<p>মডেল টেস্ট (পূর্ণমান-১০০)</p> <p>১।        (ক) উদাহরণসহ ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখো।  ৫</p> <p>অথবা, (খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো :</p> <p>            প্রায়শ্চিত্ত, উপস্থিত, দরখাস্ত, পরীক্ষিত, বিজ্ঞ, গণতন্ত্র, স্বল্প, ক্ষুদ্র।             </p> <p>২।         (ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখো।            ৫</p> <p>অথবা, (খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ বানান লেখো :</p> <p>            বিভিষিকা, কালীদাস, শিরচ্ছেদ, মনিষী, আইনজীবি, মন্ত্রীসভা, কথপোকথোন, ষ্টেডিয়াম।         </p> <p>৩।        (ক) উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।     ৫</p> <p>অথবা, (খ) অনুচ্ছেদ থেকে যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো।</p> <p>            কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে। হঠাৎ টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হলো। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি ও মৃদু হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠল।       </p> <p>৪।        (ক) ‘উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’—উদাহরণসহ বিশ্লেষণ করো।   ৫</p> <p>অথবা, (খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো (যেকোনো পাঁচটি) :</p> <p>            সপ্তডিঙা, নীলকণ্ঠ, কালান্তর, অনাশ্রিত, আমরণ, গৃহস্থ, প্রবচন, দেবদত্ত।</p> <p>৫।        (ক) বাক্য কাকে বলে? গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো। ৫</p> <p>অথবা, (খ) নির্দেশানুসারে বাক্যের রূপান্তর করো (যেকোনো পাঁচটি) :    </p> <p>            ১. মাতৃভূমিকে সবাই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)</p> <p>            ২. উদারতা কৃপণদের ধর্ম নয়। (অস্তিবাচক)</p> <p>            ৩. লোকটি গরিব হলেও সৎ। (জটিল)</p> <p>            ৪. যারা পরিশ্রম করে, তারা সুখী হয়। (সরল)</p> <p>            ৫. মরতে তো একদিন হবেই। (প্রশ্নবাচক)</p> <p>            ৬. বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাবাচক)</p> <p>            ৭. তিনি আর নেই। (যৌগিক)</p> <p>            ৮. ঘটনাটি অত্যন্ত ভয়ংকর। (বিস্ময়সূচক)        </p> <p>৬।        (ক) যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখো :      ৫</p> <p>            ১. আমি এই ঘটনা চাক্ষুস প্রত্যক্ষ করেছি।</p> <p>            ২. বঙ্কিমচন্দ্রের ভয়ংকর প্রতিভা ছিল।</p> <p>            ৩. সব পাখিরা নীড় বাঁধে না।</p> <p>            ৪. যারে দেখতে নারী তার হাঁটা বাঁকা।</p> <p>            ৫. কেবলমাত্র টাকার জোরেই সব কিছু হয় না।</p> <p>            ৬. তার বৈমাত্রেয় সহোদর ডাক্তার।</p> <p>            ৭. অন্যান্য বিষয়গুলোর আলোচনা পরে হবে।</p> <p>            ৮. অন্যায়ের প্রতিফল দুর্নিবার্য।</p> <p>অথবা, (খ) অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করে লেখো :</p> <p>            দারিদ্রতা আজ আর বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা নয়। আমাদের দেশ এখন উন্নতশীল দেশ। কেবলমাত্র দুর্নীতিই আমাদের পেছনে টানে। এ থেকে মুক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন প্রয়োজন। প্রয়োজন দলমত  নির্বিশেষে সখ্যতাও।</p> <p>৭।        (ক) যেকোনো ১০টি শব্দের বাংলা পারিভাষিক রূপ লেখো :</p> <p>            ১০</p> <p>            Annexation, Dynamic, public-work, Manuscript, Eye-wash, Forecast, Green-room, Impeachment, Cartoon, Revenue, Up-to-date, Walk-out, Bidder, Pay-order, Year-book.</p> <p>অথবা, (খ) বাংলায় অনুবাদ করো :</p> <p>            Bangladesh is now a free country. She suffered much during the last twenty five years. But for her, the days of suffering are over. She is going to enter into an age of great prosperity. The golden land of Bangladesh will again be flowing with milk and honey.</p> <p>৮।       (ক) একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরিতে শহীদ মিনারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।      ১০</p> <p>অথবা, (খ) ‘যানজট ভয়াবহ সমস্যা’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো। </p> <p>৯।        (ক) ধূমপানের কুফল জানিয়ে তা থেকে বিরত থাকার জন্য ছোট ভাইকে একটি ই-মেইল করো।   ১০</p> <p>অথবা, (খ) তোমার কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে একটি আমন্ত্রণপত্র রচনা করো। </p> <p>১০।      (ক) সারমর্ম লেখো :      ১০</p> <p>            ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,</p> <p>            হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা</p> <p>            তোমার আদেশে। যেন রসনায় মম</p> <p>            সত্যবাক্য জ্বলি ওঠে খরখড়গ সম</p> <p>            তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান</p> <p>            তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।</p> <p>            অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে</p> <p>            তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।</p> <p>অথবা, (খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো :</p> <p>            সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।</p> <p>১১। (ক) দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে দুই সহপাঠীর সংলাপ রচনা করো।    ১০</p> <p>অথবা, (খ) ‘স্বনির্ভরতার জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি’ এই শিরোনামে একটি খুদে গল্প রচনা করো।    </p> <p>১২।      যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো :        ২০</p> <p>            (ক) জাতীয় উন্নয়নে তথ্য ও প্রযুক্তি</p> <p>            (খ) বাংলাদেশের পোশাকশিল্প</p> <p>            (গ) জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা</p> <p>            (ঘ) পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার</p> <p>            (ঙ) বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মুক্তি।</p> <p style="text-align: center;"><em><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/04 April/01-04-2019/KK_ED_1A.jpg" /></em></p> <p style="text-align: center;"><em>বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়</em></p> <p><strong>মডেল টেস্টের (১-৭) উত্তর</strong></p> <p>১।        (ক) ১. শব্দের আদিতে যদি ‘অ’ থাকে এবং তারপরে ই-কার কিংবা উ-কার থাকে, তবে সে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—অতি (ওতি), অভিযান (ওভিজান) ইত্যাদি।</p> <p>      ২. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে অ-এর উচ্চারণ প্রায়ই ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—অদ্য (ওদদো), অন্য (ওননো) ইত্যাদি।</p> <p>            ৩. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পর ‘ক্ষ’, ‘জ্ঞ’ থাকলে সে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—অক্ষ (ওকখো), দক্ষ (দোকখো) ইত্যাদি।</p> <p>            ৪. শব্দের প্রথমে যদি ‘অ’ থাকে এবং তারপরে ঋ-কার যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—মসৃণ (মোসসৃণ), যকৃৎ (জোককৃত) ইত্যাদি।</p> <p>            ৫. শব্দের প্রথমে ‘অ’-যুক্ত র-ফলা থাকলে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন—ক্রম (ক্রোমো), গ্রহ (গ্রোহো) ইত্যাদি।</p> <p>অথবা, (খ) প্রায়শ্চিত্ত—প্রায়োশচিততো</p> <p>            উপস্থিত—উপোসথিত</p> <p>            দরখাস্ত—দরখাসতো</p> <p>            পরীক্ষিত—পোরিকখিতো</p> <p>            বিজ্ঞ—বিগগোঁ</p> <p>            গণতন্ত্র—গনোতনত্রো</p> <p>            স্বল্প—শলপো</p> <p>    ক্ষুদ্র—খুদদ্রো</p> <p>২। (ক) ১. বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দের বানান অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন—চন্দ্র, সূর্য, ধর্ম ইত্যাদি।</p> <p>            ২. রেফের পরে ব্যঞ্জন বর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন—কার্য, কর্ম ইত্যাদি।</p> <p>            ৩. হস চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে । যেমন—কলকল, ঝরঝর ইত্যাদি।</p> <p>            ৪. শব্দের শেষে বিসর্গ বর্জিত হবে। যেমন—মূলত, কার্যত, প্রধানত ইত্যাদি।</p> <p>            ৫. আনো প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষে ‘ ো’-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন—করানো, পাঠানো ইত্যাদি।</p> <p>অথবা, (খ) বিভিষিকা—বিভীষিকা</p> <p>            কালীদাস—কালিদাস</p> <p>            শিরচ্ছেদ—শিরশ্ছেদ</p> <p>            মনিষী—মনীষী</p> <p>            আইনজীবি—আইনজীবী</p> <p>            মন্ত্রীসভা—মন্ত্রিসভা</p> <p>            কথপোকথোন—কথোপকথন</p> <p>            ষ্টেডিয়াম—স্টেডিয়াম</p> <p>৩। (ক) সর্বনাম পদ : যে পদ সব নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন—সে, তুমি, আমি, ইহা, উহা ইত্যাদি।</p> <p>            সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ :</p> <p>            ১. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ কোনো ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, তাকে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—আমি, তুমি, সে ইত্যাদি।</p> <p>            ২. আত্মবাচক সর্বনাম : কর্তা নিজেই কোনো কাজ করেছে এমন বোঝালে, তাকে আত্মবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—নিজে, আপনি ইত্যাদি।</p> <p>            ৩. নির্দেশক সর্বনাম : এ ধরনের সর্বনাম বক্তার কাছে কোনো কিছুর নৈকট্য, দূরত্ব ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন—এ, এরা, উনি ইত্যাদি।</p> <p>            ৪. অনির্দিষ্ট সর্বনাম : অনির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝাতে এ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়। যেমন—কেউ, কারো ইত্যাদি।</p> <p>            ৫. প্রশ্নবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ দ্বারা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা বোঝায়, তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—কে, কাকে, কার ইত্যাদি।</p> <p>            ৬. সংযোগবাচক সর্বনাম : এ ধরনের সর্বনাম দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায়। যেমন—যে, কি ইত্যাদি।</p> <p>            ৭. সাপেক্ষ সর্বনাম : যে সর্বনাম পরস্পর নির্ভরশীল দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটায় তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন—যত-তত।</p> <p>            ৮. ব্যতিহার সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ পারস্পরিক নির্ভরতা বোঝায়, তাকে ব্যতিহার সর্বনাম বলে। যেমন—নিজেরা নিজেরা, আপনা-আপনি ইত্যাদি।</p> <p>            ৯. সকলবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি বোঝায় তাকে সকলবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—সকল, সব, সবাই ইত্যাদি।</p> <p>            ১০. অন্যবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম পদ নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তাকে অন্যবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—অন্যে, পরের ইত্যাদি।</p> <p>অথবা, (খ) কালো, ভাঙা, বেখেয়ালি, হালকা, মৃদু।</p> <p>৪। (ক) উপসর্গ হলো স্বাধীন অব্যয়বাচক শব্দ, যাদের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; কিন্তু কোনো শব্দের আগে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন—প্র, পরা, পরি ইত্যাদি।</p> <p>                       উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে : অর্থবাচকতা হলো নিজস্ব অর্থ, যা উপসর্গের নেই। আর অর্থদ্যোতকতা হলো অর্থ সৃষ্টির ক্ষমতা, যা উপসর্গের আছে। যেহেতু উপসর্গ স্বাধীন অব্যয়বাচক শব্দ, সেহেতু এদের অনির্দিষ্ট কোনো অর্থ নেই। কিন্তু এরা কোনো শব্দের আগে বসে নতুন নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন—প্র, পরি, উপ, বি, আ ইত্যাদি উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; এগুলো ‘হার’ শব্দের আগে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে পারে।</p> <p>            যেমন—প্র + হার = প্রহার মানে মারা</p> <p>            পরি + হার = পরিহার মানে ত্যাগ করা</p> <p>            উপ + হার = উপহার মানে উপঢৌকন</p> <p>            বি + হার = বিহার মানে ভ্রমণ</p> <p>            আ + হার = আহার মানে খাওয়া ইত্যাদি।</p> <p>            আগে উপসর্গগুলোর অর্থ না থাকলেও ‘হার’ শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই আমরা বলতে পারি, উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই; কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।</p> <p>অথবা, (খ) সপ্তডিঙা :  সপ্তডিঙার সমাহার—দ্বিগু</p> <p>    নীলকণ্ঠ :   নীল কণ্ঠ যার—বহুব্রীহি</p> <p>    কালান্তর :   অন্য কাল-নিত্য</p> <p>    অনাশ্রিত :  নেই আশ্রয় যার—নঞ বহুব্রীহি</p> <p>    আমরণ  :   মরণ পর্যন্ত—অব্যয়ীভাব</p> <p>    গৃহস্থ : গৃহে থাকে যে উপপদ তত্পুরুষ</p> <p>    প্রবচন : প্র (প্রকৃষ্ট) বচন-প্রাদি</p> <p>    দেবদত্ত : দেবকে দত্ত—চতুর্থী তত্পুরুষ।</p> <p>৫। (ক) বাক্য—যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে। যেমন—পাখি আকাশে ওড়ে।</p> <p>            গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ : গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা—</p> <p>            ১. সরল বাক্য</p> <p>            ২. জটিল বাক্য</p> <p>            ৩. যৌগিক বাক্য</p> <p>            ১. সরল বাক্য : যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা এবং একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন—বালকেরা নদীতে সাঁতার কাটে।</p> <p>            ২. জটিল বাক্য : যে বাক্যে একটি স্বাধীন বাক্যের সঙ্গে এক বা একাধিক নির্ভরশীল বাক্য থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন—যদি তুমি আসো, তবে আমি যাব।</p> <p>            ৩. যৌগিক বাক্য : দুই বা ততোধিক সরল বাক্য ও, এবং, কিন্তু, অথবা ইত্যাদি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন—ছেলেটি দরিদ্র; কিন্তু মেধাবী।</p> <p>অথবা, (খ) ১. মাতৃভূমিকে কেউ ঘৃণা করে না।</p> <p>২. উদারতা কৃপণদের অধর্ম।</p> <p>৩. যদিও লোকটি গরিব, তবু সে সৎ।</p> <p>৪. পরিশ্রমীরাই সুখী হয়।</p> <p>৫. মরতে কী একদিন হবে না?</p> <p>৬. বিপদে অধীর হইও না।</p> <p>৭. তিনি ছিলেন, কিন্তু আর নেই।</p> <p>৮. ঘটনাটি কী ভয়ংকর!</p> <p>৬। (ক) ১. আমি এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি।</p> <p>   ২. বঙ্কিমচন্দ্রের অসাধারণ প্রতিভা ছিল।</p> <p>    ৩. সব পাখি নীড় বাঁধে না।</p> <p>    ৪. যারে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা।</p> <p>    ৫. কেবল টাকার জোরেই সব কিছু হয় না।</p> <p>    ৬. তার সহোদর ডাক্তার।</p> <p>    ৭. অন্যান্য বিষয়ের আলোচনা পরে হবে।</p> <p>    ৮. অন্যায়ের প্রতিফল অনিবার্য।</p> <p>অথবা, (খ) দরিদ্র আজ আর বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা নয়। আমাদের দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। শুধু দুর্নীতিই আমাদের পেছনে টানে। এ থেকে মুক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রসাধন প্রয়োজন। প্রয়োজন দল-মত-নির্বিশেষে সখ্যও।</p> <p>৭। (ক) Annexation     সংযোজন</p> <p>    Dynamic              গতিশীল</p> <p>   Public-work          গণপূর্ত</p> <p>    Manuscript           পাণ্ডুলিপি</p> <p>    Eye-wash               ধোঁকা</p> <p>   Forecast                 পূর্বাভাষ</p> <p>   Green-room            সাজঘর</p> <p>   Impeachment          অভিসংশন</p> <p>   Cartoon                 ব্যঙ্গচিত্র</p> <p>   Revenue                রাজস্ব</p> <p>    Up-to-date              আধুনিক</p> <p>   Walk-out                সভা-বর্জন</p> <p>   Bidder                   নিলাম ডাকিয়ে</p> <p>   Pay-order              পরিশোধ আদেশ</p> <p>   Year-book              বর্ষপঞ্জি</p> <p>অথবা, (খ) বাংলাদেশ এখন স্বাধীন দেশ। গত ২৫ বছর সে খুব দুর্ভোগের মধ্যে ছিল।</p> <p>            কিন্তু তার সে দুর্ভোগ এখন আর নেই। সে এখন অত্যন্ত উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সোনার বাংলাদেশ আবার ধন-সম্পদে ভরে উঠবে।</p>