ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ মহররম ১৪৪৭

বাড়িতে নতুন বউ

  • বাড়িতে নতুন বউ এলে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত? এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী
  • পরিচালক ডা. মুনতাসীর আল মারুফ। লিখেছেন আতিফ আতাউর
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
বাড়িতে নতুন  বউ
চিত্রতারকা মৌসুমী-ওমর সানী দম্পতি একমাত্র ছেলে ফারদীনের বিয়ে দিয়েছেন সম্প্রতি। পুত্রবধূকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে সহজ হতে শাশুড়ি হিসেবে সব দায়িত্বই পালন করছেন মৌসুমী

নতুন স্বপ্ন ও অজানা আশঙ্কা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পা ফেলে নববধূরা। স্বপ্ন নতুন জীবনের, আশঙ্কা অজানা চ্যালেঞ্জের। কারণ বিয়ে শুধু দুজন নারী-পুরুষের দাম্পত্যজীবন নয়, দুটি ভিন্ন পরিবার, তাদের সংস্কৃতিরও মেলবন্ধন। পাশাপাশি নতুন পরিবেশ ও মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার তো রয়েছেই।

আমাদের সমাজে নানা কারণেই মেয়েদের জন্য বিয়ের বিষয়টি খুব চ্যালেঞ্জিং। শ্বশুরবাড়ি নববধূর জন্য একেবারেই নতুন এক অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য শুধু তার প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়, দরকার শ্বশুরবাড়ির মানুষজনের সহযোগিতাও। নতুন বউকে নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ভূমিকাই বেশি।
এ জন্য প্রথমেই তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া জরুরি।

পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা

নতুন বউকে শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ সম্পর্কে শুরুতেই ধারণা দিন। বিশেষ করে কার কী অভ্যাস, কে কী পছন্দ করে—এ বিষয়ে বুঝিয়ে বলুন। এ সময় তার পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কেও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জেনে নেওয়া জরুরি।

এতে পরবর্তী সময়ে আর অহেতুক কোনো জটিলতা তৈরি হবে না। একই সঙ্গে পরিবারের ছোট সদস্যদের সঙ্গেও তাকে পরিচয় করিয়ে দিন। নিজের বাড়ির চেনা পরিবেশ ছেড়ে আসার কষ্ট সামলে উঠে শ্বশুরবাড়ির অচেনা পরিবেশ ও জীবনযাপনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এমন আচরণ খুব সহায়ক হবে নববধূর।

অভ্যাসে ছাড় দিন

মানুষ একেক পরিবেশে একেক রকম অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। বিয়ের পর হঠাত্ করেই বদলে যায় একটি মেয়ের বহুদিনের অভ্যস্ত জীবনযাপন।

যে মানুষটি দীর্ঘদিন নিজের বাড়িতে বেড়ে উঠেছে, সেই মানুষটি হঠাত্ করে নতুন আরেকটি বাড়িতে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। বিশেষ করে মেয়েদের বিয়ের আগের জীবন আর পরের জীবনের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। পার্থক্যগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতেও নববধূর একটু সময় প্রয়োজন। বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠা, ঘুমানো, রান্নাবান্নার মতো কাজগুলোতে তাকে সময় দিন। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বউ নতুন বাড়ির সঙ্গে মানিয়ে নেবে। মনে রাখবেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সাহায্য আর নববধূর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার ওপরই কিন্তু নির্ভর করে একটি সুখী দাম্পত্যজীবন।

তাকে পরিবারের একজন ভাবুন

নতুন বউকে শুধু বউ হিসেবে নয়, বরং পরিবারের একজন আপন মানুষ হিসেবে দেখুন। যে মানুষটি নিজের বাড়ি, মা-বাবা, ভাই-বোন সব কিছু ছেড়ে এসেছে, তাকে ভুলেও পর ভাবতে যাবেন না। বিয়ের পর থেকে সে এখন আপনাদেরই স্বজন, সুখ-দুঃখের সঙ্গী। তার প্রতি তেমন মনোভাবই প্রকাশ করুন।

ভুল করলে শুধরে দিন

কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। নতুন বাড়িতে অভ্যস্ত হতে গিয়ে, শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন জয় করতে গিয়ে নতুন বউয়ের কথা ও কাজে কোনো ভুল হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তার ভুলগুলো সহজভাবে দেখুন। আন্তরিকতার সঙ্গে শুধরে দিন। শ্বশুর-শাশুড়ি নয়, বরং নিজেদের মেয়ে হিসেবেই দেখুন নতুন বউকে। কোনো কাজ না পারলে শিখিয়ে দিন।

ছোট ছোট কাজ দিন

শুরুতেই নববধূর ঘাড়ে কাজের বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আগে তাকে পরিচিত হতে দিন। সময় দিন। কোনো কাজই তার উপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। নতুন বউ কাজ করতে চাইলে সকালের চা বানানো, বিকেলের নাশতা, ঘর গোছানো ও বাগান পরিচর্চার মতো ছোট ছোট কাজ তাকে দেওয়া যেতে পারে। এ ছোট কাজগুলো থেকেই একসময় সে নিজে থেকেই বড় কাজের দায়িত্ব নেবে। এসব কাজ করার সময় তাকে সহযোগিতা করুন।

তার ভালো লাগা মন্দ লাগা জানতে চান

শ্বশুরবাড়িতে নতুন বউয়ের একা লাগাই স্বাভাবিক। এ সময় তাকে সঙ্গ দিন। চা পানের সময় তাকে সঙ্গে নিন। পারিবারিক কোনো আলাপ-আলোচনায়ও তাকে অংশ নিতে বলুন। তার মতামত জানতে চান। এতে সে নিজেও যে এই পরিবারের একজন, এটা ভাবতে শিখবে। তার মধ্যে দায়িত্ববোধ ও মমত্ববোধ তৈরি হবে। নতুন বাড়িতে তার কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চান। নববধূর ভালো ও মন্দ লাগাকে প্রাধান্য দিন।

নববধূকে উৎসাহ দিন

নতুন বউয়ের কোনো কাজ—সেটা যাই হোক, রান্না বা অন্য কিছু, প্রশংসা করুন। তাকে উৎসাহ দিন। তার মানিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করুন। এতে সে আরো ভালো করার চেষ্টা করবে। নতুন বউয়ের বাড়ি থেকে তার মা-বাবা কিংবা আত্মীয় এলে তাদের সামনে বউয়ের সমালোচনা নয়, বরং গুণকীর্তন করুন। এতেও সে উত্সাহ পাবে।

স্বামীর দায়িত্বশীল আচরণ

শ্বশুরবাড়িতে নববধূর সবচেয়ে কাছের মানুষটি কিন্তু আপনি। তার ঘনিষ্ঠ আপনজনও। এ জন্য স্বামীর রয়েছে বাড়তি দায়িত্ব। নতুন বউয়ের সুবিধা-অসুবিধার দিকটি আপনাকেই সবার আগে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। সে তার সুবিধা-অসুবিধার কথা আপনাকে যত সহজে বলতে পারবে, অন্যদের তা পারবে না। তার যেকোনো সমস্যায় পাশে দাঁড়ান। স্ত্রীকে নতুন বাড়িতে অভ্যস্ত করতে এবং সবার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে দিতে স্বামীকে বলিষ্ঠ ও কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর স্ত্রী যদি কর্মজীবী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রেও সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা আপনাকেই রাখতে হবে। তাঁর কাজের গুরুত্ব ও কাজের জায়গার তাঁর কর্তব্য সম্পর্কে নিজের বাড়ির মানুষকে বুঝিয়ে বলতে হবে। সকালে স্ত্রী অফিসে যাওয়ার আগে দু’একটি কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করতে পারেন। সেটিও মানসিকভাবে দারুণ রাখবে স্ত্রীকে।

 

>>>>

মন্তব্য

কখন কোথায় কী

শেয়ার
কখন কোথায় কী

সায়েন্সল্যাবে লা রিভের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর

রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে চালু হয়েছে লা রিভের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর। এটি প্রতিষ্ঠানটির ২৬তম এবং ৩য় বৃহত্তম ব্রাঞ্চ। ৩ জুলাই স্টোরটির উদ্বোধন করেন লা রিভের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস, রিভ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম রেজাউল হাসান ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। মন্নুজান নার্গিস বলেন, গ্রাহকদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্টোরটি চালু করেছি।

শপিং যেন আনন্দময় অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে, এই লক্ষ্যে স্টোরটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সামার, রেইনি ডে, ও নার্গিসাসসব ধরনের কালেকশন পাওয়া যাবে এখানে।

কখন কোথায় কী

যাত্রা শুরু মিরপুর ইলেকট্রনিকসের

এক ছাদের নিচে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেরা সব পণ্য সেবা দিতে যাত্রা শুরু হলো গৃহস্থালি পণ্যের প্রতিষ্ঠান মিরপুর ইলেকট্রনিকসের। ৪ জুলাই মিরপুর ১ এর রূপায়ন লতিফা সামসুদ্দীন স্কয়ারে (সনি সিনেমা হলের বিপরীতে) চালু হয় প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজওয়ান রহমান হূদয়। তিনি বলেন, ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় রেখে প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছি। এক ছাদের নিচে এসি, ফ্রিজ, টিভিসহ, পানির ফিল্টারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পছন্দসই পণ্য পাবেন তারা।

আড়ংয়ের সম্প্রসারিত শো রুম

মিরপুর ১২ এক্সটেনশনের সম্প্রসারিত নতুন শো রুম উদ্বোধন করেছে আড়ং।

সম্প্রসারণের ফলে আউটলেটটির পাঁচ হাজার বর্গফুট অতিরিক্ত জায়গা যুক্ত হয়েছে। এখন পনের হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে দুই তলায় বিস্তৃত শো রুমটি। জায়গা বাড়ায় বিস্তৃত পরিসরে পোশাক, গয়না, হ্যান্ডিক্রাফট ও হোম ডেকর পণ্য উপস্থাপনায় নতুনত্ব এনেছে আড়ং। ব্র্যাক-আড়ংয়ের চিফ বিজনেস অফিসার তানভীর হোসাইন বলেন, সম্প্রসারিত আউটলেটটি আড়ংয়ের পণ্যের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে আমরা আশা করি।

মিরপুর ১২ আউটলেটটি এখন ঢাকার বড় আড়ং আউটলেটগুলোর অন্যতম।

কখন কোথায় কী

আরবিটে ব্র্যান্ডিংয়ের অফার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় পণ্য প্রচার ও প্রসার দিন দিন বাড়ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অফার দিচ্ছে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আরবিট ক্রিয়েটিভ হাব। এই অফারে ই কমার্স, এফ কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য অল্প খরচে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডিং, বিজ্ঞাপণ, গ্রাফিকস ডিজাইন, কর্পোরেট এভি, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ। এ ছাড়াও রয়েছে ভিডিও অ্যাডস, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেরও সুবিধা। যোগাযোগ : ০৯৬১০৯৭৮০২৭।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কাপড় শুকানোর সহজ সমাধান

    বর্ষার দিনে আকাশের ঠিক ঠিকানা নেই। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। আবার কখনো টানা কয়েকদিন ধরেই আকাশ থাকে মেঘলা। এমন দিনে ধোয়া কাপড় শুকানো নিয়ে পড়তে হয় বিপদে। রোদহীন দিনে কাপড় শুকানোর নানা উপায় জানাচ্ছেন প্রিয়াঞ্জলি রুহি
শেয়ার
কাপড় শুকানোর সহজ সমাধান
ছাদে খোলামেলা রোদে ভেজা কাপড় শুকাতে না পারলে বারান্দা বা ঘরের জানালার গ্রিলে মেলে দিতে পারেন

বৃষ্টি মানেই ভেজা মাটির গন্ধ, স্নিগ্ধ সবুজ, আর চায়ের সঙ্গে ঝরঝরে বিকেল। সেই আনন্দ মুহূর্তেই মলিন হয়ে যায় যদি ঘরের এক কোণায় দেখা দেয় আধা শুকনো, গন্ধযুক্ত কাপড়ের স্তূপ। নিয়মিত কাপড় ধোয়া জরুরি। বর্ষাকালে সেগুলো ঠিকভাবে শুকানো বেশ কঠিন।

রোদ থাকে না, আবার শুকানোর আগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। ফলে কাপড়ে ভ্যাপসা গন্ধ, ছত্রাক বা দাগ পড়ে যায়। একটু পরিকল্পনা, কিছু ঘরোয়া বুদ্ধি দিয়ে বর্ষায়ও কাপড় শুকানোর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গন্ধহীন, পরিচ্ছন্ন কাপড় শুধু আরামই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি।

বৃষ্টি বুঝে ধোয়ার সময় নির্ধারণ

বর্ষাকালে কাপড় ধোয়ার সবচেয়ে বড় কৌশল হলো সময়জ্ঞান। সকালের দিকে আকাশ খানিকটা পরিষ্কার থাকলে তখনই কাপড় ধুয়ে রশিতে টাঙিয়ে দিন। অনেক সময় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ মেঘলা হতে থাকে, তাই দেরি না করাই ভালো। আর যদি মনে হয় সারাদিন বৃষ্টি হবে, তাহলে ওইদিন ভারী কাপড় না ধোয়াই ভালো।

হালকা কাপড় ধুয়ে শুরু করুন

বর্ষায় ভারী জিনিস যেমন চাদর, তোয়ালে বা জিন্স, পর্দা ধোয়ার থেকে হালকা জামা-কাপড় আগে ধুতে হবে। এগুলো কম সময়েই শুকায়। ভারী কাপড় শুকাতে সময় লাগে বেশি এবং সহজেই ফাঙ্গাল গন্ধ তৈরি হয়। এক দিনে বেশি কাপড় না ধোয়াই ভালো। ঘরের ভেতর শুকানোর কৌশল

যারা ফ্ল্যাটে থাকেন বা ঘরের ভেতরে কাপড় শুকাতে বাধ্য হন, তারা কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।

এমন ঘর বেছে নিন যে ঘরটায় তুলনামূলক হাওয়া চলাচল করে এবং কাপড় শুকায়। ভেজা কাপড় স্তূপাকারে এক জায়গায় ঝুলিয়ে রাখবেন না। এতে গন্ধ বাড়ে এবং শুকাতে  সময় লাগে। একেকটা কাপড়ের মাঝে সামান্য ফাঁকা রাখলে দ্রুত শুকায়। কাপড় ঝুলানোর পর নিচে পুরনো খবরের কাগজ বা প্লাস্টিক বিছিয়ে দিন যাতে পানি পড়লেও মেঝে ভিজে না যায়। ছাদে শুকাতে না পারলে বারান্দা কিংবা জানালার ধারে ছোট স্ট্যান্ড ব্যবহার করে কাপড় ঝুলিয়ে দিন।

ফ্যান-ড্রায়িং ও আয়রনের ব্যবহার

ফ্যান চালিয়ে কাপড় শুকানো কার্যকর একটি উপায়। বিশেষ করে রাতের বেলা। এ ছাড়া অল্প ভেজা কাপড় শুকাতে আয়রনও করা যেতে পারে।

গন্ধ দূর করতে হলে

বর্ষায় ভেজা কাপড়ের ভ্যাপসা গন্ধ থেকে বাঁচতে কাপড় ধোয়ার সময় লিকুইড ডিটারজেন্টের সঙ্গে কিছুটা ভিনেগার বা বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন, বা ফ্লোরাল ফেব্রিক কন্ডিশনারও যোগ করা যায়। এতে কাপড়ে গন্ধ হবে না। এছাড়া ভেজা কাপড় জমিয়ে রাখলে তা থেকেই ছত্রাক জন্মায়, দাগ পড়ে, এমনকি ত্বকে অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই রোদ থাকুক আর না থাকুক, ধোয়া কাপড় যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য

বর্ষায় ত্বক ও চুলের যত্ন

    বর্ষাদিনে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে ত্বক ও চুল প্রভাবিত হয়। অনেকের ত্বকে এলার্জি, র‍্যাশ, ব্রণ বা সংক্রমণ দেখা দেয়; আবার চুল হয় রুক্ষ, চিটচিটে বা অতিরিক্ত ঝরে পড়ে। কয়েকটি সহজ অভ্যাসই হতে পারে এসবের সমাধান। পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা। লিখেছেন অলকানন্দা রায়
শেয়ার
বর্ষায় ত্বক ও চুলের যত্ন
ঠিকঠাক যত্নে বর্ষাদিনেও ত্বক ও চুল ভালো থাকে। মডেলঃ নওবা তাহিয়া ছবিঃ এটুজেড

ত্বকের যত্ন

বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বক চিটচিট করলেও ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এসময় ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে হালকা, জেল-ভিত্তিক বা পানিযুক্ত ময়েশ্চার ব্যবহার করা ভালো। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা অ্যালকোহলমুক্ত টোনার ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে থেকে ফিরেই মুখ ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

দিনে অন্তত দুইবার হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। ভেজা ত্বকে জীবাণু সহজেই বাসা বাঁধে। তাই বর্ষায় নিয়মিত স্ক্রাবিং করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল থাকে। অনেকেরই এই সময় ব্রণ বেড়ে যায়, বিশেষ করে সংবেদনশীল ও তৈলাক্ত ত্বকে।
টি-ট্রি অয়েল বা স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত পণ্য এই সমস্যায় উপকারী হতে পারে, তবে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করাই নিরাপদ। তৃষ্ণা অনুভব হয় না বলে বর্ষায় অনেকেই কম পানি পান করেন। কিন্তু শরীর এবং ত্বক সুস্থ রাখার জন্য দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এতে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেট থাকবে।

ঠিকঠাক যত্নে বর্ষাদিনেও ত্বক ও চুল ভালো থাকে

চুলের যত্ন

হুটহাট বৃষ্টিতে চুল প্রায়ই ভিজে যায়, বিশেষ করে রিকশায় বা হেঁটে চলাফেরা করলে। ভেজা চুল আঁচড়ানো কিংবা শক্ত করে বাঁধা একেবারেই উচিত নয়। এতে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঝরে যায়। চুল ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব তোয়ালে দিয়ে মুছে ফ্যানের নিচে বা হালকা ব্লো-ড্রায়ারে শুকিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধোয়া উচিত, যাতে ধুলা, ঘাম ও খুশকি দূর হয়।

এরপর ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল থাকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও ঝলমলে। ভেজা অবস্থায় শক্ত করে চুল বাঁধলে ত্বকে টান পড়ে, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। বর্ষায় আলগা বিনুনি বা খোলা রাখাই ভালো। অনেকে ভাবেন বর্ষায় তেল দেওয়া ঠিক নয়। আসলে সপ্তাহে একদিন হালকা নারকেল বা বাদাম তেল ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। তবে তেল দেওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে শ্যাম্পু করতে হবে, না হলে চুল ভারী ও চিটচিটে হয়ে থাকবে।

ঘরোয়া যত্নে সমাধান

এই ঋতুতে ঘরোয়া উপাদান দিয়েও চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। ত্বকে বেসন, মধু ও টক দইয়ের প্যাক লাগালে তা ব্রণ কমায় ও উজ্জ্বলতা আনে। চুলে মেথি ভেজানো পানি বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে খুশকি কমে এবং চুল ঝলমলে হয়।

প্রকৃতির পালা বদলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে সতেজ করে তোলে, তেমনি আপনি চাইলে নিজের ত্বক ও চুলকেও এই ঋতুতে দিতে পারেন ঔজ্জ্বলতা। তাই যত্নের অভ্যাসটা শুরু করুন আজই।

 টিপস

১।  খুব গরম পানি নয়, মুখে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।

২।   মেকআপের আগে অবশ্যই প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত, না হলে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।

৩।   বাইরে থেকে ফিরে মুখ ধুয়ে অ্যালোভেরা জেল লাগালে ত্বক ঠাণ্ডা থাকে। ।৪।   চুলের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে একদিন লেবুর রস বা মেথি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫। শরীর ঘেমে গেলে দ্রুত পোশাক বদলান, যাতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন এড়ানো যায়।

৬।   বর্ষায় হেয়ার জেল বা স্প্রে ব্যবহারে বিরত থাকাই ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে হালকা নাইট ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করুন।

৭।   রোদ না থাকলেও বর্ষার দিনে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

 

 

মন্তব্য

নিরামিষে মজাদার

    মাছ মাংসের ফাঁকে মাঝেমধ্যে নিরামিষ হলে কিন্তু মন্দ হয় না। নিরামিষের পাঁচ পদের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী লিপি ইসমাইল
শেয়ার
নিরামিষে মজাদার

কাঁকরোল ভাজি

উপকরণ

কাঁকরোল ৫টি, আলু ২টি, পেঁয়াজ কুচি করা আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুড়া আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ ২/৩টি, লবণ স্বাদমতো সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ।

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

কাঁকরোল, আলু ধুয়ে ছবিতে দেখানো উপায়ে কেটে নিন।

একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, শুকনা মরিচ দিন। এরপর হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে নাড়ুন।

কাঁকরোল ও আলু আধা সেদ্ধ হয়ে এলে ধনে গুঁড়া দিয়ে অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন।

কাঁকরোল পুরোপুরি হয়ে এলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

সটেড ভেজিটেবল উইথ কর্ন

উপকরণ

ফুলকপি ডুমো করে কাটা ১ কাপ, সেদ্ধ ভুট্টা আধা কাপ, গাজর লম্বা করে কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজের পাতা ১ কাপ, পেঁয়াজ বড় করে কাটা ২ টা, কাঁচামরিচ ফালি ২ টা, মাখন ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।

পানিতে বলক এলে সবজিগুলো দিয়ে সামান্য লবণ দিন। সবজি আধা সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝড়িয়ে রেখে দিন।

আরেকটি পাত্রে মাখন গরম করে এতে কেটে রাখা পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ফালি ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে আধা সেদ্ধ সবজি এবং সেদ্ধ করা ভুট্টা দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখুন।

সবজি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে উপরে গোলমরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে গরম গরম  পরিবেশন করুন।

 

ক্যাপসি পনির

উপকরণ

পনির দুই শ গ্রাম, ক্যাপসিকাম ২টি, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা (ঐচ্ছিক) ২টি, ধনে গুঁড়া এক চা চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কসুরি মেথি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চিমটি, ক্রিম সামান্য, টমেটো পিউরি করা ৩টি, আস্ত জিরা সিকি চা চামচ, কাঁচামরিচ ৩/৪টি, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ময়দা ১ চা চামচ, তেল ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

 

স্মোকি ফ্লেভারের জন্য

লবঙ্গ ৩/৪টি, ঘি ১ চা চামচ

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

পনির ও ক্যাপসিকাম ধুয়ে কিউব করে কেটে কুসুম গরম জলে একটু চিনি ও লবণ দিয়ে পনিরগুলো এতে ডুবিয়ে রাখুন।

পাত্রে তেল গরম করে জিরার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো পিউরি দিয়ে একটু নেড়ে ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাসুরি মেথি, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে নিন।

এবার এতে ময়দা দিয়ে ভালো করে নেড়ে ক্যাপসিকাম দিন। ২ মিনিট পর আধা কাপ পানি দিন।

ফুটে উঠলে টুকরা করা পনিরগুলো ও লবণ দিন।

এবার ক্রিম দিয়ে আঁচ কমিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রান্না করে আঁচ বন্ধ করে দিন। একটি স্টিলের বাঁটি গরম করে এতে লবঙ্গ ও ঘি দিন। ধোয়া বের হলে পনিরের কড়াইতে দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে এরপর পরিবেশন করুন।

বাবাগানৌস

উপকরণ

বেগুন ২টি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, টমেটো ১ টি, রসুন ৪-৫ কোয়া, পেঁয়াজ কুচি করা ২টি, কাঁচা মরিচ কুচি করা ২/৩টি, ধনেপাতা কুচি করা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস সামান্য

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

বেগুন ধুয়ে চাকু দিয়ে একটু দাগ কেটে অলিভ অয়েল মেখে ভেতরে রসুন কোয়া দিয়ে পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোও আগুনে পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন

এবার লেবুর রস বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন

এরপর উপরে লেবুর রস ছড়িয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার লেবানিজ পদ জনপ্রিয় পদ বাবাগানৌস।

 

শাহি ভেজিটেবল

উপকরণ

 

২ কাপ ফুলকপি ডুমো করে কাটা, ২ কাপ সিম ছোট করে কাটা, ১ কাপ গাজর, ১ কাপ বরবটি, ২ টা পেয়াজ কুচি, ২ টুকরো আদা, ২ টুকরো রসুন, ৪ টি কাঁচামরিচ ফালি, ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি, ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুড়ো, ১ টেবিল চামচ তেল, ১ চা চামচ ঘি, ১/২ কাপ দুধ, ১/২ চা চামচ আদা রসুন বাটা, ১ চা চামচ চিনি, স্বাদমতো লবণ

নিরামিষে মজাদার

যেভাবে তৈরি করবেন

 সবজি গুলো ছবিতে দেখানো উপায়ে সবজিগুলো ধুয়ে কেটে নিন।

   এবার একটি পাত্রে তেল ও ঘি গরম করে পেয়াজ, রসুন, আদা কুচি দিয়ে হালকা ভেজে আদা রসুন বাটা, লবণ দিয়ে মিলিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মসলাটা কষিয়ে নিন।

  এবার কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে সব কেটে রাখা সবজি গুলো দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিন।

   সবজি থেকে পানি বেরিয়ে এলে গোলমরিচ গুড়া, চিনি দিন।

   সবজিগুলো নরম হয়ে এলে দুধ দিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন।

   সবজিগুলো পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে উপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সামান্য ঝোল রেখে নামিয়ে নিন।  ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার শাহী স্টাইলে ভেজিটেবল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ