কোন সভ্যতাটি সমুদ্র বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর সভ্যতাটি সমুদ্র বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
১০। উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর নাম লেখো।
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে রৌপ্য মুদ্রা, হাতিয়ার ও পাথরের পুঁতি।
১১। কোন ঐতিহাসিক স্থানটিতে বুদ্ধের দণ্ডায়মান মূর্তি রয়েছে?
উত্তর : মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত ‘খোদাই পাথরে’ বুদ্ধের দণ্ডায়মান মূর্তি রয়েছে।
১২। পাহাড়পুর কখন নির্মিত হয়?
উত্তর : পাহাড়পুর ৭৮১-৮২১ খ্রিস্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়।
১৩। পাহাড়পুর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
১৪। পাহাড়পুরে প্রাপ্ত গড়টি কী নামে পরিচিত?
উত্তর : পাহাড়পুরে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে। এটি ‘সোমপুর মহাবিহার’ নামে পরিচিত।
১৫। সোমপুর মহাবিহারে কতটি কুঠুরি আছে?
উত্তর : সোমপুর মহাবিহারের চারপাশে ১৭৭টি গোপন কুঠুরি আছে।
১৬। সোমপুর মহাবিহারে কী কী আছে?
উত্তর : সোমপুর মহাবিহারে ১৭৭টি গোপন কুঠুরি, মন্দির, রান্নাঘর, খাবার ঘর ও পাকা নর্দমা আছে। এ ছাড়া এখানে জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা পাওয়া গেছে।
১৭। ময়নামতি স্থানটি কোন ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত?
উত্তর : ময়নামতি অষ্টম শতকের রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির কাহিনী ও জায়গার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত।
১৮। ময়নামতি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিল্লা শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত।
১৯। ময়নামতি কোন সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল?
উত্তর : ময়নামতি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল।
২০। ময়নামতিতে কোন কোন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর : ময়নামতিতে বৌদ্ধ, হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২১। কোন ঐতিহাসিক স্থানটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর : ময়নামতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২২। ময়নামতিতে কী কী নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর : ময়নামতিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
এখানকার অন্যান্য নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির ফলক, যেমন—বেজির সঙ্গে যুদ্ধরত গোখরা সাপ, আগুয়ান হাতি ইত্যাদি।
২৩। ময়নামতির জাদুঘরে কী রয়েছে?
উত্তর : ময়নামতির জাদুঘরে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শন রয়েছে।
২৪। সতেরো শতকের ইতিহাসের নিদর্শন কোনগুলো?
উত্তর : সোনারগাঁ ও লালবাগ কেল্লা সতেরো শতকের ইতিহাসের নিদর্শন।
২৫। সোনারগাঁ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : সোনারগাঁ ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।
২৬। সোনারগাঁ কাদের রাজধানী ছিল?
উত্তর : সোনারগাঁ প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল।
২৭। সোনারগাঁয় কার মাজার রয়েছে?
উত্তর : সোনারগাঁয় সুলতান গিয়াস উদ্দীন আযম শাহের মাজার রয়েছে।
২৮। সোনারগাঁয় কোন আমলের অনেক মাজার রয়েছে।
উত্তর : সোনারগাঁয় সুলতানি আমলের অনেক মাজার রয়েছে।
২৯। কত সালে সোনারগাঁর পরিবর্তে ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করা হয়?
উত্তর : ১৬১০ সালে সোনারগাঁর পরিবর্তে ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করা হয়।
৩০। সোনারগাঁয় কখন পানামনগর গড়ে ওঠে?
উত্তর : উনিশ শতকে হিন্দু বণিকদের সুতা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে সোনারগাঁয় পানামনগর গড়ে ওঠে।
৩১। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন কেন সোনারগাঁয় লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : সোনারগাঁর গৌরব ধরে রাখার জন্য শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৭৫ সালে এখানে একটি লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।
৩২। কোথায় লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়?
উত্তর : ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়।
৩৩। লালবাগ কেল্লার নির্মাণকাজ শুরু করেন কে?
উত্তর : আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ্ লালবাগ কেল্লার নির্মাণকাজ শুরু করেন।
৩৪। লালবাগ কেল্লার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : লালবাগ কেল্লার বৈশিষ্ট্য—এটি সম্পূর্ণ ইটের
তৈরি।
৩৫। লালবাগ দুর্গের কোথায় মোগল শাসকরা বাস করতেন?
উত্তর : লালবাগ দুর্গের মাঝখানে খোলা জায়গায় মোগল শাসকরা তাঁবু টানিয়ে বসবাস করতেন।
৩৬। লালবাগ দুর্গের কোনদিকে গোপন প্রবেশপথ রয়েছে?
উত্তর : লালবাগ দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশপথ রয়েছে।
৩৭। লালবাগ দুর্গের দক্ষিণে কী রয়েছে?
উত্তর : লালবাগ দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশপথ ও একটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে।
৩৮। আহসান মঞ্জিল কী?
উত্তর : বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নির্মিত আহসান মঞ্জিল ছিল বাংলার নবাবদের রাজপ্রাসাদ।
৩৯। আহসান মঞ্জিল তৈরি করেন কে?
উত্তর : মোগল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ আহসান মঞ্জিল প্রাসাদটি তৈরি করেন।
৪০। শেখ মতিউল্লাহ কেন আহসান মঞ্জিল ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন?
উত্তর : আঠারো শতকে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহর পুত্র শেখ মতিউল্লাহ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আহসান মঞ্জিল প্রাসাদটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।
৪১। কে আহসান মঞ্জিলকে ফরাসিদের কাছ থেকে ক্রয় করে এটিকে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন?
উত্তর : ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের কাছ থেকে আহসান মঞ্জিল প্রাসাদটি ক্রয় করে এটিকে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন।