ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

  • পাঠ প্রস্তুতি
শেখ এম মোজাম্মেল হক, প্রভাষক রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ উত্তরা, ঢাকা
শেখ এম মোজাম্মেল হক, প্রভাষক রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ উত্তরা, ঢাকা
শেয়ার
একাদশ-দ্বাদশ  শ্রেণি : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

দ্বিতীয় অধ্যায়

কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং

প্রশ্ন : ডাটা কমিউনিকেশন মাধ্যম বলতে কী বোঝো?

উত্তর : প্রেরণ প্রান্ত ও দূরবর্তী গ্রহণ প্রান্তের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজন উভয় প্রান্তের মধ্যে সংযোগ। এই সংযোগকে সাধারণত চ্যানেল বলা হয়। এই চ্যানেল বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। ডাটা চলাচলের এই মাধ্যমগুলোকেই কমিউনিকেশন মাধ্যম বলা হয়।

ডাটা কমিউনিকেশন মাধ্যম দুই ধরনের হয়। যথা :

১।  তার মাধ্যম : কেবল বা তার, সাধারণ টেলিফোন, ফাইবার অপটিক লাইন ইত্যাদি।

২।

  তারবিহীন মাধ্যম : বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ, ইনফ্রারেড, স্যাটেলাইট ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন : টুইস্টেড পেয়ার কেবল সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর : টুইস্টেড পেয়ার কেবল (Twisted Pair Cable)

টুইস্টেড পেয়ার বহুল ব্যবহৃত এবং একটি পুরনো ট্রান্সমিশন মাধ্যম। টুইস্টেড পেয়ার প্রায় ১সস চওড়া দুটি অপরিবাহী (insulated) কপার তার  দ্বারা গঠিত।

তার দুটি এমনভাবে পেঁচানো থাকে, যা দেখতে উঘঅ অণুর মতো। তার দুটিকে পেঁচানো হয়, কারণ দুটি সমান্তরাল তার একটি ভরহব antenna গঠন করে। তার দুটি পেঁচানোর কারণে একটি তার আরেকটি তারের তরঙ্গকে বাতিল করে, ফলে তারগুলো কম বিকিরণ করে।

       

                            চিত্র : টুইস্টেড পেয়ার কেবল

টুইস্টেড পেয়ার টেলিফোন সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। নিকটবর্তী সব টেলিফোন টুইস্টেড পেয়ার তার দ্বারা সংযুক্ত থাকে।

টুইস্টেড পেয়ার amplification ছাড়াই কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত ডাটা ট্রান্সমিট করতে পারে; কিন্তু বেশি দূরত্ব পর্যন্ত ডাটা ট্রান্সমিট করতে চাইলে রিপিটারের প্রয়োজন হয়। অ্যানালগ অথবা ডিজিটাল উভয় ধরনের ডাটা ট্রান্সমিশনে টুইস্টেড পেয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। টুইস্টেড পেয়ারের ব্যান্ডউইডথ তারের thickness এবং অতিক্রান্ত দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত টুইস্টেড পেয়ার কেবলের ব্যান্ডউইডথ মেগাবিট/সে. হয়ে থাকে। কম মূল্য ও ভালো performance-এর জন্য টুইস্টেড পেয়ার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

 

টুইস্টেড পেয়ার কেবলের সুবিধা

    ► অ্যানালগ অথবা ডিজিটাল উভয় ধরনের ডাটা ট্রান্সমিশনে এ কেবল ব্যবহৃত হয়।

     ► কম দূরত্বে ডাটা প্রেরণের জন্য এটি সর্বাপেক্ষা কম ব্যয়বহুল পদ্ধতি।

     ► টেলিফোন সিস্টেমে ব্যবহৃত টুইস্টেড পেয়ার কেবলের মধ্য দিয়ে সিগন্যাল কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই বেশ কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত     যেতে পারে।

    ► সহজেই স্থাপন করা যায়।

 

টুইস্টেড পেয়ার কেবলের অসুবিধা

    ►   নয়েজ সিগন্যাল দ্বারা সহজে প্রভাবিত হওয়ার কারণে যোগাযোগ দূরত্ব বেশি হলে ভুলের মাত্রা বেড়ে যায়।

    ►   গঠন পাতলা হওয়ার কারণে সহজেই ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

   ►   ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত বেশি।

 

প্রশ্ন : কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর : কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল (Co-axial cable)

কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল টুইস্টেড পেয়ার কেবলের তুলনায় ভালো shielding করা থাকে, যাতে অনেক দূরত্ব পর্যন্ত অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ডাটা ট্রান্সমিট করতে পারে। দুই ধরনের কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। একটি ৫০ ওহম কেবল, যা প্রথম দিকে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনে ব্যবহৃত হতো। অন্যটি ৭৫ ওহম, যা অ্যানালগ ট্রান্সমিশনে এবং কেবল টেলিভিশনে বেশি ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এটি অধিকতর গুরুত্ব পায় যখন কেবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু হয়।

চিত্র : কো-অ্যাক্সিয়াল কেবলের গঠন

কো-অ্যাক্সিয়াল কেবলের কোর অনমনীয় তামার তার দ্বারা তৈরি, যার চারদিকে অপরিবাহী (insulator) পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে। insulator আবার সিলিন্ডার আকৃতির পরিবাহী তার দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এই আবরণের ওপরে তামার তারের জাল বিছানো থাকে। সবার ওপরে থাকে প্লাস্টিকের আবরণ, যা তারকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।

কো-অ্যাক্সিয়াল কেবলের গঠন এবং shielding উচ্চ ব্যান্ডউইডথ প্রদান করে এবং noise থেকে রেহাই দেয়। এই কেবলের ব্যান্ডউইডথ সাধারণত ১ঐু (গিগাহার্জ) হয়ে থাকে। কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল ষড়হম distance টেলিফোন লাইনে এবং Metropoliton area নেটওয়ার্কে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

কো-অ্যাক্সিয়াল কেবলের বৈশিষ্ট্য

      ► ডাটা ট্রান্সফার রেট ১০ গঢ়নং পর্যন্ত হয়ে থাকে।

     ► ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ইমেজিং বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্রভাব থেকে মুক্ত।

      ► অধিক নিরাপদ।

      ► নির্ভরযোগ্যতা বেশি।

      ► দামে কম।

      ► সহজে স্থাপন করা যায়।

      ► অনেক দূরত্ব পর্যন্ত নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা যায়।

 

প্রশ্ন : অপটিক্যাল ফাইবার কী? অপটিক্যাল ফাইবারের গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর : অপটিক্যাল ফাইবার হলো কাচ (glass) অথবা প্লাস্টিক (plastic) দ্বারা তৈরি এমন একটি আবদ্ধ মাধ্যম, যার মধ্যে দিয়ে আলোকে অনেক দূর পর্যন্ত পরিবহন করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে আলো পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের নিয়মানুযায়ী প্রবাহিত হয়। শব্দ শক্তি অথবা অন্য কোনো বৈদ্যুতিক শক্তিকে আলোকশক্তিতে রূপান্ত্তর করার পর তা অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আলোর গতিতে ডাটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়।

অপটিক্যাল ফাইবারের গঠন

অপটিক্যাল ফাইবার  প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। যেমন—

১। কোর (Core)

২। ক্ল্যাডিং (Cladding)

৩। জ্যাকেট (Jacket)

কোর (Core)

সবচেয়ে ভেতরের অংশ হচ্ছে কোর, যা কাচ বা প্লাস্টিক দ্বারা তৈরি। প্রশস্ত ব্যাসবিশিষ্ট কোরকে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ওপর নির্ভর করে অবরুদ্ধ করা হয়। অপরদিকে কম ব্যাসবিশিষ্ট কোর ফাইবার (বেশির ভাগ ২০০ মিটারের বেশি দূরত্ব পর্যন্ত কমিউনিকেশন লিংক হিসেবে ব্যবহৃত হয়) সীমা বা প্রাচীর ওয়েবগাইড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। কোরের ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ক্ল্যাডিং (Cladding)

কাচ বা প্লাস্টিক দ্বারা তৈরি এক বিশেষ ধরনের আবরণ, যার Refractive index কোরের Refractive index থেকে কম।

জ্যাকেট (Jacket)

প্লাস্টিক এবং বিভিন্ন ধাতব দ্বারা তৈরি সবচেয়ে বাইরের আবরণ, যা ফাইবারকে জলীয়বাষ্প, ঘর্ষণ ও চাপজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করে।

অপটিক্যাল ফাইবারের বৈশিষ্ট্য

১।    অত্যধিক উচ্চ গতিতে ডাটা ট্রান্সমিট করতে পারে।

২।    একসঙ্গে অনেক ডাটা যেতে পারে।

৩।    ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে।

৪।    রাসায়নিক নিষ্ক্রয়তা।

৫।    অতি স্বচ্ছতা।

৬।    সহজ প্রক্রিয়াকরণ।

৭।    শক্তির অপচয় রোধ।

৮।    আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডাটা ট্রান্সমিট করে।

৯।    নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন হিসেবে অধিক ব্যবহৃত হয়।

অপটিক্যাল ফাইবারের সুবিধা

১।    আয়তনে ছোট।

২।    ওজনে হালকা।

৩।    সহজে পরিবহনযোগ্য।

৪।    সহজ প্রক্রিয়াকরণ করা যায়।

৫।    শক্তির অপচয় কম।

৬।    বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত।

৭।    ডাটা আদান-প্রদান নিরাপদ ও গোপনীয়।

৮।    ডাটা আদান-প্রদান নির্ভুল।

৯।    পরিবেশের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।

১০।   রিপিটারসমূহ অনেক দূরে দূরে স্থাপন করতে হয়।

অপটিক্যাল ফাইবারের অসুবিধা

১। U আকৃতিতে বাঁকানো যায় না।

২। দাম খুবই বেশি।

৩। স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ জটিলতা বেশি।

 

প্রশ্ন : অপটিক্যাল ফাইবারের প্রকারভেদ আলোচনা করো।

উত্তর : ফাইবারের গাঠনিক উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের ওপর নির্ভর করে একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা—

১। স্টেপ-ইনডেক্স ফাইবার (Step-index fiber)

২। গ্রেডেড-ইনডেক্স ফাইবার (Graded-index fiber)

স্টেপ-ইনডেক্স ফাইবার (Step-index fiber) : স্টেপ-ইনডেক্স ফাইবারের কোরের প্রতিসরাঙ্ক সর্বত্র সমান থাকে এবং ব্যাস বেশি।

গ্রেডেড-ইনডেক্স ফাইবার (Graded-index fiber) : গ্রেডেড-ইনডেক্স ফাইবারের কোরের প্রতিসরাঙ্ক কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি এবং ব্যাসার্ধ বরাবর কমতে থাকে।

১। সিঙ্গেলমোড ফাইবার (Singlemode fiber)

২। মাল্টিমোড ফাইবার (Multimode fiber)

মাল্টিমোড ফাইবার (Multimode fiber) : মাল্টিমোড ফাইবারের কোরের ব্যাস ১০ মাইক্রোমিটার (১০ স)-এর বেশি হয়ে থাকে। স্টেপ-ইনডেক্স মাল্টিমোড ফাইবারের কোরের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী প্রবাহিত হয়। আলোকরশ্মি কোর-ক্ল্যাডিং তলে সংকট কোণের (critical angle) চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হয় এবং সম্পূর্ণ প্রতিফলিত হয়। এর চেয়ে কম কোণে আপতিত হলে তা আলোকে বেশি দূর প্রবাহিত করে না, যার ফলে  তথ্য বেশি দূর পাঠানো সম্ভব হয় না।

সিঙ্গেলমোড ফাইবার (Singlemode fiber) : সিঙ্গেলমোড ফাইবারে একসঙ্গে কেবল একটি আলোক সংকেত প্রেরণের পথ থাকে এবং সাধারণত লেজার সিগন্যালিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। সিঙ্গেলমোড ফাইবারের কোরের ব্যাস সাধারণত ৮ থেকে ১২৫ মাইক্রোন হয়ে থাকে। কোনো রিপিটার ছাড়াই সিঙ্গেলমোড ফাইবার কেবলকে ৩ মাইল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল। ছবি : সংগৃহীত

তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তির পুনঃ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ সেশনের প্রফেশনাল মাস্টার্স ইন ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টের সপ্তম ব্যাচে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সেমিস্টারের এই কোর্সের মেয়াদ ১৮ মাস।

 

যোগ্যতা

যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।

তৃতীয় শ্রেণি বা গ্রেডিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে জিপিএ/সিজিপিএ ২.৫-এর নিচে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। গ্রন্থাগার ও তথ্যপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

 

আবেদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। ফি এক হাজার ৫০০ টাকা।

আবেদনপত্র নির্ভুলভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফিসহ ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিভাগীয় অফিসে জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

 

ভর্তি পরীক্ষা

১৯ জুলাই, শনিবার বিকেল ৩টায়। তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

যোগাযোগ

তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ কলাভবন (নিচতলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    সজল কুমার দাস, সহকারী শিক্ষক, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, টাঙ্গাইল
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

নাটিকা

সেই ছেলেটি

মামুনুর রশীদ

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        মামুনুর রশীদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

  উত্তর : টাঙ্গাইল জেলায়।

২।        ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী?

  উত্তর : নাটিকাটি পাঠের উদ্দেশ্য হলো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি মমতাবোধ সৃষ্টি।

৩।        ‘ওরা কদম আলী’ নাটকটির রচয়িতা কে?

  উত্তর : ‘ওরা কদম আলী’ নাটকটির রচয়িতা মামুনুর রশীদ।

৪।        সাবু ও আরজু কিসের পাশ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল?

  উত্তর : সাবু ও আরজু গ্রামের পাশ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল।

৫।        আরজুকে কে বলে স্কুল ফাঁকি দেওয়া কিন্তু খারাপ?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে বলে স্কুল ফাঁকি দেওয়া কিন্তু খুব খারাপ।

৬।        আরজু কেন কাঁদছিল?

  উত্তর : আরজু কাঁদছিল কারণ তার পা অবশ হয়ে গেছে এবং সে স্কুলে যেতে পারছিল না।

৭।        আরজুর বাবা কী বলেছিলেন তার পায়ের সমস্যার ব্যাপারে?

  উত্তর : আরজুর বাবা বলেছিলেন, ‘হাঁটাহাঁটি করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

৮।        লতিফ স্যার আরজুর পায়ের সমস্যার বিষয়ে কী জানতে পেরেছিলেন?

  উত্তর : লতিফ স্যার জানতে পেরেছিলেন যে আরজুর পায়ে একটা রোগ আছে।

৯।

       সোমেন আর সাবু আরজুকে কেন সাহায্য করেনি?
উত্তর : তারা বুঝতে পারেনি যে আরজুর পায়ে সমস্যা আছে।

১০।       আরজু কোথায় বসে আছে?

  উত্তর : পলাশতলীর আমবাগানে বসে আছে।

১১।       ছোটবেলা থেকে আরজুর পা কেমন ছিল?
উত্তর : ছোটবেলা থেকেই আরজুর পা চিকন ছিল।

১২।       কার বাজারের সময় চলে যায়?

  উত্তর : আইসক্রিমওয়ালার বাজারের সময় চলে যায়।

১৩। কার ডানায় ভর করে আরজু স্কুলে যেতে চায়?
উত্তর : পাখির ডানায় ভর করে আরজু স্কুলে যেতে চায়।

১৪।       রোজ রোজ কে স্যারের বকুনি খায়?

  উত্তর : সাবু স্যারের বকুনি খায়।

১৫।       বন্ধুরা স্কুলে চলে যাওয়ার পর আরজুর সঙ্গে প্রথমে কার দেখা হলো?

  উত্তর : বন্ধুরা স্কুলে চলে যাওয়ার পর আরজুর সঙ্গে প্রথমে দেখা হলো আইসক্রিমওয়ালার।

১৬।       আইসক্রিমওয়ালার পর কার সঙ্গে আরজুর দেখা হয়েছিল?

  উত্তর : আইসক্রিমওয়ালার পর হাওয়াই মিঠাইওয়ালার সঙ্গে আরজুর দেখা হয়েছিল।

১৭।       লতিফ স্যার কখন আসেন?

  উত্তর : লতিফ স্যার টিফিনের ঘণ্টা বাজার পর আসেন।

১৮।       লতিফ স্যারের কাছ থেকে আরজু কী ধরনের সহানুভূতি পেয়েছিল?

  উত্তর : লতিফ স্যারের কাছ থেকে আরজু সহানুভূতি পেয়েছিল। তিনি তাঁর পায়ের সমস্যা বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাকে চিকিৎসার সাহায্য দেওয়ার কথা বলেন।

১৯।       আরজুর পায়ের সমস্যা সম্পর্কে সাবু কী বলেছিল?
উত্তর : সাবু বলেছিল, ‘রোজ রোজ তোর জন্য আমি স্যারের বকুনি খেতে পারব না।’

২০।       আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে কী পরামর্শ দিয়েছিল?

  উত্তর : আইসক্রিমওয়ালা পরামর্শ দিয়েছিল, ‘স্কুলে যাও, স্কুল ফাঁকি দেওয়া খারাপ।’

২১।       আরজু আইসক্রিমওয়ালাকে কী প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর : আরজু আইসক্রিমওয়ালাকে প্রশ্ন করেছিল, ‘তুমি কোন দিকে যাচ্ছ?’

২২।       হাওয়াই মিঠাইওয়ালা আরজুকে কী বলেছিল?
উত্তর : ‘শুধু শুধু ডাকছ কেন? এভাবে সময় নষ্ট হলে হাওয়াই মিঠাই শূন্যে মিলিয়ে যাবে।’

২৩। আরজু কেন স্কুলে যাচ্ছিল না?

  উত্তর : আরজু হাঁটতে পারছিল না, তাই সে স্কুলে যাচ্ছিল না।

২৪।       লতিফ স্যার কেন আরজুকে খোঁজ করছিলেন?
উত্তর : লতিফ স্যার আরজুকে না দেখে সে কোথায় গেছে, তা জানার জন্য খোঁজ করছিলেন।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি: প্রাথমিক গণিত

    সোনিয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক, ধামদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি: প্রাথমিক গণিত
পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্ররা। ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

পঞ্চম অধ্যায় : গুণিতক এবং গুণনীয়ক

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। কোন গাণিতিক প্রক্রিয়ার জন্য গুণিতক প্রয়োজন হয়?

  ক. মৌলিক সংখ্যা   খ. উৎপাদক                  
গ. লসাগু             ঘ. গসাগু

  উত্তর : গ. লসাগু       

২।        সাধারণ গুণিতকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সংখ্যাকে কী বলে?

  ক. লসাগু        খ. গসাগু                 
গ. উৎপাদক           ঘ. গুণিতক

  উত্তর : ক. লসাগু

৩। সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যাটিকে কী বলে?

          ক. লসাগু         খ. গসাগু                 
গ. মৌলিক সংখ্যা   ঘ. উৎপাদক

          উত্তর  : খ. গসাগু

৪।

       যে সংখ্যা দ্বারা ওই সংখ্যাকে ভাগ করলে কোনো ভাগশেষ থাকে না তাকে কী বলে?

          ক. লসাগু        খ. গসাগু                 
গ. গুণিতক            ঘ. গুণনীয়ক                      

          উত্তর : ঘ. গুণনীয়ক

৫।        লসাগুর পূর্ণ রূপ কী?

          ক. লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক            
খ. গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক                          

          গ. মৌলিক সংখ্যা                            
ঘ. মৌলিক উৎপাদক

          উত্তর : ক. লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক                    

৬।        গসাগুর পূর্ণ রূপ কী?

  ক. উৎপাদক      
খ. গুণনীয়ক                       

  গ. লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক                 
ঘ. গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক                          

         উত্তর : ঘ. গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক                          

৭।        গুণনীয়কের অপর নাম কী?                          

          ক. সংখ্যা              খ. অঙ্ক                    
গ. উৎপাদক           ঘ. গুণিতক

          উত্তর : গ. উৎপাদক

 

মন্তব্য

স্পোকেন ইংলিশ

শেয়ার
স্পোকেন ইংলিশ

  Use of ‘trying to + V1’ (for effort/attempt)

  মনে কর, তুমি কোনো একটি কাজ করার চেষ্টা করছ অথবা একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ; কিন্তু সফল হবেই এমন কোনো নিশ্চয়তা নেইএমন ধরনের ভাব বা বাক্যের প্রকাশ করতে সাধারণত এই কাঠামো ব্যবহার করা হয়।


Example

১.        I am trying to learn a new language.

আমি একটি নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করছি।

২.        She is trying to save money for a trip.
তিনি ভ্রমণের জন্য টাকা জমানোর চেষ্টা করছেন।

৩.                 We are trying to follow the instructions.
আমরা নির্দেশাবলি অনুসরণের চেষ্টা করছি।

  Structure
Subject + to be verb + trying + to + V1 + object/extension.

 

Translate the following sentences into Bangla.

1. He is trying to fix his car.

2. They are trying to find a solution to the problem.

3. I am trying to lose weight.

4. She is trying to improve her public speaking skills.

5. We are trying to finish the project on time.

6. Are you trying to reach me?

7. My team is trying to win the championship.

8. He is trying to quit smoking.

9. They are trying to build a better future.

10.                  I am trying to call you; but your phone is busy.

    

Answer

১.        তিনি তার গাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করছেন।

২.        তারা সমস্যাটির একটি সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।

৩.        আমি ওজন কমানোর চেষ্টা করছি।

৪.        সে জনসম্মুখে কথা বলার দক্ষতা উন্নত করার চেষ্টা করছে।

৫.        আমরা সময়মতো প্রকল্পটি শেষ করার চেষ্টা করছি।

৬.        তুমি কি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছ?

৭.        আমার দল চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার চেষ্টা করছে।

৮.        তিনি ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করছেন।

৯.        তারা একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করছে।

১০.       আমি তোমাকে ফোন করার চেষ্টা করছি; কিন্তু তোমার ফোন ব্যস্ত।

 

Translate the following sentences into English.

১.        আমি তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

২.        তিনি তার স্বপ্নপূরণের চেষ্টা করছেন।

৩.        আমরা একটি নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টা করছি।

৪.        তারা শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে।

৫.        তিনি আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন।

৬.        আমরা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছি।

৭.        আমি ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা
করছি।

৮.        তারা একটি নতুন বাড়ি তৈরির চেষ্টা করছেন।

৯.        তুমি কি আমাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছ?

১০.  তিনি একটি ভালো চাকরির চেষ্টা করছেন।

 

 Answer

1. I am trying to explain to you.

2. She is trying to achieve her dream.

3. We are trying to implement a new method.

4. They are trying to maintain peace.

5. He is trying to help me.

6. We are trying to cope with the difficult situation.

7. I am trying to speak in English.

8. They are trying to build a new house.

9. Are you trying to fool me?

10.    She is trying to get a good job.

সুমন ভূইয়া

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ