পাকিস্তানে ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ভারতের পক্ষেই রায় দিলেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। শুধু তাই নয়, কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলেও পর্যবেক্ষণ আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ সদস্যের বিচারপতির প্যানেলের।
কুলভূষণের বিচার হয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক আদালতে।
গতকাল বুধবার হেগে জাতিসংঘের এ আদালত তাঁর রায়ে জানান, কুলভূষণের বিচার হওয়া উচিত ফৌজদারি আদালতে। আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়কে ভারতের জয় হিসেবেই দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আইসিজে বলেছেন, পাকিস্তান যতক্ষণ পর্যন্ত না কার্যক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত রায় স্থগিত থাকবে।
২০১৬ সালের মার্চে ৪৯ বছর বয়সী কুলভূষণকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান।
তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে তারা, যদিও তা খারিজ করে দেয় ভারত। এক বছর পর কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন পাকিস্তানের সামরিক আদালত। সাজা ঘোষণার এক মাস পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারত। ২০১৭ সালের মে মাসে সেই সাজায় স্থগিতাদেশ আসে। পাকিস্তান দাবি করে, ২০১৬-এর ৩ মার্চ বেলুচিস্তান থেকে তাদের নিরাপত্তাবাহিনী কুলভূষণ যাদবকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতের তরফে বলা হয়, ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর ইরানে ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ যাদব, সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুলভূষণকে হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলে ভারত, যা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী। সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।