<p> <a name="RIMG0"></a></p> <p> * বারান্দা ছোট হলে সাজানোর উপকরণ হবে হালকা। বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট আর মৌসুমি ফুলের গাছ রাখতে পারেন। সব ঋতুর ফুলের গাছ থাকলে বছরজুড়ে বাগানে ফুল থাকবে।</p> <p> * বারান্দায় রোদ এলে যেকোনো গাছ দিয়েই সাজাতে পারেন। যেমন-মানি প্লান্ট, বনসাই, পাতাবাহার, ছোট পামগাছ, ফরচুন ট্রি, চায়নিজ কামিনী। ফুলের মধ্যে গোলাপ, রজনীগন্ধা, রঙ্গন, দোলনচাঁপা ইত্যাদি।</p> <p> * ছোট বারান্দায় বাগান করতে কর্নারগুলোতে গাছ সাজান। প্রথমে খানিকটা লম্বা ধরনের গাছ লাগান। এ ক্ষেত্রে গাছের উচ্চতা হবে ছয়-সাত ফুট। এরপর সামনের সারিতে মাঝারি আকৃতির অর্থাৎ চার-পাঁচ ফুট, তার সামনে ছোট দুই-তিন ফুট গাছ লাগান। এরপর সামনে ঘাস লাগাতে পারেন এবং ঘাসের সঙ্গে ঘাসজাতীয় ছোট ফুলগাছ লাগান।</p> <p> * গাছগুলোর মধ্যে বড় গাছ হিসেবে পাম ট্রি, সাইকাস, কামিনী, কাঁঠালচাঁপা, পাতাবাহার, চায়নিজ বাঁশ ইত্যাদি লাগাতে পারেন। মাঝারি গাছ হিসেবে হাসনাহেনা, আলামণ্ডা, ডালিয়া, কসমস, রঙ্গন ইত্যাদি ফুলের গাছ লাগান। আর দুই কর্নারে তিন ফুট ছোট গাছের মধ্যে বেলি, গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, নয়নতারাসহ বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগান। গাছ লাগানোর সময় লক্ষ রাখুন, সব ঋতুর ফুল গাছই যেন কর্নারগুলোতে থাকে। এতে বছরজুড়ে বাগানে ফুল থাকবে।</p> <p> * বিভিন্ন ডিজাইনের মাটি, তামা, পিতল, প্লাস্টিক, সিরামিক ও সিমেন্টের টব ব্যবহার করুন। বৈচিত্র্য আনতে টবগুলোতে রং দিয়ে নকশা করে নিন। ঝোলানো গাছের জন্য হ্যাংগিং টব, বাঁশের ঝুড়ি কিংবা পাটের তৈরি শিকা ব্যবহার করুন।</p> <p> * মানি প্লান্ট দেয়াল বা গ্রিলের কাছাকাছি রাখুন। একসময় বেয়ে ওপরে উঠবে বা নিচে নামবে। বারান্দার গ্রিল সাজাতে বেছে নিন ঝুলন্ত গাছ। যেমন-ফার্ন, পোলিয়োনিয়া পুলক্রো ও অপরাজিতা।</p> <p> * শিকায় বিভিন্ন রঙের ফুলের টবের সঙ্গে রেলিংয়ে রাখুন ছোট ছোট গাছের টব। সাজিয়ে রাখুন নানা ধরনের ক্যাকটাস, অর্কিড, বাহারি ফুল। দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিল দেখে টবের রং করে নিতে পারলে বারান্দা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। রাতে বারান্দা আরো আকর্ষণীয় করতে নানা রঙের আলো ব্যবহার করুন।</p> <p> * ফুলগাছের পাশাপাশি লাগাতে পারেন ভেষজ গাছও। চারকোনা বা গোলাকার কাঠের কিংবা প্লাস্টিকের ট্রেতে তুলসীগাছ, কারিপাতা, মিন্ট, রোজমেরিসহ ভেষজ গাছ সহজেই লাগানো যায়।</p> <p> * বারান্দা বড় হলে বৈচিত্র্যময় করতে এক কোণে ঝরনা রাখুন। বাজারে বিভিন্ন আকৃতির কৃত্রিম ঝরনা পাওয়া যায়। ঝরনার বড় পাথরের ফাঁকে ফাঁকে প্লাস্টিক প্যাকেটে গাছ লাগাতে পারেন। ঝরনার পানিতে মাটির চাড়িতে শাপলা ফুল লাগালে তা আরো দৃষ্টিনন্দন হবে। শাপলার পাত্রে কিছু রঙিন মাছ ছেড়ে দিন।</p> <p> * জায়গা কম থাকলে বারান্দার এক কোণে একটি মাটির চাড়িতে পানি দিয়ে তাতে কিছু কচুরিপানা আর রঙিন মাছ ছেড়ে দিন। আর একটি লুকানো স্পটলাইট।</p> <p> * বারান্দায় কিছুটা জায়গা থাকলে সেখানে হতে পারে বসার ব্যবস্থা। ছোট তিন-চারটি মোড়া, টুল বা চেয়ার রাখুন। মাঝে ছোট্ট একটি টেবিল। আয়তন একটু বড় হলে ডিভান বা সিঙ্গেল চেয়ার রাখতে পারেন। সম্ভব হলে এক পাশে দোলনা রাখুন। বারান্দা ছোট হলে এক পাশে কয়েকটা টুল বা মোড়া দিন।</p> <p> * একটু বাড়তি জায়গা পেলে নিচু নকশার টেবিলে রাখতে পারেন হোগলা পাতার জগ, ফুলদানি আর মাটির ফোয়ারা। বাঁশের চিক লাগান বারান্দার গ্রিলে। এতে ছায়া আর আড়াল দুটি কাজই বেশ হবে।</p> <p> <a name="FIMG1"></a></p> <p>  </p> <p>  </p>