<p>নদীর মোহনায় স্রোতের কারণে মাটি, বালু জমাট হয়ে একসময় মাত্রাহীন ‘ব’ আকৃতির দ্বীপের সৃষ্টি হয়। ত্রিভুজাকৃতির এ ধরনের দ্বীপই হচ্ছে বদ্বীপ (delta)। কয়েকভাবেই বদ্বীপ সৃষ্টি হতে পারে। নদীর স্রোত স্থির কোনো জলাধারে (হ্রদ, উপসাগর, সাগর বা মহাসাগর) গিয়ে প্রবাহিত হলে সেখানে এ ধরনের দ্বীপ হতে পারে। আবার দুই নদীর মোহনা বা মিলিত জায়গায়ও বদ্বীপ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে উভয় নদীর স্রোতের বেগ সমান না হলে এমনটি হয়। এক নদীর স্রোতের বেগে বালু জমা হয়, অন্য নদীর স্রোত কম হলে সেই বালু না সরে বরং জমাট বাঁধে। ধীরে ধীরে এভাবেই তৈরি হয় ‘ব’ আকৃতির দ্বীপ।</p> <p>সাধারণ বদ্বীপের ভূগঠনকে তিনটি প্রধান স্তরে ভাগ করা হয়—তলদেশীয় স্তর, সম্মুখ স্তর ও পৃষ্ঠদেশীয় স্তর।</p> <p>বদ্বীপ চার ধরনের—১. স্রোত নিয়ন্ত্রিত বদ্বীপ, ২. জোয়ার-ভাটা নিয়ন্ত্রিত বদ্বীপ, ৩. গিলবার্ট বদ্বীপ ৪. ভূমধ্য বদ্বীপ।</p> <p>বিশ্বের সবচেয়ে বড় বদ্বীপ হচ্ছে বঙ্গীয় বদ্বীপ। এটি গাঙ্গেয় বদ্বীপ (Ganges Delta) নামেও পরিচিত। হিমালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়া গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের কারণে বঙ্গীয় বদ্বীপের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের বেশির ভাগ ভূখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু ভূখণ্ড এই বদ্বীপের সীমারেখার মধ্যে পড়ে।</p> <p>                           </p>