প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেংকো গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, কিয়েভের সেনাবাহিনী প্রথমে হামলা চালালে ইউক্রেনে আক্রমণে যোগ দেবে বেলারুশ।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট মিনস্কে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে বিরল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি শুধু একটি ক্ষেত্রে বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে রুশদের সঙ্গে মিলে লড়াই করতে প্রস্তুত, যদি ইউক্রেন থেকে একজন সৈন্যও আমাদের লোকদের হত্যা করার জন্য অস্ত্র নিয়ে আমাদের ভূখণ্ডে আসে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘এটা আমাদের অন্য প্রতিবেশীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি তারা বেলারুশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তবে আমাদের...প্রতিক্রিয়া হবে সবচেয়ে কঠিন।
সবচেয়ে নিষ্ঠুর।’
বেলারুশে অঘোষিতসংখ্যক রুশ সেনা রয়েছে। তবে লুকাশেংকো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর দেশের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠাবেন না। লুকাশেংকো বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁর দেশের সেনারাও ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
কিয়েভের আকাশে রুশ বেলুন : ইউক্রেনের আকাশসীমায় বেলুন পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ইউক্রেন বলছে, রাজধানী কিয়েভের আকাশে উড়তে থাকা অন্তত ছয়টি বেলুন শনাক্ত করা হয়েছে। পরে এর বেশির ভাগ ভূপাতিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বেশির ভাগ বেলুন ভূপাতিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করেছে।
আকাশে বেলুন শনাক্তের পর গতকাল কিয়েভজুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। সাধারণত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ঝুঁকি দেখা গেলে সাইরেন বাজানো হয়।
এর আগে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাট অভিযোগ করেছেন, তাঁর দেশের বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দুর্বল করতে গোয়েন্দা বেলুন উড়িয়েছে মস্কো।
গত মঙ্গলবার প্রতিবেশী দেশ মলদোভার আকাশেও এমন বেলুন উড়তে দেখা গেছে।
এর জেরে দেশটি তাদের আকাশসীমায় বিমান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।
জার্মানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি জনগোষ্ঠী ইউক্রেনীয়রা : গত বছর ইউক্রেন থেকে প্রায় ১১ লাখ মানুষ জার্মানিতে গেছে, যা ২০১৫ সালের দিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশটিতে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর ঢলকেও ছাড়িয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ওই পরিসংখ্যান দপ্তর বলেছে, ইউক্রেন থেকে যাওয়া শরণার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশই জার্মানিতে পৌঁছেছে রাশিয়ার সেনা অভিযানের প্রথম তিন মাসে।
পরে দেশে ফিরে যাওয়া ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে ২০২২ সালে ইউক্রেন থেকে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬২ হাজার; আর ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে সব মিলিয়ে জার্মানি যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল আট লাখ ৩৪ হাজার, বলেছে জার্মানির পরিসংখ্যান দপ্তর। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স