তুরস্কের আলোচিত প্রেসিডেন্ট ও আইন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে গতকাল রবিবার। প্রাথমিক ভোট গণনার পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোলু উভয়েই এগিয়ে থাকার দাবি করেছেন।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোলু পেয়েছেন প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট।
৬০ শতাংশ ভোট গণনার ভিত্তিতে এই ফলাফলের খবর জানিয়েছে সংস্থাটি।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রাথমিক ভোটের ফলাফলের বেশির ভাগই সরকার সমর্থিত জেলা থেকে সংগ্রহ করেছে আনাদোলু। ভোট গণনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এরদোয়ানের অগ্রগামিতা সংকুচিত হচ্ছে।
কিলিচদারোলু দাবি করেছেন, তাঁর দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নিজস্ব ভোট গণনায় দেখা গেছে, নির্বাচনে তিনি জয়ী হচ্ছেন।
বেসরকারি বার্তা সংস্থা আনকা বলেছে, ৪৭.৪ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন এরদোয়ান। প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোলু পেয়েছেন ৪৬.৮ শতাংশ ভোট।
আংকারার মেয়র ও বিরোধী দলের নেতা মনসুর ইয়াভাস দাবি করেছেন, কামাল কিলিচদারোলু এগিয়ে আছেন। সিএইচপির কর্মকর্তাদের গণনার বরাতে এই ফলাফল জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে) মুখপাত্র ওমর সেলিক বলেছেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট গণনা চলছে। আমাদের এখন ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বিরোধী দলের মুখপাত্ররা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বিরুদ্ধে ফলাফল বিকৃতির অভিযোগ এনেছেন। এটা জাতীয় সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞার শামিল। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এগিয়ে আছেন এবং প্রত্যেকেরই উচিত বিষয়টিকে সম্মান করা।
ধর্মীয় রক্ষণশীল ভাবমূর্তির পরও সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ তুর্কিরা এরদোয়ানকে পাঁচবার ভোটে জেতায়। তবে ২০১৬ সালের ‘অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা’ নিয়ে ধরপাকড়, অর্থনৈতিক সংকট ও সাম্প্র্রতিক ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এরদোয়ান চাপে পড়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, আলজাজিরা