জেএসসি পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের লিখিত অংশের প্রশ্নপত্রে সবার শেষে থাকবে ‘প্রবন্ধ রচনা’। একটি বিষয়ের ওপর রচনা লিখতে হবে। রচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে কোনো ইঙ্গিত কিংবা উপশিরোনাম থাকবে না। মান ১৫
ক) বাংলাদেশের ষড়ঋতু
সূচনা : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ।
জেএসসি পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের লিখিত অংশের প্রশ্নপত্রে সবার শেষে থাকবে ‘প্রবন্ধ রচনা’। একটি বিষয়ের ওপর রচনা লিখতে হবে। রচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে কোনো ইঙ্গিত কিংবা উপশিরোনাম থাকবে না। মান ১৫
ক) বাংলাদেশের ষড়ঋতু
সূচনা : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ।
তুমি বিচিত্র রূপিনী।
ষড়ঋতুর পরিচয় : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর বিচিত্র লীলাভূমি। পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ঋতুর সংখ্যা চারটি হলেও প্রকৃতি ও আবহাওয়ার কারণে আমাদের দেশে বছরের ১২ মাসকে দুই মাস করে ভাগ করা হয়েছে। ঋতুগুলো চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে প্রকৃতিকে বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
গ্রীষ্মকাল : বাংলা বর্ষের শুরু হয় গ্রীষ্ম দিয়ে।
‘ঘাম ঝরে দরদর গ্রীষ্মের দুপুরে,
খাল-বিল চৌচির জল নেই পুকুরে।’
এই সময়েই আবার কালবৈশাখীর দুরন্ত ঝোড়ো হাওয়ায় সব কিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। হঠাৎ করে আকাশে কালো মেঘের ছোটাছুটি, বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে কানে তালা লাগা প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। তারপর ঝড় ও বৃষ্টি। প্রকৃতিতে রঙের নানা রকম খেলা চলে। তাই গ্রীষ্ম শুধু পোড়ায় না, অকৃপণ হাতে দান করে আম, জাম, লিচু, কলা, কাঁঠাল ও তরমুজের মতো ফল। লাল, হলুদ, সবুজ, কালো, কমলা রঙের এই বাহারি ফলগুলোর স্বাদও মিষ্টি।
বর্ষাকাল : ‘জল ঝরে জল ঝরে সারা দিন সারা রাত,
অফুরান নামতায় বাদলের ধারাপাত
আকাশের মুখ ঢাকা, ধোঁয়া মাখা চারিধার,
পৃথিবীর ছাত পিটে ঝমাঝম বারিধার’
(শ্রাবণে : সুকুমার রায়)
এই হলো বাংলার বর্ষা ঋতুর রূপ। আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে আসে বর্ষা ঋতু। ঝম ঝম শব্দের সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি, মেঘের গুরুগম্ভীর গর্জনে প্রকৃতি যেন শিউরে ওঠে। মাঠ, খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে টইটম্বুর। পানি পেয়ে সজীব হয় গাছপালা। জনজীবনে নেমে আসে প্রশান্তি। কৃষকরা জমিতে ধান-পাটের চারা রোপণ করে। সাদা ও কমলা রঙের কদম বর্ষা ঋতুর ফুল। আরো ফোটে কেয়া, জুঁই। বর্ষায় পাওয়া যায় আনারস, পেয়ারা প্রভৃতি ফল।
শরৎকাল : বর্ষার পরে শরৎ আসে তার শারদীয় বরণ ডালা সাজিয়ে। এ সময় সাদা মেঘমালা ভেসে বেড়ায় নীল আকাশে। নদীর তীরে বসে সাদা কাশফুলের মেলা। আকাশে মালা গেঁথে উড়ে চলে সাদা বকের সারি। প্রকৃতির এই শুভ্রতার মাঝে সবুজ ধানের ক্ষেতে বাতাস নেচে যায় দামাল ছেলের মতো। আর রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে অজস্র তারার মেলা। টগর, গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, শিউলি-বকুলের গন্ধে আকাশ-বাতাস আমোদিত হয়।
শাপলার হাসিতে ঝলমল করে ওঠে বিলের জল। শরতের এই অপরূপ সৌন্দর্যের জন্যই একে বলা হয় ঋতুর রানি।
হেমন্তকাল : এই তো হেমন্ত দিন, দিন নব ফসল সম্ভার,
অঙ্গনে অঙ্গনে ভরি, এই রূপ আমার বাংলার।
শরতের শিউলি ঝরা পথ ধরে কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে ঘটে হেমন্ত ঋতুর আগমন। এ ঋতু আসে সোনালি স্বপ্ন নিয়ে। সবুজ ধানক্ষেতের রং হলুদ হতে শুরু করে। অগ্রহায়ণ মাসে পুরো মাঠে হলুদ বা গেরুয়া রঙের বাহার অর্থাৎ এ সময় ধান পেকে যায় আর চাষিরা দলবেঁধে ফসল কাটা শুরু করে। কবি গুরুর ভাষায়—
ধরার আঁচল ভরিয়ে দিলে প্রচুর সোনার ধানে, দিগঙ্গনার অঙ্গন আজি পূর্ণ তোমার দানে।
এ সময় নবান্ন উৎসব, পিঠা-পুলির গন্ধে বাতাস মৌ মৌ করে।
শীতকাল : এর পরই আসে পৌষ ও মাঘ নিয়ে শীতকাল। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আসে এই শীত, আর সব প্রকৃতিতে করে দেয় নিরাভরণ। গাছের পাতা যায় ঝরে, প্রকৃতি হয়ে পড়ে বিবর্ণ। মনে হয় প্রকৃতি যেন কোনো এক জাদুর কাঠির স্পর্শে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কবির ভাষায়—
‘শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন আমলকীর ওই ডালে ডালে,
পাতাগুলি শিরশিরিয়ে ঝরিয়ে দিল তালে তালে।’
শীতের রোদের কিরণ খুবই আরামদায়ক। এ সময় নানা সবজি ও ফলে হাট-বাজার ছেয়ে যায়।
বসন্তকাল : ফাল্গুন ও চৈত্র মাস নিয়ে ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত আসে। এ সময় গাছে গাছে চলে ফুল ফোটাবার প্রতিযোগিতা। নানা রঙের পালকে সেজে ছোট-বড় সব পাখি গাছে গাছে নেচে বেড়ায়।
অন্যদিকে হাজারো রঙের প্রজাপতি, কোকিলের কুহুতান, শালিক, ময়না, টিয়ার ডাকাডাকিতে প্রকৃতি যেন হয়ে ওঠে মুখর। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার ডালে ফোটে লাল লাল ফুল। কবির ভাষায়—
‘আহা আজি এ বসন্তে
এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে
এত পাখি গায়।’
উপসংহার : এভাবেই একের পর এক ঋতু এসে আমাদের মনকে রাঙিয়ে দিয়ে যায় বারবার। ষড়ঋতুর এই অবিরাম লীলায় প্রকৃতি হয়ে ওঠে অপরূপা। মনের আনন্দে কবি তাই আবারও গেয়ে ওঠেন—
‘ঋতুর দল নাচিয়া চলে,
ভরিয়া ডালি ফুল ও ফলে।’
ছয়টি ঋতুর আবির্ভাবে প্রকৃতি বিচিত্র রূপ ধারণ করে। নানা রঙে প্রকৃতি আল্পনা আঁকে মাটির বুকে, আকাশের গায়ে আর মানুষের মনে। তাই ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে জীবনেরও রং বদলায়
খ) দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
ভূমিকা : বর্তমান জীবন একান্তভাবেই বিজ্ঞাননির্ভর। বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও উদ্ভাবন জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই মানুষের নানা প্রয়োজন মেটাচ্ছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সমৃদ্ধ করছে। মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে, প্রয়োজনীয় কাজ-কর্মে, বিনোদনসহ সব কর্মকাণ্ডে বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো অতুলনীয় সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। এককথায় দৈনন্দিন জীবনের প্রতি পদক্ষেপে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের উপযোগিতা সর্বজন স্বীকৃত।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান : দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে পূর্ণাঙ্গরূপে কাজে লাগিয়েছে ইউরোপে শিল্প বিপ্লব ঘটে যাওয়ার পর থেকে, উনিশ শতকে। ওই সময়েই মানুষ বাষ্পীয় শক্তিকে নানাভাবে ব্যবহার করতে শেখে। বিদ্যুত্শক্তির আবিষ্কার মানবজীবন ও সভ্যতার চেহারা পাল্টে দিয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে করেছে স্বাচ্ছন্দ্যময়। অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবন সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে বিদ্যুৎ চালিত বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে।
ঘরের কাজে বিজ্ঞান : গৃহিণীরা ঘর-গৃহস্থালির কাজে কাঠ, পাতা, লাকড়ি পুড়িয়ে রান্নাবান্নার বদলে গ্যাসের চুলা, ইলেকট্রিক হিটার, কুকিং রেঞ্জ, ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওভেন ব্যবহার করে। স্বল্প সময়ে সারাক্ষণ সামনে না থেকে ভাত ও অন্যান্য জিনিস রান্না করার জন্য রাইস কুকার, প্রেসার কুকার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ফলের জুস ও মসলা গুঁড়া করার জন্য ব্লেন্ডার, গ্রাইন্ডার; দুধ দোহন করার জন্য মিল্কার, রান্না করা অথবা কাঁচা শাকসবজি দীর্ঘ দিন সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। নারীর কাজ সহজ ও আরামপ্রদ করার জন্য শহরাঞ্চলে ঘর মোছার জন্য মপিং ব্রাশ, কাপড় ধোয়া ও শুকানোর কাজে ওয়াশিং মেশিন, পরিপাটি করে রাখার জন্য ইস্ত্রি ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নততর প্রযুক্তি। গরমে তালপাতার পাখার পরিবর্তে ইলেকট্রিক ফ্যান, এয়ারকুলার, এয়ারকন্ডিশন মেশিন, আর শীতে ব্যবহৃত হচ্ছে রুম হিটার।
সাজসজ্জার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান : শহরাঞ্চলে বিজ্ঞান আরো যে কত উপকরণ দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। বিজ্ঞান নারী-পুরুষের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। চুল, চোখ, মুখ ও ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় নানা ধরনের তেল, ক্রিম, চুল সোজা, কোঁকড়া ও শুকানোর কাজে স্ট্রেইটনার, হেয়ার ড্রায়ার ইত্যাদি খুচরা উপকরণ ছাড়াও বিজ্ঞানের কল্যাণে বহু বিউটি পার্লার গড়ে উঠেছে। তবে ঘরে বসেই নারী-পুরুষ সৌন্দর্য চর্চার এসব উপকরণ অনায়াসেই পাচ্ছে এবং ব্যবহার করছে।
বিনোদনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান : মানুষের জীবনে আনন্দ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে রেডিও, টেলিভিশন, ভিডিও গেম, কম্পিউটার, আই পড, আই প্যাড ইত্যাদি উপকরণ। ঘরে বসেই মানুষ এসব যন্ত্র ব্যবহার করে আনন্দ উপভোগ করছে। এখন আমরা ঘরে বসেই এশিয়ার বিশ্বকাপ ফুটবল, ক্রিকেট, অলিম্পিক গেমস, কুস্তি, হকি ইত্যাদি খেলাসহ বিনোদনের সব ধরনের সংবাদ দেখতে ও শুনতে পাচ্ছি।
যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিজ্ঞান : বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে ঘরে বসেই মানুষ যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করছে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ, কম্পিউটার, সেলফোন, ফ্যাক্স মেশিন, ই-মেইল ও ইন্টারনেটের মতো উন্নত প্রযুক্তি।
শিক্ষাক্ষেত্রে : মানুষ ঘরে বসেই শিক্ষার সব সুযোগ-সুবিধা বিজ্ঞানের বদৌলতে লাভ করছে। আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির অন্যতম বাহন কম্পিউটার। এর মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ঘরে বসেই লাভ করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব কিছুই ডাউনলোড করে ছেপে যেমন বের করা যায়, তেমনি কোনো বন্ধু বা ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়। মোট কথা তথ্য-প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনা এই যন্ত্রটি শিক্ষাব্যবস্থাকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। এ ছাড়া আমরা টাইপরাইটার, ফ্যাক্স, ক্যালকুলেটর, মোবাইলসহ যেসব জিনিস শিক্ষার কাজে ব্যবহার করি তার সব কিছুই এক কম্পিউটারেই পাওয়া যায়।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান : চিকিৎসার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করেছে দুর্ভাবনামুক্ত। ডাক্তার, হাসপাতাল ছাড়াও ঘরে বসেই আমরা ছোটখাটো সব ধরনের চিকিৎসা কাজ চালাতে পারি চিকিৎসাবিজ্ঞানের বদৌলতে। শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার, রক্তচাপ ও ওজন মাপার যন্ত্র, বহুমূত্র রোগে রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষা করা যায়। এ ছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে নির্ধারিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নেওয়া যায়।
গ্রামীণ জীবনে বিজ্ঞান : বিদ্যুতের কল্যাণে গ্রামেও আজকাল শহরের মতো বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ফলে শহরের মতো গ্রামীণ জীবনও হয়েছে স্বাচ্ছন্দ্যময়। যোগাযোগ ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অবদানের জন্য মানুষ আজ দূরকে করেছে নিকটপ্রতিবেশী। বাস, রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল সবই এখন গ্রামীণ জীবনের অংশ। ফলে বিজ্ঞান শহুরে জীবনকে অতিক্রম করে পৌঁছে গেছে গ্রামে। শহরে মানুষ যেমন নিজেদের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে বিজ্ঞানকে নিত্যসঙ্গী করেছে, তেমনি গ্রামের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের জীবনেও ইলেকট্রিক হিটার, রান্নার গ্যাস, প্রেসার কুকার, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞানের প্রভাবের অপকারিতা : দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা মানুষের অনেক ক্ষতি করেছে। যন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করতে গিয়ে মানুষ পরিশ্রমবিমুখ হয়ে উঠেছে। মানসিক পরিশ্রমের তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম কম করছে। ফলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মানসিক ভারসম্য নষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের জীবনে কৃত্রিমতা ঘনীভূত হচ্ছে। মানুষের স্নেহ, মায়া-মমতার মতো সদ্গুণগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ছে। বিজ্ঞান-নির্ভর যন্ত্রশক্তির ওপর অন্ধ আস্থা স্থাপন করতে গিয়ে মানুষ যান্ত্রিক হয়ে উঠছে।
উপসংহার : আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োজনীয় বস্তু আজ একেবারে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে বিজ্ঞান। সকাল থেকে সন্ধ্যা, আবার সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত—যা কিছু অমাদের প্রয়োজনীয়, তার সবই বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান আজ আমাদের নিত্য সহচর। বিজ্ঞান আমাদের জীবনযাপনকে করেছে সহজ-সরল। তবে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব শুধু যে কল্যাণ করছে তা নয়, অনেক ক্ষতিও করছে। তাই বিজ্ঞানের অপব্যবহার না করে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।
সম্পর্কিত খবর
পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি লেখো।
উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ।
২।
উত্তর : বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো তিন স্তরবিশিষ্ট।
৩। বাংলাদেশ সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।
৪।
উত্তর : রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
৫। বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কখন?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
১৬।
উত্তর : বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের সংখ্যা ৪৯৫টি।
৭। গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম কী?
উত্তর : গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।
৮। বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।
৯। রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান কয়টি?
উত্তর : রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান চারটি। যথা—
i. জনসমষ্টি, ii. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড,
iii. সরকার ও iv. সার্বভৌমত্ব।
১০। বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়।
১১। রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কী?
উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি সরকার।
১২। বর্তমানে দেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে?
উত্তর : বর্তমানে দেশে ৪,৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে।
১৩। রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?
উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
১৪। এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে?
উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তাকে এককেন্দ্রিক সরকার বলে।
১৫। বিচার বিভাগ কী?
উত্তর : সরকারের যে অঙ্গ বা বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকে তা-ই বিচার বিভাগ।
১৬। সংবিধান কী?
উত্তর : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল।
১৭। সমাজতন্ত্র কী?
উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় উৎপাদনের সকল উপাদান (ভূমি, শ্রম, মূলধন ও ব্যবস্থাপনা) রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে, তা-ই সমাজতন্ত্র।
১৮। স্থানীয় সরকার কাকে বলে?
উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা।
১৯। বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ আছে?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
২০। রাজতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা লাভ করেন তাকে রাজতন্ত্র বলে।
২১। গণতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে রাষ্ট্র বা সরকারব্যবস্থা সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস তাকে গণতন্ত্র বলে।
২২। সুশাসন কী?
উত্তর : যে সরকার দেশ পরিচালনায় সাংবিধানিক এবং আইনগত বিধিমালার অধীনে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় ও জনকল্যাণে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দেয়, তা-ই সুশাসন।
২৩। রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো কী?
উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো সংবিধান।
২৪। কতজন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত?
উত্তর : ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত।
২৫। একনায়কতন্ত্রে কার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়?
উত্তর : একনায়কতন্ত্রে একনায়ক বা এক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
২৬। বাংলাদেশে কয়টি মহানগর রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশে ১২টি মহানগর রয়েছে।
২৭। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কয়টি?
উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চারটি। যথা—জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
২৮। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা কয়টি?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা একটি।
২৯। কত শতাংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়?
উত্তর : দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়।
৩০। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কী?
উত্তর : গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।
৩১। রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি?
উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকার।
৩২। রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ কার মাধ্যমে সাধিত হয়?
উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ সরকারের মাধ্যমে সাধিত হয়।
শখের মৃৎশিল্প
► অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম। অবাক হলাম, পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ। পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই। তেমনি সাদা আঁশ, লাল ঠোঁট।
১। সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ :
i. অনুচ্ছেদটিতে কী সম্পর্কে বলা হয়েছে?
ক. বাংলাদেশের প্রকৃতি
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
গ. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন
ঘ. মৃৎশিল্প
ii. টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়, তাকে কী বলে?
ক. শখের হাঁড়ি খ. টেপা পুতুল
গ. রুপালি ইলিশ ঘ. মৃৎশিল্প
iii. মাটি দিয়ে যেসকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সেগুলোকে কী বলে?
ক. মাটির শিল্প খ. বেতের শিল্প
গ. চামড়াশিল্প ঘ. কাসাশিল্প
iv. নিচের কোনটি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প?
ক. বাঁশশিল্প খ. মাটির শিল্প
গ. বেতের শিল্প ঘ. চামড়াশিল্প
v. আমাদের দেশে কারা এই মাটির জিনিসপত্র যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে?
ক. জেলে সম্প্রদায় খ. বেদে সম্প্রদায়
গ. কুমার সম্প্রদায়
ঘ. তাঁতি সম্প্রদায়
উত্তর : i. ঘ. মৃৎশিল্প
ii. খ. টেপা পুতুল
iii. ক. মাটির শিল্প
iv. খ. মাটির শিল্প
v. গ. কুমার সম্প্রদায়
২।
কিনিলাম, বলিলেন, দেখিলাম, যাইব, আসিয়াছে
উত্তর
সাধু রূপ চলিত রূপ
কিনিলাম কিনলাম
বলিলেন বললেন
দেখিলাম দেখলাম
যাইব যাব
আসিয়াছে আসছে
৩। নিচের শব্দের অর্থগুলো লেখ :
শখ, টেপা পুতুল, মাটির শিল্প, প্রাচীন, কুমার।
উত্তর
প্রদত্ত শব্দ অর্থ
শখ মনের ইচ্ছা।
মাটির শিল্প মাটির তৈরি শিল্পকর্ম বা মৃৎশিল্প।
টেপা পুতুল টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়।
প্রাচীন পুরাতন।
কুমার যারা মাটি দিয়ে নানা জিনিসপত্র তৈরি করেন।
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
ক. শখের হাঁড়ি কাকে বলে?
উত্তর : মাটির তৈরি একটি শিল্পকর্ম হলো শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস যে সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়, তাকে শখের হাঁড়ি বলে।
খ. টেপা পুতুল কাকে বলে?
উত্তর : মাটির তৈরি এক ধরনের পুতুল হলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয় তাকে টেপা পুতুল বলে।
গ. বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি? এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্মের নাম মৃৎশিল্প। আমাদের দেশের প্রাচীন শিল্পগুলোর মধ্যে মাটির শিল্প অন্যতম। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে এসব মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!
‘পাখি’, ‘পিতৃপুরুষের গল্প’, ‘ছবির রং’, ‘সেই ছেলেটি’ ও ‘বহু জাতিসত্তার দেশ—বাংলাদেশ’ গদ্যাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো—
১। ‘পাখি’ গল্পটি কার লেখা?
উত্তর : পাখি গল্পটি লীলা মজুমদারের লেখা।
২। গল্পের কুমু অসুস্থ হলে কারা চিন্তায় পড়ে?
উত্তর : কুমু অসুস্থ হলে তার পরিবার চিন্তায় পড়ে।
৩। ‘হলদে পাখির পালক’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : হলদে পাখির পালক গ্রন্থটি লীলা মজুমদারের লেখা।
৪। ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ হলো অনেক চেষ্টা করে।
৫। পাখি গল্প পাঠের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : পাখি গল্পের পাঠের উদ্দেশ্য হলো প্রাণীদের প্রতি শিক্ষার্থীদের মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।
৬। সোনাঝুরিতে কত মাস থাকবে কুমু?
উত্তর : সোনাঝুরিতে তিন মাস থাকবে কুমু।
৭। দিদিমার বাড়িটি কেমন?
উত্তর : দিদিমার বাড়ি দোতলা।
৮। বিলের জল কেমন?
উত্তর : বিলের জল সাদা চকচকে।
৯।
উত্তর : লাটুর মতে শিকারিদের অনেক মজা, তারা বুনোহাঁস শিকার করতে পারে।
১০। বিদেশি পাখি কখন বাংলাদেশে আসে?
উত্তর : বিদেশি পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে।
১১। অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতর কেমন করতে থাকে?
উত্তর : অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতরে টনটন করতে থাকে।
১২। ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কে বলেছিল?
উত্তর : ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কথাটি বলেছিল দিম্মা।
১৩। হাঁসেরা কোথায় গিয়ে নামল?
উত্তর : হাঁসেরা বিলের জলে গিয়ে নামল।
১৪। ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পটিতে অন্তুর মামার নাম কী?
উত্তর : অন্তুর মামার নাম কাজল।
১৫। ঢাকা শহরের আগের নাম কী?
উত্তর : ঢাকা শহরের আগের নাম জাহাঙ্গীরনগর।
১৬। কাজল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?
উত্তর : কাজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।
১৭। ‘ছবির রং’ লেখাটি কার?
উত্তর : ছবির রং লেখাটি হাশেম খানের।
১৮। মৌলিক রং কোনগুলো?
উত্তর : লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটিই হলো মৌলিক রং।
১৯। কদম ফুল কোন ঋতুতে ফোটে?
উত্তর : কদম ফুল বর্ষাকালে ফোটে।
২০। সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে কখন?
উত্তর : কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে।
২১। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা কেমন?
উত্তর : বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা অনেক মুক্ত, সহজ ও সাহসী।
২২। বাহার শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বাহার শব্দের অর্থ হলো সৌন্দর্য বা শোভা।
২৩। চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে?
উত্তর : অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে।
২৪। ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা?
উত্তর : সেই ছেলেটি একটি নাটিকা।
২৫। নাটিকাটিতে দৃশ্য কয়টি?
উত্তর : নাটিকাটিতে মাত্র তিনটি দৃশ্য।
২৬। প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি হবিগঞ্জ।
মডেল প্রশ্ন
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। নিচের কোন হিসাবটি চলতি সম্পদ?
ক. পুঞ্জীভূত অবচয় খ. নগদান হিসাব
গ. ১০% বিনিয়োগ ঘ. কলকবজা
২। মেশিন সংস্থাপনের জন্য ৫,০০০ টাকা মজুরি প্রদত্ত হলে ডেবিট হবে—
ক. মেরামত হিসাব খ. মজুরি হিসাব
গ. রক্ষণাবেক্ষণ হিসাব
ঘ. যন্ত্রপাতি হিসাব
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির অবচয়যোগ্য মূল্য ১,৮০,০০০ টাকা এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ২০,০০০ টাকা। অবচয়ের হার ১০%।
৩। পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির ক্রয়মূল্য কত?
ক. ১,৬০,০০০ টাকা খ. ১,৮০,০০০ টাকা
গ. ২,০০,০০০ টাকা ঘ. ২,২০,০০০ টাকা
৪। পদ্মা কম্পানি কোন পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করে?
ক. সরলরৈখিক পদ্ধতি
খ. ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি
গ. উৎপাদন একক পদ্ধতি
ঘ. বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি
৫।
ক. অগ্রিম খরচ খ. প্রদত্ত খরচ
গ. প্রদেয় খরচ ঘ. প্রাপ্য আয়
৬। মাহিম ট্রেডার্সের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ঋণের পরিমাণ ৭০,০০০ টাকা, যার ২০,০০০ টাকা পরবর্তী বছরে পরিশোধ করতে হবে। মাহিম ট্রেডার্সের দীর্ঘমেয়াদি দায়ের পরিমাণ কত?
ক. ২০,০০০ টাকা খ. ৫০,০০০ টাকা
গ. ৭০,০০০ টাকা ঘ. ৯০,০০০ টাকা
৭। ২০,০০০ টাকা বিজ্ঞাপন খরচের ৩৫ অংশ অবলোপন করা হলে বিলম্বিত বিজ্ঞাপন ব্যয় কত হবে?
ক. ৪,০০০ টাকা খ. ৮,০০০ টাকা
গ. ১২,০০০ টাকা ঘ. ১৬,০০০ টাকা
৮।
ক. ডেবিট এবং ক্রেডিট
খ. দ্বৈত সত্তা গ. উদ্বৃত্তপত্র
ঘ. হিসাব সমীকরণ
৯। হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কী?
ক. চালান খ. ক্যাশ মেমো
গ. লেনদেন ঘ. ভাউচার
১০। অবচয় একটি—
ক. দৃশ্যমান ব্যয় খ. অদৃশ্যমান ব্যয়
গ. কাল্পনিক ব্যয় ঘ. নগদ ব্যয়
১১। আকিবের নিকট নগদে মাল বিক্রয় ২৫,০০০ টাকা। এ লেনদেনটির জন্য ব্যবহূত প্রামাণ্য দলিল—
i. ক্যাশ মেমো ii. ক্রেডিট নোট
iii. ক্রেডিট ভাউচার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও iii খ. i ও ii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১২।
ক. উত্তোলন ও নগদ কমে যাওয়া
খ. উত্তোলন ও খরচ বেড়ে যাওয়া
গ. খরচ ও দায় কমে যাওয়া
ঘ. খরচ ও দায় বেড়ে যাওয়া
১৩। ক্রয় জাবেদায় কোন ধরনের লেনদেন লেখা হয়?
ক. সম্পদ ক্রয় খ. চেকে ক্রয়
গ. নগদে ক্রয় ঘ. ধারে ক্রয়
১৪। কোন সম্পর্কটি সঠিক?
ক. ক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব
খ. ক্রয় বাট্টা ও প্রাপ্য হিসাব
গ. ক্রয় বাট্টা ও বিক্রয় বাট্টা
ঘ. বিক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব
১৫। প্রাপ্য হিসাব প্রভাবিত হবে এমন লেনদেন—
i. ধারে বিক্রয়
ii. বিক্রয় ফেরত
iii. প্রাপ্য হিসাব আদায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৬। মাসের শুরুতে পেটি ক্যাশিয়ারের হাতে নগদ ছিল ২০০ টাকা। এ মাসে পেয়েছেন ৮০০ টাকা। তার অগ্রদত্ত টাকার পরিমাণ কত?
ক. ১,০০০ টাকা খ. ৮০০ টাকা
গ. ৬০০ টাকা ঘ. ২০০ টাকা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব অরন্য একজন ব্যবসায়ী। তিনি জনাব সুমনের নিকট ৪০,০০০ টাকার পণ্য ৫% বাট্টায় বিক্রয় করে নগদ ১০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকার একটি চেক পেলেন। পরবর্তীতে তিনি জনাব সুমনকে ২০০ টাকা বাট্টা প্রদান করে অবশিষ্ট অর্থ নগদে গ্রহণ করেন।
১৭। ধারে বিক্রয়ের পরিমাণ কত?
ক. ৮,০০০ টাকা খ. ১০,০০০ টাকা
গ. ২৮,০০০ টাকা ঘ. ৩০,০০০ টাকা
১৮। বাট্টা প্রদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীতে—
i. ব্যয় বৃদ্ধি ১,২০০ টাকা, সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা
ii. সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা, ব্যয় বৃদ্ধি ২০০ টাকা
iii. নগদ বৃদ্ধি ৭,৮০০ টাকা, মালিকানা স্বত্ব হ্রাস ২০০ টাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৯। পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অমর্যাদাকৃত চেককে কী বলে?
ক. বাহক চেক খ. অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক
গ. দাগ কাটা চেক ঘ. এন এস এফ চেক
২০। ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ—
i. পাশ বইতে ক্রেডিট করা হয়
ii. পাশ বইতে ডেবিট করা হয়
iii. নগদান বইতে ডেবিট করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২১। আসিফ ট্রেডার্সের ব্যাংক বিবরণী অনুযায়ী ডেবিট ব্যালেন্স ১০,০০০ টাকা। ব্যাংক বিবরণীর এ ডেবিট ব্যালেন্স আসিফ ট্রেডার্সের জন্য কী?
ক. আয় খ. ব্যয়
গ. সম্পত্তি ঘ. দায়
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
যদি ১ জানুয়ারি তারিখে ব্যাংক উদ্বৃত্ত ৩০,০০০ টাকা হয়, ১০ জানুয়ারি ১০,০০০ টাকার চেক পেয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় পক্ষান্তরে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ওই চেকটি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।
২২। ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক উদ্বৃত্ত ছিল কত টাকা?
ক. ১০,০০০ টাকা খ. ২০,০০০ টাকা
গ. ৩০,০০০ টাকা ঘ. ৪০,০০০ টাকা
২৩। চেকটি প্রত্যাখ্যানের কারণে—
i. প্রাপ্য হিসাব ডেবিট হবে
ii. প্রদেয় হিসাব ক্রেডিট হবে
iii. ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৪। নিচের কোন হিসাব রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হবে?
ক. প্রারম্ভিক মজুদ, সমন্বিত ক্রয় ও শিক্ষানবিশ সেলামি
খ. মোট মুনাফা, সমাপনী মজুদ পণ্য ও অগ্রিম বিমা
গ. প্রারম্ভিক, মনিহারি মজুদ, অব্যবহূত মনিহারি ও প্রদেয় মজুরি
ঘ. প্রারম্ভিক মজুদ, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ও উত্তোলন
২৫। দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির উদ্ভব কোন দেশে?
ক. ইতালি খ. গ্রিস
গ. ইংল্যান্ড ঘ. ফ্রান্স
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব রাহাত একজন আসবাবপত্র ব্যবসায়ী। তিনি ৩,০০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ১০% বাট্টায় ‘স্টার ফার্নিচার’ এর নিকট থেকে ক্রয় করে ভুলবশত আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট করেন। তিনি ৩,০০০ টাকা মূল্যের একটি টেবিল ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেন এবং ক্রয়কৃত পণ্যের অর্ধাংশ ১,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করেন, যার পরিবহন ব্যয় ৬০০ টাকা নির্বাহ করা হয়।
২৬। জনাব রাহাতের হিসাব সংরক্ষণে কোন ধরনের ভুল সংঘটিত হয়েছে?
ক. করণিক ভুল খ. নীতিগত ভুল
গ. পরিপূরক ভুল ঘ. বাদ পড়ার ভুল
২৭। লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা কত হবে?
ক. ১১,৪০০ টাকা খ. ১২,০০০ টাকা
গ. ১৪,৪০০ টাকা ঘ. ১৫,০০০ টাকা
২৮। কোনটি হিসাব সংরক্ষণের কোনো স্থায়ী রেকর্ড নয়?
ক. নগদান বই খ. খতিয়ান
গ. আর্থিক বিবরণী ঘ. কার্যপত্র
২৯। সমাপনী দাখিলা দ্বারা—
i. নামিক হিসাব বন্ধ করা হয়
ii. উত্তোলনকে মূলধনে সমন্বয় করা হয়
iii. চলতি সম্পদ হিসাব বন্ধ করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩০। বকেয়া খরচ সমন্বয় করা না হলে—
ক. মুনাফা বেশি ও খরচ কম দেখানো হবে
খ. খরচ কম ও মুনাফা কম দেখানো হবে
গ. মুনাফা কম ও খরচ বেশি দেখানো হবে
ঘ. খরচ বেশি ও মুনাফা বেশি দেখানো হবে।
উত্তর : ১. খ ২. ঘ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. খ
৭. খ ৮. ঘ ৯. গ ১০. খ ১১. ক ১২. খ ১৩. ঘ ১৪. ক ১৫. ঘ ১৬. ক ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ঘ
২০. খ ২১. ঘ ২২. ঘ ২৩. গ ২৪. খ ২৫. ক ২৬. খ ২৭. গ ২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ক।