ভারতে সংবাদমাধ্যমের ওপর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে। ধরনা কর্মসূচির (অবস্থান ধর্মঘট) দ্বিতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার এমন অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা এবং গণতান্ত্রিক কণ্ঠ সংকোচনের প্রতিবাদে বুধবার থেকে কলকাতায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন আর্থিক দাবিদাওয়া মেটাচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার।
রাজ্যে পরিচালিত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ দিন গতকালও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই অভিযোগে সরব হন। মমতার অভিযোগ, রাজ্যের ৬৩টি প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।
কলকাতার রেড রোডে মঞ্চ বেঁধে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে গতকাল মমতা আরো অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা তৃণমূলের ধর্মঘটের খবর তুলে ধরলেও তা দেখানো হচ্ছে না।
কারণ সব সংবাদমাধ্যমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ধর্মঘটের খবর প্রচার না করা হয়। অথচ গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ সময় তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে।
এর আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের দাবি আদায়ের জন্য একবার নয়, এক কোটি বার ধরনায় বসব।
মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। মমতার হিম্মত রয়েছে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির পাশেও বসতে পারি। আমি জনপ্রতিনিধি।’
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন চাকরিতে আর্থিক লেনদেনসহ নানা অনিয়মের তদন্ত চলছে।
আদালতে চলা বেশ কয়েকটি মামলায় অনেকের চাকরিও চলে গেছে। এ নিয়ে বিরোধী দল সিপিআইএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কর্মসূচি হলেও দুই দিনের ধরনায় সিপিআইএমের সমালোচনায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা