শিশুকে কী খাওয়াবেন আর কী খাওয়াবেন না এটা নির্ভর করে মূলত বয়সের ওপর। শিশুর বয়স দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে পরিবারের অন্য সদস্যের মতোই স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো যায়। আলাদা করে আর তার জন্য ভিন্ন খাবারের দরকার হয় না। পুষ্টিকর, সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত যেকোনো খাবার দুই বছর বয়সী শিশুকে খাওয়ানো যাবে।
আপনার শিশু
যা খাবে, যা খাবে ইা
- শিশুর খাবার দিতে হবে জেনে-বুঝে। এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ। জানিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো। লিখেছেন আতিফ আতাউর
অন্যান্য

বয়স যখন শূন্য থেকে ছয় মাস
জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর বাইরে অন্য কোনো খাবারই খাওয়ানো যাবে না।
বয়স যখন ছয় মাস থেকে দুই বছর
শিশুর বয়স ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে ধীরে ধীরে অন্য সব খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। এর মানে এই নয় যে শিশু সব কিছু খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেছে। অনেক মা-বাবাই খুশির আতিশয্যে বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের কন্টেইনার্ড, টিনড, ক্যানড খাবার শিশুকে খাওয়াতে শুরু করেন। এটা করা যাবে না। এজাতীয় খাবার খাওয়ানো থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে। এসব খাবার খেতে বায়না করলে এর ক্ষতিকর দিকটি শিশুকে বুঝিয়ে বলুন। এর চেয়ে বাসায় তাজা ফলমূল থেকে জুস বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। বাইরের দোকানের মিষ্টি, দই, লাড্ডু এই বয়সী শিশুদের খাওয়াবেন না। শিশু মিষ্টি খেতে চাইলে বাসায় অল্প চিনি দিয়ে পায়েস রান্না করে খাওয়াতে পারেন।
সব ধরনের প্যাকেটজাত দুধ, শিশুতোষ খাবার, কোল্ড ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। শিশুকে রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন রকম বাহারি খাবার খাওয়াবেন না। দোকান বা রেস্টুরেন্টের জুস, চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাস্তা, বার্গার যত কম খাওয়ানো যায়, এই বয়সী শিশুদের জন্য তত ভালো। এর পরিবর্তে বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে দিন।
একসঙ্গে সব রকম খাবার নয়
শিশু স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার উপযুক্ত হলেই তাকে সব ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়াবেন না। ধীরে ধীরে নতুন নতুন খাবারের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দিন। প্রথমেই তাকে শক্ত খাবার খাওয়াবেন না। শুরুতে লালশাক, রঙিন ফলমূলে অভ্যস্ত করুন। আম, কলা, আঙুরের মতো নরম ফল দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে আপেল, পেয়ারা, ডালিমের মতো ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। ভাতজাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে পাতলা খিচুড়ি দিয়ে শুরু করুন। খিচড়ির মধ্যে সয়াবিন তেল, ঘিজাতীয় খাবার অল্প করে যোগ করুন। তবে শিশুর খাবারে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করবেন না। চিংড়ি মাছ, মুরগির মাংস, গরুর কলিজা, রঙিন সবজি প্রভৃতি যোগ করে নুডুলস রেঁধে খাওয়াতে পারেন। নুডুলসের স্বাদ বাড়াতে অনেক মা টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করেন। শিশুর খাবারে এটা যোগ করা যাবে না। আবার একই খাবার শিশুকে সব সময় খাওয়াবেন না। শিশুর খাবারে বৈচিত্র্য নিয়ে আসুন। দু-তিন দিন পর পর শিশুর খাবার বদলে দিন। এক দিন খিচুড়ি, এক দিন ভাত, এক দিন নুডুলস—এভাবে বদলে দিন।
হিয়ামিত খাবার নয়
শিশুকে ফ্রিজে রাখা খাবার না খাওয়ানোই ভালো। চেষ্টা করুন প্রতিবার শিশুর জন্য খাবার রান্না করার। কম করে রান্না করুন, যাতে শিশু একবারেই সবটুকু খাবার খেয়ে শেষ করতে পারে। শিশুকে ফ্রিজে রাখা খাবারের পরিবর্তে টাটকা ও গরম খাবার খেতে দিন।
বেশি বেশি চকোলেট নয়
দুই বছরের কম বয়সী শিশুকে চকোলেট খেতে দেওয়া উচিত নয়। চকোলেটে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে শিশুকে ফেরানো কঠিন। এ জন্য যত কম চকোলেট খাওয়ানো যায় তত ভালো। প্রতিবার চকোলেট খাওয়ানোর পর মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে দিতে হবে। নইলে দাঁতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়। দাঁতে পোকা হয়।

কখন কোথায় কী

সাঁতার শেখার কোর্স
সাঁতার শেখার সুযোগ দিচ্ছে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। সুসজ্জিত সুইমিংপুলে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে আগ্রহী যে কেউ সাঁতার শিখতে পারবে। এই কোর্সের অধীনে ২১ হাজার টাকায় রয়েছে ১৪টি সেশন। আগ্রহীদের জন্য রয়েছে তিন দিনের ফ্রি ট্রায়াল।
বিস্তারিত জানতে ফোন করুন এই নম্বরে ০১৭১৩৩৩২৫৪০।
মূল্যছাড়
কে ক্রাফটে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়
ঋতু উপযোগী বিভিন্ন পোশাকের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় দিচ্ছে কে ক্রাফট। মেয়েদের কামিজ, শাড়ি, টপস, টিউনিক, কটি, পোলো, টপস, স্কার্ট, টি-শার্ট এবং ছেলেদের শার্ট, ফতুয়া, পোলো, টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স ও পাঞ্জাবিতে পাওয়া যাবে মূল্যছাড়। সোনামণিদের পোশাকেও মিলবে অফার। আউটলেট থেকে তো বটেই, অনলাইন কেনাকাটায়ও মিলবে এই মূল্যছাড়।
লা রিভে মিড সিজন সেল
লা রিভে চলছে মিড সিজন সেল ফেস্টিভাল ২০২৫। নারী, পুরুষ ও শিশুদের পোশাক কেনাকাটায় ব্র্যান্ডটিতে পাওয়া যাবে ফ্ল্যাট ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়। সামার ক্যাজুয়াল, সামার উপযোগী পার্টি, অফিস টু পার্টি এবং কমফোর্ট ওয়্যারকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এ বছরের মিড সিজন সেল। এই অফারে নারীদের জন্য টিউনিক, কামিজ, শাড়ি, আবায়া, টপ, কটি, শ্রাগ, টি-শার্ট, পালাজ্জো, স্কার্ট, হারেম লেগিংস, ফরমাল প্যান্ট এবং পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পাওয়া যাবে। শিশু ও নবজাতকদের জন্যও সুলভ মূল্যে মিলবে পোশাক।
সারায় মিলবে ৩০ শতাংশ ছাড়
প্রায় দুই লাখ পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ মূল্য ছাড় দিচ্ছে সারা। ১৫টি আউটলেট, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে এই ছাড়ে পণ্য কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এই অফার চলাকালে অন্য সব অফার বন্ধ থাকবে। পুরুষদের শার্ট, পাঞ্জাবি, কটি, পোলো ও টি-শার্ট এবং মেয়েদের টু-পিস, থ্রি-পিস, শার্ট, ক্রপ টপ, মডেস্ট, নাইট ওয়্যার, শাড়ি, ওড়না, পার্টি ওয়্যার, সিঙ্গল পিস, টি-শার্ট এবং ছোটদের জন্য শার্ট, জাম্পসুট, টু-পিস, কাবলি, কাতুয়া, পাঞ্জাবি ও ফ্রক পাওয়া যাবে।

জেলে নৌকায় টাঙ্গুয়ার হাওরে
- বর্ষা মৌসুমে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর দেখলে সমুদ্র বলে ভ্রম হয়। বিস্তীর্ণ জলরাশি, করচগাছ ও মেঘালয় পাহাড়বেষ্টিত হাওর মন কাড়বে যে কারো। জেলে নৌকায় বিশাল জলরাশির এই হাওর ঘুরে এসে লিখেছেন সোহেলী তাহমিনা

সাঁতার জানি না বলে বেশ দোটানায় ভুগছিলাম। একজন ভ্রমণপ্রেমী বলেছিলেন, খুব সুন্দর জায়গা। শুধু বাথরুমের সমস্যা। কিন্তু ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন, তখন বুঝতে পারিনি।

দলের সদস্য ৭২ জন।
পাহাড়ের কোলে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ছোট্ট গ্রামটি প্রথমে ভালোভাবে দেখতে পারিনি। পৌঁছতেই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। রাতে টেকেরঘাট বাজারে চা, ঝালমুড়ি খেয়ে নৌকায় ফিরে এলাম। একটু পর বসল গানের আসর। আসর শেষে মুরগির ঝোল ও সবজি দিয়ে রাতের খাবার শেষে আকাশে ফানুস ওড়ালাম। রাতে নৌকার ওপর চাদর বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল অনেকেই। কেউ কেউ চলে গেল ছইয়ের নিচে ঘুমাতে। সদস্য অনেক, তাই থাকার জন্য কটেজ এবং স্থানীয় লোকজনের বসতবাড়িতে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেও চলে গেল অনেকে। আমি শুয়ে পড়লাম নৌকার পাটাতনে। সকালে টেকেরঘাট দেখে প্রেমে পড়ে গেলাম, যেন ছোটবেলায় পড়া কোনো গল্পের বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে তুলে আনা গ্রাম। এত সুন্দর! একটু দূরে নীলাদ্রি লেক। বাংলার কাশ্মীর নামে পরিচিত স্থানটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে অল্প সময়ের জন্য ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকা ভাড়া করলাম। নৌকায় ফিরে বৃষ্টিতে ছাতার নিচে বসে খিচুড়ি-ডিম দিয়ে সকালের নাশতা সারলাম। সকাল ১১টায় নৌকা বয়ে চলতে থাকল জাদুকাটা নদীর ওপর দিয়ে। ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে সৃষ্ট নদীটির কাচবালি দেশের খনিজ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই নদীর পারেই প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু বারিক্কা টিলা। এখান থেকে নদীর অপরূপ দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয়। দুপুরে জাদুকাটা নদীর পানিতে দাপাদাপি করে হাঁসের মাংস দিয়ে খাবার সেরে ফিরতি যাত্রা শুরু। পথেই রাত নেমে এলো। পূর্ণিমা রাত। পূর্ণ চাঁদের আলোর নিচে মনোমুগ্ধকর এক হাওর দেখার সৌভাগ্য হলো।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে সুনামগঞ্জ। এরপর লেগুনায় যেতে হবে তাহিরপুর বাজার। বাজারের কাছেই ঘাটে বেড়ানো নৌকা পাবেন। দরদাম করে উঠে পড়বেন। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়া, হাওরে থাকা, খাওয়া এবং ফিরে আসতে প্যাকেজে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা খরচ পড়বে।

আচার ভালো রাখার উপায়
- আচার মূলত মসলা আর লবণের কারসাজি। আম, জলপাই, তেঁতুল, বরই বা চালতা—যে ফলই হোক, মসলায় মিশে তা হয়ে ওঠে টক-ঝাল-মিষ্টি আচার, বাঙালির পাতে যার কদর বেশ। সংরক্ষণ করে সারা বছর এটি খাওয়া যায়। তবে কায়দা-কানুন না জানলে নষ্ট হয়ে যায় স্বাদের সেই আচার। আচার সংরক্ষণের পদ্ধতি জানাচ্ছেন তুলি রহমান

আচার খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি খুব কমই পাওয়া যাবে। একবার আচার তৈরি করে রাখলে দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। তবে তৈরি করতে হবে ঠিকঠাক পদ্ধতিতে। তৈরি করেই নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই।
রোদে আচার তাজা
আচার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে রোদ অত্যন্ত জরুরি। তৈরির পর প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন আচারের বয়াম কিছুক্ষণ রোদে রাখতে হবে। এমনকি সারা বছর ধরেই মাঝেমধ্যে আচারের পাত্রটিকে কিছু সময় রোদে দিতে হবে—গ্রামের বাড়িতে উঠানে, শহরে বাড়ির ছাদে বা বারান্দায়।
তেল-মসলার সঠিক ব্যবহার
আচার তৈরির সময় ব্যবহূত মসলাগুলোও সংরক্ষণের উপযোগী হতে হবে। শুকনা খোলায় মসলা হালকা ভেজে নিলে সেগুলো বেশিদিন ভালো থাকে।
সঠিক পাত্র নির্বাচন
আচার সংরক্ষণের জন্য সঠিক পাত্র নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত কাচের পাত্র বা সিরামিকের পাত্রে আচার সংরক্ষণ করা হয়। কারণ এগুলোতে আচার দীর্ঘ সময় ভালো থাকে এবং এর স্বাদ থাকে অক্ষুণ্ন। তবে ব্যবহার করার আগে তা ভালোভাবে ধুয়ে, কড়া রোদে শুকিয়ে নেওয়া দরকার, যেন এক ফোঁটাও পানি না থাকে। জলীয় অংশ আচারের শত্রু। একবার পানির স্পর্শ লাগলে দ্রুতই সাধের আচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাচের পাত্রে আচার সংরক্ষণ করলে এর ভেতরের অংশ দেখা যায়। ফলে আচার নষ্ট হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা গেলে তা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। প্লাস্টিকের পাত্র বা ধাতব পাত্র এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ প্লাস্টিকের পাত্রে কেমিক্যাল লিক হতে পারে এবং ধাতব পাত্র আচারকে অক্সিডাইজ করে দিতে পারে। এতে আচার নষ্ট হয়ে যাবে এবং স্বাদও বদলে যাবে।
সংরক্ষণের স্থান
আচার সংরক্ষণের স্থান নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ। ঠাণ্ডা, শুষ্ক এবং আলো-বাতাস চলাচল করে না এমন জায়গা আচারের জন্য সবচেয়ে ভালো। যেমন—রান্নাঘরের কেবিনেট বা আলমারির ওপরে। সরাসরি সূর্যের আলো আচারকে নষ্ট করতে পারে এবং এর প্রিজারভেটিভ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। স্বল্প সময়ের জন্য বানানো আচার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ফ্রিজের তাপমাত্রা আচারকে ঠাণ্ডা রাখে এবং এটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। আচার খারাপ হতে শুরু করলে সাধারণত ওপরের দিকে ছত্রাক দেখা যায়। যদি সেটি কেবল ওপরের অংশে থাকে এবং আচারের গভীরে না যায়, তবে ওই অংশটুকু সরিয়ে ফেলা যায়। তবে গন্ধে তীব্র পরিবর্তন এলে কিংবা আচারের ভেতরের অংশেও ছত্রাক ছড়িয়ে পড়লে পুরোটা ফেলে দিতে হবে।

ভেজা জুতার যত্ন
- বৃষ্টিতে বাইরে গেলে জুতা ভিজবেই। ভেজা জুতা বেশিক্ষণ পরে থাকা উচিত নয়। যত্ন না নিলে সহজেই জুতা নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। বর্ষায় জুতার যত্ন নিয়ে লিখেছেন আহমেদ ইমরান

বৃষ্টির দিনেও বাইরে যেতে হয় অনেকের। এ সময় পা ঢাকা জুতা বেছে নিতে পারেন। চেষ্টা করুন ছোট ছোট ছিদ্রযুক্ত জুতা পরার। এতে পা ভিজলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়।
ভেজা জুতার যত্ন
১। ভেজা জুতা রোদে শুকাতে দেবেন না। এতে চামড়া শক্ত হয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে।
২।
৩। শুকিয়ে গেলে ভেজা টিস্যু দিয়ে কাদা মুছে নিন।
৪। চামড়ার জুতা ভিজে গেলে সরাসরি রোদে না শুকিয়ে বাতাস অথবা জুতার ভেতর পুরনো পত্রিকা ভরে রেখে ধীরে ধীরে শুকাতে দিন।
৫। ভেজা জুতা নরম কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে তারপর শুকিয়ে পলিশ করুন।
৬। লেদার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চামড়া থাকবে নরম, জুতা থাকবে দীর্ঘস্থায়ী।
৭। অফিসে যাওয়ার পথে জুতায় কাদা লাগলে অফিসে পৌঁছে ভেজা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করে এরপর শুকনা টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
যা করবেন না
৮। চামড়ার জুতা পরে বৃষ্টিতে হাঁটা থেকে বিরত থাকুন।
৯। ভেজা জুতা তুলে রাখবেন না।
১০। জুতায় কাদা লেগে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘষবেন না। এতে জুতায় দাগ বসে যাবে।
১১। বৃষ্টির সময় পেনসিল বা বড় হিলের জুতা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।
১২। জুতা পরিষ্কারের জন্য সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়।
টিপস
১। বৃষ্টির দিনে জুতায় ওয়াটারপ্রুফ স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এতে জুতায় পানি লাগলেও সহজে ভিজবে না।
২। গাড়িতে অতিরিক্ত এক জোড়া জুতা সঙ্গে রাখতে পারেন। অফিস বা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে ভেজা জুতা জোড়া খুলে অতিরিক্ত স্যান্ডেল বা স্লিপার পরে নিন।
৩। বৃষ্টির সময় বাইরে বের হলে জুতার ওপর রেইন শু কাভার পরে নিন। জুতায় পানি ও কাদা লাগবে না।
৪। রাস্তায় জমে থাকা ময়লা, পানি ও কাদা থেকে বাঁচতে উঁচু সোলের জুতা বা স্যান্ডেল পরুন।
৫। যাঁদের বৃষ্টির দিনে বেশি সময় বাইরে থাকতে হয়, তাঁদের পায়ের চারপাশ ঢেকে রাখে এমন জুতা ব্যবহার করা ভালো।