মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের জার্নিটা কেমন ছিল?
এককথায় রোমাঞ্চকর! এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে পারফরম করার পূর্বপ্রস্তুতি কিংবা পরিকল্পনা—কোনোটাই ছিল না আমার। প্রথম দিকে ভড়কে গিয়েছিলাম। ক্রমে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। পরে ভালোই করছিলাম।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের জার্নিটা কেমন ছিল?
এককথায় রোমাঞ্চকর! এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে পারফরম করার পূর্বপ্রস্তুতি কিংবা পরিকল্পনা—কোনোটাই ছিল না আমার। প্রথম দিকে ভড়কে গিয়েছিলাম। ক্রমে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। পরে ভালোই করছিলাম।
তৃতীয় যে হবে, সেটা প্রথম দিন ভেবেছিলে?
সত্যি বলতে, প্রতিযোগিতার শুরুতে একটু নার্ভাস ছিলাম। সে সময় পজিশন নিয়ে ভাবার অবস্থা ছিল না।
অভিনয়ে আসছ নাকি?
এখনো নাচ, গান কিংবা অভিনয়কে পেশা হিসেবে ভাবছি না। লেখাপড়াই এখন আসল। একসঙ্গে সব কিছু করা হয়েও ওঠে না।
টার্কিশ রেডিওতে জুনিয়র অ্যাম্বাসাডর হলে কবে?
তুর্কি রেডিও-টেলিভিশনের আয়োজনে প্রতিবছরই একটি আন্তর্জাতিক শিশু সমাবেশ হয়। বাংলাদেশ থেকে কয়েকজন শিশু প্রতিবছর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রতিযোগিতার (নাচ, গান, আবৃত্তি, প্রশ্নোত্তর) মাধ্যমে ওই সমাবেশে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে। এরাই জুনিয়র অ্যাম্বাসাডর।
৩৩তম গোল্ডেন কারাগজ ফোক ডান্স প্রতিযোগিতা ২০১৯-এর অর্জন কী?
চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথমার্ধে তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৩৩তম গোল্ডেন কারাগজ ফোক ডান্স কম্পিটিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাই। প্রতিযোগিতায় প্রথম দিকের পজিশন না থাকলেও এখানে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। প্রতিযোগিতায় লোকনৃত্যে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের বাংলাদেশের হাজার বছরের সমৃদ্ধ লোকঐতিহ্য বিশ্বদরবারে উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছি। এটিই বড় অর্জন।
তুরস্কে কোনো মজার ঘটনা?
২০১৩ সালে তুরস্কে জুনিয়র অ্যাম্বাসাডর হয়ে যাওয়ার পর আমরা প্রত্যেকে একেকটি তুর্কি পরিবারে সপ্তাহখানেকের জন্য ছিলাম। সেই হোস্ট ফ্যামিলিতে থাকার অভিজ্ঞতা ছিল অন্য রকম। ২০১৯ সালে তুরস্কে আমাদের প্রতিযোগিতা চলাকালে আমার সেই তুর্কি মা-বাবা, ভাই-বোন ছয়-সাত ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। দীর্ঘ ছয় বছর পর আমাদের আবেগঘন মিলন দেখে মনে হয়েছে, কোনো পরিবার যেন তাদের হারানো সন্তান ফিরে পেয়েছে। ব্যাপারটা আমার টিমের অন্য সদস্যদের হতবাক করে দিয়েছিল। তুর্কি সফরে আমার জন্য ওটাই স্মরণীয় ঘটনা।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জিং কী ছিল?
যেহেতু প্রতিযোগিতা, তাই প্রতিটি পর্বই চ্যালেঞ্জিং। ক্যাটওয়াকের ধারণাই ছিল না। তাই এটা কঠিন লেগেছিল। তবে দ্রুত শিখে ফেলি।
পড়ালেখার কী খবর? সামনে তো প্রিটেস্ট?
অনেক প্রগ্রাম এখন বন্ধ। ছায়ানটে সংগীত শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক বছরের শিক্ষা বিরতি নিয়েছি, টেন মিনিট স্কুলের ব্লগ রাইটিং ইন্টার্নশিপ থেকে বিরতি নিয়েছি। এ ছাড়া তায়কোয়ান্দো, সাইক্লিং কিংবা নাচের প্রগ্রামও আপাতত বন্ধ। প্রিটেস্ট পরীক্ষার প্রস্তুতি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই।
কলেজের বন্ধুরা কী নামে ডাকে?
মিস ওয়ার্ল্ড ছাড়া তো কেউ ডাকেই না!
নাজিবার একটা ভালো ও মন্দ গুণ?
ভালো দিক হচ্ছে, যখন যে কাজ করি, সেটিই থাকে আমার ধ্যানজ্ঞান। মন্দ দিক হচ্ছে, পছন্দমতো গল্পের বই পেলে সব বাদ দিয়ে ওটা নিয়েই পড়ে থাকি।
আজ তো বন্ধু দিবস, কী করার প্ল্যান?
আমার বড় বন্ধু আমার মা। বহুদিন মায়ের সঙ্গে ঘুরতে বের হই না। মায়ের সঙ্গে ঘুরতে যাব আর একসঙ্গে খাব।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
এই মুহূর্তের পরিকল্পনা এইচএসসিতে ভালো করা। বুয়েটে পড়ার ইচ্ছা আছে। যে পেশায়ই থাকি না কেন, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখা চাই। যতটা সম্ভব দুস্থ মানুষদের সেবা করতে চাই।