ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ মহররম ১৪৪৭
পদ

এইচএসসি : বাংলা দ্বিতীয় পত্র

  • মো. শহিদুল ইসলাম
প্রভাষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা
প্রভাষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসি : বাংলা দ্বিতীয় পত্র

প্রশ্ন : ক্রিয়াপদ কাকে বলে? ভাব প্রকাশের সম্পূর্ণতা অনুসারে ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।

উত্তর : ক্রিয়াপদ : যে পদ দ্বারা কর্তার অবস্থা, স্বত্ব এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্তার কার্য সম্পাদন করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে। ভাব প্রকাশের সম্পূর্ণতা অনুসারে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

যেমন : ক. সমাপিকা ক্রিয়া ও খ. অসমাপিকা ক্রিয়া।

ক. সমাপিকা ক্রিয়া : অর্থ ও গঠনগত দিক থেকে যে ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের বা বক্তার মনোভাবের পূর্ণতা ও পরিসমাপ্তি সাধিত হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। সমাপিকা ক্রিয়া বাক্যের সঙ্গে পক্ষবাচক সম্পর্ক নির্দেশ করে, ক্রিয়ার কাল ও প্রকারের ধারণা দেয় এবং বাক্যের অন্তর্গত পূর্ণতা দেয়। যেমন : আমি স্কুলে যাব না।

সে কবিতা আবৃত্তি করবে।

অনেকক্ষণ হলো বৃষ্টি ধরেছে।

খ. অসমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, বাক্যটি সমাপ্ত হয়েছে কি না বোঝায় না এবং বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণতার জন্য একটি সমাপিকা ক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকতে হয়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। অসমাপিকা ক্রিয়ার পক্ষ (পুরুষ) বা কালের চিহ্নযুক্ত নয় এবং তা বাক্যের অর্থ ও গঠনগত পূর্ণতা দেয় না। সাধারণত আ/আনো (করা, দেখানো), এ (করে), লে (করলে), তে (করতে) বিভক্তিযুক্ত ক্রিয়া অমাপিকা ক্রিয়া নির্দেশ করে।

যেমন :

সকালে সূর্য উঠলে ...

তারা সূর্যাস্ত দেখতে...

ওপরের দুটি বাক্যে ‘উঠলে’, ‘দেখতে’ ক্রিয়াগুলোর সাহায্যে বাক্যের অর্থ ও গুণগত পূর্ণতা পাওয়া যায় না। তা ছাড়া এগুলোতে পক্ষ (পুরুষ) ও কালের চিহ্ন যুক্ত হয় না। উপর্যুক্ত বাক্যগুলো পূর্ণ মনোভাব জ্ঞাপন করলে দাঁড়াবে : সকালে সূর্য উঠলে অন্ধকার দূর হয়।

তারা সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার গেছে।

পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন করতে হলে সমাপিকা ক্রিয়া অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

সাধারণত ইয়া (পড়িয়া), ইলে (পড়িলে), ইতে (পড়িতে), এ (পড়ে), লে (পড়লে), তে (পড়তে) বিভক্তিযুক্ত ক্রিয়াপদ অসমাপিকা ক্রিয়া।

প্রশ্ন : কর্মপদ-সংক্রান্ত ভূমিকা অনুসারে ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।

উত্তর :  কর্মপদ-সংক্রান্ত ভূমিকা অনুসারে ক্রিয়াপদকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন : ক. সকর্মক  ক্রিয়া, খ. অকর্মক ক্রিয়া, গ. দ্বিকর্মক ক্রিয়া ও ঘ. প্রযোজক ক্রিয়া।

ক. সকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। ক্রিয়াপদকে কী বা কাকে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্মপদ। কর্মপদযুক্ত ক্রিয়াই সকর্মক ক্রিয়া। যেমন : মামা আমাকে একটি বই কিনে দিয়েছেন। কী দিয়েছেন? উত্তর : বই (কর্মপদ)।

কাকে দিয়েছেন? উত্তর : আমাকে (কর্মপদ)।

‘দিয়েছেন’ ক্রিয়াপদটির কর্মপদ থাকায় এটি সকর্মক ক্রিয়া।

খ. অকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়া কেবল কর্তাকে অবলম্বন করে ঘটে এবং যার কর্ম নেই, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। এ ধরনের ক্রিয়াকে কী বা কাকে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় না। যেমন : মেয়েটি কাঁদে। কী কাঁদে বা কাকে কাঁদে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর মেলে না। কাজেই ‘কাঁদে’ ক্রিয়াটি অকর্মক ক্রিয়া।

গ. দ্বিকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার দুটি কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্মপদটিকে মুখ্য বা প্রধান কর্ম এবং ব্যক্তিবাচক কর্মপদটিকে গৌণ কর্ম বলে। যেমন : ‘মামা আমাকে একটি বই কিনে দিয়েছেন’—এই বাক্যে ‘বই’ (বস্তু) মুখ্য কর্ম এবং ‘আমাকে’ (ব্যক্তি) গৌণ কর্ম।

সমধাতুজ কর্ম : বাক্যের ক্রিয়া ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে তাকে ওই কর্মপদের সমধাতুজ কর্ম বা ধাত্বর্থক কর্মপদ বলে। যেমন : আর কত খেলা খেলবে। মূল ‘খেল’ ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ ‘খেলবে’ এবং কর্মপদ ‘খেলা’ উভয়ই গঠিত হয়েছে। তাই ‘খেলা’ পদটি সমধাতুজ বা ধাত্বর্থক কর্ম।

ঘ. প্রযোজক ক্রিয়া : প্রযোজক ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যোগ করে যে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে প্রযোজক  ক্রিয়া বলে। কর্তার প্রযোজনায় এই ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ ধরনের ক্রিয়া যে প্রযোজনা করে বা চালনা করে, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া আর যাকে দিয়ে ক্রিয়াটি সংঘটিত হয়, তাকে প্রযোজক কর্তা বলা হয়।

যেমন—

প্রযোজক কর্তা : মা, শিক্ষক 

প্রযোজ্য কর্তা : শিশুকে, ছাত্রকে    

মুখ্য কর্ম :   চাঁদ, ব্যাকরণ

প্রযোজক ক্রিয়া : দেখাচ্ছেন, 

পড়াচ্ছেন ইত্যাদি।

ওপরের উদাহরণে প্রযোজক ক্রিয়া ‘দেখাচ্ছেন’ ও ‘পড়াচ্ছেন’-এর প্রযোজক কর্তা হচ্ছেন যথাক্রমে ‘মা’ ও ‘শিক্ষক’ আর ‘দেখা’ ও ‘পড়ার’ কাজটি করছে যথাক্রমে ‘শিশু’ ও ‘ছাত্র’।

তাই ‘শিশু’ ও ‘ছাত্র’ অর্থের প্রথাগত বিবেচনায় প্রযোজ্য কর্তা, কিন্তু ব্যাকরণের রূপ অনুসারে ‘শিশুকে’ ও ‘ছাত্রকে’ গৌণ কর্ম।

প্রশ্ন :  ক্রিয়াবিশেষণ কাকে বলে? পদবিন্যাসের দিক থেকে ক্রিয়াবিশেষণের  পরিচয় দাও।

উত্তর :  ক্রিয়াবিশেষণ : যে বিশেষণ পদ ক্রিয়ার বিশেষ অবস্থা বা ক্রিয়া কী রূপে সম্পন্ন হয়েছে তা জানিয়ে দেয়, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। অর্থাত্ ক্রিয়াবিশেষণ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে। এটি ক্রিয়ার গুণ, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও অর্থ প্রকাশক শব্দ হিসেবে কাজ করে এবং ক্রিয়ার সময়, স্থান, প্রকার, উত্স, তীব্রতা, উপকরণ ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থার অর্থগত ধারণা দেয়। ক্রিয়াবিশেষণ সাধারণ কর্ম ও  ক্রিয়ার পূর্বে বসে। যেমন : আমি আস্তে আস্তে ভাত খাই। কারা যেন গুনগুনিয়ে গান গাইছিল।

বিভক্তিচিহ্ন ছাড়া কিংবা বিভক্তিচিহ্ন যোগে, অসমাপিকা ক্রিয়াপদ যোগে, শব্দদ্বৈত যোগে ক্রিয়াবিশেষণ গঠিত হয়। যেমন : অসমাপিকা ক্রিয়াপদ যোগে ক্রিয়াবিশেষণ : ভালো করে (ইয়া>য়ে) হাঁটো। শব্দদ্বৈত যোগে ক্রিয়াবিশেষণ : ধীরে ধীরে ডুবছে। বাংলা শব্দভাণ্ডারে ক্রিয়াবিশেষণের সংখ্যা প্রচুর এবং এর প্রয়োগ বৈশিষ্ট্যও বৈচিত্র্যপূর্ণ বলে একে স্বতন্ত্র শব্দশ্রেণি হিসেবে গণ্য করা হয়। পদবিন্যাসের দিক থেকে ক্রিয়াবিশেষণ দুই রকম হতে পারে। যেমন : ক. একপদী ক্রিয়াবিশেষণ ও খ. বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ পদবন্ধ।

ক. একপদী ক্রিয়াবিশেষণ : আস্তে, জোরে, রেগে, সরবে, সাগ্রহে, অনায়াসে, নির্বিঘ্নে, শান্তভাবে ইত্যাদি একপদী ক্রিয়াবিশেষণ। বাক্যে প্রয়োগ : ছেলেটা জোরে চিত্কার করে উঠল।

খ. বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ : আস্তে আস্তে, জোরে জোরে, ভয়ে ভয়ে, থেকে থেকে ইত্যাদি বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ। বাক্যে প্রয়োগ : আমরা ভয়ে ভয়ে হাঁটছিলাম।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি লেখো।

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ।

২।

       বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো কয় স্তরবিশিষ্ট?

  উত্তর : বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো তিন স্তরবিশিষ্ট।

৩।        বাংলাদেশ সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।

৪।

       রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

  উত্তর : রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

৫।        বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কখন?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।

১৬।

       বাংলাদেশের উপজেলা পরিষদের সংখ্যা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের সংখ্যা ৪৯৫টি।

৭।        গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম কী?

  উত্তর : গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।

৮।        বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?

  উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।

৯।        রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান কয়টি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান চারটি। যথা—

i. জনসমষ্টি, ii. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড,
iii. সরকার ও iv. সার্বভৌমত্ব।

১০।       বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়।

১১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কী?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি সরকার।

১২।       বর্তমানে দেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে?

  উত্তর : বর্তমানে দেশে ৪,৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে।

১৩।       রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?

  উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

১৪।       এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তাকে এককেন্দ্রিক সরকার বলে।

১৫।       বিচার বিভাগ কী?

  উত্তর : সরকারের যে অঙ্গ বা বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকে তা-ই বিচার বিভাগ।

১৬।       সংবিধান কী?

  উত্তর : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল।

১৭।       সমাজতন্ত্র কী?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় উৎপাদনের সকল উপাদান (ভূমি, শ্রম, মূলধন ও ব্যবস্থাপনা) রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে, তা-ই সমাজতন্ত্র।

১৮। স্থানীয় সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা।

১৯।       বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ আছে?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।

২০।       রাজতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা লাভ করেন তাকে রাজতন্ত্র বলে।

২১।       গণতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে রাষ্ট্র বা সরকারব্যবস্থা সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস তাকে গণতন্ত্র বলে।

২২।       সুশাসন কী?

  উত্তর : যে সরকার দেশ পরিচালনায় সাংবিধানিক এবং আইনগত বিধিমালার অধীনে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় ও জনকল্যাণে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দেয়, তা-ই সুশাসন।

২৩।       রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো কী?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো সংবিধান।

২৪।       কতজন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত?

  উত্তর : ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত।

২৫।       একনায়কতন্ত্রে কার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়?

  উত্তর : একনায়কতন্ত্রে একনায়ক বা এক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।

২৬।       বাংলাদেশে কয়টি মহানগর রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশে ১২টি মহানগর রয়েছে।

২৭।       বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চারটি। যথা—জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।

২৮।       বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা একটি।

২৯।       কত শতাংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়?

  উত্তর : দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়।

৩০। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কী?

  উত্তর : গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।

৩১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকার।

৩২।       রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ কার মাধ্যমে সাধিত হয়?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ সরকারের মাধ্যমে সাধিত হয়।

 

 

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই

    সোনিয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক, ধামদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই
মাটির হাঁড়িতে রং করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

শখের মৃৎশিল্প

► অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

          আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম। অবাক হলাম, পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ। পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই। তেমনি সাদা আঁশ, লাল ঠোঁট।

আমরা একটি মাটির ইলিশও কিনলাম। মামা বললেন, ওই যে পুতুলগুলো দেখছ ওগুলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে এসব পুতুল বানানো হয়। যেমন—বর-কনে, কৃষক, নথ পরা ছোট্ট মেয়ে, নানা রকমের মাটির টেপা পুতুল।
মেলার এক প্রান্তে বড় জায়গাজুড়ে এসব মাটির পুতুলের দোকান। মামা বললেন, এগুলো হচ্ছে মাটির শিল্পকলা। মামা বুঝিয়ে বললেন, যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা।
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!

১।       সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ :

i. অনুচ্ছেদটিতে কী সম্পর্কে বলা হয়েছে?

  ক. বাংলাদেশের প্রকৃতি   
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ                                 

          গ. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন            
ঘ. মৃৎশিল্প

ii. টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়, তাকে কী বলে?

          ক. শখের হাঁড়ি     খ. টেপা পুতুল             
গ. রুপালি ইলিশ   ঘ. মৃৎশিল্প

iii.        মাটি দিয়ে যেসকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সেগুলোকে কী বলে?               

          ক. মাটির শিল্প     খ. বেতের শিল্প               
গ. চামড়াশিল্প          ঘ. কাসাশিল্প

iv.        নিচের কোনটি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প?                                          

          ক. বাঁশশিল্প   খ. মাটির শিল্প             
গ. বেতের শিল্প        ঘ. চামড়াশিল্প                      

v. আমাদের দেশে কারা এই মাটির জিনিসপত্র যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে?   

     ক. জেলে সম্প্রদায়    খ. বেদে সম্প্রদায়          

     গ. কুমার সম্প্রদায়   
ঘ. তাঁতি সম্প্রদায়

  উত্তর : i. ঘ. মৃৎশিল্প
ii. খ. টেপা পুতুল
iii. ক. মাটির শিল্প
iv. খ. মাটির শিল্প   
v. গ. কুমার সম্প্রদায়                              

২।

      নিচের শব্দগুলোর ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ :

         কিনিলাম, বলিলেন, দেখিলাম, যাইব, আসিয়াছে

  উত্তর
সাধু রূপ চলিত রূপ

  কিনিলাম কিনলাম
বলিলেন  বললেন
দেখিলাম দেখলাম
যাইব   যাব
আসিয়াছে আসছে

৩।       নিচের শব্দের অর্থগুলো লেখ :

          শখ, টেপা পুতুল, মাটির শিল্প, প্রাচীন, কুমার।

  উত্তর

  প্রদত্ত শব্দ অর্থ

  শখ     মনের ইচ্ছা।

  মাটির শিল্প   মাটির তৈরি শিল্পকর্ম বা মৃৎশিল্প।

  টেপা পুতুল টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা            হয়।

         প্রাচীন     পুরাতন।

         কুমার যারা মাটি দিয়ে নানা জিনিসপত্র              তৈরি করেন।

৪।       নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :

          ক. শখের হাঁড়ি কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি একটি শিল্পকর্ম হলো শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস যে সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়, তাকে শখের হাঁড়ি বলে।

  খ. টেপা পুতুল কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি এক ধরনের পুতুল হলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয় তাকে টেপা পুতুল বলে।

          গ. বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি? এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যে লেখ।

          উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্মের নাম মৃৎশিল্প। আমাদের দেশের প্রাচীন শিল্পগুলোর মধ্যে মাটির শিল্প অন্যতম। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে এসব মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!               

 

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    মোছা. সুমি বেগম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

  ‘পাখি’, ‘পিতৃপুরুষের গল্প’, ‘ছবির রং’, ‘সেই ছেলেটি’ ও ‘বহু জাতিসত্তার দেশ—বাংলাদেশ’ গদ্যাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো—

১।        ‘পাখি’ গল্পটি কার লেখা?

  উত্তর : পাখি গল্পটি লীলা মজুমদারের লেখা।

২।        গল্পের কুমু অসুস্থ হলে কারা চিন্তায় পড়ে?

  উত্তর : কুমু অসুস্থ হলে তার পরিবার চিন্তায় পড়ে।

৩।        ‘হলদে পাখির পালক’ গ্রন্থটি কার লেখা?

  উত্তর : হলদে পাখির পালক গ্রন্থটি লীলা মজুমদারের লেখা।

৪।        ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ কী?

  উত্তর : ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ হলো অনেক চেষ্টা করে।

৫।        পাখি গল্প পাঠের উদ্দেশ্য কী?

  উত্তর : পাখি গল্পের পাঠের উদ্দেশ্য হলো প্রাণীদের প্রতি শিক্ষার্থীদের মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।

৬।        সোনাঝুরিতে কত মাস থাকবে কুমু?

  উত্তর : সোনাঝুরিতে তিন মাস থাকবে কুমু।

৭।        দিদিমার বাড়িটি কেমন?

  উত্তর : দিদিমার বাড়ি দোতলা।

৮।        বিলের জল কেমন?

  উত্তর : বিলের জল সাদা চকচকে।

৯।

       লাটুর মতে, শিকারিদের মজা কিসে?

  উত্তর : লাটুর মতে শিকারিদের অনেক মজা, তারা বুনোহাঁস শিকার করতে পারে।

১০।       বিদেশি পাখি কখন বাংলাদেশে আসে?

  উত্তর : বিদেশি পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে।

১১।       অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতর  কেমন করতে থাকে?

  উত্তর : অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতরে টনটন করতে থাকে।

১২।       ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কে বলেছিল?

  উত্তর : ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কথাটি বলেছিল দিম্মা।

১৩।       হাঁসেরা কোথায় গিয়ে নামল?

  উত্তর : হাঁসেরা বিলের জলে গিয়ে নামল।

১৪।        ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পটিতে অন্তুর মামার নাম কী?

  উত্তর : অন্তুর মামার নাম কাজল।

১৫।       ঢাকা শহরের আগের নাম কী?

  উত্তর : ঢাকা শহরের আগের নাম জাহাঙ্গীরনগর।

১৬।       কাজল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?

  উত্তর : কাজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।

১৭।       ‘ছবির রং’ লেখাটি কার?

  উত্তর : ছবির রং লেখাটি হাশেম খানের।

১৮।       মৌলিক রং কোনগুলো?

  উত্তর : লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটিই হলো মৌলিক রং।

১৯।       কদম ফুল কোন ঋতুতে ফোটে?

  উত্তর : কদম ফুল বর্ষাকালে ফোটে।

২০।       সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে কখন?

  উত্তর : কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে।

২১।       বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা কেমন?

  উত্তর : বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা অনেক মুক্ত, সহজ ও সাহসী।

২২।       বাহার শব্দের অর্থ কী?

  উত্তর : বাহার শব্দের অর্থ হলো সৌন্দর্য বা শোভা।

২৩।       চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে?

  উত্তর : অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে।

২৪।       ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা?

  উত্তর : সেই ছেলেটি একটি নাটিকা।

২৫।       নাটিকাটিতে দৃশ্য কয়টি?

  উত্তর : নাটিকাটিতে মাত্র তিনটি দৃশ্য।

২৬।       প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি কোথায়?

  উত্তর : প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি হবিগঞ্জ।

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

মডেল প্রশ্ন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। নিচের কোন হিসাবটি চলতি সম্পদ?

  ক. পুঞ্জীভূত অবচয়  খ. নগদান হিসাব

  গ. ১০% বিনিয়োগ   ঘ. কলকবজা

২। মেশিন সংস্থাপনের জন্য ৫,০০০ টাকা মজুরি প্রদত্ত হলে ডেবিট হবে

  ক. মেরামত হিসাব  খ. মজুরি হিসাব

  গ. রক্ষণাবেক্ষণ হিসাব   
ঘ. যন্ত্রপাতি হিসাব

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির অবচয়যোগ্য মূল্য ১,৮০,০০০ টাকা এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ২০,০০০ টাকা। অবচয়ের হার ১০%।

প্রথম বছরের বার্ষিক অবচয় ২০,০০০ টাকা।

৩। পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির ক্রয়মূল্য কত?

  ক. ১,৬০,০০০ টাকা খ. ১,৮০,০০০ টাকা

  গ. ২,০০,০০০ টাকা ঘ. ২,২০,০০০ টাকা

৪। পদ্মা কম্পানি কোন পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করে?

  ক. সরলরৈখিক পদ্ধতি    
খ. ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি

  গ. উৎপাদন একক পদ্ধতি
ঘ. বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি

৫।

আয় বিবরণীতে নিচের কোনটি দেখানো হয়?

  ক. অগ্রিম খরচ     খ. প্রদত্ত খরচ

  গ. প্রদেয় খরচ     ঘ. প্রাপ্য আয়

৬। মাহিম ট্রেডার্সের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ঋণের পরিমাণ ৭০,০০০ টাকা, যার ২০,০০০ টাকা পরবর্তী বছরে পরিশোধ করতে হবে। মাহিম ট্রেডার্সের দীর্ঘমেয়াদি দায়ের পরিমাণ কত?

  ক. ২০,০০০ টাকা  খ. ৫০,০০০ টাকা

  গ. ৭০,০০০ টাকা ঘ. ৯০,০০০ টাকা

৭। ২০,০০০ টাকা বিজ্ঞাপন খরচের ৩৫ অংশ অবলোপন করা হলে বিলম্বিত বিজ্ঞাপন ব্যয় কত হবে?

  ক. ৪,০০০ টাকা   খ. ৮,০০০ টাকা

  গ. ১২,০০০ টাকা ঘ. ১৬,০০০ টাকা

৮।

সম্পত্তি, দায় ও মূলধনের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে

  ক. ডেবিট এবং ক্রেডিট   
খ. দ্বৈত সত্তা গ. উদ্বৃত্তপত্র
ঘ. হিসাব সমীকরণ

৯। হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কী?

  ক. চালান খ. ক্যাশ মেমো

  গ. লেনদেন   ঘ. ভাউচার

১০।       অবচয় একটি

  ক. দৃশ্যমান ব্যয়    খ. অদৃশ্যমান ব্যয়

  গ. কাল্পনিক ব্যয়   ঘ. নগদ ব্যয়

১১।       আকিবের নিকট নগদে মাল বিক্রয় ২৫,০০০ টাকা। এ লেনদেনটির জন্য ব্যবহূত প্রামাণ্য দলিল

  i. ক্যাশ মেমো           ii. ক্রেডিট নোট

  iii. ক্রেডিট ভাউচার

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iiii  খ. iii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

১২।

       মালিকানা স্বত্ব হ্রাসের কারণ হচ্ছে

  ক. উত্তোলন ও নগদ কমে যাওয়া  
খ. উত্তোলন ও খরচ বেড়ে যাওয়া

  গ. খরচ ও দায় কমে যাওয়া      
ঘ. খরচ ও দায় বেড়ে যাওয়া

১৩।       ক্রয় জাবেদায় কোন ধরনের লেনদেন লেখা হয়?

  ক. সম্পদ ক্রয় খ. চেকে ক্রয়

  গ. নগদে ক্রয় ঘ. ধারে ক্রয়

১৪।       কোন সম্পর্কটি সঠিক?

  ক. ক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব   
খ. ক্রয় বাট্টা ও প্রাপ্য হিসাব

  গ. ক্রয় বাট্টা ও বিক্রয় বাট্টা
ঘ. বিক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব

১৫।       প্রাপ্য হিসাব প্রভাবিত হবে এমন লেনদেন

  i. ধারে বিক্রয়
ii. বিক্রয় ফেরত

  iii. প্রাপ্য হিসাব আদায়  
নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৬।       মাসের শুরুতে পেটি ক্যাশিয়ারের হাতে নগদ ছিল ২০০ টাকা। এ মাসে পেয়েছেন ৮০০ টাকা। তার অগ্রদত্ত টাকার পরিমাণ কত?

  ক. ১,০০০ টাকা   খ. ৮০০ টাকা

  গ. ৬০০ টাকা ঘ. ২০০ টাকা

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব অরন্য একজন ব্যবসায়ী। তিনি জনাব সুমনের নিকট ৪০,০০০ টাকার পণ্য ৫% বাট্টায় বিক্রয় করে নগদ ১০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকার একটি চেক পেলেন। পরবর্তীতে তিনি জনাব সুমনকে ২০০ টাকা বাট্টা প্রদান করে অবশিষ্ট অর্থ নগদে গ্রহণ করেন।

১৭।       ধারে বিক্রয়ের পরিমাণ কত?

  ক. ৮,০০০ টাকা   খ. ১০,০০০ টাকা

  গ. ২৮,০০০ টাকা ঘ. ৩০,০০০ টাকা

১৮।       বাট্টা প্রদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীতে

  i. ব্যয় বৃদ্ধি ১,২০০ টাকা, সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা

  ii. সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা, ব্যয় বৃদ্ধি ২০০ টাকা

  iii. নগদ বৃদ্ধি ৭,৮০০ টাকা, মালিকানা স্বত্ব হ্রাস ২০০ টাকা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৯।       পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অমর্যাদাকৃত চেককে কী বলে?

  ক. বাহক চেক     খ. অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক

  গ. দাগ কাটা চেক ঘ. এন এস এফ চেক

২০।       ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ

  i. পাশ বইতে ক্রেডিট করা হয় 
ii. পাশ বইতে ডেবিট করা হয়

  iii. নগদান বইতে ডেবিট করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

২১।       আসিফ ট্রেডার্সের ব্যাংক বিবরণী অনুযায়ী ডেবিট ব্যালেন্স ১০,০০০ টাকা। ব্যাংক বিবরণীর এ ডেবিট ব্যালেন্স আসিফ ট্রেডার্সের জন্য কী?

  ক. আয়   খ. ব্যয়

  গ. সম্পত্তি    ঘ. দায়

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২২ ও ২৩ নম্বর  প্রশ্নের উত্তর দাও :

  যদি ১ জানুয়ারি তারিখে ব্যাংক উদ্বৃত্ত ৩০,০০০ টাকা হয়, ১০ জানুয়ারি ১০,০০০ টাকার চেক পেয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় পক্ষান্তরে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ওই চেকটি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।

২২।       ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক উদ্বৃত্ত ছিল কত টাকা?

  ক. ১০,০০০ টাকা খ. ২০,০০০ টাকা

  গ. ৩০,০০০ টাকা ঘ. ৪০,০০০ টাকা

২৩।       চেকটি প্রত্যাখ্যানের কারণে

  i. প্রাপ্য হিসাব ডেবিট হবে   
ii. প্রদেয় হিসাব ক্রেডিট হবে

  iii. ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

 ২৪।      নিচের কোন হিসাব রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হবে?

  ক. প্রারম্ভিক মজুদ, সমন্বিত ক্রয় ও শিক্ষানবিশ সেলামি

  খ. মোট মুনাফা, সমাপনী মজুদ পণ্য ও অগ্রিম বিমা

  গ. প্রারম্ভিক, মনিহারি মজুদ, অব্যবহূত মনিহারি ও প্রদেয় মজুরি

  ঘ. প্রারম্ভিক মজুদ, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ও উত্তোলন

২৫।       দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির উদ্ভব কোন দেশে?

  ক. ইতালি খ. গ্রিস

  গ. ইংল্যান্ড   ঘ. ফ্রান্স

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব রাহাত একজন আসবাবপত্র ব্যবসায়ী। তিনি ৩,০০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ১০% বাট্টায় স্টার ফার্নিচার এর নিকট থেকে ক্রয় করে ভুলবশত আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট করেন। তিনি ৩,০০০ টাকা মূল্যের একটি টেবিল ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেন এবং ক্রয়কৃত পণ্যের অর্ধাংশ ১,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করেন, যার পরিবহন ব্যয় ৬০০ টাকা নির্বাহ করা হয়।

২৬।       জনাব রাহাতের হিসাব সংরক্ষণে কোন ধরনের ভুল সংঘটিত হয়েছে?

  ক. করণিক ভুল খ. নীতিগত ভুল

  গ. পরিপূরক ভুল    ঘ. বাদ পড়ার ভুল

২৭।       লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা কত হবে?

  ক. ১১,৪০০ টাকা খ. ১২,০০০ টাকা

  গ. ১৪,৪০০ টাকা ঘ. ১৫,০০০ টাকা

২৮।       কোনটি হিসাব সংরক্ষণের কোনো স্থায়ী রেকর্ড নয়?

  ক. নগদান বই খ. খতিয়ান

  গ. আর্থিক বিবরণী   ঘ. কার্যপত্র

২৯।       সমাপনী দাখিলা দ্বারা

  i. নামিক হিসাব বন্ধ করা হয়  
ii. উত্তোলনকে মূলধনে সমন্বয় করা হয়

  iii. চলতি সম্পদ হিসাব বন্ধ করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

৩০।       বকেয়া খরচ সমন্বয় করা না হলে

  ক. মুনাফা বেশি ও খরচ কম দেখানো হবে

  খ. খরচ কম ও মুনাফা কম দেখানো হবে

  গ. মুনাফা কম ও খরচ বেশি দেখানো হবে

  ঘ. খরচ বেশি ও মুনাফা বেশি দেখানো হবে।

 

  উত্তর : ১. খ ২. ঘ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. খ
৭. খ ৮. ঘ ৯. গ ১০. খ ১১. ক ১২. খ ১৩. ঘ ১৪. ক ১৫. ঘ ১৬. ক ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ঘ
২০. খ ২১. ঘ ২২. ঘ ২৩. গ ২৪. খ ২৫. ক ২৬. খ ২৭. গ ২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ক।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ