<p>কাঁচা আম, আনারস, তরমুুজ, কমলা লেবু, বেল, পেয়ারা, আঙুর—হরেক ফলে বাজার এখন রমরমা। গরমকালের প্রতিটি ফলের রয়েছে পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে নির্দিষ্ট সময়েই এসব ফল খাওয়া উচিত। যখন-তখন ফল খাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই ঠিক নয়।</p> <p> </p> <p>কাঁচা আম</p> <p>শরীরে শক্তি বা এনার্জি বাড়ায় আম। ত্বকের চমক বাড়াতেও সাহায্য করে। পাকা কি কাঁচা দুটিতেই আমের স্বাদে জিবে পানি এনে দেয়। তবে খালি পেটে কাঁচা আম কখনোই নয়। আবার অতিরিক্ত পাকা আম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। কাঁচা আম খাওয়ার ঠিক পরেই পানি পান নয়।</p> <p>সাইট্রাস ফল</p> <p>এই শ্রেণির ফলের মধ্যে পড়ে লেবু, মোসাম্বি, কমলা লেবু ইত্যাদি ফল। সাইট্রাস ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। পিত্ত, ফোড়া, শ্বাসকষ্ট, বমি, কলেরা, জন্ডিস, মৃগী, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি সমস্যায় এই ফলগুলো  বেশ উপকারী। যাঁরা জ্বরে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ফলগুলো ওষুধের মতো কাজ করে। তবে অতিরিক্ত সর্দি, কাশি হলে লেবু সরাসরি খাওয়া ঠিক নয়। মূত্রসংক্রান্ত রোগ বা বমি হলে মোসাম্বি খাওয়া ঠিক নয়। মোসাম্বি বেশি পরিমাণে চুষে খেলে দাঁত খারাপ হতে পারে। কমলা লেবু এনার্জি বাড়ায়। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে বা রাতে শোয়ার সময় কমলা লেবু নয়।</p> <p> </p> <p>তরমুজ</p> <p>গরমে তরমুজ যেন প্রাণে নতুন প্রেরণা দেয়। মৃগীরোগ, পিত্ত সমস্যা, জন্ডিস, মস্তিষ্কের কোনো সমস্যায় তরমুজ খেলে বেশ উপকার মেলে। তরমুজে থাকা লাইকোপিন সূর্যের কারণে ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যারোটিনয়েডস, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি৬’, ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি। তরমুজ কেটে তা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে খাওয়া যায়, তবে তরমুজ কেটে কখনো খোলামেলা রাখা উচিত নয়।</p> <p> </p> <p>আঙুর</p> <p>আঙুর খেতে যেমন সুস্বাদু, এর গুণও প্রচুর। এই ফল বহু রোগের জন্য উপকারী। অ্যালার্জি, জন্ডিস, এনিমিয়া, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কাশি, সর্দি, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর হলে আঙুর খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে বলে আঙুর খেলেই এনার্জি বেড়ে যায়। তবে খালি পেটে কখনো আঙুর নয় এবং দিনে ৫০ থেকে ৭৫ গ্রামের বেশি আঙুর খাওয়া নয়।</p> <p> </p> <p>বেল</p> <p>বেলের রয়েছে অনেক গুণ। কাঁচা বেল পুড়িয়ে কিংবা শরবত করে খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, পেটের অসুখ ভালো হয়।</p> <p> </p> <p>আনারস</p> <p>আনারসে থাকে ব্রমেলিয়ান এনজাইম, যা চর্বি ও প্রোটিন ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করে। আরো রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন এবং মিনারেল, বিশেষ করে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম। এসব উপাদান ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করে এবং হাড় শক্ত রাখে। দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে।</p> <p> </p> <p>লেখক : পুষ্টিবিদ, ডায়েট প্লানেট বাংলাদেশ।</p>