ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

কোনো কাজেই মন বসে না!

  • শিশুদের নিয়ে মায়েদের অভিযোগের অন্ত নেই। পড়াশোনা তো আছেই, অন্য কাজেও কি মন দেবে না! এমন হলে করণীয় কী? পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার। লিখেছেন আতিফ আতাউর
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
কোনো কাজেই মন বসে না!

কাজে মন বসে না—এটা শুধু শিশুদের নয়, বড়দেরও ভয়ানক সমস্যা। কাজে মন দিতে কত কসরত যে করতে হয় ফাঁকিবাজ কর্মীদের, তা শুধু তারাই জানে। কাজে মন না বসা বড় এক সমস্যা—হোক শিশু বা বড় কেউ। বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপ মতে, শিশু-কিশোরদের ১৮ শতাংশের বেশি বিষণ্নতায় আক্রান্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বড় এক সংকট তৈরি করতে যাচ্ছে এই বিষণ্নতা।

্এই বিষণ্নতাই যেকোনো কাজে মনোযোগহীনতার বড় কারণ। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় বড়দেরই এগিয়ে আসা উচিত। শিশুরা সব কাজের মূল্য সব সময় বুঝতে পারে না বা বুঝতে শেখে না।

এ জন্য কাজের বেলায় গড়িমসি করে। কিন্তু কাজ শেষের ফলাফল, সেটা তো বড়রা মাত্রই বোঝেন। এই বুঝটা শিশুদের উপলব্ধি করাতে পারলেই অর্ধেক সমস্যা মিটে যায়। কাজ শেষের আনন্দ, অর্জন এবং ভবিষ্যত্ ফলাফলের বিষয়ে শিশুদের সঠিকভাবে বোঝাতে পারলে তারা নিজে থেকেই কাজে মনোযোগী হবে

শিশুর সুস্বাস্থ্যে নজর দিন

সুস্থ ও সবল শিশু মাত্রই চঞ্চল ও কর্মঠ হয়ে থাকে।

সব কাজেই বেশি বেশি পাওয়া যায় তাদের। বড়দের কোনো কাজ করতে দেখলে নিজ থেকে এগিয়ে আসে। অংশ নিতে চায়। কিন্তু শিশু যদি অসুস্থ হয়, ওর যদি নিজের মধ্যেই ভালো লাগা কাজ না করে, তাহলে সে কোনো কাজেই উদ্যম ও উত্সাহ পাবে না; এমনকি কেউ তাকে কোনো কাজ বা খেলাধুলা, পড়াশোনা করতে বললেও তার কাছে বিরক্ত লাগা স্বাভাবিক। এ জন্য শিশুর কাজে মনোযোগ বসাতে তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সবার আগে নিশ্চিত করুন।
এতে নিজ থেকেই কাজের প্রতি ওর ভালো লাগা ও আগ্রহ তৈরি হবে।

শিশুর চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিন

বিষণ্নতায় ভোগা শিশুদের মধ্যে যেকোনো কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে কম দেখা যায়। বিষণ্নতা এক ধরনের মনের অসুখ। এই অসুখে ভোগা যে কারো ক্ষেত্রে কাজে মনোযোগ দেওয়া খুবই কঠিন। সাধারণত কোনো বিষয়ে কারো প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া বা এজাতীয় নানা কারণ থেকেই মন বিষণ্ন হতে পারে। এ জন্য মা-বাবাকে শিশুর চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। শিশু কোনো কারণে মন খারাপ করল কি না এবং সেটা থেকে সে বিষণ্নতায় ভুগছে কি না—সে বিষয়েও খেয়াল রাখা জরুরি। তাই বলে এই নয় যে শিশুর সব ধরনের চাওয়াই পূরণ করতে হবে। যে চাওয়াটি অন্যায্য সেটি তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে, যাতে মন খারাপ না করে। আর ন্যায্য চাওয়া হলে সেটি পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে।

শিশুর প্রতি মনোযোগ দিন

আপনার শিশুর কাজে মনোযোগ নেই কেন তার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করুন। বোঝার চেষ্টা করুন কেন কোনো কাজে শিশু মনোনিবেশ করতে পারছে না। দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ করে থাকা, শিশু যেসব কাজে আনন্দ পেত সেসব কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া, ঘুমের তারতম্য, খাবার খেতে অনীহা বা অরুচি, শিশুর ওজন কমে যাওয়া, কাজে অনীহার মতো সমস্যাগুলো খুঁটিয়ে দেখুন। এ ধরনের সমস্যায় ভোগা শিশুদের যেকোনো কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়। এগুলোর সবই বিষণ্নতার লক্ষণ। এতে শিশুদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়, যা তাদের দৈনন্দিন কাজ ও জীবনাচরণে প্রভাব ফেলে। এ রকম হলে একজন মানসিক চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি।

কিশোরকালকে গুরুত্ব দিন

শিশুদের কৈশোর খুবই সংকটময় সময়। শারীরিক ও মানসিক নানা টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে বয়ঃসন্ধিকাল পার করে তারা। চারপাশের চেনা জগত্টাকেই তাদের কাছে অচেনা মনে হতে শুরু করে। কেউ কেউ বয়ঃসন্ধিকালে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এগুলো থেকেও নানা মানসিক টানাপড়েনে কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যেতে পারে। এ জন্য এই সময়ে শিশুর পাশে বন্ধুর মতো ছায়া হয়ে থাকা উচিত। ওদের প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সে অনুযায়ী পরামর্শ দেওয়া উচিত।

শিশুকে খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সিলেবাসবহির্ভূত কাজে উত্সাহ দিন

পাঠ্য বইয়ের বাইরের সব কিছুর প্রতি শিশুদের বেশি আগ্রহ কাজ করে। বিশেষ করে খেলাধুলা, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, নাচ, গান, অভিনয় করা, বিতর্কসহ নানা রকম সৃজনশীল কাজে অন্তর্ভুক্ত হতে তারা বেশি পছন্দ করে। এমন কাজে শিশুদের বেশি বেশি উত্সাহ দিন। এসব কাজে শিশুদের মধ্যে বহির্জগত্ সম্পর্কে কৌতূহল তৈরি হয়। চারপাশের নানা মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ ঘটে। নতুন বন্ধু তৈরি হয়। এতে তাদের মধ্যে বোঝার ক্ষমতা তৈরি হয়। নিজ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তৈরি হয়। শিশু যখন নিজে থেকে ভালো-মন্দ বুঝতে শেখে, তখন এমনিতেই ভালো কাজের প্রতি যেমন তার উত্সাহ বাড়বে, তেমনি মন্দ কাজের প্রতি অনুত্সাহ হবে। শিশু নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করলে শারীরিকভাবে সুঠাম ও সুস্থ থাকবে। সুস্থ শরীরে সুস্থ মন বাস করে। আর মন ভালো থাকলে কাজেও তার প্রভাব পড়বে।

পারিবারিক শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন

সব দোষ শিশুদের ওপর চাপাবেন না। পারিবারিক শান্তি-শৃঙ্খলাও শিশুদের কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করে। হাসি-আনন্দে ভরপুর পরিবারের শিশুদের মধ্যে কাজের প্রতি মনোযোগহীনতা তেমনটা দেখা যায় না। পক্ষান্তরে যেসব পরিবারে অশান্তি লেগেই আছে, সেসব পরিবারের শিশুদের মধ্যে কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্য পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখুন। আজকাল প্রায়ই দেখা যায় একদিকে মা, একদিকে বাবা, আর অন্যদিকে সন্তান। যে যার মতো ব্যস্ত ফেসবুক, ইউটিউট, কম্পিউটার বা ট্যাব নিয়ে। অর্থাত্ পরিবারের সদস্যদের ভেতর কথাবার্তা তেমন হচ্ছে না। এসব  বাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। একে অন্যকে সময় দিন। 

প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। দেখবেন তার ইতিবাচক প্রভাব শিশুদের মধ্যেও ফুটে উঠবে।

মন্তব্য

কখন কোথায় কী

শেয়ার
কখন কোথায় কী

সায়েন্সল্যাবে লা রিভের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর

রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে চালু হয়েছে লা রিভের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর। এটি প্রতিষ্ঠানটির ২৬তম এবং ৩য় বৃহত্তম ব্রাঞ্চ। ৩ জুলাই স্টোরটির উদ্বোধন করেন লা রিভের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস, রিভ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম রেজাউল হাসান ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। মন্নুজান নার্গিস বলেন, গ্রাহকদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্টোরটি চালু করেছি।

শপিং যেন আনন্দময় অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে, এই লক্ষ্যে স্টোরটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সামার, রেইনি ডে, ও নার্গিসাসসব ধরনের কালেকশন পাওয়া যাবে এখানে।

কখন কোথায় কী

যাত্রা শুরু মিরপুর ইলেকট্রনিকসের

এক ছাদের নিচে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেরা সব পণ্য সেবা দিতে যাত্রা শুরু হলো গৃহস্থালি পণ্যের প্রতিষ্ঠান মিরপুর ইলেকট্রনিকসের। ৪ জুলাই মিরপুর ১ এর রূপায়ন লতিফা সামসুদ্দীন স্কয়ারে (সনি সিনেমা হলের বিপরীতে) চালু হয় প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজওয়ান রহমান হূদয়। তিনি বলেন, ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় রেখে প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছি। এক ছাদের নিচে এসি, ফ্রিজ, টিভিসহ, পানির ফিল্টারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পছন্দসই পণ্য পাবেন তারা।

আড়ংয়ের সম্প্রসারিত শো রুম

মিরপুর ১২ এক্সটেনশনের সম্প্রসারিত নতুন শো রুম উদ্বোধন করেছে আড়ং।

সম্প্রসারণের ফলে আউটলেটটির পাঁচ হাজার বর্গফুট অতিরিক্ত জায়গা যুক্ত হয়েছে। এখন পনের হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে দুই তলায় বিস্তৃত শো রুমটি। জায়গা বাড়ায় বিস্তৃত পরিসরে পোশাক, গয়না, হ্যান্ডিক্রাফট ও হোম ডেকর পণ্য উপস্থাপনায় নতুনত্ব এনেছে আড়ং। ব্র্যাক-আড়ংয়ের চিফ বিজনেস অফিসার তানভীর হোসাইন বলেন, সম্প্রসারিত আউটলেটটি আড়ংয়ের পণ্যের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে আমরা আশা করি।

মিরপুর ১২ আউটলেটটি এখন ঢাকার বড় আড়ং আউটলেটগুলোর অন্যতম।

কখন কোথায় কী

আরবিটে ব্র্যান্ডিংয়ের অফার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় পণ্য প্রচার ও প্রসার দিন দিন বাড়ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অফার দিচ্ছে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আরবিট ক্রিয়েটিভ হাব। এই অফারে ই কমার্স, এফ কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য অল্প খরচে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডিং, বিজ্ঞাপণ, গ্রাফিকস ডিজাইন, কর্পোরেট এভি, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ। এ ছাড়াও রয়েছে ভিডিও অ্যাডস, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেরও সুবিধা। যোগাযোগ : ০৯৬১০৯৭৮০২৭।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কাপড় শুকানোর সহজ সমাধান

    বর্ষার দিনে আকাশের ঠিক ঠিকানা নেই। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। আবার কখনো টানা কয়েকদিন ধরেই আকাশ থাকে মেঘলা। এমন দিনে ধোয়া কাপড় শুকানো নিয়ে পড়তে হয় বিপদে। রোদহীন দিনে কাপড় শুকানোর নানা উপায় জানাচ্ছেন প্রিয়াঞ্জলি রুহি
শেয়ার
কাপড় শুকানোর সহজ সমাধান
ছাদে খোলামেলা রোদে ভেজা কাপড় শুকাতে না পারলে বারান্দা বা ঘরের জানালার গ্রিলে মেলে দিতে পারেন

বৃষ্টি মানেই ভেজা মাটির গন্ধ, স্নিগ্ধ সবুজ, আর চায়ের সঙ্গে ঝরঝরে বিকেল। সেই আনন্দ মুহূর্তেই মলিন হয়ে যায় যদি ঘরের এক কোণায় দেখা দেয় আধা শুকনো, গন্ধযুক্ত কাপড়ের স্তূপ। নিয়মিত কাপড় ধোয়া জরুরি। বর্ষাকালে সেগুলো ঠিকভাবে শুকানো বেশ কঠিন।

রোদ থাকে না, আবার শুকানোর আগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। ফলে কাপড়ে ভ্যাপসা গন্ধ, ছত্রাক বা দাগ পড়ে যায়। একটু পরিকল্পনা, কিছু ঘরোয়া বুদ্ধি দিয়ে বর্ষায়ও কাপড় শুকানোর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গন্ধহীন, পরিচ্ছন্ন কাপড় শুধু আরামই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি।

বৃষ্টি বুঝে ধোয়ার সময় নির্ধারণ

বর্ষাকালে কাপড় ধোয়ার সবচেয়ে বড় কৌশল হলো সময়জ্ঞান। সকালের দিকে আকাশ খানিকটা পরিষ্কার থাকলে তখনই কাপড় ধুয়ে রশিতে টাঙিয়ে দিন। অনেক সময় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ মেঘলা হতে থাকে, তাই দেরি না করাই ভালো। আর যদি মনে হয় সারাদিন বৃষ্টি হবে, তাহলে ওইদিন ভারী কাপড় না ধোয়াই ভালো।

হালকা কাপড় ধুয়ে শুরু করুন

বর্ষায় ভারী জিনিস যেমন চাদর, তোয়ালে বা জিন্স, পর্দা ধোয়ার থেকে হালকা জামা-কাপড় আগে ধুতে হবে। এগুলো কম সময়েই শুকায়। ভারী কাপড় শুকাতে সময় লাগে বেশি এবং সহজেই ফাঙ্গাল গন্ধ তৈরি হয়। এক দিনে বেশি কাপড় না ধোয়াই ভালো। ঘরের ভেতর শুকানোর কৌশল

যারা ফ্ল্যাটে থাকেন বা ঘরের ভেতরে কাপড় শুকাতে বাধ্য হন, তারা কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।

এমন ঘর বেছে নিন যে ঘরটায় তুলনামূলক হাওয়া চলাচল করে এবং কাপড় শুকায়। ভেজা কাপড় স্তূপাকারে এক জায়গায় ঝুলিয়ে রাখবেন না। এতে গন্ধ বাড়ে এবং শুকাতে  সময় লাগে। একেকটা কাপড়ের মাঝে সামান্য ফাঁকা রাখলে দ্রুত শুকায়। কাপড় ঝুলানোর পর নিচে পুরনো খবরের কাগজ বা প্লাস্টিক বিছিয়ে দিন যাতে পানি পড়লেও মেঝে ভিজে না যায়। ছাদে শুকাতে না পারলে বারান্দা কিংবা জানালার ধারে ছোট স্ট্যান্ড ব্যবহার করে কাপড় ঝুলিয়ে দিন।

ফ্যান-ড্রায়িং ও আয়রনের ব্যবহার

ফ্যান চালিয়ে কাপড় শুকানো কার্যকর একটি উপায়। বিশেষ করে রাতের বেলা। এ ছাড়া অল্প ভেজা কাপড় শুকাতে আয়রনও করা যেতে পারে।

গন্ধ দূর করতে হলে

বর্ষায় ভেজা কাপড়ের ভ্যাপসা গন্ধ থেকে বাঁচতে কাপড় ধোয়ার সময় লিকুইড ডিটারজেন্টের সঙ্গে কিছুটা ভিনেগার বা বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন, বা ফ্লোরাল ফেব্রিক কন্ডিশনারও যোগ করা যায়। এতে কাপড়ে গন্ধ হবে না। এছাড়া ভেজা কাপড় জমিয়ে রাখলে তা থেকেই ছত্রাক জন্মায়, দাগ পড়ে, এমনকি ত্বকে অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই রোদ থাকুক আর না থাকুক, ধোয়া কাপড় যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য

বর্ষায় ত্বক ও চুলের যত্ন

    বর্ষাদিনে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে ত্বক ও চুল প্রভাবিত হয়। অনেকের ত্বকে এলার্জি, র‍্যাশ, ব্রণ বা সংক্রমণ দেখা দেয়; আবার চুল হয় রুক্ষ, চিটচিটে বা অতিরিক্ত ঝরে পড়ে। কয়েকটি সহজ অভ্যাসই হতে পারে এসবের সমাধান। পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা। লিখেছেন অলকানন্দা রায়
শেয়ার
বর্ষায় ত্বক ও চুলের যত্ন
ঠিকঠাক যত্নে বর্ষাদিনেও ত্বক ও চুল ভালো থাকে। মডেলঃ নওবা তাহিয়া ছবিঃ এটুজেড

ত্বকের যত্ন

বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বক চিটচিট করলেও ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এসময় ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে হালকা, জেল-ভিত্তিক বা পানিযুক্ত ময়েশ্চার ব্যবহার করা ভালো। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা অ্যালকোহলমুক্ত টোনার ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে থেকে ফিরেই মুখ ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

দিনে অন্তত দুইবার হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। ভেজা ত্বকে জীবাণু সহজেই বাসা বাঁধে। তাই বর্ষায় নিয়মিত স্ক্রাবিং করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল থাকে। অনেকেরই এই সময় ব্রণ বেড়ে যায়, বিশেষ করে সংবেদনশীল ও তৈলাক্ত ত্বকে।
টি-ট্রি অয়েল বা স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত পণ্য এই সমস্যায় উপকারী হতে পারে, তবে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করাই নিরাপদ। তৃষ্ণা অনুভব হয় না বলে বর্ষায় অনেকেই কম পানি পান করেন। কিন্তু শরীর এবং ত্বক সুস্থ রাখার জন্য দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এতে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেট থাকবে।

ঠিকঠাক যত্নে বর্ষাদিনেও ত্বক ও চুল ভালো থাকে

চুলের যত্ন

হুটহাট বৃষ্টিতে চুল প্রায়ই ভিজে যায়, বিশেষ করে রিকশায় বা হেঁটে চলাফেরা করলে। ভেজা চুল আঁচড়ানো কিংবা শক্ত করে বাঁধা একেবারেই উচিত নয়। এতে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঝরে যায়। চুল ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব তোয়ালে দিয়ে মুছে ফ্যানের নিচে বা হালকা ব্লো-ড্রায়ারে শুকিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধোয়া উচিত, যাতে ধুলা, ঘাম ও খুশকি দূর হয়।

এরপর ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল থাকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও ঝলমলে। ভেজা অবস্থায় শক্ত করে চুল বাঁধলে ত্বকে টান পড়ে, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। বর্ষায় আলগা বিনুনি বা খোলা রাখাই ভালো। অনেকে ভাবেন বর্ষায় তেল দেওয়া ঠিক নয়। আসলে সপ্তাহে একদিন হালকা নারকেল বা বাদাম তেল ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। তবে তেল দেওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে শ্যাম্পু করতে হবে, না হলে চুল ভারী ও চিটচিটে হয়ে থাকবে।

ঘরোয়া যত্নে সমাধান

এই ঋতুতে ঘরোয়া উপাদান দিয়েও চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। ত্বকে বেসন, মধু ও টক দইয়ের প্যাক লাগালে তা ব্রণ কমায় ও উজ্জ্বলতা আনে। চুলে মেথি ভেজানো পানি বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে খুশকি কমে এবং চুল ঝলমলে হয়।

প্রকৃতির পালা বদলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে সতেজ করে তোলে, তেমনি আপনি চাইলে নিজের ত্বক ও চুলকেও এই ঋতুতে দিতে পারেন ঔজ্জ্বলতা। তাই যত্নের অভ্যাসটা শুরু করুন আজই।

 টিপস

১।  খুব গরম পানি নয়, মুখে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।

২।   মেকআপের আগে অবশ্যই প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত, না হলে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।

৩।   বাইরে থেকে ফিরে মুখ ধুয়ে অ্যালোভেরা জেল লাগালে ত্বক ঠাণ্ডা থাকে। ।৪।   চুলের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে একদিন লেবুর রস বা মেথি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫। শরীর ঘেমে গেলে দ্রুত পোশাক বদলান, যাতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন এড়ানো যায়।

৬।   বর্ষায় হেয়ার জেল বা স্প্রে ব্যবহারে বিরত থাকাই ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে হালকা নাইট ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করুন।

৭।   রোদ না থাকলেও বর্ষার দিনে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

 

 

মন্তব্য

নিরামিষে মজাদার

    মাছ মাংসের ফাঁকে মাঝেমধ্যে নিরামিষ হলে কিন্তু মন্দ হয় না। নিরামিষের পাঁচ পদের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী লিপি ইসমাইল
শেয়ার
নিরামিষে মজাদার

কাঁকরোল ভাজি

উপকরণ

কাঁকরোল ৫টি, আলু ২টি, পেঁয়াজ কুচি করা আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুড়া আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ ২/৩টি, লবণ স্বাদমতো সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ।

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

কাঁকরোল, আলু ধুয়ে ছবিতে দেখানো উপায়ে কেটে নিন।

একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, শুকনা মরিচ দিন। এরপর হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে নাড়ুন।

কাঁকরোল ও আলু আধা সেদ্ধ হয়ে এলে ধনে গুঁড়া দিয়ে অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন।

কাঁকরোল পুরোপুরি হয়ে এলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

সটেড ভেজিটেবল উইথ কর্ন

উপকরণ

ফুলকপি ডুমো করে কাটা ১ কাপ, সেদ্ধ ভুট্টা আধা কাপ, গাজর লম্বা করে কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজের পাতা ১ কাপ, পেঁয়াজ বড় করে কাটা ২ টা, কাঁচামরিচ ফালি ২ টা, মাখন ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।

পানিতে বলক এলে সবজিগুলো দিয়ে সামান্য লবণ দিন। সবজি আধা সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝড়িয়ে রেখে দিন।

আরেকটি পাত্রে মাখন গরম করে এতে কেটে রাখা পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ফালি ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে আধা সেদ্ধ সবজি এবং সেদ্ধ করা ভুট্টা দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখুন।

সবজি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে উপরে গোলমরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে গরম গরম  পরিবেশন করুন।

 

ক্যাপসি পনির

উপকরণ

পনির দুই শ গ্রাম, ক্যাপসিকাম ২টি, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা (ঐচ্ছিক) ২টি, ধনে গুঁড়া এক চা চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কসুরি মেথি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চিমটি, ক্রিম সামান্য, টমেটো পিউরি করা ৩টি, আস্ত জিরা সিকি চা চামচ, কাঁচামরিচ ৩/৪টি, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ময়দা ১ চা চামচ, তেল ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

 

স্মোকি ফ্লেভারের জন্য

লবঙ্গ ৩/৪টি, ঘি ১ চা চামচ

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

পনির ও ক্যাপসিকাম ধুয়ে কিউব করে কেটে কুসুম গরম জলে একটু চিনি ও লবণ দিয়ে পনিরগুলো এতে ডুবিয়ে রাখুন।

পাত্রে তেল গরম করে জিরার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো পিউরি দিয়ে একটু নেড়ে ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাসুরি মেথি, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে নিন।

এবার এতে ময়দা দিয়ে ভালো করে নেড়ে ক্যাপসিকাম দিন। ২ মিনিট পর আধা কাপ পানি দিন।

ফুটে উঠলে টুকরা করা পনিরগুলো ও লবণ দিন।

এবার ক্রিম দিয়ে আঁচ কমিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রান্না করে আঁচ বন্ধ করে দিন। একটি স্টিলের বাঁটি গরম করে এতে লবঙ্গ ও ঘি দিন। ধোয়া বের হলে পনিরের কড়াইতে দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে এরপর পরিবেশন করুন।

বাবাগানৌস

উপকরণ

বেগুন ২টি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, টমেটো ১ টি, রসুন ৪-৫ কোয়া, পেঁয়াজ কুচি করা ২টি, কাঁচা মরিচ কুচি করা ২/৩টি, ধনেপাতা কুচি করা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস সামান্য

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

বেগুন ধুয়ে চাকু দিয়ে একটু দাগ কেটে অলিভ অয়েল মেখে ভেতরে রসুন কোয়া দিয়ে পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোও আগুনে পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন

এবার লেবুর রস বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন

এরপর উপরে লেবুর রস ছড়িয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার লেবানিজ পদ জনপ্রিয় পদ বাবাগানৌস।

 

শাহি ভেজিটেবল

উপকরণ

 

২ কাপ ফুলকপি ডুমো করে কাটা, ২ কাপ সিম ছোট করে কাটা, ১ কাপ গাজর, ১ কাপ বরবটি, ২ টা পেয়াজ কুচি, ২ টুকরো আদা, ২ টুকরো রসুন, ৪ টি কাঁচামরিচ ফালি, ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি, ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুড়ো, ১ টেবিল চামচ তেল, ১ চা চামচ ঘি, ১/২ কাপ দুধ, ১/২ চা চামচ আদা রসুন বাটা, ১ চা চামচ চিনি, স্বাদমতো লবণ

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

 সবজি গুলো ছবিতে দেখানো উপায়ে সবজিগুলো ধুয়ে কেটে নিন।

   এবার একটি পাত্রে তেল ও ঘি গরম করে পেয়াজ, রসুন, আদা কুচি দিয়ে হালকা ভেজে আদা রসুন বাটা, লবণ দিয়ে মিলিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মসলাটা কষিয়ে নিন।

  এবার কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে সব কেটে রাখা সবজি গুলো দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিন।

   সবজি থেকে পানি বেরিয়ে এলে গোলমরিচ গুড়া, চিনি দিন।

   সবজিগুলো নরম হয়ে এলে দুধ দিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন।

   সবজিগুলো পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে উপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সামান্য ঝোল রেখে নামিয়ে নিন।  ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার শাহী স্টাইলে ভেজিটেবল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ