ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

মাদার তেরেসার উত্তরসূরি সিস্টার নির্মলার প্রয়াণ

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
মাদার তেরেসার উত্তরসূরি সিস্টার নির্মলার প্রয়াণ

মাদার তেরেসা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রধান সিস্টার নির্মলার জীবনাবসান হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কয়েক দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
মাদার তেরেসার মৃত্যুর ছয় মাস আগে ১৯৯৭ সালের ১৩ মার্চ সিস্টার নির্মলা মিশনারিজ অব চ্যারিটির সুপিরিয়র জেনারেল নির্বাচিত হন।

মাদার তেরেসার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সিস্টার নির্মলা দক্ষতার সঙ্গে মিশনারিজ অব চ্যারিটি পরিচালনা করছিলেন। মৃত্যুকালে সিস্টার নির্মলার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
কলকাতার শিয়ালদহের সেন্ট জন'স চার্চে সিস্টার নির্মলার মরদেহ রাখা হয়েছে। বুধবার তার মরদেহ কলকাতার মাদার হাউসে নেওয়া হবে।
সেদিনই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে মিশনারিজ সূত্রে জানানো হয়েছে।
সিস্টার নির্মলার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, 'দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কল্যাণে সিস্টার নির্মলা তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।'
কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীও টুইটারে শোক জানিয়ে বলেছেন, 'সিস্টার নির্মলার মৃত্যুতে তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
তিনি নোবেলজয়ী মাদার তেরেসার আদর্শকে সামনে রেখে দরিদ্র মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।'

মন্তব্য

শিশুসহ ৭৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শিশুসহ ৭৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ত্রাণপ্রার্থী শিশুসহ অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল।দখলদারদের অবরোধে গাজায় জ্বালানি ও খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে গাজায়। এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। 

এদিকে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে হামলা চালিয়ে অন্তত ৫ ত্রাণপ্রার্থীকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

এ নিয়ে ইসরায়েল এবং মার্কিন সমর্থিত কুখ্যাত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ কেন্দ্রে ত্রাণ নিতে ৮৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল। 

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা চালিয়ে ৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। এই হামলা আরো বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪ জন নিহত হন।

উত্তর গাজায় হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে সেখানে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক হামলার শিকার হয়েছে। আইডিএফ পরে জানিয়েছে তাদের ৩ সেনা নিহত হয়েছে। 

এ ঘটনার পর তুফাহ এবং শুজাইয়া পাড়ার আশেপাশে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।

এসব হামলায় গাজা শহরে অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরো বহু আহত হয়েছেন। 

এদিকে ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। গত ২ মার্চ থেকে গাজায় প্রায় সকল জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তি হয় যেখানে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়ার কথা ছিল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন; গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যুদ্ধাপরাধ : পিয়েতের শালার সাজা কমে ১৩ বছর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধাপরাধ : পিয়েতের শালার সাজা কমে ১৩ বছর
ছবি : রয়টার্স

যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাবেক কসোভো লিবারেশন আর্মির (কেএলএ) সদস্য পিয়েতের শালার সাজা কমিয়ে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৪ জুলাই) হেগের কসোভো ট্রাইব্যুনালের আপিল বিচারকরা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

২০২৪ সালে শালাকে যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক এই আদালত। পরবর্তীতে আপিল করলে কিছু ভুক্তভোগীকে নির্যাতন ও নির্বিচারে আটকের কয়েকটি রায় বাতিল করেন বিচারকরা।

তবে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের রায় বহাল রাখেন। তারা দেখতে পান, নিম্ন আদালত হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে শালার ভূমিকা সঠিকভাবে বিবেচনা করেনি। তাই তার সাজা পাঁচ বছর কমানো হয়। 

১৯৯৮-৯৯ সালে সার্বিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে কসোভোর বিদ্রোহের সময় একটি অস্থায়ী বন্দিশালা পরিচালনা করতেন কসোভো লিবারেশন আর্মির এই সাবেক সদস্য।

সেখানে তিনি নির্যাতন, হত্যা ও নির্বিচারে আটকের মতো অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। সার্বিয়ানদের গুপ্তচর বা সহযোগী সন্দেহে নির্যাতন করা হতো ওই কেন্দ্রে। সেই বন্দিশালায় অন্তত একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। 

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের নেতৃত্বে এই কসোভো বিদ্রোহে ১৩ হাজারেরা বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

প্রাক্তন সার্বিয়ান প্রদেশটি ২০০৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যা এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বেলগ্রেড।

নেদারল্যান্ডে অবস্থিত কসোভো স্পেশালিস্ট চেম্বারস আন্তর্জাতিক বিচারক ও আইনজীবী দ্বারা পরিচালিত একটি যুদ্ধাপরাধ আদালত। কেএলএ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার জন্য কসোভো আইনের অধীনে ২০১৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল থেকে আলাদা। ১৯৯০ এর দশকের বলকান যুদ্ধের জন্য প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার নাগরিকদের বিচার করেছিল এই  ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে কসোভো সংঘাতে সংঘটিত অপরাধের জন্য বেশ কয়েকজন সার্বিয়ান কর্মকর্তা ও একজন সাবেক কেএলএ সদস্যও ছিলেন।

সূত্র : রয়টার্স 

মন্তব্য
দক্ষিণ আফ্রিকা

অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত
সেনজো ম্যাখুনু। ছবি : বিবিসি

অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী সেনজো ম্যাখুনুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ম্যাখুনুর অবর্তমানে আইনের অধ্যাপক ফিরোজ চাচালিয়াকে ভারপ্রাপ্ত পুলিশমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। 

দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রামাফোসা বলেন, এসব অভিযোগের জরুরি এবং সামগ্রিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য শিগগিরই একটি বিচারিক কমিশন গঠন করা হবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রবিবার ম্যাখুনুর বিরুদ্ধে কোয়াজুলু-নাতাল প্রদেশের পুলিশ কমিশনার নাহ্লানাহ্লা ম্যাখোয়ানাজির অভিযোগের পর রামাফোসা এই পদক্ষেপ নেন।

রামাফোসার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা হচ্ছেন ম্যাখুনু।

মন্তব্য

পুতিন ভালো কথা বললেও সন্ধ্যায় সবাইকে বোমা মারেন : ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুতিন ভালো কথা বললেও সন্ধ্যায় সবাইকে বোমা মারেন : ট্রাম্প
ছবিসূত্র : এএফপি

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কারণ পুতিন মুখে ভালো কথা বলেন, কিন্তু সন্ধ্যায় সবাইকে বোমা মারেন’— তাই ইউক্রেনের জন্য এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে কতগুলো প্যাট্রিয়ট সিস্টেম পাঠানো হবে, তা জানাননি।

তবে তিনি বলেন, এর সম্পূর্ণ খরচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বহন করবে।

তিনি আরো জানান, ‘আমরা অত্যন্ত আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছি। ইউক্রেন আমাদের পুরো ১০০ শতাংশ অর্থ দেবে, আমরাও সেটাই চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানায়, ট্রাম্প ইউক্রেনকে আক্রমণাত্মক অস্ত্র সরবরাহের একটি নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।

এটি হবে তার আগের অবস্থান থেকে একেবারে ভিন্ন। এর আগে ট্রাম্প ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা নিরুৎসাহী ছিলেন। তবে হোয়াইট হাউজ এই বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি। রয়টার্স এ খবর স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরো প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের দাবি জানিয়েছেন। রাশিয়া প্রতিদিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের অবকাঠামো ও জনবসতিকে টার্গেট করছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তাদের প্যাট্রিয়ট পাঠাবো, যেটা তাদের খুব প্রয়োজন। পুতিন সত্যিই অনেক মানুষকে অবাক করেছে। মুখে ভালো কথা বলে, তারপর সন্ধ্যাবেলা সবাইকে বোমা মারে।

এটা আমার ভালো লাগে না।’ ট্রাম্প এ সপ্তাহে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে ইউক্রেন ও অন্যান্য ইস্যুতে বৈঠক করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে সরবরাহ করা প্রতিটি সামরিক সরঞ্জামের অর্থ ফেরত পাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এই পদ্ধতিই তার প্রশাসন চায়। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ক টানাপোড়েনপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, পুতিন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছেন না, যা তাকে হতাশ করেছে। সেই কারণেই এখন তিনি ইউক্রেনকে আরো শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ও আক্রমণাত্মক সামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

সূত্র : রয়টার্স

 


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ