<p><strong>ভিটামিন ‘সি’</strong></p> <p>♦ ভিটামিন ‘সি’ রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। এতে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়ে।</p> <p>♦ এটি রক্তনালির দেয়ালগুলোকে চাপমুক্ত রাখে।</p> <p>♦ ফুসফুস ও শ্বাসনালির প্রদাহ কমায়।</p> <p>♦ এটি বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জির তীব্রতা কমায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।</p> <p>♦ ঠাণ্ডা লাগার কারণে আমাদের মুখের ভেতর ও গলায় শুষ্কতা দেখা দেয়, যা রোধ করতে ভিটামিন ‘সি’ সহায়তা করে।</p> <p>♦ যেকোনো ক্ষত জলদি সারায়।</p> <p>♦ অস্থি, ত্বক, দাঁত, শিরা কোষের মধ্যকার পদার্থকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে।</p> <p>♦ আয়রন শোষণে ভিটামিন ‘সি’ সহায়তা করে।</p> <p>♦ অ্যামাইনো এসিড মেটাবলিজমে সহায়তা করে।</p> <p>♦ দেহ থেকে অবসন্নতা দূর করতে সাহায্য করে।</p> <p>♦ কোষে কোলাজেন টিস্যু তৈরিতে সহায়তা করে।</p> <p>♦ ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা ও রক্তাল্পতা রোধেও ভিটামিন ‘সি’ ভালো কাজ করে।</p> <p> </p> <p><strong>ভিটামিন ‘ডি’</strong></p> <p>♦ ক্ষুদ্রান্ত্রে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণের কাজ করে।</p> <p>♦ ফুসফুসের প্রদাহে যে ক্ষতি হয় তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।</p> <p>♦ দেহে ভিটামিন ‘ডি’ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকে, তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে। এতে ঘন ঘন অসুস্থবোধ করা, হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগা ও সর্দি-কাশি হতে পারে।</p> <p>♦ এ ভিটামিন মাংসপেশি সচল রাখে।</p> <p> </p> <p><strong>ভিটামিন ‘এ’</strong></p> <p>♦ রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ‘এ’র ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।</p> <p>♦ দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি ঘটায়।</p> <p>♦ দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে। রাতকানা প্রতিরোধ করে।</p> <p>♦ রক্তের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখে।</p> <p>♦ হৃপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি ও অন্য অঙ্গগুলোকে ঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।</p> <p>♦ ত্বক সুস্থ রাখে।</p> <p>♦ সংক্রমণ প্রতিহত করে।</p> <p>♦ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।</p> <p>♦ দেহকোষের গঠনে সহায়তা করে।</p> <p> </p> <p><strong>ভিটামিন ‘বি-১২’</strong></p> <p>♦ এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন ‘সি’র কার্যকারিতাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘বি’।</p> <p>♦ ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্টকাঠিন্য, অবসাদবোধ, দুর্বলতা এবং মুখে ও গলার ঘা প্রতিরোধ করে ভিটামিন ‘বি-১২’।</p> <p> </p> <p><strong>ভিটামিন ‘বি-৯’</strong></p> <p>♦ এটা পানিতে দ্রবণীয়। একে ফলিক এসিডও বলা হয়। এটি বিপাকের মৌলিক ক্রিয়াকে সহযোগিতা করে।</p> <p>♦ বিষণ্নতা, হৃদেরাগ এবং স্ট্রোক থেকে রক্ষা এই ভিটামিন।</p> <p>♦ স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখে।</p> <p> </p> <p><strong>ভিটামিন ‘ই’</strong></p> <p>♦ ভিটামিন ‘ই’র অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহ-ত্বক সতেজ রাখে।</p> <p>♦ চুলপড়া রোধ করে।</p> <p>♦ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চোখে একধরনের সমস্যা হয়। যার ফলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের সমস্যা দেখা দেয়। এটি অন্ধত্বের অন্যতম কারণ। ভিটামিন ‘ই’ এটি প্রতিরোধ করে।</p> <p>♦ স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষা করে স্নায়ুবিক নানা রোগ প্রতিহত করে।</p> <p>♦ হরমোনের সমতা রক্ষা করে, মাতৃগর্ভে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ই’ কাজ করে।</p> <p> </p> <p><strong>ভিটামিন ‘কে’</strong></p> <p>♦ রক্তক্ষরণের সময় রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।</p> <p>♦ হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।</p> <p>♦ মানবদেহে অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন হিসেবে যকৃতে জমা রাখতে সহায়তা করে।</p> <p>♦ ক্যান্সার কোষ গঠনে বাধা দেয়।</p> <p>♦ ভিটামিন ‘ডি-৩’ শোষণে ভিটামিন ‘কে’র ভূমিকা রয়েছে।</p>