<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">হাইকোর্ট গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই মর্মে নির্দেশ দেন যে অবসরে যাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরকালীন সুবিধা দিতে হবে। একই সঙ্গে বেতন থেকে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও তাঁদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। শিক্ষকদের অবসর সুবিধা পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয় উল্লেখ করে বিচারক</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">‌</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt"> বলেন, এই হয়রানি থেকে তাঁরা কোনোভাবেই পার পান না। নির্দেশনায় বলা হয়, তাঁদের অবসর ভাতা ছয় মাসের মধ্যে দিতে হবে। উল্লেখ করা হয়, </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারেন না।</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt"> একই সঙ্গে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনাও দেন হাইকোর্ট। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধার ৬১ হাজারের বেশি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে এসব আবেদন নিষ্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে বছরে ঘাটতি ৫৬০ কোটি টাকার বেশি। প্রতিবছরই এই ঘাটতি বাড়ছে। ফলে অবসর সুবিধার জন্য বছরের পর বছর শিক্ষকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">গত ৩০ মার্চ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত আরেক খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে যাঁরা অবসর ভাতার জন্য আবেদন করেন, প্রায় তিন বছর পর তাঁদের অর্থ বিতরণ করছে অবসর বোর্ড। ভুক্তভোগীদের অবসর ভাতা পেতে ন্যূনতম তিন থেকে পাঁচ বছর পার করতে হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি সময় চলে যায়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব জানিয়েছেন, আর্থিক সংকটের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত অর্থ থাকলে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাস নয়, বরং ছয় দিনেই ভুক্তভোগীদের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব। এই সংকটের কারণে দালালরা সুযোগ নিচ্ছে। আবার ভুক্তভোগীরাও সহজেই তাদের খপ্পরে পড়েন। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায়, প্রতি মাসে অবসর ভাতার জন্য আবেদন করেন গড়ে ৯০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, যাঁদের পাওনা মেটাতে প্রয়োজন অন্তত ১১০ কোটি টাকা। প্রতিবছর যতসংখ্যক শিক্ষক অবসর ভাতার জন্য আবেদন করেন, তার তুলনায় অর্থের জোগান কম। ফলে বছরে আরো অন্তত ৪২০ কোটি টাকার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা নিয়মিত পরিশোধ করা কোনো কঠিন কাজ নয়। এর জন্য অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রতিবছর কতজন শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর গ্রহণ করবেন, তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এর বিপরীতে তাঁদের জন্য কত টাকা দরকার, তার হিসাব তৈরি করতে হবে। সে অনুযায়ী বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। শিক্ষকরা যেন হয়রানির শিকার না হন, সঠিক সময়ে টাকা পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আন্তরিক হতে হবে। বৃদ্ধ বয়সে অবসর ভাতার অপেক্ষায় তাঁদের জীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে না ওঠে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p>
