(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী? ২
(খ) ‘কচ্ছপ’ শব্দের অর্থ কী? এরা কী করে? দুটি বাক্যে লেখো। ৩
(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো। ৫
উত্তর : (ক) কবিতাংশটুকু ‘দুই তীরে’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(খ) ‘কচ্ছপ’ শব্দের অর্থ কাছিম।
কচ্ছপেরা শীতকালে ধীরে ধীরে নদীর বালুচরে উঠে আসে। তারপর তীরে বসে রোদ পোহায়।
(গ) মূলভাব : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই তীরে’ কবিতায় বলা হয়েছে—একটি নদীর দুই তীরে বসবাসরত দুজন মানুষের কথা। নদীর এপারের বালুচরে শীতকালে কচ্ছপেরা নদী থেকে ধীরে ধীরে তীরে উঠে এসে রোদ পোহায়। সন্ধ্যাবেলায় জেলেদের দুই-একখানা ডিঙি নৌকা এপারে ভেড়ে। আর নদীর ওপারে যে লোকটি বসবাস করে, সে ওপারের বনকেই ভালোবাসে। সেই বনটি পাতার আচ্ছাদনে ছায়াময়-মায়াময় পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।
(৩) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
যেথায় বাঁকা গলি
নদীতে যায় চলি,
দুই ধারে তার বেণু বনের
শাখায় গলাগলি।
সকাল সন্ধ্যাবেলা
ঘাটে বধূর মেলা
ছেলের দলে ঘাটের জলে
ভাসে ভাসায় ভেলা।
(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী? ২
(খ) ‘বেণু বন’ কী? বেণু বন কী করে? দুটি বাক্যে লেখো। ৩
(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো। ৫
উত্তর : (ক) কবিতাংশটুকু ‘দুই তীরে’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(খ) ‘বেণু বন’ হলো—বাঁশবাগান।
নদীর ওপারে যেখানে একটি বাঁকা গলি রয়েছে, সেটি সরাসরি নদীতে চলে গিয়েছে। তার দুই ধারে রয়েছে বাঁশবাগান, যার ঘনত্ব এতটাই বেশি যেন এর শাখাগুলো পরস্পর গলাগলি করছে।
(গ) মূলভাব : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই তীরে’ কবিতায় বলা হয়েছে—একটি নদীর দুই তীরে দুজন মানুষ বাস করে। অপর পারে বসবাসরত মানুষটি ভালোবাসে বন। সেই বন থেকে একটা বাঁকা গলি নদীতে গিয়ে মিশেছে। নদীর ঘাটে সকাল-সন্ধ্যাবেলা বধূরা কলসিতে করে জল নিতে আসে। আর ছেলের দল নদীর ঘাটে জলে নিজেরা সাঁতার কাটে আর ভেলা ভাসায়।
ঘাসফুল
(৪) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমরা ঘাসের ছোট ছোট ফুল হাওয়াতে দোলাই মাথা, তুলো না মোদের দোলো না পায়ে ছিঁড়ো না নরম পাতা। শুধু দেখো আর খুশি হও মনে সূর্যের সাথে হাসির কিরণে কেমন আমরা হেসে উঠি আর
দুলে দুলে নাড়ি মাথা।
(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী? ২
(খ) ‘দোলো না পায়ে’ কথাটির অর্থ কী? কেন এ কথাটি বলা হয়েছে? দুটি বাক্যে লেখো। ৩
(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো। ৫
উত্তর : (ক) কবিতাংশটুকু ‘ঘাসফুল’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র।
(খ) ‘দোলো না পায়ে’ কথাটির অর্থ হলো—পায়ের নিচে পিষে না ফেলা।
‘দোলো না পায়ে’—এ কথাটি বলার কারণ হলো, ছোট ছোট ঘাসফুল আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে বাতাসে মাথা দোলায়। এই ফুলগুলো তুলে পায়ের নিচে পিষে ফেললে অথবা এগুলোর নরম পাতা ছিঁড়লে এরা কষ্ট পাবে।
(গ) মূলভাব : জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র রচিত ‘ঘাসফুল’ কবিতায় ঘাসফুলগুলো নিজেরাই কথা বলেছে। এই ছোট ঘাস ফুলগুলো হাওয়ায় তাদের মাথা দুলিয়ে জীবনকে উপভোগ করে। ফুল ছিঁড়ে, পায়ের নিচে পিষে ফেলে মানুষ যেন তাদের কষ্ট না দেয়—সেই মিনতি তারা করেছে। শুধু ঘাসফুলের সৌন্দর্য দেখে মানুষ যেন মনে মনে খুশি হয়, এটাই তারা চায়। সূর্য কিরণে ফুলগুলোও কেমন হেসে ওঠে আর দুলে দুলে মাথা নাড়ে, তা দেখেই যেন মানুষ আনন্দ পায়, এটাই ঘাসফুল প্রার্থনা করে।
(৫) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ধরার বুকের স্নেহ-কণাগুলি
ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে।
মোরা তারই লাল নীল সাদা হাসি
রূপকথা নীল আকাশের বাঁশি—
শুনি আর দুলি শান্ত বাতাসে
যখন তারারা ফোটে।
(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী? ২
(খ) ‘ধরা’ শব্দের অর্থ কী? ধরার সঙ্গে ঘাসফুলের সম্পর্ক সম্বন্ধে দুটি বাক্য লেখো। ৩
(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো। ৫
উত্তর :
(ক) কবিতাংশটুকু ‘ঘাসফুল’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র।
(খ) ‘ধরা’ শব্দের অর্থ পৃথিবী।
এই মাটির পৃথিবীতে ঘাসফুলগুলো ফোটে। পৃথিবীর বুকের স্নেহের কণাগুলোই যেন ঘাস হয়ে ফুটে থাকে— ধরার সঙ্গে ঘাসফুলের তাই হৃদ্যতার সম্পর্ক।
(গ) মূলভাব : জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র রচিত ‘ঘাসফুল’ কবিতায় ঘাসফুলের মুখ দিয়েই কথাগুলো বলানো হয়েছে। ঘাসের ছোট ফুলগুলো ফুটে উঠে জীবনকে পরম আনন্দে উপভোগ করছে। তারা যেন এই পৃথিবীর বুকের স্নেহকণা, যা ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে। ঘাসের লাল-নীল-সাদা ফুলগুলো যেন পৃথিবীরই আনন্দময় রূপ। নীল আকাশের তারকারাজি ফুটে যখন রূপকথার মতো সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি করে, তখন শান্ত বাতাসের বাঁশির সুর শুনে ঘাসফুলগুলো দুলে দুলে ওঠে।