<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাজের কিছু মানুষ যেন দিন দিন অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। এক শ্রেণির মানুষ বোধ হয় পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। গুরুতর অপরাধের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে অপরাধ। সামান্য কারণেই ঘটছে খুনের ঘটনা। বেড়েছে পারিবারিক সহিংসতাও। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল মাসে প্রতিদিন গড়ে ৯ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছে। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ, মাদক, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক দ্বন্দ্বসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত এপ্রিলে গুলিতে মারা গেছে ১৭ জন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ৭৭ জন। অন্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে ১৮৪ জন। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন বলেছে, এপ্রিলে বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সহিংসতায় আটজন নিহত হয়েছে। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি, ২৫ জন এবং ঢাকায় ২১ জন খুন হয়েছে। হবিগঞ্জে ১৪, কিশোরগঞ্জে ১১, নারায়ণগঞ্জে ১১, কুমিল্লায় ১০, সুনামগঞ্জে ১০, ময়মনসিংহ, বান্দরবান ও রংপুরে ৯ জন করে হত্যার শিকার হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব অপরাধের পাশাপাশি পারিবারিক অপরাধও বাড়ছে। গণমাধ্যমে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রকাশিত খবর ও পুলিশ সূত্রের তথ্য নিয়ে প্রকাশিত আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, এই এক মাসে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৬৫ জন খুন হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেন এমন ঘটছে? কেন খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না? কেন বন্ধ হচ্ছে না নৃশংস অমানবিকতা? বিশেষজ্ঞ ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ। মাদক একটি বড় কারণ হতে পারে। পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক দ্বন্দ্বসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরেও ঘটতে পারে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞরা পারিবারিক শিক্ষা ও মেলবন্ধন জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, সব কিছুর মূলে রয়েছে সম্পর্কের বন্ধনের শিথিলতা ও নৈতিক অধঃপতন। এ কারণে আপনজনরা একে অন্যকে খুন করতে দ্বিধা করছে না। পারিবারিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে এই সম্পর্কের বন্ধন যেমন জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা, পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগও জরুরি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এখন একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে। পারিবারিক বন্ধন আরো মজবুত করতে হবে। সমাজে যেসব কারণে মানুষ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সেসব খুঁজে বের করে সমাধানের পথ বের করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাজে ভালো ও মন্দ দুই ধরনের মানুষই থাকে। রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে, দুষ্ট শক্তি দমনের মাধ্যমে শিষ্টের জীবনযাপন নির্বিঘ্ন করা। খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরো তীব্র হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অন্যায়কারীর শাস্তি হলে তা দেখে অন্যরা অন্যায় কাজে নিরুৎসাহ হবে। আর সে কারণেই আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটাই প্রত্যাশা।</span></span></span></span></p>