা হয়?
ক. সম্পদ ক্রয় খ. চেকে ক্রয়
গ. নগদে ক্রয় ঘ. ধারে ক্রয়
১৪। কোন সম্পর্কটি সঠিক?
ক. ক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব
খ. ক্রয় বাট্টা ও প্রাপ্য হিসাব
গ. ক্রয় বাট্টা ও বিক্রয় বাট্টা
ঘ. বিক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব
১৫। প্রাপ্য হিসাব প্রভাবিত হবে এমন লেনদেন—
i. ধারে বিক্রয়
ii. বিক্রয় ফেরত
iii. প্রাপ্য হিসাব আদায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৬। মাসের শুরুতে পেটি ক্যাশিয়ারের হাতে নগদ ছিল ২০০ টাকা। এ মাসে পেয়েছেন ৮০০ টাকা। তার অগ্রদত্ত টাকার পরিমাণ কত?
ক. ১,০০০ টাকা খ. ৮০০ টাকা
গ. ৬০০ টাকা ঘ. ২০০ টাকা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব অরন্য একজন ব্যবসায়ী। তিনি জনাব সুমনের নিকট ৪০,০০০ টাকার পণ্য ৫% বাট্টায় বিক্রয় করে নগদ ১০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকার একটি চেক পেলেন। পরবর্তীতে তিনি জনাব সুমনকে ২০০ টাকা বাট্টা প্রদান করে অবশিষ্ট অর্থ নগদে গ্রহণ করেন।
১৭। ধারে বিক্রয়ের পরিমাণ কত?
ক. ৮,০০০ টাকা খ. ১০,০০০ টাকা
গ. ২৮,০০০ টাকা ঘ. ৩০,০০০ টাকা
১৮। বাট্টা প্রদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীতে—
i. ব্যয় বৃদ্ধি ১,২০০ টাকা, সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা
ii. সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা, ব্যয় বৃদ্ধি ২০০ টাকা
iii. নগদ বৃদ্ধি ৭,৮০০ টাকা, মালিকানা স্বত্ব হ্রাস ২০০ টাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৯। পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অমর্যাদাকৃত চেককে কী বলে?
ক. বাহক চেক খ. অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক
গ. দাগ কাটা চেক ঘ. এন এস এফ চেক
২০। ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ—
i. পাশ বইতে ক্রেডিট করা হয়
ii. পাশ বইতে ডেবিট করা হয়
iii. নগদান বইতে ডেবিট করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২১। আসিফ ট্রেডার্সের ব্যাংক বিবরণী অনুযায়ী ডেবিট ব্যালেন্স ১০,০০০ টাকা। ব্যাংক বিবরণীর এ ডেবিট ব্যালেন্স আসিফ ট্রেডার্সের জন্য কী?
ক. আয় খ. ব্যয়
গ. সম্পত্তি ঘ. দায়
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
যদি ১ জানুয়ারি তারিখে ব্যাংক উদ্বৃত্ত ৩০,০০০ টাকা হয়, ১০ জানুয়ারি ১০,০০০ টাকার চেক পেয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় পক্ষান্তরে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ওই চেকটি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।
২২। ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক উদ্বৃত্ত ছিল কত টাকা?
ক. ১০,০০০ টাকা খ. ২০,০০০ টাকা
গ. ৩০,০০০ টাকা ঘ. ৪০,০০০ টাকা
২৩। চেকটি প্রত্যাখ্যানের কারণে—
i. প্রাপ্য হিসাব ডেবিট হবে
ii. প্রদেয় হিসাব ক্রেডিট হবে
iii. ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৪। নিচের কোন হিসাব রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হবে?
ক. প্রারম্ভিক মজুদ, সমন্বিত ক্রয় ও শিক্ষানবিশ সেলামি
খ. মোট মুনাফা, সমাপনী মজুদ পণ্য ও অগ্রিম বিমা
গ. প্রারম্ভিক, মনিহারি মজুদ, অব্যবহূত মনিহারি ও প্রদেয় মজুরি
ঘ. প্রারম্ভিক মজুদ, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ও উত্তোলন
২৫। দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির উদ্ভব কোন দেশে?
ক. ইতালি খ. গ্রিস
গ. ইংল্যান্ড ঘ. ফ্রান্স
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব রাহাত একজন আসবাবপত্র ব্যবসায়ী। তিনি ৩,০০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ১০% বাট্টায় ‘স্টার ফার্নিচার’ এর নিকট থেকে ক্রয় করে ভুলবশত আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট করেন। তিনি ৩,০০০ টাকা মূল্যের একটি টেবিল ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেন এবং ক্রয়কৃত পণ্যের অর্ধাংশ ১,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করেন, যার পরিবহন ব্যয় ৬০০ টাকা নির্বাহ করা হয়।
২৬। জনাব রাহাতের হিসাব সংরক্ষণে কোন ধরনের ভুল সংঘটিত হয়েছে?
ক. করণিক ভুল খ. নীতিগত ভুল
গ. পরিপূরক ভুল ঘ. বাদ পড়ার ভুল
২৭। লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা কত হবে?
ক. ১১,৪০০ টাকা খ. ১২,০০০ টাকা
গ. ১৪,৪০০ টাকা ঘ. ১৫,০০০ টাকা
২৮। কোনটি হিসাব সংরক্ষণের কোনো স্থায়ী রেকর্ড নয়?
ক. নগদান বই খ. খতিয়ান
গ. আর্থিক বিবরণী ঘ. কার্যপত্র
২৯। সমাপনী দাখিলা দ্বারা—
i. নামিক হিসাব বন্ধ করা হয়
ii. উত্তোলনকে মূলধনে সমন্বয় করা হয়
iii. চলতি সম্পদ হিসাব বন্ধ করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩০। বকেয়া খরচ সমন্বয় করা না হলে—
ক. মুনাফা বেশি ও খরচ কম দেখানো হবে
খ. খরচ কম ও মুনাফা কম দেখানো হবে
গ. মুনাফা কম ও খরচ বেশি দেখানো হবে
ঘ. খরচ বেশি ও মুনাফা বেশি দেখানো হবে।
উত্তর : ১. খ ২. ঘ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. খ
৭. খ ৮. ঘ ৯. গ ১০. খ ১১. ক ১২. খ ১৩. ঘ ১৪. ক ১৫. ঘ ১৬. ক ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ঘ
২০. খ ২১. ঘ ২২. ঘ ২৩. গ ২৪. খ ২৫. ক ২৬. খ ২৭. গ ২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ক।