দেশের শিল্প খাতে স্বস্তি নেই। দুরবস্থা বিরাজ করছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ব্যাংকঋণে সুদের হার ৯ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ডলারের উচ্চমূল্য ও সংকট শিল্পে কাঁচামালসহ জরুরি আমদানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
উদ্যোক্তাদের আস্থায় নিতে হবে
- ঘনীভূত সংকটের মধ্যে আসছে বাজেট

দেশীয় উদ্যোক্তারা যখন সংকটে থাকেন, নতুন বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে যান, তখন বিদেশি বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রেও ভাটা পড়ে। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এক জরিপে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে কাজ করা জাপানি কম্পানিগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যবসার পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা। এ ছাড়া সরকারের অস্পষ্ট নীতি ব্যবস্থাপনা, বৈদ্যুতিক অবকাঠামোর ঘাটতি, আইনের অস্পষ্টতা ও জটিলতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকেও তারা বড় ঝুঁকি মনে করে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২ জুন টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। পরে তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাস হবে। বাজেটের আকার হবে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে আসন্ন বাজেটের মূল আকার সাত হাজার কোটি টাকা কমবে, দেশে যেমনটি অতীতে কখনো দেখা যায়নি। শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা মনে করেন, যে বাজেট উত্থাপন করা হতে যাচ্ছে, তাতে বেসরকারি খাতের কর্মকাণ্ড চাঙ্গা করে কর্মসংস্থান বাড়ানোই মূল চ্যালেঞ্জ হবে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, বৈশ্বিক শুল্কযুদ্ধ রপ্তানি বাজারেও নানা অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়লে ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সামগ্রিক অর্থনীতিতে সংকট আরো গভীর হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচক নিয়েই দুশ্চিন্তা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। বিনিয়োগ বাড়ানো না গেলে নতুন কর্মসংস্থান হবে না, বাড়বে বেকারের সংখ্যা। তাই অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে বিদ্যমান শিল্পের সুরক্ষার পাশাপাশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মতো পরিবেশ সৃষ্টি ও রক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে স্বচ্ছন্দ ও নির্ভয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট ঘোষণার আগে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোর সঙ্গে বসে এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সংকট ও তা থেকে উত্তরণের পথ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
সম্পর্কিত খবর

কার্যকর উদ্যোগ নিন
- বিনিয়োগে স্থবিরতা

দেশে শিল্প-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো নয়। বিনিয়োগে এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। ডলার সংকট, বিদ্যুৎ-জ্বালানির সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্যোক্তারা চরম দুঃসময় কাটাচ্ছেন। বাড়ছে আস্থাহীনতা।
বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা দ্রুত নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, গত এক বছরে সাভার, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ৩৫৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৮৪২ শ্রমিক। তাঁদের বেশির ভাগই অন্য কোনো কাজের সংস্থান করতে না পেরে গ্রামে চলে গেছে। অনেকে খেয়ে না খেয়ে শিল্পাঞ্চলেই পড়ে রয়েছেন, কাজের সন্ধান করছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অনেকেই বাধ্য হয়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে নষ্ট হচ্ছে সামাজিক স্থিতি। আবার অনেক কারখানা বন্ধ না হলেও ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে। লোকসান দিচ্ছে। ফলে সময়মতো বেতন-ভাতা দিতে পারছে না। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন। এতেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
দেশে কর্মক্ষম জনশক্তি বাড়ছে। তাদের কর্মসংস্থান প্রয়োজন। সে জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। আমরা আশা করি, দেশের শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ জরুরি
- বড় ধরনের সামাজিক সংকটের শঙ্কা

দেশজুড়েই এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। এই কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধী তৎপরতার খবর প্রতিনিয়ত আসছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি আর রাজধানী কিংবা বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে আটকে নেই, সারা দেশেই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোর অপরাধের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
কিশোর অপরাধীরা এখন এক মূর্তিমান আতঙ্ক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড় ভাই এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। রাজশাহীতে ‘আওয়ামী লীগ আমলে’ এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ‘ব্যানারে’ কিশোর অপরাধীচক্রের সক্রিয় থাকার তথ্য উঠে এসেছে।
এই অপরাধপ্রবণতা আইন-শৃঙ্খলা সমস্যার পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয়েরও প্রতিফলন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির সঙ্গে তাদের তৎপরতাও বাড়ছে। নানা রকম অপরাধীচক্র তাদের ব্যবহারও করছে। সম্প্রতি রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে ১১ গডফাদারের নিয়ন্ত্রণে মাদক ব্যবসা ও সহিংসতার যে চিত্র উঠে এসেছে, তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিশোর অপরাধীরাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা-পরবর্তী সময়ে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অনলাইন আসক্তি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় স্মার্টফোনে গেমস, টিকটক বা রিলসে ডুবে থাকা তাদের বাস্তব জগৎ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। খেলার মাঠের অভাব, পারিবারিক সময়ের ঘাটতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপযুক্ত পরিবেশ তাদের অপরাধপ্রবণতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
অপরাধবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কিশোর অপরাধ দমনে শুধু পুলিশি অভিযান যথেষ্ট নয়। একদিকে আইনের প্রয়োগ, অন্যদিকে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিরোধ—দুই দিক থেকেই সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আড্ডা বন্ধ, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়মিত কাউন্সেলিং এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের যুক্ত করার মতো উদ্যোগ নিতে হবে।
কিশোর গ্যাং একটি জাতীয় সংকটের রূপ নিয়েছে। এখনই সমন্বিত নীতি, কঠোর আইন প্রয়োগ ও সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু না করলে এই কিশোর অপরাধীরা আগামী দিনে আরো বড় অপরাধ নেটওয়ার্কে জড়িয়ে যাবে। রাষ্ট্র ও সমাজ দুই পক্ষেরই দায়িত্ব এখন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন
- বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকারখানা

দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। বিনিয়োগে গতি নেই। নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। বিদ্যমান কলকারখানাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর, শিল্প পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বন্ধ কারখানার বেশির ভাগই তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার ও টেক্সটাইল শিল্পের। শিল্প মালিকরা বলছেন, ব্যাংকঋণে উচ্চ সুদহার, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, তদুপরি দফায় দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামাল আমদানিতে এলসি সমস্যা, শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন কারণে দেশে শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় এক বছরে ২১৪টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্ধ না হলেও অনেক কারখানা ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে। অনেক কারখানা লোকসানে আছে। সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে না পারায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন, কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। এতেও লোকসান বাড়ছে এবং বন্ধ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে আরো অনেক কারখানা। অন্য এক খবরে দেখা যায়, গত মঙ্গলবারও আশুলিয়ার মাসকট গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিশমাইল-জিরাবো আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। একই দিন গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাস এলাকার রোয়া ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। প্রতিনিয়ত চলছে এমন বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।
শিল্প-বাণিজ্যের এমন সংকটজনক অবস্থায় চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। তাঁরা প্রায় কোনো আশার আলোই দেখতে পাচ্ছেন না। ১৫-১৬ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে কারখানা চলমান রাখার সাহসও পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এমন উচ্চসুদে ঋণ নিলে নতুন করে গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিতে পারে।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার এই দেশে শিল্প-কারখানার এমন দুরবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

নতুন উচ্চতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
- প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর

মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও ভ্রাতৃপ্রতিম একটি দেশ। বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার অনেক বিনিয়োগ রয়েছে এবং আরো বিনিয়োগের বিপুল সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
এই সফরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে একটি হলো মানবসম্পদ খাতে সহযোগিতাকে আরো সম্প্রসারিত করা। মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষ ও অদক্ষ বহু শ্রমিক কাজ করছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এমওইউ ও নোট বিনিময় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন, যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতিমালার প্রতি তাঁদের আস্থা তৈরি করবে। হালাল ইকোসিস্টেম, এলএনজি সরবরাহ এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কৌশলগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
পাশাপাশি শিক্ষা ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণসংক্রান্ত নোট বিনিময় চুক্তিগুলো দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ের পথ প্রশস্ত করবে। ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য ‘গ্র্যাজুয়েট পাস’ ভিসা চালুর অনুরোধ করা হয়েছে, এটি মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের জোরালো সমর্থনও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার এবং মায়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মালয়েশিয়ার সক্রিয় ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার বাংলাদেশের ওপর থেকে চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
সব মিলিয়ে এই সফরটি কেবল কিছু চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি ছিল একটি কৌশলগত সম্পর্ককে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট বার্তা। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে, যা উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।