ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭
সৃজনশীল প্রশ্ন

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

লুত্ফা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
লুত্ফা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

গল্প

১। উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রাজার এক পাখি। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে সে গান গায়, বনের ফল খায়, উড়ে বেড়ায়। এক শ্রেণির আত্মস্বার্থসচেতন মানুষ রাজাকে পরামর্শ দেয় পাখিকে শিক্ষা দিতে হবে।

কিন্তু প্রকৃতির বিরুদ্ধে সব আয়োজন ব্যর্থ হয়। পাখি পুঁথি পাঠের ভার বহন করতে না পেরে শেষ হয়ে যায়। আর বসন্তের বাতাসে মুকুলিত কিশলয়গুলো দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে।

ক) রাজার পাখিটির নাম কী?

উত্তর : রাজার পাখিটির নাম তোতা।

খ) পাখিকে শিক্ষা দেওয়ার সব আয়োজন ব্যর্থ হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : পাখিটি মারা যাওয়ায় তাকে শিক্ষা দেওয়ার সব আয়োজন ব্যর্থ হয়।

‘তোতা কাহিনী’ গল্পের রাজার তোতা পাখিটি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে গান গেয়ে, বনের ফল খেয়ে মনের আনন্দে উড়ে বেড়াত। কিছু স্বার্থসচেতন মানুষের পরামর্শে রাজা পাখিটির শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেন।

কিন্তু প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটায় সব আয়োজন ব্যর্থ হয়। পাখিটা পুঁথি পাঠের ভার বহন করতে না পেরে মারা যায়।

গ) মানুষের ভাষা অন্য প্রাণীকে শেখানোর প্রচেষ্টা সম্পর্কে তোমার মতামত ও অভিমত ব্যক্ত করো।

উত্তর : মানুষের ভাষা অন্য প্রাণীকে শেখানোর প্রচেষ্টা মূলত প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ করা। ‘তোতা কাহিনী’ গল্পের অপরিণামদর্শী রাজা তোতা পাখিটাকে মানুষের ভাষা শেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।

রাজার লোকজন পাখিটাকে স্বাভাবিক খাদ্য, ফলমূল না দিয়ে পুঁথি থেকে পাতা ছিঁড়ে কলমের ডগা দিয়ে তার মুখে দেয়। ফলে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে সে যে গান গাইত, তা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিত্কার করার স্বাভাবিক ফাঁকটুকুও বন্ধ হয়ে যায়। পরিণামে মানুষের ভাষা শেখানোর সব উদ্যোগ ব্যর্থ করে পাখিটি মারা যায়।

তাই অন্য প্রাণীকে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে মানুষের ভাষা শেখানোর প্রচেষ্টাকে আমি নির্বুদ্ধিতা বলে মনে করি।

ঘ) উদ্ধৃতাংশ থেকে রাজা, পরামর্শদাতা ও পাখির স্বভাবের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : রাজা ‘তোতা কাহিনী’ গল্পের রাজা নির্বোধ ও হঠকারী। তাই তোতা পাখির স্বাভাবিক আচরণ তাঁর কাছে অসংগত মনে হওয়ায় তিনি পাখিটাকে মানুষের মতো শিক্ষা দিতে চাইলেন। তাঁর নির্বুদ্ধিতার কারণে পরামর্শদাতারা লাভবান হলেও পাখিটার প্রাণ যায়।

পরামর্শদাতা : রাজার পরামর্শদাতারা বোকা রাজাকে উল্টো-পাল্টা বুঝিয়ে মোটা অঙ্কের পারিতোষিক নিয়ে বিদায় হয়। পুঁথির ভার বহন করতে না পেরে পাখিটা যখন মারা গেল, তখনো তারা রাজাকে বোঝাল যে পাখিটার শিক্ষা পুরো হয়েছে।

পাখি : পাখি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে গান গায়, লাফায়, বনের ফলমূল খেয়ে গাছে গাছে উড়ে বেড়ায়। কিন্তু রাজার চাটুকার পরামর্শদাতারা বিদ্যাশিক্ষার নাম করে শেষ পর্যন্ত পাখিটাকে মেরে ফেলে।

 

২। উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সংসারে অন্য অনেক অভাব আছে, কেবল নিন্দুক আছে যথেষ্ট। তারা বলল, ‘খাঁচাটার উন্নতি হইতেছে, কিন্তু পাখিটার খবর কেহ রাখে না।’ কথাটা রাজার কানে গেল। তিনি ভাগিনাকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘ভাগিনা, একী কথা শুনি।’

ভাগিনা বলিল, ‘নিন্দুকগুলি খাইতে পায় না বলিয়াই মন্দ কথা বলে।’

জবাব শুনিয়া রাজা অবস্থাটা পরিষ্কার বুঝিলেন, আর তখনি ভাগিনাদের গলায় সোনার হার চড়িল।

ক) পাখিটাকে কেন খাঁচায় রাখা হয়েছিল?

উত্তর : পাখিটাকে শাস্ত্র শিক্ষা দেওয়ার জন্য খাঁচায় রাখা হয়েছিল।

খ) নিন্দুক কারা? তাদের মন্তব্যের প্রকৃত অর্থ ব্যাখ্যা করো?

উত্তর : যারা অপরের নিন্দা করে বেড়ায় শাব্দিক অর্থে তারাই ‘নিন্দুক’। কিন্তু ‘তোতা কাহিনী’ গল্পের নিন্দুক শাব্দিক অর্থের নিন্দুক নয়। তারা রাজার ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে তার বোধোদয় ঘটাতে চায়। তারা রাজার আত্মীয়স্বজন ও পরামর্শদাতাদের মতো তোষামোদকারী নয়। তারা সত্যবাদী ও স্পষ্টভাষী।

 

এই নিন্দুকেরা সমাজ ও মানুষের অসংগতির দিকগুলো তুলে ধরে প্রকৃতপক্ষে উপকারীর কাজটিই করে। ‘তোতা কাহিনী’ গল্পের নিন্দুকেরাও তাদের মন্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছে যে পাখিকে মানুষের মতো শিক্ষা দেওয়া অসম্ভব।

গ) উদ্দীপকের আলোকে ভাগিনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দাও।

উত্তর : তোতা কাহিনী গল্পের ভাগিনা সম্পর্কে রাজার নিকটাত্মীয়। তাদের ওপর পাখিটাকে শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল। রাজ পণ্ডিতের বিচারে পাখিকে বিদ্বান করার জন্য প্রথমে স্যাঁকরা দিয়ে সোনার খাঁচা বানানো হলো। তারপর পুঁথি লেখকদের দিয়ে পুঁথি লেখানো হলো। দামি খাঁচাটার তদারকি, মেরামত, ঝাড়া-মোছা-পলিশ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে তারা রাজার কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নিত। প্রকৃত সত্য নিন্দুক প্রকাশ করতে চাইলে ভাগিনারা রাজাকে উল্টো-পাল্টা বুঝিয়ে শান্ত করত। এমনকি পুঁথির ভার বহন করতে না পেরে পাখিটা যখন মারা গেল, তখনো তারা পাখিটার শিক্ষা পুরো হয়েছে বলে নির্বোধ রাজাকে বোঝাতে প্রয়াস পায়। এ কাহিনী থেকে বোঝা যায় যে রাজার ভাগিনারা চতুর কূটকৌশলী ও স্বার্থপর স্বভাবের।

ঘ) ‘নিন্দুকেরা খাইতে পারে না বলিয়াই মন্দ বলে’ ভাগিনার এ কথার তাত্পর্য বিশ্লেষণ করো?

উত্তর : ‘নিন্দুকেরা খাইতে পারে না বলিয়াই মন্দ কথা বলে’ ভাগিনার এ কথার তাত্পর্য হলো নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা।

‘তোতা কাহিনী’ গল্পের রাজা পাখিকে শাস্ত্র শিক্ষার দায়িত্ব তার ভাগিনাদের ওপর দেন। সে অনুযায়ী পাখির জন্য সোনার খাঁচা বানিয়ে তার তদারকির জন্য বিভিন্ন লোক নিয়োগ করা হলো। তারা খাঁচার ঝাড়া-মোছা ও পলিশ ইত্যাদি কাজে লাগলেও যার জন্য এত আয়োজন তার দিকে অর্থাৎ পাখিটার দিকে কোনো মনোযোগ দিল না।

নিন্দুকেরা এই দিকটি লক্ষ করে খাঁচার উন্নতি আর পাখিটার প্রতি অবহেলার বিষয়ে মন্তব্য করলে রাজা ভাগিনাদের ডেকে প্রকৃত সত্য জানতে চাইলে দোষ ঢাকতে ভাগিনা উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করে। প্রকৃতপক্ষে রাজার হঠকারিতা, নির্বুদ্ধিতা ও অদূরদর্শিতার কারণেই ভাগিনা এ ধরনের মন্তব্য করার সাহস পেয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৩০।        আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ

  ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার     খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

  গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা

  উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

৩১।        বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?

  ক. ১৮৫৭    খ. ১৯০৮

  গ. ১৯৭৭     ঘ. ১৯৩৭

  উত্তর : গ. ১৯৭৭

৩২।        নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?

  ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক

  গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম

  উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান
সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। অঙ্কন : প্রসূন হালদার

চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। শ্বসনিক বস্তু কী?

  উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমনশর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।

২।

অবাত শ্বসন কী?

  উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।

৩। ফার্মেন্টেশন কী?

  উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।

৪।

ফটোলাইসিস কী?

  উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।

৫।        C3 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।

এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে  C3 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C3 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলে।

৬। জীবনীশক্তি কী?

  উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।

৭।

ফটোফসফোরাইলেশন কী?

  উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP  ও অজৈব ফসফেট (Pi)  এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP  তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।

৮। NADPH  শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।

  উত্তর :  NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।

৯।        সালোক সংশ্লেষণ কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।

১০।  ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?

  উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP  তৈরি হয়। ATP

শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।

১১।       C4 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।

১২।       শ্বসন কী?

  উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।

 

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলোএলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।

 

যোগ্যতা

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।

বিজ্ঞান শাখায় উক্ত পরীক্ষাগুলোর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থীরাও উপরের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন গেটওয়ে অথবা পে-স্লিপ ডাউনলোড করে এই ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে ৩১ জুলাই রাত ১২টার মধ্যে। অনলাইন থেকে আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি ৭ আগস্টের মধ্যে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকবে।


ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।

সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।


ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।

 

ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions

 

 

মন্তব্য

মজার গণিত

শেয়ার
মজার গণিত

  ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯

  গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক

 

৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।

  উদাহরণ

  ৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯

  ৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯

  ৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯

  ৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯

 

যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।

  উদাহরণ

  ৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪

  মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,

  ৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩

  বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,

  ৫ + ১ + ৩ = ৯

 

৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে। 

  যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।

৩ দশকের ঘরে বসাও। এর পর ভাঁজ করা আঙুলের পরে গুনে দেখো কয়টি আঙুল আছে? অবশ্যই ছয়টি আঙুল। ৬ এককের ঘরে বসাও। তাহলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৩৬।

  এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।

সৈয়দা জুয়েলী আকতার

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ