* নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের দিবসের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন নিজ মেহমানের একরাম করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের দিবসের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের দিবসের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন কল্যাণের কথা বলে, নচেৎ চুপ থাকে। (বুখারি শরিফ : ৬১৩৮)
* রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি চায় যে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং তার হায়াত দীর্ঘ করে দেওয়া হোক, সে যেন নিজ আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।
আল-হাদিস
আত্মীয়স্বজনের প্রতি করণীয়

* মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তি আত্মীয়তা রক্ষাকারী নয়, যে সমান সমান আচরণ করে, বরং প্রকৃত আত্মীয়তা রক্ষাকারী সেই, যে অন্যের আত্মীয়তা ছিন্ন করার পরও সুসম্পর্ক বজায় রাখে। (বুখারি : ৫৯৯১)
* রাসুল (সা.) বলেছেন, আত্মীয়তা ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারি : ৫৯৮৪)
* হুজুর (সা.) বলেছেন, কোনো গরিব-মিসকিনকে দান করলে কেবলই দান-সদকার সওয়াব পাওয়া যায়। আর আত্মীয়স্বজনের জন্য অর্থকড়ি ব্যয় করলে দুটি লাভ হয়- এক. দান করার সওয়াব।
* রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, দুটি গোনাহ এমন রয়েছে, যার শাস্তি পরকালে অবধারিত থাকা সত্ত্বেও দুনিয়াতেও দ্রুত সে শাস্তি ভোগ করতে হবে। একটি হলো কারো ওপর জুলুম-নির্যাতন করা। অন্যটি হলো আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা।
* নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা বংশ জ্ঞান অর্জন করো, যেন নিজেদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারো। (তাবরানি ও মাজমায়ে জাওয়ায়েদ)
সংক্ষিপ্ত আলোচনা : আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে করণীয়
জন্মগত ও বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়দের হক বা অধিকার সাধারণ মুসলমানের অধিকারের চেয়ে অনেক বেশি। ইসলামী শরিয়তে আত্মীয়স্বজনের অধিকার আদায় করা ওয়াজিব বা অত্যাবশ্যকীয়। তাদের সঙ্গে করণীয় কাজ হলো- তাদের ভালোবাসা। তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।
সম্পর্কিত খবর