<p> <strong>আবেদনের যোগ্যতা</strong></p> <p> স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা ৪.০০ স্কেলে সিজিপিএ ৩.০০ অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির সম্মানসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা সিজিপিএ ২.৫ অথবা চার বছর মেয়াদের দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি বা সিজিপিএ ২.৫। ইংরেজি ভাষায় কথোপকথনে সাবলীলতা থাকতে হবে। কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ থাকা চলবে না। আগামী ১ জুলাই ২০১৫ প্রার্থীর বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।</p> <p> <strong>আবেদন করবেন যেভাবে</strong></p> <p> অনলাইনে আবেদন করতে হবে ৫ মের মধ্যে। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের ওয়েবসাইট (www.cadetcollege.army.mil.bd)   থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। পূরণ করে পাঠাতে হবে 'সভাপতি, ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদ এবং অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সেনাসদর, এজি শাখা (সমন্বয়), ঢাকা সেনানিবাস' ঠিকানায়। বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে নিচের লিংকে-</p> <p> http://cadetcollege.army.mil.bd/wp-content/uploads/2015/03/Addvertisement-for-Lecturer-2015.pdf  </p> <p> <strong>দরকারি কাগজপত্র</strong></p> <p> আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট ও দুই কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙিন ছবি, সব শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনারের দেওয়া নাগরিকত্বের সনদপত্র, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার দেওয়া চারিত্রিক সনদপত্র। সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে 'সভাপতি, ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদ' বরাবর সোনালী ব্যাংক, ঢাকা সেনানিবাস করপোরেট শাখার অনুকূলে জমা দিতে হবে ৩৫০ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট।</p> <p> <strong>পরীক্ষা পদ্ধতি</strong></p> <p> নিয়োগ পরীক্ষা হয় দুটি ধাপে। লিখিত ও মৌখিক। ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজিতে ৩৫ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর থাকবে ৬৫ নম্বর। পরীক্ষার জন্য কোনো প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে না। ১২ মে লিখিত পরীক্ষার যোগ্য প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ১৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা সেনানিবাসে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।</p> <p> <strong>পরীক্ষার প্রস্তুতি</strong></p> <p> ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের ইতিহাস বিভাগের সাবেক প্রভাষক শাহিদা খানম জানান, ক্যাডেট কলেজগুলোয় ইংরেজি ভার্সনে পাঠদান করা হয়, তাই ইংরেজির ওপর বিশেষ দখলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইংরেজির ৩৫ নম্বরের পরীক্ষার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে। গ্রামারের মূল বিষয়গুলো বিশেষ করে Tense, Parts of Speech , Subject verb Agreement, Preposition Synonym, Antonym, Article -এর ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। Translation -এর ওপরও বিশেষ দখল থাকতে হবে। ভালো প্রস্তুতি থাকা চাই Composition -এর ওপরও। ভালোমানের গ্রামার বইয়ের পাশাপাশি নিয়মিত পড়তে হবে ইংরেজি পত্রিকা। বেশি বেশি লেখার অভ্যাস করলে কাজে দেবে।</p> <p> বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকে ৬৫ নম্বর। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়ের জন্য প্রভাষক পদে আবেদন করেছেন, সেই বিষয়ের ওপর দখল রাখতে হবে। স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যা পড়ে এসেছেন, সেখান থেকেই প্রশ্ন হবে। তাই আগের পড়া বিষয় বারবার ঝালিয়ে নিতে হবে। প্রশ্ন হতে পারে রচনামূলক, সংক্ষিপ্ত ও বহু নির্বাচনী প্রভৃতির সংমিশ্রণে।</p> <p> <strong>সহায়ক বইপত্র</strong></p> <p> প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্নোত্তর সংবলিত বই প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক। বাজারে প্রফেসরস, সাইফুরস, ওরাকল ও বিসিএস প্রকাশনীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার গাইড পাওয়া যায়। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে কাজে আসবে। ব্যারনস, জিআরই, জিম্যাট বইয়ের প্রশ্ন সমাধান করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মৌলিক ধারণার জন্য অনার্সের বইয়ের পাশাপাশি বোর্ড প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য বই চর্চা করতে হবে।</p> <p> <strong>মৌখিক পরীক্ষা</strong></p> <p> মূলত প্রার্থীর ইংরেজি দক্ষতা, উপস্থাপন ক্ষমতা, উচ্চারণ, আচরণ, মার্জিত পোশাক ও স্মার্টনেস দেখা হয় ভাইভা বোর্ডে। মার্জিত পোশাক পরে বোর্ডে যাওয়া উচিত। সারা বিশ্বে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার ওপর প্রশ্ন করতে পারেন ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা। সাম্প্রতিক বিশ্ব, আজকের বিশ্বসহ সাধারণ জ্ঞানের বিভিন্ন বই এবং দৈনিক ও সাধারণ জ্ঞানবিষয়ক মাসিক পত্রিকা সহায়ক হতে পারে মৌখিক পরীক্ষার জন্য।</p>