ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭
এইচএসসি প্রস্তুতি

বাংলা দ্বিতীয়পত্র

  • মো. শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
বাংলা দ্বিতীয়পত্র

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (বাংলা উচ্চারণের নিয়ম)

 

প্রশ্ন-১। বাংলা ‘অ’-ধ্বনি উচ্চারণের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর : নিচে বাংলা ‘অ’-ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম তুলে ধরা হলো।

১।

শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে ‘য’ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’ কারের মতো হয়। যেমন—অদ্য (ওদদো), কন্যা (কোননা) ইত্যাদি।

২। ‘অ’-যদি না-বোধক হয় তাহলে ‘অ’-ধ্বনির উচ্চারণ অবিকৃত থাকে।

যেমন—অনিয়ম, অদূর, অমর ইত্যাদি।

৩। ‘অ’-এর পরে ‘ক্ষ’ থাকলে সে ক্ষেত্রে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’ ধ্বনির মতো হয়। যেমন—অক্ষ (ওকখো), দক্ষ (দোকখো) ইত্যাদি।

৪। ‘অ’-এর পরে যদি ই, ঈ, উ, ঊ থাকে তাহলে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’ ধ্বনির মতো হয়। যেমন—অভিমান (ওভিমান), নদী (নোদি) ইত্যাদি।

৫। শব্দের প্রথমে ‘অ’-যুক্ত ‘র’ ফলা থাকলে সে ক্ষেত্রেও আদ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’কারের মতো হয়।

যেমন—ক্রম (ক্রোমো), ব্রত (ব্রোতো) ইত্যাদি।

প্রশ্ন-২। ‘এ’-ধ্বনি উচ্চারণের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর : নিচে ‘এ’-ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ উপস্থাপন করা হলো।

১। একাক্ষর সর্বনাম পদের ‘এ’-সাধারণত স্বাভাবিকভাবে অর্থাৎ অবিকৃত ‘এ’-কার রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন—কে, সে, যে ইত্যাদি।

২। শব্দের প্রথমে যদি ‘এ’-কার থাকে এবং তার পরে ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ও, য়, র, ল, শ, এবং হ থাকলে সাধারণত ‘এ’- অবিকৃতভাবে উচ্চারিত হয়। যেমন—একি, দেখি, মেকি ইত্যাদি।

৩। ‘এ’-কার যুক্ত একাক্ষর ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয়যুক্ত হলে, সাধারণত সে ‘এ’-কারের উচ্চারণ ‘অ্যা’ হয়ে থাকে । যেমন—ঠেলা (ঠ্যালা), ক্ষেপা (খ্যাপা) ইত্যাদি।

৪। এক, এগারো, তেরো ইত্যাদি সংখ্যাবাচক শব্দের ‘এ’-ধ্বনি ‘অ্যা’-এর মতো উচ্চারিত হয়। যেমন—অ্যাক, অ্যাগারো, ত্যারো ইত্যাদি।

৫। বর্তমানের অনুজ্ঞায়, তুচ্ছার্থে ও মধ্যম পুরুষের ক্রিয়াপদে ‘এ’-এর উচ্চারণ ‘অ্যা’-এর মতো হয়। যেমন—দেখ (দ্যাখ), খেলা (খ্যালা) ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৩। ব-ফলা উচ্চারণের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর : ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখা হলো—

১। পদের আদিতে অবস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-ফলার কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন—জ্বলন্ত (জলোনতো), স্বাগত (শাগতো) ইত্যাদি।

২। পদের মধ্যে বা শেষে অবস্থিত কোনো বর্ণের সঙ্গে ‘ব-ফলা’ যুক্ত হলে সংযুক্ত বর্ণটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন—আশ্বিন (আশশিন), অশ্ব (অশশো) ইত্যাদি।

৩। ম-ব্যঞ্জনের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন— লম্বা (লমবো), কম্বল (কমবোল) ইত্যাদি।

৪। ব-ব্যঞ্জনের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন—আব্বা (আববা), ডিব্বা (ডিববা) ইত্যাদি।

৫। ব-ফলা অন্য কোনো যুক্ত ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকে। যেমন—সান্ত্বনা (শানতোনা), দ্বন্দ্ব (দনদো) ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৪। ম-ফলা উচ্চারণের যেকোনো পাঁঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর : নিচে ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ দেওয়া হলো—

১। শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে অবস্থিত ‘ম-ফলা’ যুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দ্বিত্ব হয় ও কিছুটা নাসিক্য প্রভাবিত হয়। যেমন—পদ্ম (পদদোঁ), ভস্ম (ভশশোঁ) ইত্যাদি।

২। কোনো শব্দের প্রথম বর্ণে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-ফলা অনুচ্চারিত থাকে এবং কিছুটা নাসিক্যরূপে উচ্চারিত হয়। যেমন—শ্মশান (শঁশান), স্মরণ (শঁরোন্) ইত্যাদি।

৩। গ, ঙ, ট, ণ, ন, ম ও ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন—যুগ্ম (জুগমো), তন্ময় (তনময়) ইত্যাদি।

৪। শব্দের শেষ ম-ফলা যুক্ত হলে ম-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন—বাগ্মী (বাগমি), যুগ্ম (জুগমো) ইত্যাদি।

৫। কিছু সংস্কৃত শব্দে ম-ফলার উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন— কুষ্মাণ্ড (কুশমানডো), সুস্মিতা (শুসমিতা) ইত্যাদি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৩০।        আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ

  ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার     খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

  গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা

  উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

৩১।        বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?

  ক. ১৮৫৭    খ. ১৯০৮

  গ. ১৯৭৭     ঘ. ১৯৩৭

  উত্তর : গ. ১৯৭৭

৩২।        নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?

  ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক

  গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম

  উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান
সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। অঙ্কন : প্রসূন হালদার

চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। শ্বসনিক বস্তু কী?

  উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমনশর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।

২।

অবাত শ্বসন কী?

  উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।

৩। ফার্মেন্টেশন কী?

  উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।

৪।

ফটোলাইসিস কী?

  উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।

৫।        C3 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।

এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে  C3 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C3 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলে।

৬। জীবনীশক্তি কী?

  উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।

৭।

ফটোফসফোরাইলেশন কী?

  উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP  ও অজৈব ফসফেট (Pi)  এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP  তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।

৮। NADPH  শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।

  উত্তর :  NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।

৯।        সালোক সংশ্লেষণ কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।

১০।  ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?

  উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP  তৈরি হয়। ATP

শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।

১১।       C4 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।

১২।       শ্বসন কী?

  উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।

 

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলোএলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।

 

যোগ্যতা

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।

বিজ্ঞান শাখায় উক্ত পরীক্ষাগুলোর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থীরাও উপরের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন গেটওয়ে অথবা পে-স্লিপ ডাউনলোড করে এই ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে ৩১ জুলাই রাত ১২টার মধ্যে। অনলাইন থেকে আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি ৭ আগস্টের মধ্যে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকবে।


ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।

সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।


ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।

 

ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions

 

 

মন্তব্য

মজার গণিত

শেয়ার
মজার গণিত

  ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯

  গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক

 

৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।

  উদাহরণ

  ৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯

  ৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯

  ৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯

  ৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯

 

যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।

  উদাহরণ

  ৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪

  মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,

  ৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩

  বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,

  ৫ + ১ + ৩ = ৯

 

৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে। 

  যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।

৩ দশকের ঘরে বসাও। এর পর ভাঁজ করা আঙুলের পরে গুনে দেখো কয়টি আঙুল আছে? অবশ্যই ছয়টি আঙুল। ৬ এককের ঘরে বসাও। তাহলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৩৬।

  এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।

সৈয়দা জুয়েলী আকতার

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ