স্বাস্থ্য সহকারী পদে নেওয়া হবে ৯৩৬ জন। এ ছাড়া হেলথ এডুকেটর পদে ২ জন, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৬ জন, পরিসংখ্যানবিদ ৩৮ জন, কীটতত্ত্বীয় টেকনিশিয়ান ৪ জন, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ৩১ জন, স্টোরকিপার ৫০ জন, ওয়ার্ড মাস্টার ১১ জন, ডার্করুম সহকারী ২ জন ও ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট নেওয়া হবে ১৭ জন। বিজ্ঞপ্তিটি ছাপা হয়েছে ১৩ ডিসেম্বরের ইত্তেফাকে। পাওয়া যাবে এই http://dghsp.teletalk.com.bd/doc/DGHSP.pdf লিংকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দরকার ১০৯৭ কর্মী
- স্বাস্থ্য সহকারী, পরিসংখ্যানবিদ, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, স্টোরকিপার, ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্টসহ বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আবেদন করতে হবে অনলাইনে। শেষ সময় ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ফরহাদ হোসেন
অন্যান্য

আবেদনের যোগ্যতা
হেলথ এডুকেটর পদে আবেদনের যোগ্যতা বিজ্ঞান বা জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা স্বাস্থ্য শিক্ষায় এমপিএইচ ডিগ্রি। এইচএসসি হলেই আবেদন করা যাবে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে। কম্পিউটারে দক্ষতার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি ও টাইপিংয়ে বাংলায় প্রতি মিনিটে ২৫ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। পরিসংখ্যানবিদ পদে আবেদনের যোগ্যতা—পরিসংখ্যান, গণিত বা অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক।
কীটতত্ত্বীয় টেকনিশিয়ান পদে জীববিজ্ঞানে এইচএসসি পাস হতে হবে। স্বাস্থ্য সহকারী পদে আবেদনের যোগ্যতা এইচএসসি। অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে এইচএসসি পাস হতে হবে।
এসএসসি পাস হলেই আবেদন করা যাবে ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট পদে।
গত ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে বয়সসীমা ১৮-৩০ বছর।
আবেদন যেভাবে
অনলাইনে dghsp.teletalk.com.bd/apply.php ওয়েবসাইট ও bit.ly/2GC7N5T লিংকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের শেষ সময় ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টা। আবেদনের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের যথাস্থানে ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেলের ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেলের স্বাক্ষর স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদনের কপি প্রিন্ট ও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পর ইউজার আইডি ব্যবহার করে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট পদের জন্য মোট ৫৬ টাকা এবং অন্য সব পদের জন্য ১১২ টাকা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। ওয়েবসাইটে (www.dghsp.teletalk.com.bd, www.dghs.gov.bd) জানা যাবে প্রবেশপত্রপ্রাপ্তির দরকারি সব তথ্য। প্রার্থীর মোবাইল নম্বরে এসএমএসেও জানানো হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় বসার আগে জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
পরীক্ষা পদ্ধতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৮০ নম্বরের লিখিত এবং ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। পদ অনুসারে করা হয় প্রশ্নপত্র। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রতিটি বিষয়ে বরাদ্দ থাকে ২০ নম্বর। প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকে ১ নম্বর। কম্পিউটার অপারেটর ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য বসতে হবে টাইপিং টেস্ট বা ব্যাবহারিক পরীক্ষায়। অন্যান্য পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পদের বিপরীতে চাওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে প্রশ্ন করা হবে। এইচএসসি ও এসএসসি পাস যোগ্যতা চাওয়া সব পদে অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু করে এইচএসসির বাংলা, ইংরেজি, গণিত বই থেকেই বেশি প্রশ্ন করা হয়। দেখতে হবে সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির নতুন ও পুরনো সিলেবাসের পাটিগণিত। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত কাজল মাহমুদ জানান, বেশি প্রশ্ন করা হয় অষ্টম-দশম শ্রেণির বই থেকে। এসবের বাইরে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা বিষয়, খেলাধুলা, টিকাদানসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। বাংলা ব্যাকরণ থেকে বাগধারা, বাক্য রচনা, এককথায় প্রকাশ, সন্ধি, কারক, সমাস, ণত্ব বিধান, ষত্ব বিধান প্রভৃতি টপিক থেকে প্রশ্ন আসে। সাহিত্য অংশে কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম থেকে প্রশ্ন করা হয়। ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন, টেনস, ভার্ব, মাল্টিপল চয়েস, প্রিপজিশন, সিনোনিম, অ্যান্টোনিম ইত্যাদি বিষয়ে ভালো দখল থাকতে হবে।
গণিতে ভালো করতে হলে পাটিগণিতের সরল, সুদকষা, শতকরা, ঐকিক নিয়ম এবং বীজগণিতের সূত্র, সেট বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। প্রশ্ন আসতে পারে জ্যামিতি অংশ থেকেও। একই উপজেলার জামাল ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী ফারুক আহমেদ জানান, সাধারণ জ্ঞানে বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই বেশি প্রশ্ন করা হয়। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকেও কিছু প্রশ্ন থাকে। বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন দেখতে হবে। এতে পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রস্তুতিমূলক বই পাওয়া যায়। সহায়ক হতে পারে এসব বই।
বেতন-ভাতা
হেলথ এডুকেটর পদে বেতন স্কেল ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যানবিদ পদে ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা, কীটতত্ত্বীয় টেকনিশিয়ান পদে ৯৭০০-২৩৪৯০ ও স্বাস্থ্য সহকারী, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, স্টোরকিপার, ওয়ার্ড মাস্টার, ডার্করুম সহকারী পদে ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা স্কেলে বেতন পাওয়া যাবে। ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট পদের বেতনক্রম হলো ৮৫০০-২০৫৭০ টাকা।
সম্পর্কিত খবর

যেভাবে চাকরি পেলাম
ম্যাটসে ব্যর্থ বিসিএসে সফল
- ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন সাগর হোসেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়েছেন তিনি। বিসিএসে তাঁর সফলতার পেছনের গল্প শুনেছেন ওয়াসিফ আল আবরার

এসএসসি শেষ করে ভর্তি হই মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং (ম্যাটস) কোর্সে। ম্যাটসে তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় মনে হলো, এই লাইনে ভবিষ্যৎ নেই! তখন ঠিক করলাম গ্র্যাজুয়েশন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এইচএসসি লাগবে। কিন্তু এরই মধ্যে দুই বছর গ্যাপ হয়ে গেল।
২০২১ সালের অক্টোবরে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলি ছিল। পরীক্ষার আগের ২৭ দিন সকালে উঠে ৮টায় পড়তে বসতাম আর রাত ৯টায় টেবিল থেকে উঠতাম। পড়া শেষে এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতাম। ঘুমানোর আগে দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র পড়তাম। ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল হয়েছে ২০২৫ সালে, অর্থাৎ প্রিলিমিনারির তিন বছর পর। টিউশনি করানোর কারণে গণিত ও ইংরেজিতে এগিয়ে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই সেমিনার লাইব্রেরিতে বসে ভোকাবুলারি পড়তাম। আমার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই টুকটাক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। সমসাময়িক বিষয়ে জানতে পত্রপত্রিকা, সাহিত্য, রাজনীতি, ইতিহাসসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়তে হবে।
লাইব্রেরি ওয়ার্ক : সফল হতে হলে লাইব্রেরি ওয়ার্ক খুবই জরুরি। আমি সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে কম বসতাম, আমাদের বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে বেশি বসতাম। কিন্তু আমাদের যে লাইব্রেরিয়ান মামা ছিলেন আমাকে একপ্রকার ঠেলেই বের করে দিতেন! কারণ শেষ বেলায় আমি ছাড়া আর কেউ লাইব্রেরিতে থাকত না। আমি চলে গেলে তিনি সব বন্ধ করে চলে যাবেন, তাই এমনটা করতেন। আমি ঝড়-বৃষ্টিতেও লাইব্রেরিতে গেছি। কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে আমি ১০ মিনিটের জন্য হলেও যেতাম। ঢাকার বাইরে বসেও ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।

গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে দরকার ১৭৭ কর্মী
- ১৪ ধরনের পদে মোট ১৭৭ কর্মী নিয়োগ দেবে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। একজন প্রার্থী শুধু একটি পদে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে। নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতিসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ

প্রার্থী বাছাই যেভাবে : প্রার্থী নির্বাচনে লিখিত, ব্যাবহারিক (প্রযোজ্য হলে) ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার আগে কেন্দ্র ও সূচি প্রার্থীর মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও (https://masscommunication.gov.bd) এ তথ্য পাওয়া যাবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্ধারিত পরীক্ষা পদ্ধতি ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার বিধিমালা অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক পরীক্ষার ধরন নির্ধারণ করা হবে।
বিগত পরীক্ষা যেমন হয়েছে : গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের বিগত নিয়োগ পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত রচনামূলক পদ্ধতিতে। বেশির ভাগ পদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নম্বর ছিল ৭০। প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান—এই চার বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়েছে। বেশির ভাগ পরীক্ষার প্রশ্নেই বাংলায় ২০, ইংরেজি ২০, গণিতে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর রাখা হয়েছে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি : পদভেদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান ও ধরনে ভিন্নতা থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন হয় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর। গড়ে বিষয়ভিত্তিক ১৫-২০ নম্বর থাকতে পারে।
কোন পদে কতজন : সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর ২ জন, ঊর্ধ্বতন কণ্ঠশিল্পী ৩ জন, সাউন্ড মেকানিক ৪ জন, ড্রাইভার ২২ জন, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৪০ জন, হিসাব সহকারী ২ জন, ঘোষক ১৮ জন, স্টোর অ্যাসিস্ট্যান্ট ২ জন, মোটর মেকানিক ১ জন, ফ্লুট প্লেয়ার ১ জন, সহকারী সাইন অপারেটর ১ জন, এপিএই অপারেটর ২২ জন, অফিস সহায়ক ৩৩ জন এবং নিরাপত্তা প্রহরী ২৬ জন। পদভেদে যোগ্যতা এসএসসি থেকে স্নাতক বা সমমান। বেশ কিছু পদে সংশ্লিষ্ট কাজের পেশাগত দক্ষতা চাওয়া হয়েছে। ১ জুলাই ২০২৫ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। সব জেলার প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।
বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা : নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন কাঠামো ২০১৫ অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি :
http://mcd.teletalk.com.bd

১৮৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেবে বিসিক
- রাজস্ব খাতে ৩৪ ধরনের পদে ১৮৫ জন নিয়োগ দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জনবল নেওয়া হবে অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে, ৭২ জন। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ৬ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত। নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ

নিয়োগ পরীক্ষা কিভাবে
রচনামূলক (লিখিত), মৌখিক এবং ব্যাবহারিক (কিছু পদে) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। বিসিকের বিগত নিয়োগ পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রায় সব পদেই এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। গ্রেডভিত্তিক পদ অনুসারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা দেখা গেছে। নবম ও দশম গ্রেডের পদের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা হতে পারে ৮০ নম্বরে (রচনামূলকে ১০ ও এমসিকিউতে ৭০)।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
পদ ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও প্রশ্নের ধরনের ভিন্নতা থাকতে পারে। বিসিক সাধারণত নিজেদের ব্যবস্থাপনায় লিখিত পরীক্ষা নেয় না। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইসস্টিটিউট (আইবিএ) বা বিজনেস ফ্যাকাল্টির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কোন পদে কতজন
নবম গ্রেডের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ১ জন, এনালিস্ট ১, প্রটোকল অফিসার ১, মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ১, পরিকল্পনা কর্মকর্তা ২, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ২, কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্তকর্তা ১, গবেষণা কর্মকর্তা ১, জরিপ ও তথ্য কর্মকর্তা ৩, প্রমোশন কর্মকর্তা ২৩, সহকারী অনুষদ সদস্য ২, রসায়নবিদ ১, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্থায়ী) ১১, অডিট অফিসার ১, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (অস্থায়ী) ১, ঊর্ধ্বতন নকশাবিদ ১ এবং সহকারী প্রকৌশলী ১ জন। যোগ্যতা পদভেদে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর। দশম গ্রেডে ড্রাফটসম্যান ১, টেকনিক্যাল অফিসার ১৭ ও কারিগরি কর্মকর্তা ২ জন। যোগ্যতা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমা পাস। ১১তম থেকে ১৬তম গ্রেডের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ২, নকশাবিদ ২, কম্পিউটার অপারেটর ১, হিসাব সহকারী ১, উচ্চমান সহকারী ৭, মান নিয়ন্ত্রণ সহকারী ২, ইলেকট্রিশিয়ান ১, টেকনিশিয়ান-৫, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (স্থায়ী) ৭২, (অস্থায়ী) ১, রিসেপশনিস্ট ১, নকশা সহকারী ৩ এবং ড্রাইভার ১৩ জন। পদভেদে যোগ্যতা স্নাতক থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস। প্রার্থীর বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। নবম ও দশম গ্রেডের প্রার্থীরা যেকোনো একটি পদে আবেদন করতে পারবেন। অন্য সব পদের প্রার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন।
বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা
উল্লিখিত পদগুলো জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর নবম থেকে ১৬তম গ্রেডভুক্ত। নিয়োগপ্রাপ্তরা বেতন স্কেল অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদন লিংক
http://bscic.teletalk.com.bd

চাকরির ভাইভায় কমন প্রশ্ন
- বিসিএস ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভায় তথ্যভিত্তিক, বিশ্লেষণমূলক, মনস্তাত্ত্বিক, ঘটনাকেন্দ্রিক প্রশ্নের পাশাপাশি করা হয় জড়তা কাটানো বা বরফ গলা (আইসব্রেকিং) প্রশ্ন। ভাইভায় এ ধরনের কিছু কমন প্রশ্ন থাকেই। এসব প্রশ্নের প্রস্তুতি ও উত্তর নিয়ে লিখেছেন বিসিএস ক্যাডার ও ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শক রবিউল আলম লুইপা

প্রশ্নের ধরন
কথোপকথনের শুরুতে যেমন কুশলাদি জিজ্ঞেস করা হয়, ঠিক তেমনি ভাইভায় মূল প্রশ্নে যাওয়ার আগে প্রার্থীসংশ্লিষ্ট সাধারণ প্রশ্ন করা হয়। যেমন—প্রার্থীর জেলা, উপজেলা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। এসব সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রার্থীর জানাই থাকে। এই প্রশ্নগুলো ভাইভা বোর্ডে প্রার্থীকে নার্ভাসনেস কাটিয়ে স্বাভাবিক করে তোলে।
নামের অর্থ
আপনার নাম কোন ভাষার শব্দ, অর্থ কী—জেনে নেবেন। আপনার নামে বিখ্যাত কোনো ব্যক্তি থাকলে তাঁর পরিচয়, কর্ম ও তাঁর বিস্তারিত জীবনী জানতে হবে।
বংশ-পদবি
নামের শেষে বংশ-পদবি থাকলে পদবির ধরন (ধর্মীয়/জমিজমা সম্পর্কিত/পেশা সম্পর্কিত), উৎপত্তি ও এর অর্থ সম্পর্কে জেনে নেবেন।
নির্দিষ্ট ক্যাডার প্রথম পছন্দ কেন
আপনি যে ক্যাডারটিকে পছন্দের তালিকার প্রথমে রেখেছেন, সে ক্যাডারের জনসেবার জায়গাগুলো তুলে ধরুন। এই ক্যাডারের আবেগের কারণগুলোও বুঝিয়ে বলুন। এরপর এই ক্যাডারটির সুযোগ-সুবিধার দিকগুলোও তুলে ধরবেন। পছন্দের ক্যাডারে আপনার পরিবার বা আত্মীয় থাকলে যদি তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকেন, সেটাও যোগ করতে পারেন।
বিষয়ের সঙ্গে ক্যাডারের মিল
সব বিষয়ের সঙ্গে পছন্দের ক্যাডারের মিল থাকবে এমনটি নয়, এটি ভাইভা বোর্ডও জানে। তবু এমন প্রশ্ন করলে প্রার্থী কিভাবে মোকাবেলা করে, সেটি ভাইভা বোর্ড দেখতে চায়। সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কাজের সঙ্গে একাডেমিক বিষয়ের মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। যেমন— কম্পিউটার সায়েন্সের সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি, কাজের অটোমেশন, যান্ত্রিক বিষয়ের দক্ষতা, গাণিতিক নির্ভুলতা, কাজের একাগ্রতা ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট। হিসাববিজ্ঞান মূল্যবোধ ও জবাবদিহি নিয়ে কাজ করে। স্বচ্ছতা, ফ্রেমওয়ার্ক মেনে চলা, কাজের পূর্ণতা ইত্যাদিও হিসাববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য। তাই পছন্দের ক্যাডারের সঙ্গে এই বিষয়গুলো সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করবেন।
আপনার সক্ষমতা
আপনার যেসব ভালো গুণ আছে, সেগুলো প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন। এই গুণ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। যেমন—আপনি দিনের কাজ দিনে শেষ করতে পছন্দ করেন, আপনি ব্যক্তিজীবনে নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলেন, আপনার মধ্যে নেতৃত্ব গুণাবলি আছে ইত্যাদি।
আপনাকে কেন নিয়োগ দেবে!
এই প্রশ্নের মাধ্যমে মূলত প্রার্থীর সক্ষমতা জানতে চাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে আপনার যে দক্ষতা আছে সেটি উল্লেখ করুন। যেমন—এই পদের কাজ সম্পর্কে ব্যক্তিগত আগ্রহ আছে, তাই নিয়োগ পেলে মনেপ্রাণে কাজ করবেন। অথবা প্রার্থীভেদে উত্তর হতে পারে—আমি যেহেতু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, আমার একাডেমিক জ্ঞান আমি পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারব; আমি একই বিষয়ে মাস্টার্সে থিসিস/ইন্টার্ন করেছি, সেখানের প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞানও আমি কাজে লাগাতে পারব; এই পদে নতুন হলেও আমি খুব কুইক লার্নার, সব কিছুই অল্প সময়ে শিখে নিতে পারব; আমি নীতির অনুসরণের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি, ব্যক্তিগত সততায়ও আমার আস্থা আছে, তাই পদের সঙ্গে আর্থিক যোগসূত্র থাকলেও সত্ভাবে দায়িত্ব পালন করব; পদের উপযুক্ত হিসেবে আমি নিজেকে প্রমাণের সুযোগ চাই। নিয়োগ পেলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে—সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের কাজ বা উদ্যোগ নেওয়া উচিত কিন্তু এখনো নেওয়া হয়নি, এগুলো উল্লেখ করতে পারেন। তবে কখনোই এ ধরনের কথা বলতে যাবেন না, ‘সিনিয়ররা ব্যর্থ, আমি এসেই সব কিছুর উন্নয়ন করে ফেলতে পারব।’
নিজের সম্পর্কে
যেকোনো চাকরির ভাইভায় সবচেয়ে কমন প্রশ্ন হলো—‘আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন’ (বাংলা/ইংরেজিতে)। এই সহজ প্রশ্নের উত্তরই বোর্ডকে আশ্বস্ত করার মুখ্য সুযোগ। তবে অপ্রাসঙ্গিক কোনো উত্তর দেওয়া যাবে না।
এই প্রশ্নের উত্তরে যা বলবেন-
১. আপনার নাম, জেলা, সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা।
২. আপনার প্রফেশনাল ডিগ্রি ও কাজের অভিজ্ঞতা।
৩. কোনো টিম বা প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা (সংকট অবস্থায় আপনার কী ভূমিকা ছিল)।
৪. সাহিত্য/সাংস্কৃতিক/সামাজিক/অন্যান্য অভিজ্ঞতা (মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে গিয়েছেন কি না)।
৫. আপনার শক্তিশালী গুণ, যা প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগবে (আপনাকে কেন চাকরিটা দেবে)।
৬. প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন (আপনার দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবদান)।
যা বলার প্রয়োজন নেই—
১. আপনার মা-বাবা ও ভাই-বোনের তথ্য।
২. পরিবারের সদস্য সংখ্যা, বংশপরিচয় বা প্রভাব-প্রতিপত্তি।
৩. পুরো ঠিকানা (গ্রাম, ডাকঘর, থানা)।
৪. শখ (অল্প সময়ের পরিচিতি প্রদানে এর প্রয়োজন নেই)।
কেন বিসিএস
এত চাকরি থাকতে কেন বিসিএসে আগ্রহী, এটি কমন প্রশ্ন। এমন প্রশ্নের নমুনা উত্তর (ইংরেজিতে)—
The civil service plays a vital role in a nation, serving as the core mechanism through which government policies and strategies are implemented at the grassroots level. It acts as a bridge between the government and the public, helping to realize the hopes and aspirations of the people. By joining the civil service, I aim to become part of this meaningful mission and contribute to the overall development of the country.
In addition, the civil service offers a wide range of opportunities for cadre officers, including the chance to work on deputation in various ministries and departments. These diverse assignments provide valuable experience, which enhances one’s capacity to contribute effectively to policy formulation and strategic planning.
Moreover, civil servants are held in high regard and enjoy significant respect and prestige in society-an honor that is rarely matched in other professions. This blend of professional growth, social recognition, and meaningful service makes the civil service an ideal career choice for me.
একই ভাবে Introduce Your District, Journey to BPSC, Activities from last night to viva board ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরও নিজে নিজে প্রস্তুত করুন।
ভাইভার দিন
ভাইভার দিন সকালে অবশ্যই শীর্ষস্থানীয় দু-একটি পত্রিকা পড়ে যাবেন। সময় কম থাকলে যাওয়ার পথে সঙ্গে নিয়ে যাবেন। গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো একপলক দেখে নেবেন। পত্রিকার খবর, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা পরিসংখ্যানের ওপর প্রশ্ন করা হতে পারে