<p>দেশের রপ্তানি আয় কমছে ধারাবাহিকভাবে। আর তাতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ৭.৫১ শতাংশ; আর আমদানি খাতে খরচ কমেছে ৫.২৬ শতাংশ। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬৮ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিক রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। আমদানি ব্যয় নেতিবাচক ধারায় নামার পরও কোনো উন্নতি হচ্ছে না। এর কারণ আমদানি ব্যয় কমার গতির চেয়ে রপ্তানি আয় কমার গতি এখনো বেশি। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। জুলাই থেকে আগস্ট—এই দুই মাসে তা বেড়ে ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—এই তিন মাসে ৩৭২ কোটি ডলার এবং জুলাই থেকে অক্টোবর—এই চার মাসে তা দাঁড়ায় ৫৬২ কোটি ডলারে। আর পাঁচ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৬৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৬৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে ছিল এক হাজার ৫৪৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আরেক খবরে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে রপ্তানিতে গতি আনতে অর্থবছরের ছয় মাস পার হওয়ার পর রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর উৎস কর কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা চলছে। এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে আনতে নগদ সহায়তা ও নীতি সহায়তা প্রয়োজন। পোশাকশিল্পের বাইরে রপ্তানি পণ্যে বহুমুখীকরণ আনতে চাইলে বাজেটে আলাদা করে ১০০ কোটি ডলার বা আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাখার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।</p> <p>দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহের গতি হতাশাজনক। রপ্তানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে আমদানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লেও এটি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাঁদের মতে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের অর্ধেক সময়েই ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। তবে অর্থনীতির অন্য সব সূচকের অবস্থা যখন খারাপ, তখন ভারসাম্য আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খুঁজে বের করতে হবে।</p> <p> </p>